ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৮৫তি অংশ)

ভাবনা: পাঁচশো উননব্বই

……………………………………………………

16September 2014

feeling (অ)খাদ্যভোজনপটিয়সী.

আমি খাইলাম, আমি উহাদিগকে খাইলাম! (ক্যামনে খাইলাম? ওয়াক!) এখনকার এক্জামে ট্রান্সলেশন থাকলে বাচ্চাদের পড়ানো যেতো..…… ট্রান্সলেট ইন্টু ইংলিশঃ সুশান্ত একটি সর্বভূক প্রাণী

সুশান্ত খাইয়া প্রমাণ করিল সে..…….

18September 2014

Seoul, South Koreafeeling WCO expert!! at COEX Convention & Exhibition Center.

As a part of RILO AP tour, now at the 2014 International Origin Conference focusing on ” FTA is now a MUST, not a choice” illustrating the Rules of Origin organised by Korea Customs Service attended by big shots from Customs Administration worldwide.

Funniest thing is, the talks on Free Trade Agreement going around here passed through my ‘ creative’ mind long ago while I was appearing at the BCS exam!

I create, they recreate!!

God bless my highly creative mind on exam papers!!

Kidding apart, let me share a lesson I learnt from my Korea tour:

We worship God, they worship work

…….and, that has made all the difference

23September 2014

feeling safe & brave at Shahjalal International Airport.

The Return of the Native

Your land always smells better.

25September 2014

……off to Ctg

25September 2014

feeling মহিষাসুর মহিষাসুর.

গতকাল মহালয়া ছিল। আমি কোরিয়া থেকে ফেরার পর এক মেয়ে আমাকে লিখল..…… মা দুর্গার সাথে আপনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।

সে কি কিছু মিন করে ওটা বললো?!

26September 2014

শালার মাদারফাকার স্মাগলার্স!! এই শুয়োরের বাচ্চাদের জন্য সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত এয়ারপোর্টে অফিস করতে হচ্ছে!! গত দুই রাত ঠিকমতো ঘুমাইনি।

উইকএন্ড নাইট রুইনস!!!

26September 2014

feeling Haters! I wanna be left alone!!

You never need all people around in your life. You’ve to find people who are just jealous of you. People who are always there for you only when they’ve anything bad to say about you are the people you should decide not keep close to. Not always you’re just bad enough to hear only the bad remarks about yourself. People who can never appreciate, have no right to make you learn the things a schoolboy learns. Some people can never appreciate. Never expect anything good to pass through yourself staying close to them. Say them, ” Goodbye my friend. I don’t want to keep you waiting until the next time you get tired looking for another chance to make another bad remark about me.”

It’s never too late to start feeling good about yourself.

27September 2014

feeling Puja is cool!!

It’s Puja eve! It’s shopping time!!

Shopping is an art, be it books or any other stuffs, for not everyone can buy the best things money can buy. It’s all about your taste. Yes, I’m a shopaholic. And so, I’m an artist. An artist deserves respect. Respect me!!

PS, I love you, Puja!!

27September 2014

To respect a person blindly is never a good idea as you will always find in the end, they do not deserve your blind respect. Everyone has a price-tag. You gotta either know that price or pay much more than it is for your blind respect. It’s of no use to blame a person for the respect you showed. It’s completely foolish to define what a person deserves only just according to your own beliefs. They must not be held responsible for what you think them to be without their consent.

28September 2014

And, it reaches 4k+!!

Yes, now my library treasures 4003!!

Blessed is the man who can become wealthy in his own way with the wealth he desires!

Happy is the man who has met 5girlfriends in his life: Books, Movies, Music, Facebook & His Girlfriend.

Happier is the man who is his girlfriend’s only boyfriend or last boyfriend.

Happiest is the man who finds peace in the treasures that come from within not from without.

29September 2014

রাদুগা-প্রগতি’র বাংলায় অনুবাদ-করা রাশিয়ান ফিকশন কিনতে চাই।

পিডিএফ আকারে সফটকপি নেটে পাওয়া যায়, জানি। আমি সংগ্রহে রাখার জন্য হার্ডকপি কিনতে চাচ্ছি। কারোর খোঁজে থাকলে প্লিজ জানান।

I saw, I ordered, I bought.

30September 2014

আমি লোকজনকে বই ধার দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। সাথে নেয়াও।

কেন?

এইজন্যে নয় যে লোকজন বই ধার নিয়ে ফেরত্‍ দিতে চায় না। এইজন্যে যে লোকজন মিথ্যে বলে। বলে, বইটা ফেরত্‍ দেবে। আমি চাই, ওরা সত্যিটা বলুক। বলুক, বইটা আর ফেরত্‍ দেবে না। তাহলে তো আমি আর ধার দেই না! দিলেও এমন কিছু দেবো না যেটা আবার খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। একটা ভালো বই ধার নিয়ে যে আবার ফেরত্‍ দেয় সে হয় বোকা অথবা মহানুভব। আমি তাই বড়ো হয়ে যাওয়ার পর থেকে বই ধার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। বন্ধ মানে কিন্তু বন্ধ-ই! মিথ্যে বলতে ইচ্ছে করে না। মানসম্মানের দাম একটা ভালো বইয়ের চাইতেও বেশি। বড়ো হয়ে গেলে লজ্জাশরম তৈরী হয়ে যায়। আবার বই ধার পেয়ে যাওয়ার পর বড়ো হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণাটা অনেকসময়ই ভুলে যেতে ইচ্ছে করে। অন্যের বইয়ের উপর অনধিকারীর অধিকার বড়ো অধিকার! সুবোধ বালকের মতো বই ফেরত্‍ দেয়ার কথা মাথায় এলেই কেমন যেন একটা হাহাকার সৃষ্টি হয়। মনে হতে থাকে, কী যেন নেই, কী যেন নেই! মহাসমস্যা!

বই ফেরত্‍ চাইতে চাইতে ফকিরকে হার মানিয়েছি বহুবার। বই ধার-দেয়া মোরে ভিখারি করেছে, তোমারে করেছে আমির। কী দরকার নিজেকে এতো টেনশনে রাখার? বই ফেরত্‍ পাওয়ার টেনশন অভিমানী প্রেমিকার ফোন না-পাওয়ার টেনশনের সমান। লোকে বই ফেরত্‍ চাইলে বিরক্ত হয়। লোকের নিজের বইয়ের চাইতেও ধার-নেয়া বইয়ের উপর অধিকারবোধ বেশি থাকে। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া তাহা……. কী দরকার বাপু এতো বিড়ম্বনার?

টাকা ধার দিলে কিংবা বই ধার দিলে বন্ধুত্ব বাড়ে। অন্য বন্ধুদের কথা মনে না থাকলেও ওই বন্ধুদের ভোলা যায় না। শুধুই ফোন করতে ইচ্ছে করে। এতো পিরীতি সহ্য হয় না। আমি শুধু সেই জিনিসটাই ধার দিতে চাই যেটা ফেরত্‍ চেয়ে চেয়ে ওই ভদ্রলোককে বারবার বিরক্ত করতে হবে না এবং ভদ্রলোক ভাবা বন্ধ করে দিতে হবে না। ভদ্রলোককে শেষ পর্যন্ত ভদ্রলোক ভাবতে ভালো লাগে। কী দরকার উনাকে ‘কখন ফোন করে কখন ফোন করে’ এই টেনশনে রাখার? জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, মঙ্গললাভ করুক। দশটা ভালো বইয়ের চাইতে একজন বন্ধু বেশি দামী।

সেই প্রকৃত ভুলোমনা যে টাকাপয়সা কিংবা বই ধার দিয়ে ফেরত্‍ চাইতে ভুলে যায়। আমি ভুলোমনা, তবে ততটুকুই যতটুকু মনে রাখার কষ্ট না করলেও চলে। তাই আমি দুই ধরনের লোককে বই ধার দেই না। এক। যারা মিথ্যে বলে। দুই। যারা মিথ্যে বলে না।

টাকাপয়সা, হার্ডডিস্ক কিংবা বই ধার দিলে নিজেকে চোরচোর লাগে।

30September 2014

একটা হিংসাজাগানিয়া পোস্ট। হিংসুটেরা কাছে আসুন, অহিংসার পূজারিরা দূরে থাকুন। মানুষ হিসেবে আমার হিংসা জাগানোর অধিকার আছে।

ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আর আমি তো মাত্র সিংগাপুর অবধি এলাম!

সিংগাপুরের চাংগি এয়ারপোর্ট থেকে কেনা বইগুলো।

1 October 2014

Birds of the same feather feel jealous of one another.

2 October 2014

The most powerful weapon on earth to kill a man inside: The resentment of a woman in love

ভাবনা: পাঁচশো নব্বই

……………………………………………………

2 October 2014

আহ! পুজো

হায়! অফিস!

The wages of honour is responsibility.

পূজায় যাবেন রাতে… দিনে কী? (কালকে আমি আপনাকে রামকৃষ্ণ মিশনে খুঁজছিলাম… গতবছর নবমীর দিনে কালো পাঞ্জাবিতে আপনাকে দেখেছিলাম, বড় সুন্দর লাগছিলো…)

তনুজা, পাঞ্জাবিতে আমাকে সুন্দরই লাগে। আমি লম্বা আর হ্যান্ডসাম তো, তাই! গতকাল এয়ারপোর্ট থেকে ডিউটি শেষে বাসায় ফিরেছি রাত ১০টার পর।

নার্সিসিস্ট

টেল মি সামথিং আই ডিডন্ট নো।

আহ! পুজো!

হায়! অফিস!

2 October 2014

feeling Puja, I love you!

ফুচকা, চটপটি, পুজো, আমি, শাড়ি-পরা মেয়েরা আর আমরা।

3 October 2014

feeling back to the days of innocence!

দীর্ঘ ২০ বছর ৯ মাস ২১ দিন ১৪ ঘণ্টা ৪২ সেকেন্ড পর পাঁচ আঙুলে পাঁচটা রিং চিপস ঢুকিয়ে খাচ্ছি!

…….সব আংগুল ঢুকছে রিং এ!

…… ঢুকাতে জানলে ঢুকানো যায়।

…… কোয়ার্টার সেকেন্ড এদিকওদিক হতে পারে। সরি ভাই।

3 October 2014

মাতৃরূপদর্শনে রামকৃষ্ণ মিশনে…….

বৃষ্টি! বৃষ্টি!! চারদিক কাঁদছে। কাঁদবেই তো! মা একদিন কম থাকলেন যে! এইবার একদিন কম সুখে থাকা হলো।

শুভ বিজয়া

3 October 2014

এক বন্ধুর সাথে একটু আগে সাব-জিরোতে দেখা। দীর্ঘ ৫ বছর পর।

: দোস্তো, আমি এখন বালের অফিসার।

: মানে?

: সিরিয়াসলি বলতেসি! তুই বিচির অফিসার না?

Footnote.

BAL(বাল): Bank Asia Limited

BC(বিচি): Bangladesh Customs

ফিলিং……. পোলাপান এতো জিনিয়াস ক্যারে?!

4 October 2014

এই দুইদিনে পূজামণ্ডপে যেই পরিমাণ তাণ্ডব নাচন নাচসি, তার দশভাগের একভাগও প্রতি সপ্তাহে নাচতে পারলে জগতের কোনো সুন্দরীরই চোখ আমার চেহারার দিকে না যাইয়া ভুঁড়ির দিকে যাইতো না। শালা ভুঁড়ির বাচ্চারে আর কতো লুকান যায়!

জীবনে পরিশ্রমের সাথে প্রতিষ্ঠালাভ আর প্রতিষ্ঠার সাথে ভুঁড়িলাভ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

বয়স বাড়ছে, বাড়ুক! কিন্তু, সাথে বাড়ছে কেনো ভুঁড়ি? তোমরা কেউ কি বলতে পারো? এম্নিতেই ভিশাস সাইকেল অব ব্যাচেলরহুডে পইড়া জেবন ত্যানাত্যানা হয়া গ্যালো।

4 October 2014

রামকৃষ্ণ মিশনে দশমীর অঞ্জলিতে। শুধু এইখানে এলেই পুরোনো বন্ধু আর পরিচিতদের সাথে দেখা হয়ে যায়। পুজোর খুশি তো এ-ই!

এরপর থাকবো বাতিঘরে।

5 October 2014

এয়ারপোর্টে যারা অন ডিউটি থাকেন, তাদের সাথে সাধারণত আইডি কার্ড ঝোলানো থাকে। (উঁকিঝুঁকি মার্কা চোরচোর চেহারার) এক লোককে একটু আগে এদিকওদিক ঘোরাফেরা করতে দেখে কাছে ডাকলাম। (এইজাতীয় লোক অনেকসময়ই স্মাগলিংয়ের সাথে জড়িত থাকে।)

: আপনি কে?

: স্যার, স্লামালিকুম। আমি গিয়াস। মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। আমি আপনাকে চিনি। আপনি সুশান্ত স্যার না?

: জ্বি। আপনি তো মনে হয় এখানকার না।

: জ্বি না স্যার। আমি এখানে একটা বিশেষ কাজে এসেছি।

(আমি ভাবলাম, অন্যকোনো সরকারি দপ্তর থেকে এসেছে।)

: আপনি কি কোনো ডিপার্টমেন্টের?

: (দাঁত বের করা হাসিমুখে) জ্বি স্যার। আমি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের।

: আচ্ছা। এখানে কি কোনো সরকারি কাজে এসেছেন?

: না স্যার। আমি আমার ছোটো ভাইকে রিসিভ করতে এসেছি।

: ও আচ্ছা। আপনার ডেজিগনেশন কী?

: স্যার, আমার ডেজিগনেশন আমি এক বেকার। ঢাকা ভার্সিটি থেকে ফিজিক্সে অনার্স করেছি। বিসিএস দিবো। দোয়া করবেন স্যার।

: তাহলে, মন্ত্রণালয়ে আছেন বললেন কেনো?

: (আবারও দাঁত বের করা হাসি দিয়ে) স্যার, আমি বেকার তো, তাই আপাতত ওই মন্ত্রণালয়ে। দোয়া করবেন, যাতে আপনাদের মতো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যেতে পারি।

(ওর কথায় রাগবো কী, বরং ব্যাটার হিউমার সেন্স দেখে আমি পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম। মনে মনে বেশ হাসলাম। এই ঈদের ছুটিতেও এয়ারপোর্টে ডিউটি করছি। সুন্দরী মেয়ে ভুলবশত পেন্সিল হিল দিয়ে পায়ে চাপা দিলে অতি কষ্টে ব্যাথায় কুঁকড়ে যাওয়া হাসিমুখে যেভাবে করে আমরা “ইটস ওকে” বলতে বাধ্য হই, সেইরকম হাসিমুখে ডিউটি করছি। এখন মনে হচ্ছে, চাকরিও কখনো কখনো একেবারে খালি হাতে ফেরায় না।)

ঈদ কি এবার এয়ারপোর্ট এই করতেছেন দাদা?

হ রে পাগলা! ….. গত বছর রোজার ঈদ এয়ারপোর্টে করসিলাম। যারা ডিউটিতে ছিলো, সবাই আমারে সেমাই খাওয়াইসে। মনে আছে, বোধ হয়, অন্তত এক কেজি সেমাই খাইয়া ফেলসিলাম।

রিলকে বলসিলেন, তুমি যদি তোমার জীবনকে সাহিত্য লেখার জন্যে যথেষ্ট বৈচিত্র্যময় মনে না কর, তাহলে আমি বলবো, তোমার কল্পনাশক্তির অভাব আছে।

…… স্যালুট ক্যান? আঁই কিচ্চি?!

দাদা, বিমান বন্দরের কাস্টমস এ আমার ছোট ভাইয়ের Samsung 21″ LED monitor মেপে 22″ বানাল, তারপর কী হলো নাই বললাম। শুধু জানি এখানকার কর্মকর্তারা দেশের প্রথম সারির মেধাবী। আপনার কাছ থেকে কিছু কথা আশা করছি….

ঘটনাটা কখন কোথায় ঘটেছে? আপনার ভাই রাজি হলো কেনো? আপনি কি নিশ্চিত যে এরকম কিছু ঘটেছে? আপনি ******* এই নাম্বারে এখনই ফোন দিন। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

……… আপনি তো ফোন করলেন না। আমি অপেক্ষায় ছিলাম।আপনি লিখেছেন, “শুধু জানি এখানকার কর্মকর্তারা দেশের প্রথম সারির মেধাবী। “

আরো কী কী জানেন, সেটা জানাতেও তো একটা ফোন করতে পারতেন, দাদা। আফসোস, আমি শুধু কর্মকর্তা হয়েই রইলাম, মেধাবী হওয়াটা আর হয়ে উঠলো না। আপনার কাছ থেকে কিছু জেনে, কিছু শুনে যদি কিছু একটা অন্তত হওয়া যেতো…………… মনে বড়ো সাধ ছিলো গো দাদা……….

দাদা, আমাদের গালাগাল করতে অনেক সুখ, তাই না? এতে আপনার দহনজ্বালা একটু কমে? যদি তা-ই হয়, তবে করে যান দাদা। তবে এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না, দাদা।

ভালো থাকবেন।

….. You better keep silent when you know almost nothing about anyone’s job nature.

This is the fact. No problem, dear. We’re accustomed to serving when others are enjoying. Civil servants are the safest people to be entitled to your popular irresponsible title ‘faakibaaj’.

5 October 2014

সবাই খালি ঈদের শুভেচ্ছা দেয়, কেউ দাওয়াত দেয় না। বলি, এতো শুভেচ্ছা ধুইয়া কি মুই পানি খামু? কিসু ঈদের সালামিও তো দেওন যায়। আমার এমুন কী আর বয়স? এক্কেরে নাদান কচি বাচ্চা পুলা! এখনো তো বিবাহও করতে পারি নাই। একটুও মায়া লাগে না? কিছু টেহাপয়সা দিলে মুই একখান পাঞ্জাবি কিন্তাম (পায়জামা সহকারে), সেলফি দিতাম। কেউ কিসু দেয় না। খালি বুকভরা বালুবাসা আর পরাণ উজারকরা দোয়া দেয়। দুনিয়া বড়ো নিঠুর গো দয়াল। আর পারি না। আমারে তুইলা লও। নাইলে অ্যাট লিস্ট একখান দড়ি ফালাও।

পরশু লক্ষ্মীপূজায় সন্ধ্যায় বাসায় আইসেন। নো দোয়াদোয়ি! থালাভরা সবজি পোলাও খাইতে দিমু নে।

মুই চিটাগাং আসলে পাব্লিক ঢাকায় দাওয়াত দেয়। ঢাকায় থাকলে কান্নাকাটি করলেও বাসায় যাইতে কয় না। এতো নিষ্ঠুর ক্যারে??

যাহারা চিটাগাংয়ের বাহিরে আমাকে দাওয়াত খাওয়াতে ইচ্ছুক, তাহারা দয়া করিয়া গাড়িভাড়া কিংবা গাড়ি পাঠাইয়া দিলে এই বান্দা বাধিত হইতো।

রিপা আপুকে কোরিয়া যাওয়ার টিকেট পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হলো।

ভাবনা: পাঁচশো একানব্বই

……………………………………………………

5 October 2014

একটু আগে ইমতিয়াজের সাথে ফেসবুক বন্ধু হলাম। ওর কিছু কথা ওর অনুমতি নিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করছি। (নিচের লেখাটা অবিকল ওর কথা নয়, কিছুটা অনুলিখন।)

হ্যালো ভাইয়া, আমি ইমতিয়াজ। আজ থেকে প্রায় ১ বছর আগে একটা লো প্রোফাইল প্রাইভেট য়্যুনিভার্সিটি (পরে জানলাম, ওটা ড্যাফোডিল য়্যুনিভার্সিটি) থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর লাইফের অধঃপতন নিয়ে ভাবতে ভাবতেই জীবনটা প্রায় শেষ করে ফেলেছিলাম। তখন একদিন আপনার প্রোফাইলে লেখা “It took me almost 2 decades to decide what I really want. When I’d decided finally, it took me only 1 year to get what I really want…. In short, this is the story of my life till date.” এই কথাটা পড়ে বেশ ইন্সপায়ার্ড হয়েছিলাম এবং আপনাকে ফেসবুকে মেসেজ দিয়েছিলাম। আপনি রিপ্লাইও দিয়েছিলেন। আপনার সাথে কথা বলে জেনেছিলাম, আপনি খুব ভালোভাবে ৩-৪ মাস পরিশ্রম করেছিলেন আপনার স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেলতে। পরে ভাবলাম, কেউ যদি ৩-৪ মাস সাধনা করে বিসিএস পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে পারে, তবে আমি কেনো হারিয়ে যাবো? আপনার সাথে কথা বলে আমি আমার জীবনটাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধি এবং আইবিএ, ঢাবি’তে অ্যাডমিশন নেই। যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনাকে কিছুদিন আগে আইবিএ হোস্টেলে দেখলাম। কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কেনো জানি সাহস হয়নি। বাই দ্য ওয়ে ভাইয়া, এখন আমার স্বপ্নগুলো আরো বড় হয়ে গেছে। দোয়া করবেন, যেন সেগুলো পূর্ণ করতে পারি। এবং, নেক্সট টাইম আপনাকে আইবিএ হোস্টেলে দেখলে আশা করি, মিট করার অপরচুনিটিটা আর মিস করবো না। ভালো থাকবেন, ভাইয়া।

আরেকটা কথা। আমি আমার লাইফের বাকি স্বপ্নগুলো যদি পূরণ করতে নাও পারি, তবুও আপনার ওই কথাটা আমার প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। “নাম-পরিচয়হীন হয়ে থাকার মতো কষ্ট আর নেই।” এটাও মেবি আপনি প্রথম আলো নাকি কোথায় যেন বলেছিলেন। এটা আমিও ফিল করি। দোয়া করবেন, যেন লাইফে ভালো কিছু করতে পারি।

বন্ধুদের জন্যে ও আমাকে আগে কী কী লিখেছিলো, সেগুলোর দুএকটা তুলে দিচ্ছিঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছি ৬ মাস হলো। যে জবটা করছিলাম, সেটা ভালো লাগে না বলে জব ছেড়ে দিলাম। কিন্তু, এটাও বুঝতে পারছি না আমি আসলে কী চাই। দিনের পর দিন নিজের ভেতরে কিছু অর্জন করার শক্তিটুকুও যেন হারিয়ে ফেলছি। আপনার প্রোফাইলে আপনার ফেভারিট কোটসের লেখাগুলো পরে একটু ইন্সপায়ার্ড হলাম।

আপনার নোটসের লেখাগুলো আবারও পড়লাম। পড়ে মনে হলো, আপনার অনেক কথাই যেন আমার নিজেরই কথা। আমার সমস্যা হলো, আমি যদিও আমার স্বপ্নটা প্রায় ঠিক করে ফেলেছি, আমি এখনো কনফিউসড আমার স্বপ্নটা আমার সামর্থ্য আর আমার এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।

আমার কথা। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ভাই, আপনি যে লোকজনকে এতোএতো ফ্রি পরামর্শ দেন, এতে আপনার কী লাভ? ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কোনো মানে হয়, ভাই? অনেকেই আপনাকে খারাপ ভাবে, এটা আপনি জানেন?

আমি বলি, আমার একটা কথায় যদি কারোর জীবনে এতোটুকুও দাগ কাটে, আমার সামান্যতম হেল্পে উনার জীবন ইউটার্নে ঘুরে যায়, তবে আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করবো। আমি আমার নিজের জীবন থেকে খুব ভালোভাবেই জানি, কষ্টে থাকার সময়ে কারোর একটা সামান্যতম সহানুভূতিমাখা ভালো কথার মূল্য কতো বেশি! জ্বি ভাই, আমি জানি, আমি ভূতের বেগার খাটি। এটা নিয়ে আমার নিজের মধ্যে কোনোধরনের অভিযোগ কিংবা আফসোস নেই। আমার বাবা বলেন, জীবনে কারোর উপকার করতে না পারো, কারোর কখনো ক্ষতি করো না। মানুষের উপকার করাটা কারোর সামর্থ্যের মধ্যে পড়ে না। এটা একধরনের সৌভাগ্য যা ঈশ্বর দিয়ে থাকেন। তুমি এখানে একটা উছিলামাত্র। ঈশ্বর যদি তোমাকে কখনো এই সৌভাগ্য দেন, তবে নিজেকে সেটা থেকে সরিয়ে রেখো না। ঈশ্বর সবাইকে এটা দেন না, বাবা।

আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আপনি যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, আপনি নিশ্চিত থাকুন, আপনি কোনোভাবেই পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী মানুষ নন। আপনার চাইতেও অনেক বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে অনেকেই গেছেন এবং আপনি যে অবস্থানে পৌঁছাতে চাচ্ছেন, সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। আপনি আপনার দুর্বলতার দিক থেকে কোনোভাবেই ইউনিক নন। আপনি শুধুমাত্র আপনার সামর্থ্যের দিক থেকে ইউনিক। গুড লাক!

6 October 2014

feeling alone, alone, all alone in an island at Shah Amanat International Airport.

ঈদের দিনে

হুমায়ূনের সাথে

এয়ারপোর্টের অফিসে

এলেবেলে পড়ি..…… ফ্লাইট নামবে, ওয়েট করি

ঢং করে সেলফি তুলি

ঈদ মুবারক

8 October 2014

বাতিঘরে যাচ্ছি, ফেসবুকের ‘বইপড়ুয়া’ গ্রুপের আড্ডায়।

বইসংগ্রাহক নামে কোনো গ্রুপ থাকলে সেই গ্রুপের আড্ডায় আরেকটু কম অস্বস্তি নিয়ে যেতে পারতাম। আমার বইগুলো আমাকে প্রতিনিয়তই অপরাধী করে দেয়। বইয়ের চাহনি সবচেয়ে তীক্ষ্ণ!

বন্ধুদের কেউ ওদিকটায় থাকলে বাতিঘরে চলে আসুন। এই সন্ধ্যায় আড্ডায় এককাপ কফি কিংবা কফিতে একগাল আড্ডা হয়ে যাক!

10October 2014

Sagar আমার ছোটো ভাই; আমার সেজোকাকার ছেলে। ও একসময় চুয়েটে পড়তো। ও এখন চুয়েটে পড়ায়। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ওকে আমি স্নেহ করি এইজন্যে নয় যে ওর চাইতে বেশি সিজিপিএ চুয়েটে এখনো পর্যন্ত কেউ পায়নি; বরং এইজন্যে যে এই অসম্ভব রকমের ভালো রেজাল্টের গৌরব ওকে আরো বিনয়ী করেছে। শুধু এই গুণের জন্যেই ও আরো অনেকদূর যাবে। ওদের জন্যে শুভকামনা রইলো।

10October 2014

বিবাহ, মৃত্যু আর টয়লেট—এই তিনটা জিনিসকে পৃথিবীর কোনো শক্তিই আটকে রাখতে পারে না। প্রথমটা আর শেষেরটা আটকে রাখলে জীবনের সমস্ত সঞ্চিত প্রেস্টিজ নগদে ফালুদা হয়ে যেতে পারে। তাই, কেউই এগুলা সিকোয়েন্স মেনে করতে পারে না।

ছোটো ভাইয়ের এনগেজমেন্টে যাইতাসি। সকলের দোয়াপ্রার্থী।

সাগরের জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা। তোমাদের সামনের দিনগুলো সুখের হোক, শান্তির হোক।

আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া আদায় করেন যে তৃতীয়টা এখনো শুভ লক্ষণযুক্ত।

যেদিন কেউ আমাকে দয়া করে বিয়ে করতে রাজি হবে।

বিলিভ না করলে মুড়ি খাও।

তুমি কি শিওর যে আমারটা ঠিক নাই?

টয়লেটের কথা শুনলেই তোমার জ্বালা শুরু হইয়া যায় ক্যান?

কীসের ছবি আপলোড দিমু? এককোনায় বইসা বইসা মুরগির হাড্ডি চিবানোর সেলফি?

11October 2014

I don’t know if I love you or not……….I never had experience with love before

All I know is that I have never felt anything for anyone else………the way I feel for you

ক্রাশ তো জীবনে বহুত খাইসি!

But the way you affect me…….is weird…….coz আর কারোর কোনো কথায়/ আচরণে আমি আগে কখনোই এতো influenced হই নাই। তুমি একটা বিশ্রীরকমের নেশা। আমি এটার হাত থেকে মুক্তি চাই। এটা কি ভালোবাসা নাকি? সেটাও তো বুঝতেসি না। নিজেরে পুরাই স্টুপিড মনে হইতেসে। মাইনষ্যে এইসব ভালোবাসাটালোবাসা সামলায় ক্যামনে? উফফফ! নিজের উপরেই বিরক্ত লাগতেসে!!

(it’s a message from my inbox, maybe sent to or maybe sent from )

Sent from-ই হবে! আর যদি Sent to হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কেয়ামত বেশি দেরি নাই!

Disclaimer: If u have decided to decide what to decide from a writing apparently, u have to decide first not to decide to hold the writer responsible for what u are likely to be deceived by what u are likely to decide from it, for sometimes writers are liars.

Or layers??

what a defence!

carry on plz…….আমি এনজয় করতে চাই!

………… Why can’t people take me abstractly even not a great writer like u?

It’s not a bliss that I’m not like my writings, rather it’s a bliss that my writings are not like me.

ভাবনা: পাঁচশো বিরানব্বই

……………………………………………………

11October 2014

Someday you, my epic first love, will become just someone I used to know……তোমাকে আমার just someone লিখতে অনেক কান্না পাচ্ছে, কিন্তু হায়! এটাই বাস্তবতা। এবং এর জন্যে তুমি দায়ী নও, জানি; তবুও বলতে ইচ্ছে করছে, তুমিই দায়ী। ………… তুমি আমাকে কখনোই ভুলতে পারবা না, দেইখো!….……আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি না, আবার it’s not like you’ll have feelings for me…………just that I will always be there somewhere at the back of your mind………Yes, I’ll be! জিজ্ঞেস করতে পারো, কেনো?…………… তুমি তোমার অভালোবাসা (ভালোবাসার উল্টোপিঠে ঘৃণা, এটা আমি মনে করি না।) নিয়ে যতোটা দ্বিধান্বিত ছিলে (কিংবা কে জানে, এখনো আছো!) আমি আমার ভালোবাসা নিয়ে ততোটাই নিশ্চিত। ছিলাম, আছি, থাকবো। ……… I can bet you can never say in this way! But I still wonder how people who play with vulnerable hearts talk about true love, and with SUCH depth. It’s funny, na?! ……… তুমি নিজেও জানো না তুমি যে আমার কতো বড় উপকার করসো! ওই ধাক্কাটা আমার জীবনে খুব দরকার ছিলো। আমি বেশি আদরে মানুষ হইসি, কখনোই ‘না’ শুনি নাই। Fairy tale’য়ে বসবাস করতাম। ভাবতেসো, তোমারে ঘৃণা করতাম? না। ওইসময়ে আমি আমার কষ্ট নিয়ে এতোটাই engaged ছিলাম যে তোমারে ঘৃণা করারও time ছিলো না আমার। তুমি কল্পনাও করতে পারবা না, ঘৃণা করতে না পারার শক্তি কতোটা বেশি! Now I am strong enough to face ANYTHING. I can take a rejection and slap it back on the ‘rejector’s’ face………কেলি ক্লার্কসনের What Doesn’t Kill You গানটা শুনতে বলসিলা না আমারে? এখন ভাবি, ক্যান বলসিলা? গানটার ভিতরে একটা প্রচণ্ড শক্তি লুকায়ে আছে। ওই মেয়ে ওই কথাগুলো ক্যামনে বলসে কে জানে! গানটা কি আসলেই তোমার প্রিয়? আমি অ্যাট লিস্ট এক হাজারবার গানটা শুনসি। আর ভাবসি, তুমি কি আমারে মাস্টারপ্ল্যান কইরা ছ্যাঁকা দিসো কিনা আল্লাই জানে!

Disclaimer: If you have decided to decide what to decide or not to decide from a writing apparently, you have to decide first not to decide to hold the writer responsible for whatever you are likely to be deceived by what you are likely to derive from it, for sometimes writers are liars even only for the sake of bagging some silly Facebook likes.

13October 2014

: এই পাগলী! তুই বড় হয়ে কী হবি রে?

: হাউসওয়াইফ।

: তো! এতো পড়াশোনা করিস ক্যান তাইলে?

: আমি যত কোয়ালিফাইড হব, পাত্রও তো ততই কোয়ালিফাইড হবে। প্রপোরশনাল। এইজন্য!

14October 2014

বেতনটা এবার বেড়ে যাবে বেলা শুনছ………. এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না………… সম্বন্ধটা এইবার তুমি ভেস্তে দিতে পার……… মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছ না………

……….. আমার ধারণা, নন্দিনীর মায়েরও এখনো বিয়া হয় নাই।

18October 2014

The distance between Facebook profile picture and the real he/ she is proportional to the distance between your expectation and disappointment.

21October 2014

Due to limited number of seats, many BCS aspirants won’t be able to attend the free seminar on the next Friday. I’ve received hundreds of mails from the candidates who may not be among those 200participants but eagerly need my help for BCS preliminary, written and viva exam preparation.

For them, 2 other free seminars will be held on the following day (Saturday) where at least 1200 candidates can participate. Those 2seminars will be open for all. No registration, no hassles. I’ll share the venue and schedule later after getting the confirmation from the sponsor. Stay connected to be informed.

Wait………maybe in the following weekend

তুই দেশের সম্পদ এইজন্যে কিছু কইলাম না যাহ, তোর কিছু হইলে বিসিএস ক্যান্ডিডেট রা আমারে খায়া ফালাবে

…….তোরে সবাই খায়া ফালায় ক্যান? তুই কি চকোলেট? নাকি আইসক্রিম?

ওই হারামী! এইটা পাব্লিক স্ট্যাটাস!

………..ক্যান? পাব্লিক কি সবাই তোরে খায়? Good, Vagina, চালায়ে যাও………

ছিঃ ছুছান্ত, ছিঃ!

………. Like cop, like citizen……..

22October 2014

feeling মা’র হিউমার সেন্স দেইখ্যা পুরাই টাস্কিত!!

এতোদিন শুইন্যা আসছি, বাবা, তোর ফ্রেন্ডরা তো সব বিয়ে করে ফেলছে। তুই কবে করবি?

আজকে সকাল সকাল মা একটা যুগান্তকারী ডায়লগ দিলো।

বাবা, সুন্দর মেয়েরা তো সব বিয়ে করে ফেলছে। তুই কবে করবি?

22October 2014

এই গল্পটা প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন।

ইলিনয়ের স্প্রিংফিল্ডের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস দিতেন, কোনোদিনই তা মিলতো না। বিশেষ করে যেদিন তিনি বলতেন, বৃষ্টি হবে, সেদিন আকাশে মেঘের চিহ্নও দেখা যেতো না, আর যেদিন বলতেন বৃষ্টি হবে না, সেদিন অঝোরে বৃষ্টি ঝরতো। একদিন স্থানীয় একটা ধোপার ছেলে বললো, আমি কখন বৃষ্টি হবে, কখন হবে না, ঠিক ঠিক বলে দিতে পারি। দুএকদিন পরীক্ষা করে দেখা গেল, ছেলেটার পূর্বাভাস মিলে যায়। তাই কর্তৃপক্ষ ওই ছেলেটাকেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানাতে চাইলেন। কিন্তু ছেলেটা এই দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালো। সে বললো, আমি কি ছাই কিছু নাকি? আমার পোষা গাধাটা বৃষ্টির কথা নির্ভুল বলে দিতে পারে। বৃষ্টি আসার আগে সে ক্রমাগত ডাকতে থাকে।

অতএব, শহরের মেয়র আবহাওয়া অফিসের কাজটা দিলেন গাধাটাকেই। আর সেটাই ছিলো মস্ত বড়ো ভুল। কেননা এরপর থেকেই সরকারি চাকরিতে নাকি কেবল গাধারাই আবেদন করছে, এবং চাকরি পেয়েও যাচ্ছে।

তার মানে, আমলারা কি গাধা? হ্যাঁ, গাধাই তো। নাহলে, এই কথাগুলো ফেসবুকে লেখে কোন পাগলে? আরেক বিশিষ্ট গাধার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। উনি আতাউর রহমান, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।

উনার পরিচিত আসলাম সাহেব বেশ ক’বছর হলো সরকারি চাকরি থেকে রিটায়ার করেছেন। প্রতিমাসে পেনশনের টাকাটা ওঠানোর সময় ‘তিনি বেঁচে আছেন’ এই মর্মে ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসারের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয় বলে তিনি আতাউর রহমানের কাছে যেতেন। একবার সেপ্টেম্বর মাসে এসে তিনি বললেন, “আমি আগস্টের পেনশন নিয়েছি, জুলাইয়েরটা নেয়া হয়নি। আমি জুলাইয়ের সার্টিফিকেটটা নিতে এসেছি।” আতাউর রহমান সাহেব অবাক হয়ে বললেন, “আপনি যেহেতু আগস্টেরটা নিয়েছেন, সেহেতু আপনি জুলাইয়েও বেঁচে ছিলেন, এটা তো জানা কথা। তাহলে জুলাইয়েরটা আবার লাগবে কেন?” ওই ভদ্রলোক হেসে জবাব দিলেন, “হ্যাঁ, লাগবে লাগবে। এটাই নিয়ম। আমিও ওইখানেই চাকরি করতাম। সার্টিফিকেট ছাড়া আমিও কাউকেই পেনশন দিতাম না।”

ওপরের গল্পটা আতাউর রহমানের বইতে পড়া। গল্পটা পড়ার পর আমার মনে হয়েছে, এখানে ওই ভদ্রলোক অহেতুক ঝামেলা থেকে বাঁচতে একটা কাজ করতে পারতেন। আগস্টের সার্টিফিকেটটা ফটোকপি করে জুলাইয়ের আবেদনের সাথে অ্যাটাচ করে দিলেই পারতেন। এইটুকু কমনসেন্স ইদানীংকালের সরকারি কর্মকর্তাদের থাকে। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, নতুন যারা সরকারি চাকরিতে আসছেন, তারা যদিও লিংকনের সেই গাধাই রয়ে গেছেন, তবুও অনেক স্মার্টলি গাধামি করেন। ব্রিটিশদের বানানো এইসব হাস্যকর গাধামি থেকে আধুনিক গাধারা অনেকটাই মুক্ত। আধুনিক গাধারা কাজ করে যাতে গাধার তকমাটা হারাতে না হয়, ওইটুকু মাথায় রেখে। চাকরিকে গালাগাল করতে ততক্ষণই মজা, যতক্ষণ চাকরিটা থাকে। তাই, গাধাদেরও বুঝে চলতে হয়। আর আপনাদের বলছি, যদি গাধাদের কাছ থেকে কোনো হেল্প নিতে হয়, তবে প্রথমশ্রেণীর গাধা কিংবা দ্বিতীয়শ্রেণীর গাধার কাছ থেকে নেয়াটাই উত্তম। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি, এতে আপনার কাজটা সহজ হয়ে যাবে। আগের দিনের গাধাদের চাইতে এইসময়ের গাধাদের সেবাদানের মানসিকতা অনেক বেশি, হোক সেটা চক্ষুলজ্জার কারনে কিংবা দায়িত্ববোধ থেকে। কোন গাধা কোন কাজ করে সেটা না জেনে ভুল গাধার কাছে গিয়ে ঠিক সেবাটা আশা করাটাও মস্তো বড়ো গাধামি। একটা ছোটো উদাহরণ দেই। । বুঝুন, কী ঠ্যালা!………….. গাধাকে গাধাই তো বলবেন! স্বাভাবিক! বলুন! এর আগে দয়া করে একটু ভেবে দেখবেন, ভুল গাধার কাছ থেকে ঠিক সার্ভিসটা আশা করার গাধামি করছেন না আমার কাছেই অনেকেই ফোন করে একটা হেল্পের জন্যে। সেটা হলো, বিদেশে যাওয়ার সময় এক্সট্রা ব্যাগেজ চার্জ কমানোর জন্যে। অথচ, এর সাথে কাস্টমসের বিন্দুমাত্রও কোনো রকমের সংশ্লেষ নেই; এটা দেখে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স। আর আমি হেল্প করতে পারবো না, কেনো পারবো না, সেটা বুঝিয়ে বলার পরও লোকে ভাবে, সুশান্তর দাম বেড়েছে, ইচ্ছে করে হেল্প করছে না। (আমি নিজেই কোরিয়া থেকে আসার সময় ৬০০ ডলার এক্সট্রা ব্যাগেজ চার্জ দিয়েছি।) ইমিগ্রেশন রিলেটেড ঝামেলায়ও আমি ফোন পাই। অথচ, এই কাজটা দেখে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসব ক্ষেত্রে আমি সাধারণত ওদেরকে ফোন করে দেই, এবং বলি, যাতে উনাকে অমুক ব্যাপারে একটু হেল্প করে। এতে অনেকেই ভুল বোঝে এবং ভাবে, আমি নিজে হেল্প না করার জন্যে উনাকে ইচ্ছে করে পুলিশের কাছে পাঠিয়েছিতো?

ভাবনা: পাঁচশো তিরানব্বই

……………………………………………………

24October 2014

I express my heartiest thanks to Dhaka University Career Club, Hospitality and Tourism Management Department, Faculty of Business Studies and Media Partners for arranging today’s successful program.

The best gifts I’ve received from today’s seminar are LOVE & GRATITUDE!

Today’s session was more motivational than informative. All I’ve shared today is all I’ve experienced. I hardly face problem to meet people having failure stories to make them comfortably listen to mine and make them feel comfortable about their failures. I always feel tempted to talk about how successfully I failed, failed and failed.

It really feels great when the universities invite the worst university CGPA (2.74) holder to help their students achieve higher goals! It’s not my worth, it’s my luck! I missed the opportunity to make myself motivated enough for good grades, but I never miss the opportunity to make others motivated enough for life as having a life is better than having good grades.

Looking forward to meeting many other friends tomorrow!!

28October 2014

আমার ইনবক্সের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আগামী ১ নভেম্বর শনিবার চট্টগ্রামের মুসলিম হলে বিকেল ৩:০০টার ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়ে কিছু কথাঃ

# ক্যারিয়ার আড্ডাটি হবে ২.৫ থেকে ৩ ঘণ্টার।

# আড্ডায় যা যা থাকছেঃ মোটিভেশনাল টকস্। বিসিএস প্রিলি+রিটেন+ভাইভা প্রস্তুতিকৌশল। ঢাকা ভার্সিটি আইবিএ’র এমবিএ রিটেন+ভাইভা প্রস্তুতিকৌশল।

# ক্যারিয়ার আড্ডায় থাকতে হলে, শুধু ওইসময়ে আসতে হবে; আগে থেকে কোনোধরনের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। (আমার আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একটু আগে এলেই ভালো। অন্তত আরাম করে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যাবে।)

# ক্যারিয়ার আড্ডাটি সকলের জন্যে উন্মুক্ত। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজের (পাবলিক+প্রাইভেট) স্টুডেন্টরা, অন্য চাকরি করছেন কিংবা করছেন না, এমন বিসিএস কিংবা আইবিএ অ্যাডমিশন টেস্টের প্রার্থীরা, এবং যেকোনো কোচিং সেন্টারের স্টুডেন্টরা আড্ডায় সম্পূর্ণ ফ্রিতে অংশ নিতে পারবেন।

# এতে অংশ নিতে হলে চট্টগ্রামের লোক হতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। (সেমিনার হলে ঢোকার সময় আপনার কাছ থেকে চাঁটগাইয়া ভাষায় কথা বলতে পারেন কিনা, যাচাই করা হবে না। মঙ্গল গ্রহ থেকে আগত প্রার্থীরাও এতে থাকতে পারবেন।………মেইলে আমি এই ধরনের প্রশ্নও পেয়েছি!)

# আইবিএ কিংবা বিসিএস নিয়ে আপনাদের যা যা ভালো কিংবা পচা প্রশ্ন আছে, সেগুলো নোট করে নিয়ে আসবেন। আমি সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। (তবে, বলে রাখা ভালো, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল ছাড়া অন্যান্য ব্যাপারে আমার নিজেরই সীমাবদ্ধতা আছে। আমি বিসিএস নিয়ে বুঝে ওঠার আগেই নেহায়েতই ভাগ্যের জোরে আমার চাকরি হয়ে গেছে।)

চট্টগ্রাম আমার নিজের শহর। কথা দিয়েছিলাম, চট্টগ্রামের বন্ধুদের সাথে কথা বলবো। কথা হবে, অপেক্ষায় রইলাম। মজার ব্যাপার হলো, আমার বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার ঠিক আগের তারিখে এই আড্ডাটা হচ্ছে। পরেরদিন ২ নভেম্বর আমার জন্মদিন এবং ৩০তম বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার দিন। ২০১১ সালের ২ নভেম্বর আমি আরেকবার জন্ম নিয়েছিলাম যেন। সেই কাকতালীয় গল্পটা অনেকেই হয়তো জানেন। (আমার একটা নোটেও আছে।)

শনিবারের আড্ডাটি স্পন্সর করছে কনফিডেন্স কোচিং সেন্টার, চট্টগ্রাম শাখা। পরের আড্ডাটি হবে আগামী ২১ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলায়তনে। আয়োজন করছে রোটারী ক্লাব, চিটাগাং, খুলশী। সেই আড্ডায় আমি আর ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত কমিশনার Badal Syed স্যার কথা বলবো। স্যার উনার ব্যাচে বিসিএস ট্যাক্সেশন ক্যাডারে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। স্যারই এই আড্ডার আয়োজন করার ব্যাপারে প্রথম উদ্যোগ নেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই ধরনের বিভিন্ন কাজ স্যার প্রায়ই করে থাকেন। স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

স্বপ্নের ফেরি করে বেড়াতে আমার ভালো লাগে। স্বপ্ন ছুঁতে শুধু সাহস লাগে, আবেগ লাগে। আমি চাই, কেউ হারিয়ে না যাক। হারিয়ে যাওয়ার জন্যে আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়নি। আমি জানি, হারিয়ে যাচ্ছি, এই অনুভূতিটা কী ভীষণ কষ্টের! তাই আমি এরকম সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক ফ্রি ক্যারিয়ার আড্ডা এখন থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিতই করবো আশা রাখছি। আপনারা আয়োজন করে আমাকে জানাবেন। কথা দিচ্ছি, আমি আসবো।

এই পোস্টটা শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিতে অনুরোধ করছি।

28October 2014

আসছে শুক্রবার প্রশান্ত সহ ময়মনসিংহ যাচ্ছি ছোটোভাই নাফিজের রিসেপশন প্রোগ্রামে। সকাল ৭ঃ২০টায় ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে। বিকেল ৫.০০টার ট্রেনে আবার ঢাকায় ফিরবো।

ট্রেন ১১.০০টার মধ্যে পৌঁছানোর কথা। ময়মনসিংহের বন্ধুদের সাথে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ২.০০টা পর্যন্ত আড্ডা দেয়া যেতে পারে। ২-৩ ঘণ্টায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যাবে না?

29October 2014

দুষ্টুদুষ্টু শিবির আঙ্কেলদের অভিমানের কারণে চট্টগ্রাম থেকে কাল রাতের ঢাকার বাস ছাড়ছে না। তাই ময়মনসিংহ যাওয়া হচ্ছে না।

ভালোই হয়েছে। যে ২-৩ ঘণ্টা হাতে পেতাম, সে সময়ে এই পুরোনো শহরটাকে দেখা সম্ভবও হতো না। আমি ঘুরে-বেড়ানো মানুষ। খুব শিগগিরিই দুইদিনের জন্যে গিয়ে শশী লজ, গৌরীপুর লজ, আলেকজান্দ্রা ক্যাসল, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, স্বাধীনতা স্তম্ভ, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক, ময়মনসিংহ জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র, মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ী, বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার, রামগোপাল জমিদার বাড়ী, ফুলবাড়ীয়া অর্কিড বাগান, ফুলবাড়ীয়া আলাদীনস ইকোপার্ক, চীনা মাটির টিলা, আব্দুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর, বিপিন পার্ক, সাহেব পার্ক (শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন গ্যালারীর কাছাকাছি), মুক্তাগাছা রাজবাড়ি এবং আরো যা কিছু আছে, দেখে আসবো। (উইকিপিডিয়া থেকে মেরে দিলুম, দাদা!)

ওই সময় কোনো সহৃদয় কিংবা সহৃদয়া এই গরীব ভবঘুরেকে শহরটা ঘুরে দেখতে সাহায্য করবেন, এই সবিনয় নিবেদন করছি। বিনিময়ে প্রাণভরা দোয়া (সহৃদয় হলে) কিংবা বুকভরা ভালোবাসা (সহৃদয়া হলে) দেবো।

ডিয়ার কনিষ্ঠ ভ্রাতা নাফিজ, তুমি অনুগ্রহ করিয়া হয় আরেকবার বিবাহ কর, নতুবা এই পেটুক জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার জন্যে একখানা সিরাম ট্রিটের আয়োজন কর। প্রয়োজনে দুষ্টু চাচাদের নিকট হইতে পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করিতে পার।

30October 2014

Marriages are made in Heaven, broken in Facebook!

30October 2014

Our airport Customs Intelligence team just seized 82 pieces goldbars at Chittagong airport weighing 9.564 kilograms worth around 4 crore!

My Assistant Revenue Officer Bidhan first detected the passenger from Dubai.

Smugglers propose, customs officers dispose!!!!

31October 2014

বন্ধুরা! তাহলে আড্ডা হচ্ছে কালকে, বিকেল ৩টায়, চট্টগ্রামের মুসলিম হলে।

চট্টগ্রামে আগেও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছিলো আমার প্রিয় চুয়েট ক্যাম্পাসে। সেটা ছিলো খুব ছোটো পরিসরে। কালকেরটা ওরকম না হওয়ারই কথা। আমার আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একটু আগেই চলে এলে ভালো হয়। বসতে যদি নাও পারেন, অন্তত ঠিকভাবে যাতে দাঁড়াতে পারেন। (৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকাটা সত্যিই কঠিন, আরও কঠিন যদি একটু আরাম করে দাঁড়ানো না যায়।) আড্ডায় আমি আমার জীবনের গল্পই বলবো; সাথে থাকছে বিসিএস প্রিলি+রিটেন+ভাইভা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র এমবিএ রিটেন+ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল। বিসিএস কিংবা আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা যা জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, লিখে আনবেন।

যারা কালকের ক্যারিয়ার আড্ডায় থাকতে পারছেন না, তারা চলে আসতে পারেন আগামী ২২ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে। কালকের আড্ডার মতো ওটাতেও অংশ নিতে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না। সবার জন্যে উন্মুক্ত। শুধু এলেই হবে।

২২ নভেম্বরের প্রোগ্রামটা আয়োজন করেছে চিটাগাং রোটারী ক্লাব। এই প্রোগ্রামটার জন্যে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল কমিশনার Badal Syed স্যারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এই পোস্টটা শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়ার জন্যে অনুরোধ রইলো।

ভাবনা: পাঁচশো চুরানব্বই

……………………………………………………

2 November 2014

২ নভেম্বর ১৯৮৪………. আমার জন্ম হয়।

২ নভেম্বর ২০১১……….. আমি জন্ম নিই।

একেবারেই হারিয়ে যাওয়া একটা মানুষ, একটাসময়ে যার বেঁচে থাকার অর্থই ছিলো স্রেফ মরে না যাওয়া, যে দিন থেকে হঠাৎ করেই প্রচণ্ডভাবে বাঁচতে শুরু করে, সেই দিনটাকে জন্ম নেয়ার দিনই তো বলা যায়। যে যা-ই বলুক, এটা নিশ্চিত, নোবডি-দের জন্যে এই পৃথিবীতে শুধু নাথিং-ই বরাদ্দ থাকে৷

৩০তম বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য আমরা সবাই বেশ কিছুদিন ধরেই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম৷ অবশেষে রেজাল্ট বের হল৷ তারিখটা ছিল ২ নভেম্বর ২০১১৷ সেদিন ছিল আমার জন্মদিন৷ কী অদ্ভুত, তাই না? আনন্দে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল৷ জীবনে এইবারই প্রথম আল্লাহর কাছ থেকে অনেক বড় একটা birthday gift পেলাম৷ ব্যাপারটাকে আপনারা স্রেফ মিরাকল কিংবা কাকতালীয়, যা-ই বলুন না কেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, Miracles happen when you believe. হ্যাঁ, মিরাকল ঘটে!

এভাবেই আরেকবার জন্ম নিই ২ নভেম্বর। আজকের দিনটা তাই আমার কাছে অনেক বড় কিছু।

আমার জন্মদিনে আমি ধন্যবাদ জানাই……..

এক। ঈশ্বরকে। উনি আমাকে এই জন্মদিনটাও দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কতোকতো মানুষেরই তো ‘নেক্সট বার্থডে’ দেখার সৌভাগ্য হয় না। আমার হয়েছে। যতোদিন বাঁচলাম, ততোদিনই তো বোনাস। আমি এমন কেউ নই যে আমাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হয়েছে ঈশ্বরকে। আমি বেঁচে থাকার জন্যে উনার কাছে কৃতজ্ঞ।

দুই। মা’কে। উনি আমাকে এই পৃথিবীতে এনেছেন। এতোটা ভালোবাসা যায়, এটা তো তাঁর কাছ থেকেই শেখা। ভালোবাসা, তেমন কোনো দৃষ্টিগ্রাহ্য কারণ ছাড়াই ৩০ বছর একইভাবে কীভাবে ধরে রাখা যায়, এই রহস্য বোঝার ক্ষমতা পৃথিবীর অন্য সব সন্তানের মতো আমারও নেই।

তিন। বাবা’কে। উনাকে দেখে শিখেছি, কতোটা সহজভাবে জীবন কাটানোর পরেও যোগবিয়োগে জীবনের সব হিসেব মিলে যায়। অন্যের সুখ দেখে কতোটা সরল মন নিয়ে হাসা যায়। কীভাবে বড়ো গাছের মতোই ছায়া দিয়ে দিয়ে স্নিগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দিতে হয়। আমিও বাবার মতো করে বলি, হে ঈশ্বর! এমন জীবন দিয়ো না যেটাকে বয়ে বেড়াতে হয়। প্রয়োজনে ছোট্টো একটা চড়ুই পাখির জীবন দিয়ো, সেও ভালো।

চার। আমার ছোটো ভাই Prashanta কে। আমি এখনো ভাবতেই পারি না, ও পাশে না থাকলে আমি চলতে পারবো। ও আমাকে সহ্য করে, আমার করা ভুলগুলো মেনে নেয়, পুরো দুনিয়া আমার পাশ থেকে সরে গেলেও ও পাশে থাকেই! ভাই, তুই রাগটা একটু কমাস। আমি তোর চাইতেও তোর রাগকে বেশি ভয় পাই।

পাঁচ। আমার সাহসের অভাবকে। ওটা না থাকলে আমার বেঁচে থাকারই কথা না। সুইসাইড করার চেয়ে এটা অনেক ভালো, আর পাঁচজন উজ্জ্বল মানুষের মতো না হলেও একেবারেই সাধারণ মানুষ হয়ে স্রেফ বেঁচে থেকে দেখা কী হয়! ঈশ্বর কাউকেই চিরজীবন অসম্মানিত করে রাখেন না।

ছয়। আমার আশেপাশের বন্ধুদের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের। ওরা ভালোবাসে এবং আমাকে ভালো বলে বলেই তো এই একটুআধটু ফাঁকিটাকি মেরে হলেও বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়। জানি, ওই ভালোবাসা এই এতোটুকুই বা হয়তো, দু’আঙুলের ফাঁকে যতোটুকু রোদ খেলা করতে পারে! তবুও, এই একটুখানি ভালোবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা যায় নাকি?

আজকে বাতিঘরের ছোট্টো আয়োজনে যারা যারা এসে আমাকে আনন্দ দিয়েছেন, সম্মানিত করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি এই আরো একটা বছর বেশি বাঁচলাম, এতে আপনাদের খুশি দেখে আমার বারবারই মনে হয়েছে, মানুষের ভালোবাসাটা বড়ো বেশি বিশ্রী জিনিস! হায়! এর কণামাত্রও ভালোবাসতে না পারার অপরাধ আমাকে অপরাধী করে দেয়; প্রতিমুহূর্তেই। যাকে কেউই ভালোবাসে না, তার দুর্ভাগ্যেরও প্রতিদ্বন্দ্বী হতে বড্ডো ইচ্ছে করে।

যারা যারা আমাকে উইশ করেছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই উইশটা না করলেও তেমন কিছুই এসে যেতো না। তবুও করেছেন। আমি রিপ্লাইও দিতে পারিনি সবাইকে। এটা আমার আন্তরিকতার অভাব নয়, এটা আমার ব্যর্থতা। আপনার ভালোবাসার জন্যে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

বাতিঘরের Dipankar দাকে আমার প্রিয় জায়গাটাতে আমার প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্যে কাটানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে বাতিঘরের সকল কর্মীদের আন্তরিকতার কথা আমার মনে থাকবে। যাদের শ্রমে আজকের পার্টিটা পার্টি হয়েই উঠেছিলো, তাদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

2 November 2014

চট্টগ্রামের বাতিঘর আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা। আমার জীবনের অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমি এখানে কাটিয়েছি। এবারের জন্মদিনের কেকটা এখানেই কাটবো ঠিক করেছি।

চট্টগ্রামের বন্ধুদের সবাইকে আজকে সন্ধ্যা ৭টায় আমার বার্থডে কেক খাওয়ার জন্যে বাতিঘরে আসতে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনাদের সবার সাথে আমার ৩০তম জন্মদিনের কেকটা কাটতে পারলে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করবো। আসবেন প্লিজ, অনেকবেশি খুশি হব।

পুনশ্চ।

১। বাতিঘর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান। এর ঠিকানাঃ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, জামাল খান রোড।

২। একটা বিনীত অনুরোধঃ দয়া করে কেউ কোনো উপহার আনবেন না। শুধু ভালোবাসা আর এই শুভকামনা চাই যাতে সুস্থ থাকতে পারি। ভালো থাকার ব্যবস্থাটা আমি নিজেই করে নিতে পারবো।

……… এই যে বিচ্ছুবাহিনী!! তোরা সব আয়োজন করে ফেল। আমি সন্ধ্যায় জাস্ট দাওয়াত খেতে আসবো। যাদেরকে ট্যাগ করতে ভুলে গেসি, তোরা নিজ দায়িত্বে করে দে!!

3 November 2014

হরতালের দিনে অফিসে আসার সময়ের সুবিধাঃ

এক। রাস্তায় জ্যাম কম থাকে। অফিসের গাড়ি চলে না, তবুও কম সময়ে অফিসে পৌঁছানো যায়। এতে সিএনজি’তে চেপে যাওয়ার সময়ের ধুলোবালির অসীম যন্ত্রণা কিছুটা হলেও ভুলে থাকা যায়। (ইদানীং চট্টগ্রামকেও ঢাকার মতো আয় ও আয়ুক্ষয়ের শহর মনে হয়। হায়! জীবিকার কাছে জীবনের কী নির্মম পরাজয়! প্রতিমুহূর্তেই।)

দুই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেশের গান বাজে। বুকের ভেতরে কেমন যেন একধরনের ভালোলাগা কাজ করে। চোখে পানি এসে যায়। মনে হতে থাকে, আমার দেশ আমার দেশ। কিছুদিনের জন্য গ্রামে গিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। মাটি ও মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলে, কথা শুনে সেইসব কথা লিখতে ইচ্ছে হয়। বুঝি, কীসের নেশায় ওরা যুদ্ধে গিয়েছিল। মুক্তির গান গেয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে। আজ সকাল থেকেই মাথার ভেতরে বেজে চলেছে……. এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা-সুরমা নদীতটে…..

পুলিশবাহিনীর সদস্যদের স্যালুট।

3 November 2014

Try to help people, because maybe you’ll get 100 opportunities to do harm to people in a day, but you’ll hardly get 1 opportunity to help people once in a year, if you’re lucky enough! People will misunderstand, misinterpret and even miscommunicate, still help people. Just forget & forgive. Why? As not always you do the right things, you seek forgiveness from Allah if you’re a believer, or you expect people to forgive you if you’re a non-believer. You can never claim forgiveness if you don’t forgive. What goes around comes around. Every man is paid back in his own coin.

4 November 2014

আমি ফেসবুকে জয়েন করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত যা যা লিখেছি, কেউ কি দয়া করে আমার টাইমলাইনে গিয়ে আমার নতুনপুরোনো সব লেখা কপিপেস্ট করে দুএকটা ওয়ার্ড ফাইলে একসাথে জড়ো করে দেবেন? (আমার সব লেখাই পাবলিক করা।) আমার লেখা আমারই সংগ্রহে নেই। এটা কেউ করে দিলে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

কোনোকিছু বলতে চাইলে আমাকে কাইন্ডলি ইনবক্স করতে পারেন।

দাদা, আমি আপনার কাজটি করে দিতে চাই!

ভেবে বলছো, ভাই?

হ্যাঁ দাদা, কিন্তু আমার একটু সময় লাগবে!

………. একটু না, অনেক সময় লাগবে, আমি জানি। পারলে, করে দিয়ো।

দাদা, আপনার সব গুলো পোস্টের করা লাগবে, নাকি যেগুলো এডুকেটিভ সেগুলো!

…… সবগুলো। আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখাগুলো হল, যেগুলো এডুকেটিভ নয়, সেগুলো।

যখন ইচ্ছে। সময় নিয়ে কর। আমার স্ট্যাটাসগুলো, সম্ভব হলে কিছু কিছু অনেক পুরোনো কমেন্ট।

সশরীরে দিতে পারলে ভালো হয়। সত্যি বলতে কী, আপনার সাথে দেখা করার লোভ সামলাতে পারছি না, ভাইয়া।

হাহাহাহা……….. দেখা করতে চাও?? বলো, কবে করবে? কোনো সমস্যা নাই। এর জন্যে লেখা জড়ো করে দেয়ার মতো কষ্ট করতে হবে না ভাই। আমি খুব ক্ষুদ্র একজন মানুষ।

ভাবনা: পাঁচশো পঁচানব্বই

……………………………………………………

5 November 2014

feeling বুঝতাসি না.

জনৈকা কহিলেনঃ

Your words are sexier than you.

ইহা কী কমপ্লিমেন্ট? নাকি, বাঁশ?

5 November 2014

পায়ে পড়ি তোমার, একটা গল্প লেখো তুমি শরৎবাবু,

নিতান্তই সাধারণ মেয়ের গল্প–

যে দুর্ভাগিনীকে দূরের থেকে পাল্লা দিতে হয়

অন্তত পাঁচ-সাতজন অসামান্যার সঙ্গে–

অর্থাৎ, সপ্তরথিনীর মার।

বুঝে নিয়েছি আমার কপাল ভেঙেছে,

হার হয়েছে আমার।

কিন্তু তুমি যার কথা লিখবে

তাকে জিতিয়ে দিয়ো আমার হয়ে,

পড়তে পড়তে বুক যেন ওঠে ফুলে।

ফুলচন্দন পড়ুক তোমার কলমের মুখে।

তাকে নাম দিয়ো মালতী।

ওই নামটা আমার।

ধরা পড়বার ভয় নেই।

এমন অনেক মালতী আছে বাংলাদেশে,

তারা সবাই সামান্য মেয়ে।

তারা ফরাসি জর্মান জানে না,

কাঁদতে জানে।

রবি ঠাকুরের সেই সাধারণ মেয়ের গল্প লেখার চেষ্টা করলাম। স্রেফ বেঁচে থাকলেও অনেককিছু হয়। আমার গল্পের নায়িকা শুধু কোনোরকমে বেঁচেবর্তে ছিল। ওর বেঁচে থাকার মানে ছিল, স্রেফ মরে না যাওয়া। আর কিছুই না। ও এভাবেই বেঁচে ছিল। একেবারেই চাওয়াপাওয়ার প্রত্যাশাহীনভাবে বেঁচে থাকা। পাওয়া অবশ্য একটা ছিল। সবাই দয়া করে ওকে ভাতকাপড় দিয়েছে। মানুষ হয়তো কখনো কখনো স্রেফ ভাতকাপড়েও বাঁচে। জীবনের সাথে যুদ্ধ করেছে, মৃত্যুর অবিরত ইশারাকে তোয়াক্কা না করেই। এই যন্ত্রণা আর কষ্টের মধ্যে থেকেও সে বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে, নিজের মেধার জোরেই ক্যাডার হয়েছে। মনের ইচ্ছা সৎ থাকলে আর সাথে আন্তরিক চেষ্টা থাকলে মহান আল্লাহ কাউকেই খালি হাতে ফেরান না। ও এখন একটা সরকারী কলেজে পদার্থবিজ্ঞান পড়ায়। আমরা ধরে নিচ্ছি, গল্পটা স্রেফ গল্পই, কিংবা গল্প হলেও সত্যি। এই গল্প ওর একার নয়, এই গল্প আরো দশজন সাধারণ মেয়ের যারা হারিয়ে যায়নি, এই পৃথিবীতে স্রেফ টিকে ছিল বলেই এখন প্রচণ্ডভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে।

7 November 2014

Introduce your woman to a man.

Next time, he will introduce her to you.

Never trust another man with your woman. Men will not change. Men will be men, ALWAYS.

আমিও যে একমত হইতে চাই না।

একটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করি। আমাদের এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে রিকোয়েস্ট করেছিল একটা মেয়েকে ওর ভালোবাসার কথাটা জানিয়ে দিতে। ও নিজে জানাতে পারছিল না লজ্জায় কিংবা ভয়ে।

লেটেস্ট আপডেটঃ ওই মেয়ে এখন আমাদের দ্বিতীয় বন্ধুটির সন্তানের গর্বিত মাতা।

……….. Why should you be sorry for telling from Islam?

তোর যুক্তি নিজেই অযৌক্তিক! যদি তুই তোর জিএফ’কে আমার সাথে পরিচয় করায়ে দিস এবং পরে সে আমার সাথে জুটে যায় তবে এইখানে একা আমার দোষ কেন হবে? তোরে ফেলায় দিয়া আমার সাথে যদি তোর গার্ল ফ্রেন্ড চলে আসে তবে এই মেয়ের দোষ নাই? আর এতে তোর নিজেরও অক্ষমতা প্রকাশ পাবে কারন তুই তোর গার্ল ফ্রেন্ড রে ধরে রাখতে অক্ষম!!!

একজন বিশিষ্ট আসল পুরুষ।

………. দুখান কথাঃ

এক। আমি অক্ষম নাকি সক্ষম, তুই জানলি ক্যামনে? (ভালো হইয়া যা। তোর বাসায় জানে এইসব?)

দুই। আমার গার্লফ্রেন্ড ভাগসে, এইটা তোরে কে কইলো? (আরে ব্যাটা, ভাগতে হইলে তো আগে আসতে হবে!)

ভাইয়া, এটা কি আপ্নার নিজের উক্তি????? যারই হোক না কেন উক্তিটা দুনিয়ার ৯৫ ভাগ মানুষ এর ক্ষেত্রে সত্তি কিন্তু বাকি ৫ ভাগ মানুষ এর সংখ্যাও কিন্তু পৃথিবীতে এক্কেবারে কম না।

………….. হুঁ। আমার নিজের না হলে আমি সোর্স উল্লেখ করে দিই।

Maybe the second guy has everything the first guy lacks, including a heart with true feelings

If you ever like two guys, always go for the second.

Because if you really liked the first guy,

You would have never started liking the second

………….. ভালো কিসু লিখার থাকলে তো জীবনেও আমার ওয়ালে আস না।

………… আবার ডেপ চাচ্চুরে ডাক্লা ক্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা………….????!!!!!!!!!!!! নিজে কিসু কও!!!!

ডেপরে চাচু ডাকলা?! খামোশ। হি ইজ কুল ম্যান। নিজে কি বলবো? এটাই আমার মনের কথা, সে বলে দিয়েছে।

যাহারা এই অধমরে জিগাইতেসেন, ইহা আমার অভিজ্ঞতাপ্রসূত কিনা, তাহাদের বিভূতির ‘দেবযান’ পড়িতে নিবেদন করি, যাহা মৃত্যু লইয়া লিখা এবং বিভূতি তাঁহার স্বীয় মৃত্যুর পূর্বেই উক্ত লিখা সমাপ্ত করিয়াছেন!!

……….. ধরা খাইলে এমুন কইরা কানতে হয় না, আম্মু।

yeah but women have the most critical, selfish & realist mind in the earth which men haven’t., you believe it or not, vaia.

………………. Women can never be that bad without men’s consent.

that means you wanna say 50-50partnership in this matter vaia!

নট দ্যাট

will you brief shortly the consents of men regarding this, vaia?

Ask men.

………… শোন ব্যাটা, তোর বৌ আমার বৌ, আমার বৌ তোর ভাবি। ভাবি মায়ের মতো।

7 November 2014

feeling আঁই কিচ্চি!!

পাবলিক আমারে ইনবক্সে লিইখ্যা দেয়ঃ ভাই, আমার এই কথাগুলারে কাইন্ডলি পোস্টটোস্ট দিয়েন না।

এক পোলা চুয়েটে ইইই’তে পড়ে, থার্ড ইয়ারে। আমারে ইনবক্সে জিগায়, ভাইয়া, আমি কীভাবে লবিং ছাড়া চাকরি পেতে পারি? বুদ্ধি দেন। আমার পক্ষে পাস করার পর ওয়েট করা সম্ভব নয়। আমি কইসি, বদ পোলা, চুয়েটের পোলাপান লবিং দিয়া চাকরি পায়, এইটা তোমারে কে কইসে? তুইল্যা আছাড় মারমু। চুপচাপ পড়াশোনা কর।

আপ্নেরাই কন, মেজাজ খারাপ হয় না? চুয়েটের পোলাপান এমনিই চাকরি পায়। এই পোলা এতো বেশি বুঝে ক্যারেএএএএএএএএএএ………????????

………….. ভাই, আপ্নের চুলে (পড়েন, পায়ে) ধরি, আমার স্ট্যাটাসের কমেন্ট থ্রেডরে মেহেরবানি কইরা সোনামণিদের বাল্যশিক্ষার আসর বানায়েন না। বড় ভাই, আপ্নের পিলিজ লাগে, ভাগেন!

কী আর করবে, বল? তুই তো সবার প্রাইভেসির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিস। মানুষ কত আবেগ লইয়া সরল বিশ্বাসে তোরে তাদের কচি মনের প্রেম প্রকাশ করে আর তুই কিনা এইসব আবেগঘন মেসেজগুলো পাবলিকলি পোস্ট কইরা সকলের সামনে তাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছিস। তুই হয়তো মানুষগুলোর নাম উল্লেখ করছিস না ঠিকই। কিন্তু তাদের আবেগঘন মেসেজগুলো যখন তুই স্ট্যাটাস আকারে শেয়ার করছিস তখন অনেকেই এটা নিয়ে ফান করছে, এমন অনেক কমেন্ট করছে যেগুলো হয়তো তোর কাছে কিছুই না, কিন্তু সেই মানুষগুলোর জন্য কষ্টদায়ক বটে। মানুষের আবেগ নিয়ে ট্রল করাটা আসলে উচিৎ নয়।

…………. আমি যা লিখি, তা-ই ঠিক, এইটা ভাবা ঠিক না।

আমার কথা ফাঁস করলেও আমার কোন সমস্যা নাই। আমি তো আর তোর লগে আবেগঘন মেসেজ চালাচালি করছি না। কিন্তু যারা করছে, তারাও কিন্তু ভালোবাসাবশতঃ এটা করছে। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ট্রল করার সুযোগ তৈরি করে দিয়ে তুই নিজের অজান্তেই সেইসব মানুষগুলোর মনে কষ্ট দিচ্ছিস।

………… তুই আবেগঘন মেসেজ চালাচালি করবি কোন দুঃখে?? তুই ভাল হস নাই এখনো??? আর তুই কি শিওর আমি যা লিখি তা ঘটে বলেই লিখি???

আমি নিজেরে কোনকালেই সাধু দাবী করি নাই। আমি পাজি ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। পাজিগিরি হইলো আমার ট্রেডমার্ক। এত ছোট একখান জীবন। এই ছোট জীবনে এত ভালমানুষি দেখানোর টাইম নাইক্কা। হাসিঠাট্টা আর ফাজলামো করেই এই জীবনটা কাটিয়ে দিব।

তবে ইদানিং দেখতেছি আমাদের ব্যাচের পোলাপাইন অতিমাত্রায় রাশভারী টাইপের হইয়া যাইতাছে। বিশেষ করে যারা বিয়েশাদি করে ফেলেছে, এরা সবাই এক একটা গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত হয়েছে।

……….. তুই তো প্রথমবারের পরে আর বিয়া করস নাই। তাইলে তুই ক্যান গরুগরু টাইপ??? তোর আর বিয়া না কইরা কী লাভ হইল???

প্রথমবার কবে বিয়ে করলাম?!! এইভাবে প্রোপাগান্ডা চালাইয়া আমার মার্কেট ডাউন করিস না বাপ।

তুই সেলিব্রেটি মানুষ। তুই মিছা কইলে সেইটারেও নারীকুল নির্ভেজাল সত্য ভাবিয়া সোজা ইউটার্ন লইয়া পালাইতে তৎপর হইবে।

এমনিতেই মার্কেট খারাপ। যেইটারেই পছন্দ করি, সেইটাই দেখি তোর লগে অ্যাড করা। তোর জ্বালায় তো দেখছি বঙ্গদেশে কাহারো সহিত নিরাপদে প্রেম করিতে পারিব না। ভাবতাছি হনলুলু চইলা যামু। আশা করি হনলুলুতে তোর উৎপাত সহ্য করতে হবে না।

………. তুই যে যত্রতত্র এইসব বলে বেড়াস, বাসায় জানে?

সেলিব্রেটিদের স্ট্যাটাসে কমেন্ট করার একটা মজা আছে। যেমন ধর তোর কোন স্ট্যাটাসে আমি একখান কমেন্ট করলাম। ঘণ্টাখানেক না যাইতেই দেখি সেই কমেন্টে ২০ – ২৫ খান লাইক পড়তাছে। আর আমি হালায় নগদে স্ট্যাটাস দিলে সেই স্ট্যাটাসেও অত্তগুলা লাইক পড়ে না, কমেন্টের কথা বাদই দিলাম। তাই এই তালে বন্ধুর স্টারডম কাজে লাগাইয়া যদি কিঞ্চিৎ লাইমলাইটে (পড়্‌ ডিমলাইটে) আসা যায় খারাপ কী?