ভাবনার বনসাই: এক-শো আশি

১. আমার নাম ও ধাম দেখে
আমাকে নিয়ে ভুল ধারণায় আসা
সহজ!




২. খুব বেশি ভালো মানুষ
মাঝে মাঝে খুব বেশি বিরক্তিকর।




৩. যে আমার ভাঙে নীরবতা,
তাকে আমি জাগাই অনন্তে।




৪. শুরু হয় হৃদয়ের ব্যস্ততায়,
সামনে এগোয় ঠোঁটের ব্যস্ততায়,
শেষ হয় দেহের ব্যস্ততায়।




৫. চুম্বন---
সে কি হয় কেবলই ঠোঁটে ঠোঁটে?




৬. যখন রাত্রি মাপি চোখের পাতায়,
তখন তোমার সঙ্গে হয় চোখাচোখি।




৭. তোমার গর্ভজাত আগুন
প্রতিমুহূর্তেই পুড়িয়ে করছে ছাই
ভীতু জ্যোৎস্নাকে।




৮. চিতার আগুনে ওড়ে ছাই
কিশোরীর নয়, কিশোরীর স্বপ্নের।




৯. আমি অন্য লোকের হৃদয় মেরামত করি।
আমি নিজের হৃদয় মেরামতের লোক খুঁজি।




১০. তুমি এলে...
যেন চাঁদ এল ছায়ার শরীরে!




১১. মাঝে মাঝে মনে হয়,
সমস্ত সাহস জড়ো করে
শেষ বারের মতো
মনের কথা শুনি!




১২. সব কিছু ঠিকঠাক,
বাঁধনটাই শুধু নড়বড়ে!




১৩. আকাশ দেখো চুপচাপ,
সেখানে বেড়াও, খেলো...যা খুশি;
শুধু আকাশটাকে যত্নে রেখো!




১৪. হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার লোভে
মানুষটাকেই ফেললে ভেঙে?




১৫. সূর্যাস্তের ধূলিতে রেখে যাই পাপ,
সূর্যোদয়ের ক্ষতে ক্ষতে কেবলই
জমা হয় শাপ...




১৬. কলমে পৃষ্ঠায়
চুম্বন যখন,
তখনই আমার উৎসব!




১৭. মেয়েদের প্রেমে ফেলতে লেখা
সব কবিতার বইয়ের প্রেমে
হাবুডুবু খায় উইপোকার দল।




১৮. চোখ ছুঁতেই... মেঘ!
শরীর ছুঁতেই... বৃষ্টি!




১৯. দরোজায় দাঁড়িয়ে গোধূলি,
সন্ধের জলহাওয়ার কবলে প্রদীপ!




২০. আহা! চাঁদের কান্নায়
ছায়াপথ‌ও ভেঙে যায়!