ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা: ১১৮

  
 ভাবনা: আটশো বিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। চাকরিজীবী হওয়াটা সহজ নয়---ঘরেও জিম্মি হয়ে থাকতে হয়, অফিসেও জিম্মি হয়ে থাকতে হয়।
  
 ব্যবসাই ভালো!
  
 দুই। In a flock of sheep, being a lion is itself a crime.
  
 পৃথিবীর ইতিহাস বলে, আমি যদি কারও চুলেরও যোগ্য না হ‌ই, তবে তাঁর সাথে নিকৃষ্টতম অন্যায় আচরণটিও করার সময়‌ বুক দূরে থাক, আমার একটি চুল‌ও কাঁপবে না! অসভ্য লোকের সামনে প্রতিটি মুহূর্তেই নিজেকে আহত হতে দেখাই যোগ্য মানুষের নিয়তি।
  
 The more you deserve, the more you suffer.
  
 তিন। একটা ছোট্ট অনুরোধ:
  
 বিষণ্ণ কাউকে হেল্প করতে না পারুন, সমস্যা নেই, কিন্তু কখনওই তার বিষণ্ণতা নিয়ে ঠাট্টা করবেন না। ওরকম অবস্থার মধ্য দিয়ে নিজে না গেলে সে যে কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা কিছুতেই, বোঝা দূরে থাক, অনুমান করাও সম্ভব নয়! আরেক জনের বিষণ্ণতা আপনার ফাজলামো করার জিনিস না।
  
 চার। এখানে অনেকেই আছেন, যাঁরা আবৃত্তি/পাঠ করতে না পারলেও ভালো লিখতে পারেন। তাঁদের জন্য নতুন একটি আইডিয়া মাথায় এল।
  
 আপনারা এখন থেকে আমার যে-কোনও লেখা বা বক্তৃতা নিয়ে লিখে আমাকে পাঠাতে পারবেন, গ্রুপেও পোস্ট করতে পারবেন। যদি লেখায় বানানে, প্রয়োগে, ধরনে কোনও ভুল থাকে, তবে সেই ভুল আমি শুধরে দেবো।
  
 আমার ওয়েবসাইট থেকে আমার লেখাগুলি পড়া যেতে পারে। লেখা পাঠানোর ঠিকানা কমেন্টে দিয়ে দিচ্ছি।
  
 দুটো বিষয়:
 আমাকে নিয়ে নয়, আমার কাজ নিয়ে লেখা যাবে।
 আপনার নিজের অন্য কোনও লেখা এই উদ্যোগের পরিধিতে পড়বে না।
  
 এই নতুন ব্যাপারটিকে প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছি।
 পুনশ্চ। অনেকরই উচ্চারণে অনেক সমস্যা দেখি। ভালো ভালো বাচিকশিল্পীরাও এই সীমাবদ্ধতার বাইরে নন। আপনাদের জন্য চারটি বইয়ের নাম বলছি। এই বইগুলি থেকে উচ্চারণ সম্পর্কে জেনে নিলে আপনার সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে:
  
 বাংলা একাডেমি প্রকাশিত আধুনিক বাংলা অভিধান (সম্পাদক: জামিল চৌধুরী)
 বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বাংলা উচ্চারণ অভিধান (গ্রন্থকার: নরেন বিশ্বাস)
 সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত বাংলা উচ্চারণ অভিধান (রচয়িতা: সুভাষ ভট্টাচার্য)
 বুকল্যান্ড লিমিটেড প্রকাশিত বাংলা উচ্চারণ-কোষ (সংকলক: অধ্যাপক ধীরানন্দ ঠাকুর)
  
 (উপরের বইগুলি খুঁজে না পেলে আমাকে জানাবেন, আমি গ্রুপে আপলোড করে দেবো।)
  
 পাঁচ। খেয়াল করলে দেখবেন, মাঝে মাঝে বিশেষ এক জন মানুষকে আপনার কাছে ভীষণ রকমের সুন্দর লাগবে। মানুষটি দেখতে কুচকুচে কালো হলেও মনে হবে, আহা, চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল একটা মানুষ! তার মুখে ব্রণের দাগ, ঠোঁটে পোড়া-কালো দাগ কিংবা সে দেখতে ভীষণ বদখত অবয়বের হলেও একমাত্র ওই মানুষটিকেই আপনার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় মানুষ মনে হবে।
  
 এমনটা কেন হয়?
  
 এমনটা হয়, কারণ মানুষ নয়, বরং ভালোবাসা ব্যাপারটিই আসলে সুন্দর।
  
 হ্যাঁ, এই ভালোবাসা ব্যাপারটি সুন্দর বলেই আপনার মা-বাবা থুড়থুড়ে বুড়ো হয়ে গেলেও আপনার কাছে তাঁদের চিরসবুজ মনে হয়, বড্ড আদরের মনে হয়। ঠিক এই কারণেই সেই বিশেষ মানুষটি আপনার চোখে ধরা দেয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুন্দর হিসেবে, সে আপনার রক্তের সম্পর্কের কেউ না হওয়া সত্ত্বেও তাকে বড়ো আপন আপন লাগে, সে পাশে থাকলে পুরো পৃথিবী জয় করে ফেলবার সুখ অনুভূত হয়।
  
 ভালোবাসা যখন কমতে থাকে, পুরো ব্যাপারটি গোলমেলে হতে থাকে তখনই। ধীরে ধীরে সব ত্রুটি এক এক করে চোখে ধরা পরে। যে ভুঁড়িকে একসময় নরম পেঁজাতুলো মনে হতো, ক্রমেই সে ভুঁড়ির মেদ বেঢপ লাগতে শুরু করে। যে চোখকে মনে হতো অথই সমুদ্রের জলসীমা, সে চোখকেই মনে হতে থাকে রীতিমতো বিকটদর্শন টর্নেডো! যেই চুলকে একসময় মনে হতো জীবনানন্দের অন্ধকার বিদিশার নিশা, সেই চুলকেই মনে হতে থাকে বড়ো বড়ো তেলাপোকার পায়ের ঘিনঘিনে আঁশ!
  
 যে আপনার ভুঁড়িকে সহ্য করতে পারে না, সে আসলে আপনাকে ভালোইবাসে না।
 আপনি যার ভুঁড়িই সহ্য করতে পারেন না, তার ভালোবাসা পাওয়ার কোনও অধিকার আপনার নেই।
 ভালো একবার বেসে ফেললে তখন মানুষটাই চোখে পড়ে, তার ভুঁড়ি নয়।
 চেষ্টা করলে ভুঁড়ি কমিয়ে ফেলাই যায়, কিন্তু মনের কদর্যতা কমিয়ে ফেলা রীতিমতো অসম্ভব!
  
 এভাবেই ভালোবাসা রং বদলাতে থাকে।
  
 তবুও, বেলাশেষে কিছু ভালোবাসা ভালোবাসাই থেকে যায়। কিছু রং কখনও ফিকে হয় না। কিছু চোখ কখনও পুরনো হয় না। কিছু মুখ কখনও মায়া হারায় না। কিছু স্বর কখনও বেসুরো হয় না।
  
 থাকে কিছু বোকা মানুষ, যাদের কাছে ঝুলে-পড়া ভুঁড়িতে, রৌদ্রে-পোড়া পুরু ঠোঁটে কিংবা ঘামে-ভেজা দুর্গন্ধযুক্ত শরীরে ভালোবাসা পচে যায় না, প্রেম কমে যায় না। এই বোকা মানুষগুলির ভেতরের পৃথিবীটা বড়ো সুন্দর! সেই সৌন্দর্যকে যারা অবহেলায় দূরে ঠেলে দেয়, ভালোবাসা ব্যাপারটা তারা ঠিক ডিজার্ভ করে না।
  
 হ্যাঁ, কেউ কেউ সত্যিই ভালোবাসে। কেউ কেউ সত্যিই ভালোবাসতে জানে। ভালোবাসতে জানে যে, তার দুঃখ অসীম। আর ভালোবাসা গ্রহণ করতে জানে না যে, তার পুরো জীবনটাই আফসোসে ভরা। দুঃখেও বাঁচা যায়, কিন্তু আফসোসে বাঁচা সত্যিই অনেক কঠিন!
  
 বিধাতা সবার কপালে ভালোবাসার ভাগ্যরেখা এঁকে পৃথিবীতে পাঠান না। তিনি যাদের কপালে এই দুর্লভ রেখাটি এঁকে পৃথিবীতে পাঠান, তিনি আসলে তাদের ভাগ্যে স্বর্গের অর্ধেকটা পাকাপাকিভাবে লিখে দিয়েই পৃথিবীতে পাঠান।
  
 এজন্যই বোধ হয় বিচ্ছেদের যন্ত্রণা মৃত্যুর সমান লাগে। এজন্যই বোধ হয় যুগে যুগে বিরহব্যথা থেকে বাঁচতে মানুষ মরে যেতেও দ্বিধা করে না।
  
 তবু কথা থেকে যায়। যে বিরহের জন্য পরিস্থিতি নয়, বরং দুজনের এক জন দায়ী, সে বিরহে সুস্থ বোধে মৃত্যুর পথে হেঁটে যাওয়া যায় কি? পরিস্থিতির দায়ের কথাই যদি ধরি, তবে বলতে হয়, দুজনেরই প্রেম যেখানে শুদ্ধ, সেখানে প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি দিয়ে ভালোবাসা বিচার করা যায় কি? তা যদি না যায়, তবে মৃত্যুর পথে হাঁটার প্রাসঙ্গিকতাই-বা আসে কোথা থেকে?
  
 স্বেচ্ছামৃত্যুর চাইতে বড়ো পরাজয় আর কী আছে? মানুষটিকে বা বিধাতাকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নাচতে নাচতে বেঁচে থাকার চাইতে আনন্দের জয় আর কী হতে পারে? পৃথিবীর সমস্ত গ্লানি, লজ্জা ও কষ্টের চেয়েও জীবন বড়ো। বেঁচে থাকার চাইতে গৌরবের কোনও ঘটনা পৃথিবীতে কখনও ঘটেনি, কখনও ঘটবেও না। জনম জনমের ব্যর্থতাও মাত্র একটা মুহূর্তের আয়ুর কাছে হেরে বসে থাকে!
  
 ভাবনা: আটশো একুশ
 ………………………………………………………
  
 এক। মেলায় হারিয়ে যাওয়ার চাইতে বরং খেলায় হেরে যাওয়াও ভালো।
  
 দুই। আমরা মুখে বলি, প্রেম স্বর্গীয়, অথচ তা আশা করি নরকের বুকে বসে! ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে, পৃথিবীর শয়তানের কাছ থেকে স্বর্গের দেবদূতের ট্রিটমেন্ট আশা করাটাই চরম বোকামি! এত কান্নাকাটি করে সত্যিই কোনও লাভ নাই! পৃথিবীর প্রেম অপার্থিব বা স্বর্গীয় নয়, দিনশেষে ওটা পার্থিব বা নারকীয়। স্বর্গের সুযোগ-সুবিধা তো আর পৃথিবীর বাসিন্দারা পায় না, তাই সেখানকার প্রেম ভালোবাসা আপনি এই বেচারাদের কাছে পাবেন না। নিজে কাঁদতে কাঁদতেই কূল পায় না, আপনার চোখের জল মোছার টাইম ক‌ই! এটা মেনে নিয়ে 'ইয়ে মানে, আমাদের সুখের ঘরে দুইখান কবুতর পক্ষী বাসা বাঁধিবে।' জাতীয় জিনিসপত্রে অবিশ্বাস রেখেই প্রেম করা ভালো। স্বর্গের প্রেম থাকে প্রিয়র চোখে নয়, কবির কাব্যে! আপনার প্রেমিক একটা জ্যান্ত শয়তান, আপনিও একটা জ্যান্ত শয়তান। শয়তান শয়তান ভাই বোন। কোনও ব্যাপার না! মন বেশি উচাটন হ‌ইলে এই গরিবের দুইএকখান প্রেমময় প‌ইদ্য প‌ইড়া লম্বা একখান ভাতঘুম দেন। ঘুমাইলেই দুনিয়া ঠান্ডা!
  
 তিন। কার‌ও কথায় নাচার আগে দেখে নাও, নাচতে গিয়ে পা ভেঙে ফেললে তোমার ভাঙা-পা সারানোর ক্ষমতা ও ইচ্ছে তার আছে কি না।
  
 মিছিলে যাবার আগেই এর পরিণতি সম্পর্কে অনুমান করে নিতে হয়।
  
 চার। একটা মানুষের মন-মগজের মূল্য বোঝে অসংখ্য মানুষ।
 কিন্তু তাদের কেউই তাকে পায় না।
 অথচ যে পায়, কেবল সে-ই তার মূল্য বোঝে না!
  
 পাঁচ। ধরুন, আপনার বুকের ভেতরটা তীব্র চাপাযন্ত্রণায় তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। আপনার ভীষণ কাঁদতে ইচ্ছে করছে। হন্যে হয়ে মুঠোফোনের কয়েকশো সেইভড নম্বর তন্নতন্ন করে খুঁজেও এমন কাউকে পাচ্ছেন না, যাকে বুকে শক্ত করে চেপে ধরে অঝোরে কাঁদা যায়। আপনার অনেক বন্ধুই আছে, কিন্তু জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারার মতো বন্ধু একটিও নেই। এমন কিছু হলে আপনি সত্যিই দুর্ভাগা।
  
 ধরুন, চ্যাটলিস্টের কয়েকশো চ্যাটের মধ্যেও এমন একজনকেও পাচ্ছেন না, যাকে বিশ্বাস করে বুকের ভেতর ঠাসাঠাসি হয়ে জমাটবাঁধা কথাগুলি ঘণ্টার পর ঘণ্টা গড়গড় করে বলে দেওয়া যায় কোনও চিন্তাভাবনা ছাড়াই। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন, বেঁচে থাকাটা যাদের জন্য বড়ো কঠিন, আপনি তাদেরই একজন।
  
 ভাবুন, আপনি ভীষণ ডিপ্রেশনে আছেন। ঘরভর্তি আপনার আপনজনেরা রয়েছে, কিংবা আশেপাশে শ’য়ে শ’য়ে মানুষের ভিড়, এদের মধ্যে একজনও আপনার ডিপ্রেশনটা ধরতেই পারল না, আপনার কান্না-লুকানো মুখোশটাকেই মুখ হিসেবে ধরে নিল ওরা সবাই-ই। মেনে নিন, আপনি ভীষণ রকমের একা একজন মানুষ।
  
 পৃথিবীভর্তি সাড়ে সাত-শো কোটি মানুষ, অথচ আপনার সব কথা প্রাণখুলে বলতে পারার মতো একটা মানুষও কোথাও নেই।
  
 কখনও কখনও আমরা পাশাপাশি হাত ধরে হেঁটেও দুজন মানুষ পরস্পর থেকে যোজন যোজন দূরে থেকে যাই, একসাথে জড়াজড়ি করে শুয়েও একজন আরেকজন থেকে লক্ষকোটি মাইল দূরে বাস করি।
  
 এত এত মানুষের ভিড়েও শুধু বুঝতে পারার মতো এবং বলতে পারার মতো একজন মানুষের অভাব জীবনের অন্য সব বড়ো বড়ো অভাবকেও ফিকে করে দেয়।
  
 আমরা বন্ধু হয়ে পাশাপাশি বসে থাকতে পারি, প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে বছরের পর বছর সম্পর্কে আটকে থাকতে পারি, স্বামী-স্ত্রী হয়ে শরীরে শরীর ছুঁইয়ে শুয়ে থাকতে পারি, তবু আমাদের ভেতরে বাস-করা সত্যিকারের আমি’টাকে কাউকে ছোঁয়াতে পারি না। সারাজীবনেও, বলতে ও বলাতে পারার মতো, বুঝতে ও বোঝাতে পারার মতো কাউকেই পাই না আমরা।
  
 পকেটভর্তি টাকা, এয়ারকন্ডিশনড রুম, কিংবা দামি গাড়িতে বসে থেকেও মানুষে ঠাসা এই গ্রহে কেবল একটা মনের মতো মানুষের অভাবে সবচেয়ে বড়ো অভাববোধটি সাথে করে নিয়ে একদিন আমরা ঠায় মরে যাব। মৃত্যুর আগে নিজের মনের মতো কাউকে কখনওই জানা হবে না, জমে-ওঠা দীর্ঘশ্বাসটি ছেড়ে কখনওই কাউকে নির্ভার স্বরে জানানো হবে না…আমারও অনেক অনেক কথা বলার ছিল!
  
 ছয়। পদের ভারে মানুষের মাইন্ড করার ক্ষমতা বাড়ে।
  
 সাত। জোর করে কার‌ও ভালোবাসা পেতে চাওয়ার চাইতে গর্জিয়াস বলদামি আর নাই।
  
 আট। You can love me or you can hate me. I really don't care about your love or hatred. Because it's your choice, it matters nothing to me. I respect everyone's choices including mine. Only what I care about is whether your approach disturbs me or not. If you disturb me, I'll try my best to block you from my life even if you love me. If you don't disturb me, I'll always respect you even if you hate me. I don't judge you. I don't judge your love for me. I don't judge your hatred for me. I'm busy with my life. Get busy with your life.
  
 Even lovers who make me feel low are haters. Even haters who make me feel high are lovers. My brain works in this way. Do you think it's shallow, wrong, bullshit? Yes, it is. Stay happy with your assumption. I'm OK with it. Don't worry, you will never have to live with my brain.
  
 Love or no-love is a highly relative thing. My brain hardly gets into this complicated trap. It just identifies one thing: a peace state or a no-peace state. In case of a peace state, it responds: Yes, it's good! In case of a no-peace state, it responds: No, it's not good!...As simple as that!
  
 Are you going to receive the next Nobel Prize? Well, it's cool! Congratulations! Are you as dumb as a donkey? Well, it's cool! Congratulations! I've no interest in your achievements or failures. If you make me feel bad, I'm ready to spit on your achievements. If you make me feel good, I'm ready to smile on your failures. If you think I'm ugly, don't look at me. I'm happy with my ugliness. It's my life, not yours. Only I am to bear it, not you. I really don't need your certificate even if you have won the Nobel Prize three times. I abhor a judgemental person even if they win a Nobel every year. There is little difference between an educated person and an illiterate person when both of them are judgemental.
  
 How you make me feel is how you are. If you make me feel good, you are good. If you make me feel bad, you are bad. Period.
  
 ভাবনা: আটশো বাইশ
 ………………………………………………………
  
 এক। ধন্যবাদ তাদের, যারা দুঃসময়ে ছেড়ে গিয়েছিল।
 ওরা ছেড়ে গিয়েছিল বলেই আমি একা চলতে শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তাদের, যারা যখন তখন বিপদে ফেলে দিয়েছিল।
 ওদের কারণেই, পড়ে গেলেও বার বার উঠে দাঁড়ানোর জাদুকরি মন্ত্রটা আমি শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তাদের, যারা মিছে মিছে স্বপ্ন দেখিয়েছিল।
 স্বপ্নের ওসব ভাঙা টুকরোগুলো জোড়া লাগিয়ে আমি একাই শত শত স্বপ্নের বুনন শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তাদের, যারা বিশ্বাস ভেঙেছিল।
 সেই ভাঙাস্বপ্নের কাচে হৃদয় কেটে কেটে আমি পুরো পৃথিবীকে অবিশ্বাস করতে শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তাদের, যারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
 সেই ভাঙাশপথের উপর দাঁড়িয়ে শপথ করে আমি কখনওই কারও শপথ না-ভাঙার শপথটা শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তাদের, যারা এই বুকের ভেতরে জমানো ব্যথাগুলোর কথা কখনওই শুনতে চায়নি।
 কাউকে বলতে-না-পারা এই ব্যথাগুলো জমিয়ে জমিয়ে কথার মালা গেঁথে আমি কবিতা লিখতে শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তাদের, যারা টুকরো টুকরো করে এই মনটা ভেঙেছে।
 ওরা মনভাঙার নিদারুণ যন্ত্রণাটা বুঝিয়েছে বলেই সজ্ঞানে কারও মন না-ভাঙার তালিমটা আমি শিখে গিয়েছি।
  
 ধন্যবাদ তোমাদের, যারা আমাকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করেছ বলেই আমি খাঁটি সোনার মতো নিখাদ হতে পেরেছি।
  
 দুই। মানুষ দুই ধরনের মানুষের বেঁচে-থাকার জন্য দোয়া করে:
  
 ১. যাকে সে পছন্দ করে।
 ২. যার কাছ থেকে সে টাকা পায়।
  
 তিন। কোনও একটা ঘটনাকে একেবারে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করতে পারে খুব কম মানুষ। বেশিরভাগই ব্যাখ্যা করে সেই ঘটনার যে অংশটুকু তার নিজের জীবনে ঘটলে মনে মনে সে খুশি হতো, সেটির উপর ক্রোধ ঝেড়ে, কিংবা ঘটনাটি ঘটিয়েছে যে, তার উপর ক্রোধ ঝেড়ে। অপ্রাপ্তি ও অপছন্দ তাকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এর উলটোটাও সত্য। মানে, ঘটনার যে অংশটুকু তার জীবনে ঘটেছে, সেটির কিংবা ঘটনাটির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করে সে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলে। এমন অন্ধত্ব অজ্ঞতাপ্রসূত নয়, বিদ্বেষপ্রসূত। এই সমর্থন ও প্রতিবাদ, দুই-ই ঘটনা থেকে বহুদূরে সরে মতামত প্রদানকারী ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, অবস্থান, খামখেয়াল, স্বার্থ ইত্যাদিকে ঘিরে আবর্তিত হয়। সে ভাবে, সে যুক্তি দিয়ে চলছে, অথচ সে চলছে বিশ্বাস দিয়ে। বিশ্বাস যখন যুক্তিকে পরিচালিত করে, তখন সেখানে সত্যের খোঁজ পাওয়া অসম্ভব।
  
 এক্ষেত্রে বিচার ও বিবেচনা কোনওভাবেই স্বচ্ছ বা নির্মোহ হবে না, এটাই স্বাভাবিক। জাজমেন্টাল অ্যাটিটিউডের মানুষ বোধ ও বিবেক নয়, বরং ঈর্ষা ও ক্রোধ দ্বারা তাড়িত। অভিজ্ঞতা বলে, ওরকম যারা, ওরা খেতে থাকলেও যা, নোবেল পেলেও তা।
  
 চার। না খাও যদি ধরা,
 হবে না মানুষ পড়া!
  
 পাঁচ। নতুন বন্ধুর চাইতে পুরনো শত্রু অধিক নিরাপদ।
  
 ছয়। ভুল করলে চুপ করে থাকতে হয়। ভদ্রতার প্রথম ধাপ এটিই।
 ভুল না করলেও চুপ করে থাকতে হয়। দাম্পত্যের প্রথম ধাপ এটিই।
  
 সাত। কোন‌ও দর্শন বা চেতনাকে কেবলই ভালোবেসে বা ভালোভাবে বুঝে হৃদয়ে ধারণ করে খুব কম মানুষ। বেশিরভাগই ধারণ করে মূলত তিনটি কারণে:
  
 ভয়ে বা চাপে ধারণ করতে বাধ্য হয়,
 কিংবা ধারণ করলে কোনও লাভ (ধান্দা) হয়,
 কিংবা সেই চেতনা বা দর্শনের সূচনা যেখান থেকে বা যার কাছ থেকে, সেটিকে বা তাকে সে পছন্দ করে।
  
 কার‌ও চেতনা কী, তা জানতে চাইলে তাকে অবারিত স্বাধীনতা দিতে হবে। পরাধীন মানুষের আবার কীসের চেতনা? আপনার ঘরের কাজের লোকটা কোন সাহসে বলবে যে আপনার চাইতে মোটা মানুষ সে তার জীবনে আর একটাও দেখে নাই? সেই আর্থিক জোর বা বাক্‌স্বাধীনতার নিরাপত্তা তার কোথায়?
  
 বিরিয়ানি খেতে চাইলে নিজের টাকায়ও খাওয়া যায়, অন্যের টাকায়‌ও খাওয়া যায়। দুটোর রাস্তা দুরকমের হলেও মূল চেতনা কিন্তু বিরিয়ানিই। আপনি কাউকে বিরিয়ানি খাওয়ালে সে আপনাকে ভালোবাসে। এখানে তার চেতনায় আপনি নেই, শুধুই বিরিয়ানি আছে। তার ভালোবাসা যাচাই করতে চাইলে তাকে বিরিয়ানি খাওয়ানো বন্ধ করেই দেখুন কী হয়! এমন‌ও হতে পারে, সে আপনার দর্শন পছন্দ করে। কতক্ষণ পছন্দ করে? ততক্ষণই, যতক্ষণ সেই দর্শন বিরিয়ানির কথা বলে।
  
 দর্শন, নীতি, নৈতিকতা...এসব নিয়ে লোকে মাথা ঘামায় কম, সেখান থেকে তার ধান্দাটা কী, তা নিয়েই মূলত তার যত মাথাব্যথা। আপনার কাজ যারা পছন্দ করে না, ওই কাজটি তারা নিজেরা করতে পারলে বা করার সুযোগ পেলে তখন হয়তোবা তাদের মতগত অবস্থান বদলে যেত। ভালো খারাপের আপেক্ষিকতার দিকে তাকালে নির্দিষ্ট কোনও রায় দিয়ে দেওয়া অনেকটাই অসম্ভব। একেকটা মানুষের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজন একেক রকমের। তাই নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে এক নিজেকে বাদে আর কাউকে নিয়েই কোনও র‌্যাশনাল জাজমেন্টে আসা যায় না।
  
 কেউ যখন কোনও কিছুর পক্ষে বা বিপক্ষে বলে, তখন চট করে ভেবে বসবেন না, সে সত্যিই বিবেক ও বোধ খাটিয়ে ওসব বলছে। বিশ্বাসের উৎপত্তি অভিজ্ঞতা, বোধবুদ্ধি ও প্রয়োজন থেকে---আবার পরিস্থিতির চাপে এই তিনটির যে-কোন‌ওটিই বাকি দুটোকে মুহূর্তেই নস্যাৎ করে দিতে পারে। যে-কোন‌ও কারণেই হোক, মানুষ যা অপছন্দ করে, যাকে অপছন্দ করে, সাধারণত তার প্রায় সব কিছুই সে অপছন্দ করে।
  
 আরেকটি জিনিস কেউ কেউ অপছন্দ করতে শিখে যায়---যা ওরা পেতে চেয়েছিল বা চায়, কিন্তু পায়নি বা পায় না। সেই জিনিস পেয়েছে যারা, তাদের দেখলেও তার মেজাজ ঠিক থাকে না। এক্ষেত্রে তার ক্রোধ যদিও তার নিজের অক্ষমতার বা অপ্রাপ্তির উপর, তবু তার পুরোটাই সে উগরে দেয় ওরকম কারুর উপর। অপছন্দের কিছু থেকেও ভালো দিকগুলো গ্রহণ করতে পারার মতো মানসিক পরিপক্বতা খুব কম মানুষেরই থাকে। আমাদের নিয়ত ও নিয়তি যা, দিনশেষে আমরা তা-ই।
  
 ভাবনা: আটশো তেইশ
 ………………………………………………………
  
 এক। যখন এমন কোনও মেয়ে আপনাকে বেপরোয়াভাবে ভালোবেসে ফেলে, যে এক‌ইসাথে অবোধ ও নির্বোধ, তখন আপনার প্রায়‌ই মনে হতে থাকবে, প্রতিটি মুহূর্তে এরকম অশান্তি সহ্য করার চাইতে অনেক অনেক অনেক সহজ মরে যাওয়া। যে প্রেম স্বস্তি দেয় না, সে প্রেমের চেয়ে মৃত্যুও ভালো। আর একাকিত্ব? সে তো স্বর্গসমান! যে ভালোবাসায় শান্তি নেই, সে ভালোবাসা নরকের‌ও অধম।
  
 বেপরোয়া প্রেমিক বা প্রেমিকার চাইতে জঘন্য জিনিস আর দ্বিতীয়টি হয় না। অশান্তির ভালোবাসা এ পৃথিবীর ভয়ংকরতম বস্তু। ভুলেও এমন কাউকে ভালোবাসতে যাবেন না, আপনাকে ভালোবাসা বাদে যার আর কোনও কাজ নেই। ওরা ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বস্ত কুকুর বা দাসস্য দাস বানিয়ে রাখতে চায়। প্রায়‌ই দেখা যায়, ওরা ভালোবাসতে বাসতে নিজের অজান্তেই সাক্ষাৎ সাইকোপ্যাথ হয়ে ওঠে। সাইকোপ্যাথের সাথে সম্পর্ক একবার তৈরি হয়ে গেলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে রীতিমতো প্রাণ বেরিয়ে যায়!
  
 পৃথিবীর সেই শুদ্ধতম ভালোবাসাও আমার কাছে নিরর্থক ও অনর্থক, যেই ভালোবাসা মনের শান্তি নষ্ট করে। এর চাইতে চরম পর্যায়ের ঘৃণায় বাঁচাও আনন্দের। যে মানুষ ভালোবাসে বলেই শান্তিতে বাঁচতে দেয় না, একটা সময় পর তার প্রতি ন্যূনতম বাৎসল্য‌ও নষ্ট হয়ে যায়। তখন দেখা যায়, সে মানুষ যন্ত্রণা পেতে পেতে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেলেও মনের মধ্যে তেমন কোনও দুঃখবোধ পর্যন্ত তৈরি হয় না! ওটা আরও কষ্টের, কেননা যে আমায় এত ভালোবাসে, তার প্রতি আমার এমন সমুদ্রসমান নিঃস্পৃহতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। মানুষ হবার অনেক ঝামেলা, এমনকি বিরক্তিকর ভালোবাসার দাবি উপেক্ষা করতে গেলেও তীব্র অপরাধবোধ কাজ করে।
  
 জীবনের শেষকথাই হচ্ছে---ভালোবাসায় হোক না হোক, শান্তিতে বাঁচা। শান্তিই সত্য!
  
 দুই। যার হাতে অপশন অগণ্য, বিনা কারণে তার কাছে অগ্রগণ্য হবার ইচ্ছেটাই একধরনের বোকামি। কার‌ও কাছে অগ্রগণ্য বা অন্তত গণ্য হতে চাইলে সেইসব কারণকে দূরে সরাতেই হবে, যেইসব কারণে আপনি তার কাছে নগণ্য।
  
 তিন। Small minds invest their time on the learning that pleases them.
 Average minds invest their time on the learning that proves them.
 Great minds invest their time on the learning that challenges them.
  
 চার। ছাড় দেওয়া ও ছেড়ে যাওয়া---এই দুই অবস্থানের ঠিক মধ্যবিন্দুটির নাম‌ই দাম্পত্য সম্পর্ক।
  
 পাঁচ। Intermittent fasting এবং বিভিন্ন ধর্মদর্শন অনুযায়ী রোজা বা উপবাসপালনের নানান দিক নিয়ে বেশ পড়াশোনা করে একটা লেখা তৈরি করেছিলাম। আগ্রহীরা পড়ে নিতে পারেন।
  
 লেখাটি অনেক পরিশ্রম করে তৈরি করেছি; না পড়ে মন্তব্য করবেন না, বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
  
 ভালো কথা, লেখাটি একটু দীর্ঘ। যাঁদের ব্যস্ততা বা আলস্য বেশি কিংবা ধৈর্য কম, এই লেখা তাঁদের জন্য নয়। লেখার দৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার সকল নেতিবাচক মতামতকে অশ্রদ্ধার সাথে অগ্রাহ্য করা হবে। ধন্যবাদ।
  
 ছয়। তোমার সমস্ত ক্ষমতা ও অক্ষমতাকে মেনে নিয়েই আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে ভালো না বেসে আমি পারি না---এ তোমার যত বড়ো ক্ষমতা, আমাকে ভালো না বেসেও তুমি দিব্যি ভালো আছ---সে-ও তোমার ঠিক তত বড়ো অক্ষমতা। দুই-ই আমার কাছে সত্য, আর সত্য যা-কিছু, তা-কিছুই তো সুন্দর! এই সুন্দর‌ই ধর্ম! তুমি আমাকে এমন সুন্দরের মধ্যে বাঁচতে শিখিয়েছ। তোমাকে ধন্যবাদ!
  
 তোমার প্রতিটি উপেক্ষার উত্তর আমি এক এক করে দিয়ে দিই আমার ভালোবাসার শুদ্ধতম ঘ্রাণে। আমাকে পেতে হবে না ভেবে তুমি যতটা জিতে যাও জিতে যাবার আনন্দে, তোমাকে পাবো না জেনে ঠিক ততটাই আমি জিতে যাই হেরে যাবার আনন্দে। আনন্দ এখানে সমান সমান। সুখ এখানে ধ্রুব, স্বতঃউৎসরিত।
  
 চলে যাবার শক্তি প্রায়‌ই মাথা নত করে থাকে থেকে যাবার তৃপ্তির সামনে এসে। কে না জানে, পৃথিবীর সুন্দরতম দ্বন্দ্বটি সুপ্রাচীন কাল থেকেই ঘটে চলেছে ন্যায্যতার দায় ও গ্রাহ্যতার দাবির মধ্যে!
  
 মেনে নিতে পারার মধ্যে একধরনের শক্তি আছে, স্বস্তি আছে। অতটা তুমি বুঝবে না হয়তো। এক আমাকেই মানতে পারো না বলেই তোমার চোখের সীমানায় থাকা পুরো পৃথিবীই জয় করে যাচ্ছ ইদানীং, আর এদিকে এক তোমাকে মানতে পারি বলেই আমার মনের পুরো পৃথিবীটাই জয় করে বসে আছি সেই কবেই! আমাকে দূরে ঠেলবার ক্রমাগত চেষ্টায় তুমি যতটা ক্লান্ত, তোমাকে কাছে টানবার বিনা চেষ্টাতেই আমি ততোধিক নির্ভার।
  
 ভালো যদি বাসতে শেখো কখনও, সেদিন বুঝবে, ভালোবাসা ও ভালোবাসাহীনতা দুই-ই ঘটে সচেতন বাহ্যিক চেষ্টার অনুপস্থিতিতে। মৃত্যু, প্রেম, প্রেমহীনতা সব‌ই আসে এক অসীম নিরুদ্বেগ বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে, যে বোঝাপড়ায় মনের সাথে আত্মার আন্তরিক কথোপকথন চলতে থাকে নিরন্তর। ভালোবাসা ও মৃত্যু মূলত শব্দহীন মহান সংগীত।
  
 সাত। এ পৃথিবীতে কার‌ও ভালোবাসা না পাওয়ার চাইতে অনেক অনেক অনেক বড়ো দুর্ভাগ্য হচ্ছে কাউকে ভালোবাসতে না পারা। যে মানুষ অনেকের ভালোবাসা পায়, কিন্তু কাউকেই ভালোবাসতে পারে না, তার জীবনের চেয়ে কষ্টের জীবন আর হয় না। ভালোবাসা অনুভব করতে পারার অক্ষমতা মানুষকে অসহায়ত্বের গভীর সমুদ্রে ডুবিয়ে রাখে। কার‌ও‌ জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হৃদয়ে ধারণ করতে পারাটা তীব্র আনন্দের একটা ব্যাপার।
  
 আট। আমি খারাপ, এ যদি তুমি না-ই পারো নিতে মেনে,
 তুমি ভালো, সে তবে আমার বলো কী হবে জেনে?
  
 আমার যা-কিছু খারাপ, বিনা কুণ্ঠায় দেখাতে পারি যাকে,
 সব ছেড়ে ছুড়ে, আমি তার‌ই কাছে যাই, প্রিয় বলি তাকে।
  
 নয়। আমি তোমায়
 রাখি না মনে,
 মনে রাখা যায় হয়েই!
 তুমি আমায়
 থাকো না ভুলে,
 ভুলে থাকা যায় হয়েই!
  
 সময় বয়ে চলে,
 কত অজস্র নামহীন অনুভূতি
 বাড়ে আর ক্রমশ কমে...
 এভাবেই আমরা
 না থাকাতেও যাই তবু থেকেই!
  
 দশ। যে লোক কখনওই আপনার সঠিক কাজের প্রশংসা করে না, কিন্তু ভুল কাজের নিন্দা করার জন্য একদৌড়ে ছুটে আসে, সে লোক আপনার সমালোচক নয়, হেটার। তার কাছ থেকে শেখার বা পাবার কিছুই নেই। এমন ধরনের কাউকে কাছে রাখার‌ও কিছু নেই। সে যদি সরতে না চায়, আপনি নিজেই দূরে সরে যান, দেরি হয়ে যাবার আগেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার সেইসব আত্মীয়-স্বজনদের‌ও দূরে সরিয়ে দিয়েছি বা নিজেই দূরে সরে এসেছি, যাদের কাছে রাখলে বা থাকলে মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। রক্তের সম্পর্কের চাইতে মনের সম্পর্ক অনেক বড়ো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেই দলে আপনার কিছু তথাকথিত বন্ধুও আছে। ওই বন্ধুরা আপনাকে খারাপ থাকতে দেখলেও কষ্ট পায়, ভালো থাকতে দেখলেও কষ্ট পায়। মজার না ব্যাপারটা!? ওরা আসলে চায়টা কী! যে লোক বন্ধুর দুঃখেও দুঃখী, সুখেও দুঃখী, সে লোক প্রকৃতপক্ষে বন্ধুর সুখেই দুঃখী, দুঃখে নয়। অমন কাউকে জীবনে রাখার সত্যিই কি কোনও দরকার আছে?
  
 ভাবনা: আটশো চব্বিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। এ জগতে যার সংগতি যত অল্প, তার ঠাট ও ফুটানি তত বেশি।
  
 দুই। এমন কারুর উপর অধিকারবোধ তৈরি করা যায় না, যার কাছে ওই বোধটুকু বিব্রতকর। অধিকার ব্যাপারটাই দুদিক থেকে আসতে হয়; একদিক থেকে আসে যদি, তবে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব বুঝে বাঁচা ভালো, ন‌ইলে পরে লজ্জায় আর সংকোচে মাথা হেঁট হয়ে যায়। আত্মসম্মানবোধ বিকিয়ে দিয়ে আত্মসমর্পণের কী মানে?
  
 তিন। প্রিয় ভাই/বোন/বন্ধু, শুভেচ্ছা জানাই। একটা কথা। আপনি আমাকে কেন ফলো করেন, আমি সত্যিই জানি না, তবে আমি নিশ্চিতভাবেই এটা জানি যে আপনি আমাকে ফলো না করলেও আমার একপয়সার‌ও ক্ষতি নেই। এর মানে হলো, আপনি আমাকে ফলো করলে আমি টাকা পাই না, বাড়তি শান্তিও পাই না। আমি আমার নিজের ভালোলাগা থেকেই এই পেইজটা চালাই, আপনার ভালোলাগার কোনও দাম আমার কাছে নেই। যদি আমার ভালোলাগার কিছু আপনার‌ও ভালো লাগে, তবে তা নিতান্তই কাকতালীয়। আপনাদের যা সেবা দিয়েছি, তার বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত একটি পয়সাও নিইনি। তাই আপনাদের কোনও ধরনের চাহিদা পূরণের বা তির্যক মন্তব্য/আচরণ সহ্য করার বিন্দুমাত্রও তাগিদ বা দায় আমার নেই।
  
 আমি আপনাকে কোন দৃষ্টিতে দেখি, জানেন? খুব সহজ। আপনার আচরণে কিংবা মন্তব্যে আমি বিরক্ত হচ্ছি কি হচ্ছি না, খেয়াল রাখি। বিরক্ত হলে আমি আপনাকে এমন একটা জায়গায় রেখে দেবো, যেখান থেকে আপনি আমাকে এই পেইজে এসে আর বিরক্ত করতে পারবেন না। ফেইক আইডি খুলে হয়তো পারবেন, তখন আবারও রেখে দেবো। এইটুকু দৃষ্টিতেই দেখি। নিজেকে বার বার বিরক্ত হতে দেখার ইচ্ছে বা সময়, কোনওটাই আমার নেই। আমি কখনও আমার কোনও পোস্ট কাউকে নক করে পড়তে বা দেখতে বলি না, আমার পেইজ/আইডি'টা ফলো করার জন্য এই পৃথিবীর কেউ কখনও আপনাকে অনুরোধ করেনি। আপনি এখানে এসেছেন স্বেচ্ছায়। আপনার কাছ থেকে কিছু শেখার বা গ্রহণ করার তেমন কোনও ইচ্ছে আমার নেই। কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ নিশ্চয়ই আছেন, তাঁদের জন্য এসব যে বলছি না, সেটা তাঁরা জানেন।
  
 কেন? ওই যে বললাম, আপনি এখানে না থাকলেও আমার কোনও কিছুই এসে যায় না। নিজেকে দিয়েই ভাবুন না! যদি এমন কেউ আপনাকে বিরক্ত করে, যাকে আপনি বিরক্ত করেন না, এ জীবনে কখনও বিরক্ত করেননি কিংবা আমৃত্যু বিরক্ত করার কোনও সম্ভাবনাই নেই, তখন আপনার কেমন লাগে? কিংবা যার বিরক্তিকর আচরণ সহ্য করলে আপনার কোন‌ও লাভ নেই, তাকে আপনি জামাইআদর কেন করবেন? আমরা নেহায়েত বাধ্য হলে কেবল তখনই কেউ বিরক্ত করলেও চুপ করে থাকি। ব্যস্ত জীবন; উটকো লোকের পেইন একবার নেওয়া যায়, বার বার নয়।
  
 আমাকে অহংকারী ভাববেন না। আমি আসলে ব্যস্ত। নিজের ব্যস্ততাকে আমি সম্মান করি বলে অপ্রয়োজনীয় কোনও যন্ত্রণা আমি সাধারণত নিই না। এটাকে আপনার কাছে অহংকার মনে হতে পারে, তবে আমার কাছে এটা নিছকই একটা কমনসেন্স। এইটুকু কমনসেন্স বেঁচে থাকার জন্য লাগে, মানে আমার লাগে। আমার দিকে তাকাতে ভালো না লাগলে তাকাবেন না। আমার কাজ বা আমাকে ভালো না লাগলে আমার ধারেকাছেও ঘেঁষবেন না। সহজ হিসেব তো! আপনার কোনও কিছু নিয়েই আমার কোনও আগ্রহ নেই। আপনার ওরকম আগ্রহ আমাকে ভীষণ বিরক্ত করে। এটা কিন্তু কোনও সর্বজনীন নিয়ম নয়, এটা কেবলই আমার নিজের নিয়ম। জীবনটা আমার, তাই নিয়মটাও আমার। আর আমার এমন কাণ্ডকারখানা যদি আপনাকে বিরক্ত করে, তবে আপনি আমাকে ফলো না করলে আপনার আমার দুজনেরই লাভ। আমি এমন কিছু পেইজে পোস্ট করি না, যা না দেখলে আপনি জ্ঞান হারাবেন, মরেই যাবেন, বাঁচাতে পারবে না কেউ!
  
 আমি এরকমই।...সুশান্ত পাল কেন এমন হবে? সুশান্ত পাল কখনওই এমন হতে পারে না! সুশান্ত পাল অমুক রকমের তমুক রকমের হবার কথা! এটা নিশ্চয়ই ফেইক!...আপনার এসব দামি দামি চিন্তাভাবনা আপনার বুকপকেটে ঢুকিয়ে রাখুন। আপনি সত্যিই আমাকে চেনেন না, আমিও আপনাকে চিনি না। আমাকে জাজ করতে আসবেন না। আপনাকে জাজ করার সময়ই তো আমার নেই! অবশ্য থাকলেও করতাম না, মরে গেলেও না। কাউকে জাজ করতে চাইবার চাইতে বাজে মানসিকতা আর হয় না। আমার কাজের রেসপন্সে আমার কাজ নিয়েই কথা বলুন---যদি কথা বলতেই চান, আমাকে নিয়ে নয়। ব্যক্তির কাজের জবাবে কাজ নিয়ে কথা বললে সেটাকে সমালোচনা বলে, ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বললে সেটাকে বিষোদ্গার বলে। সমালোচনা করতে ঘিলু লাগে, বিষোদ্গার যে কেউই করতে পারে।
  
 ধন্যবাদ। সাবধানে থাকবেন, ভালোবাসা নেবেন।
  
 চার। If love is heavenly, peace is heaven. Wherever there is peace, there is heaven, no matter there is love or not. If you love someone, the first and last gift you can give them is peace, not love. When you start thinking that you have got every right to destroy someone's peace in the name of love, it's time to look at your soul, maybe you are just feeding your ego. It's NOT love. Even a relationship without love survives well if and only if there is peace in it. You cannot insist someone to love you only because you love them. It's foolish, it's idiotic, it's ridiculous, it's irrational. Stop uttering all those lovely words to express your unfathomable love. They rather irritate. Feeling irritated is feeling unloved.
  
 Your love is your problem, their no-love is their choice. Your problem cannot marry someone else's choice. Period.
  
 When is love heavenly? Well, it's heavenly only when it's heavenly for both persons, NOT for one of them. Otherwise, it is selfish as it only feeds the soul of the person who finds it heavenly. There is no love between the persons who cannot accept each other exactly in the way as they are. Accepting differences is being in love. If you can accept only the good things or only the things you like about someone, you better stop calling it love. Surely, you or they or both of you will suffer and regret later. Wait and see.
  
 Everyone has some sides that you like. If you cannot make a trade-off between the bright sides and the dark ones they have, never claim that you love them. You don't find any good side in someone? Still you love them? Ahhh so cute...so disgusting! Your true love is good for building thousands of Tajmahals, not for building a relationship.
  
 If you think you can change anyone in your own way by means of your love, please please please do stop watching the Bengali romantic movies like Bhalobasa Dibi Ki Na Bol or the rubbish stuffs like that. Right now! Love follows no logic only when both of the two lovers involved agree to follow no logic. Grow up. Learn to accept the fact that not always not changing means not loving. Never claim that your love is UNCONDITIONAL if, maybe unknowingly, you have your own conditions about it. Use your brain as well while using your heart for someone who uses their brain while using their heart.
  
 Peace is the last word in the world that matters in life. You may disagree. Well, it's fine. Now start disturbing someone who disagrees as well, NOT someone who agrees. I respect all the should-be's and should-not-be's you believe in untill and unless they do not interfere with my peace. Living without peace but dying with love means nothing to me. Maybe it means a lot to you. Okay, I adore your thought. Now, please go somewhere else to love someone else. I would rather hug someone who lets me live in peace than tolerate someone who lets me live in love.
  
 Do I sound weird? Yes, I'm weird. Please leave me alone and go to someone else who is not weird.
  
 ভাবনা: আটশো পঁচিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। ক্রয় জিনিসটা এমন, যেখানে কেবল ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যেই সকল কাজকারবার। বাকিরা সবাই এখানে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। কেনাকাটার ধরনটা যেরকম‌ই হোক না কেন, সেখানে ক্রেতা বিক্রেতার কোনও আপত্তি না থাকলে বাকিদের কিছুই বলার থাকে না। এইটুকু বুঝতে বেশি ঘিলুও লাগে না। সিম্পল! আমি বিভিন্ন পেইজ থেকে ব‌ইকেনার সময় ওরকম কয়েকটা ছাগলের বাচ্চাকে লাফাতে দেখি। ওদের রীতিমতো লাত্থি মেরে তাড়াতে হয়! কিছু মানুষের বেহায়াপনা সত্যিই এপিক লেভেলের।
  
 দুই। প্রতিটি মানুষই একসময় দারুণ অভিনয় করা শিখে যায়। ফিটফাট পোশাকের অন্তরালে আস্ত একটা মৃতদেহ লুকিয়ে রাখতে শিখে যায়।
  
 হায়, কড়া মেকআপের আস্তরণে কত ভঙ্গুর স্বপ্ন দিব্যি ঢালাই হয়ে যায় একনিমিষেই, দামি পারফিউমের সুঘ্রাণে লোকে কত কত না-পাওয়া হেসে উড়িয়ে দেয়, ব্রান্ডেড কাজল, মাশকারা, আইলাইনার কিংবা আকর্ষণীয় লেন্সের চাপে কত কত সমুদ্র অশ্রুবিন্দু ঠিক ঢাকা পড়ে যায়, ডিএসএলআর-এর হাই-রেজ্যুলেশন ছবির পেছনে কত বিধ্বস্ত পোড়া হৃদয় অন্ধকারে ডুবে ডুবে ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে যায়, সেসবের খোঁজ এই শো-অফের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ধরা পড়ে না!
  
 আমরা কেউ সত্যিমিথ্যে জানতে চাই না, আমরা সবাই কেবল বাহ্যিকটাই দেখতে চাই, ওইটুকু দিয়েই জাজ করতে চাই, সিদ্ধান্তে এসে যেতে চাই।
  
 'লাইফ ইজ বিউটিফুল!' লাইনটি পোস্ট করে কেউ একজন লাইট অফ করে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে।
  
 'আই অ্যাম দ্য হ্যাপিয়েস্ট সৌল অন আর্থ!' লিখে কেউ কেউ সুইসাইডের নতুন প্ল্যানটা করছে।
  
 কেউবা কাউকে 'তুমিই আমার জীবনের প্রথম ও শেষ মানুষ।' লিখে পাঠিয়ে আরেকজনের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ছে।
  
 কেউ তো...যাকে 'তুমি মরলেই আমি বাঁচি!' বলছে প্রতিটি মুহূর্তেই, রোজকার প্রার্থনায় সে-ই আবার স্রষ্টার কাছে দুইহাত জোড় করে সেই তুমি'র জন্য আয়ুভিক্ষা করছে।
  
 এই পৃথিবীটা কান্নার এক অদৃশ্য সমুদ্র। লোকে এখানে দুচোখে আফসোস লেপটে রেখেও ঠিক হাসতে পারে। কেউ কেউ বুকের মধ্যে ভালোবাসার আবাদ করেও চোখের কোণ থেকে নিঃস্পৃহতা ছুড়ে মারতে পারে। না জেনে, না বুঝে জাজ করে ফেলবেন না। কারও জীবনে তারই মতো করে বাঁচতে না পারলে সে জীবন নিয়ে রায়টা ভুল করেও দিয়ে বসবেন না যেন!
  
 মানুষে মানুষে দূরত্ব এমনিতেই অনেক বেশি। ওটাকে আরও বাড়িয়ে কী হবে!
  
 মানুষ ঠিক চেনা যায় না। কাউকেই ঠিক বোঝা যায় না। অনুমান করা যায় মাত্র। বাইরে থেকে দেখে সত্যিই কিছু বলে ফেলা যায় না। অনেক কথা থেকে যায়, অনেক অর্থ দেখতে অনর্থের মতোই লাগে। আবার অনেক অনর্থকে অর্থ ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। জীবন সরল পথে চলে না। আমরা যেন এসব সত্য সবসময়ই মাথায় রাখি।
  
 এ পৃথিবীটা আসলেই একটা রঙ্গমঞ্চ। এখানে সবাই-ই, শেষঘণ্টাটি বেজে উঠছে না যতক্ষণ, ততক্ষণই, কতই-না নিখুঁতভাবে অভিনয় করে যাচ্ছে! একেকটা ভূমিকায় একই মানুষটিই একেক রকম অবয়বে ধরা দিচ্ছে। যে যত নিপুণভাবে অভিনয়টা করতে পারবে, পার্থিব বিচারে সে তত বেশি সফল হবে।
  
 না, আপনি আমায় চেনেন না।
 না, আমিও আপনাকে চিনি না।
 আমাকে নিয়ে আপনার সমস্ত অনুমান মিথ্যে।
 আপনাকে নিয়ে আমার সমস্ত অনুমান মিথ্যে।
 আসুন, আমরা এই সহজ সত্যটা এই মুহূর্তেই মেনে নিই!
 অনুমান কিংবা মিথ্যার চাইতে নীরবতা সুন্দর।
  
 তিন। একটা সময় পরে গিয়ে মানুষ আসলে সুন্দরী মেয়ে কিংবা বড়োলোক ছেলে আর খোঁজে না, বরং গাছের মতন ধীর-স্থির-দায়িত্বশীল একজন মানুষ খোঁজে, যার ছায়ায় আশ্রয় নেওয়া যায়।
  
 যে প্লেবয় ছেলেটি তেরোটা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘোরে, সে-ও দিনশেষে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতে দিতে একজন বিশ্বস্ত মানুষ চায়। যে মেয়েটি পোশাকের মতো দুদিন পর পর বয়ফ্রেন্ড চেইন্জ করে, সে-ও একসময় ক্লান্ত হয়ে মনে মনে খুব করে স্থায়ী কাউকে চায়।
  
 পুরুষ চায়, এমন কোনও নারী তার জীবনে সেইফ-হোম কিংবা কমফোর্ট-হোম হয়ে আসুক, যাকে সে সবটা দিয়ে বিশ্বাস করতে পারবে, যে তার বাউন্ডুলে জীবনটাকে একটু গুছিয়ে দেবে।
  
 নারীও চায়, জীবনে এমন কেউ আসুক, যে মানুষটি তার জীবনে গাছের মতন শেকড় গেড়ে থেকে যাবে, যে তার এলোমেলো জীবনটাকে সাজিয়ে দেবে।
  
 দিনশেষে মানুষ থিতু হতে চায়।
  
 পুরুষ চায় স্বস্তি, মায়ের মতো স্নেহ। নারী চায় ভরসা, বাবার মতো ছায়া।
  
 প্রেম, ভালোবাসা কিংবা যৌনতা সবই মিলে, প্রায়ই কেবল বিশ্বাস বা ভরসাটা আর মিলে না। এক বালতি দুধে একফোঁটা লেবুর রসের মতো গণ্ডগোলটা ঠিক এখানেই বেধে যায়, এখানেই হিসেবের খাতায় গরমিলটা হয়ে যায়। এখান থেকেই হয়ে যায় একাকিত্ব আর শূন্যতার সূত্রপাত।
  
 এজন্যই ডজনে ডজনে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকার পরেও কেউ কেউ ভীষণ রকমের শূন্য, আবার কেউ কেউ স্রেফ একজন মানুষ নিয়েও শতভাগ, কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আবার কেউবা জীবনে সঠিক মানুষটি ঠিকই আসবে, তার অপেক্ষায় বছরের পর বছর একা একা কাটিয়ে দেয়।
  
 জীবন একদিকে দেয়, আরেক দিকে কেড়েও নেয়। যোগে বিয়োগে হিসেব অবশ্য মিলেই যায়।
  
 চার। তোমাকে দেখতে না পেলে সেদিন ঠায় মরে যাব।
 তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে না পেলে কিছুই কখনও শুনতে ইচ্ছে করবে না আর।
 তোমার নরম চুলের স্রোতে ভেসে ভেসে যেতে পারি অনন্তকাল।
 তোমার শহরে বাঁচতে পারলে এ জীবনে বোধ হয় চাইতাম না আর কিছুই।
 তোমার প্রার্থনাতে থাকছি বলেই বেঁচে আছি আজ‌ও।
 তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে পার করে দিতে পারি কয়েক হাজার বসন্ত কিংবা শীত, এই বেকারত্ব বয়ে বয়েও।
 তোমার ইশারায় সাড়া দিতে গিয়ে মৃত্যু এলেও পিছপা হব না এ জীবনে।
 তোমাকে না পেলে সবকিছু পেয়েও পাওয়া হবে না কণামাত্র‌ও।
 তোমাকে পাবার বিনিময়ে জীবনের পুরোটা অর্জন বিসর্জন দিয়ে দিতে পারি হাসিমুখে।
 তোমাকে ভুলতে হবে, এমন ভাববার চাইতে বড়ো আত্মপ্রতারণা আর কিছু নেই।
 তোমাকে না ভেবেও একটা জীবন আরেকটা জীবনে টেনে নিয়ে যেতে পারি শেষপর্যন্ত, এরকম হয় না সত্যি সত্যি।
  
 ভাবতাম তো এমনি করেই!
 ভাবিয়েছ, তাই ভেবেছি। কিংবা ভেবেছি, তাই ভেবেছি।
 আজ বুঝি, মানুষের সমস্ত ভাবনাই মূলত সময়ের দাবি।
 কেউ কেউ মরতে মরতেও বেঁচে যায়। কেউ কেউ বাঁচতে বাঁচতেই মরে যায়।
  
 তুমি ভালো আছ, আমি বেঁচে আছি।
 ভুলতে পারা আর ভুলতে চাওয়া, এ দুইয়ের মাঝের সাঁকোটায় সেই কবে থেকে হাঁটছি আর হাঁটছিই...
 মৃত্যু খুঁড়ে খুঁড়ে এমন বাঁচার নাম‌ই যে প্রেম!
  
 পাঁচ। ঠেকে শেখো। খেটে খাও।
 দিয়ে নাও। নিয়ে দাও।
 হাসতে কাঁদো। কাঁদতে হাসো।
  
 বাই দ্য ওয়ে, এরকম করে পেইজে গ্রুপে ইনভাইট করতে হয় না। বেঁচে আছেনই যখন, তখন একটু লজ্জাশরম থাকলে ভালো।
  
 ছয়। অন্যের বুদ্ধিতে অল্প বিপদে পড়ার চাইতে নিজের বুদ্ধিতে বেশি বিপদে পড়াও ভালো। এমনকি খুব কাছের কার‌ও বারণ শুনে পরবর্তীতে আফসোস করার চাইতে নিজের মনের রাস্তায় চলে সারাজীবন দুঃখ পাওয়াও ভালো।
  
 ভাবনা: আটশো ছাব্বিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। তুমি ভুলে থাকো বলে
 কষ্টে মরে যেতে যেতেও...
 তবু বেঁচে তো থাকি!
  
 তুমি মনে রাখলে হয়তো---
 অতটা সুখভারে...
 একদিন সত্যিই মরে যেতাম!
  
 দুই। কী এক জ্বালা! পরীক্ষা খারাপ হলে পড়াশোনা করেও 'অনেক পড়াশোনা করেছি!' এটা বলেও কোনও লাভ নাই। আর পরীক্ষা ভালো হলে পড়াশোনা না করেও 'অনেক পড়াশোনা করেছি!' এটা বললেও কোনও সমস্যা নাই।
  
 তিন। Better asses fart better.
  
 চার। The more they write 'classics', the more they disturb others. Anyone can write, it never means that anyone should.
  
 A writer cannot create a reader, but their writings can. You write? Great! I respect you as long as you don't pull me by my collar to your writings. (...sounds like a dog-reader, huh?) I know you write classics, Sir! I'd throw some Nobel Prizes on your face if I could. Now stop your literary whining for God's sake!!
  
 (... dedicated to the writers who believe in push marketing/ push selling)
  
 পাঁচ। আপনার ব্যক্তিগত আনন্দ নিয়ে কাউকে আনন্দিত হতে বাধ্য করবেন না।
 আপনার ব্যক্তিগত দুঃখ নিয়ে কাউকে দুঃখিত হতে বাধ্য করবেন না।
 মানুষ চাপিয়ে-দেওয়া উচ্ছ্বাস গ্রহণ করতে হলে বিরক্ত হয়, সে আপনার যত‌ই কাছের‌ হোক না কেন, কেবল সম্পর্কের প্রতি সম্মান দেখিয়ে (কখন‌ওবা কোনও স্বার্থে কিংবা ভয়ে) মুখে কিছু বলতে পারে না। আপনি খুশিতে নাচতে চাইলে নাচুন না! কেন অন্যকে বলতে যাবেন, অ্যাই! তুমিও নাচো! হাসি পায় এসব দেখলে। কাঁদতে চাইলেও একাই কাঁদুন। আপনার কান্নার সমস্ত দাম এক আপনার কাছেই।
 তবে হ্যাঁ, কেউ যদি নিজ থেকে কিছু করে---সে যা-ই করুক, আপনার হাসি বা কান্না দেখে, সেটা ভিন্ন কথা।
 সত্যিটা হলো, যদি আপনার সময়ের দাম থাকে, তবে আপনার পক্ষে কোনও কিছুই বিনামূল্যে দেওয়া বা নেওয়া সম্ভব নয়।
  
 ছয়। Let the idiots stay happy with whatever the hell they assume about you. Beware of the idiots who conclude on the basis of assumption.
  
 সাত। The more you explain yourself to the people who don't deserve your explanation, the more you invite idiots to your life.
  
 আট। No Facebooking or dating during studying.
 No studying during Facebooking or dating.
  
 Why?
 As Facebooking or dating is much more pleasant than studying, you switch to Facebooking or dating in the first case reducing the time of studying, and you extend the time of Facebooking or dating in the second case not switching to studying at all.
  
 Always you invent some excuse to defend your stand in both cases. Your excuses, your failures, your life.
  
 Studying is disgusting. Studying is essential. Therefore, studying is not disgusting. Simple!
  
 Studying is not a pleasant thing. No worries, it never was, it never will be. So, neither who studied nor who will study had or will have any extra advantage over you. Don't blame your fate, blame your habit.
  
 You may feel angry when you look at the successful people. Be very sure that your precious anger is going to take you nowhere. Feel angry with yourself. This is the best technique that works. Even when you say bad things about a star, it does not shine any less.
  
 Never claim that success is not the only important thing on earth, there are other things more important than success. All know this truth, you have not discovered something that might bring you a Nobel Prize. Most unsuccessful people talk like that. Successful people simply remain silent. And their silence says everything. Well, sometimes they also talk like that and all agree they have got every right to talk like that. It's no use saying beauty is not everything when you are ugly. Period.
  
 Either your cellphone or your book, NOT the both. It's the only golden rule.
  
 নয়। তুমি বলো, প্রেম? সে তো অমর!
 প্রেম বলে, শালা, মর্ তুই!...মর্!
  
 প্রেম কাউকে কাউকে অমর করে দেয়...বাকিরা বেঁচে থাকে।
  
 দশ। ওরে মূর্খ, চটজলদি তোর প্রেমের পারদ নামা,
 নয়তো প্রেমিকার ছেলেই ডাকবে তোকে মামা!
  
 এগারো। পড়াশোনা ফেলে বা পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে প্রিয় মানুষটিকে সারাক্ষণ‌ই সময় দিচ্ছ, ভালো কথা। পরে যখন সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তোমাকে ফেলে অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলবে এই যুক্তিতে যে তার সাথে তোমার ক্লাসটা ঠিক যায় না, তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কি একবারও ভেবে দেখেছ? কী পেলে এ জীবনে? না পেলে ভালোবাসার মানুষটিকে, না পেলে প্রতিষ্ঠা! তখন তো অন্য কারুর সামনে দূরে থাক, নিজের বিবেকের সামনে দাঁড়িয়েও কোনও সদুত্তর দিতে পারবে না! জানি, পড়াশোনা করার চাইতে প্রেম করা অনেক সোজা, তবু মাথায় রেখো, হঠাৎ করেই দুই থেকে এক হয়ে যাওয়ার তীব্র ধাক্কাটা সামলানো আরও অনেক অনেক কঠিন, তার চাইতে বরং পড়াশোনা করাই ঢের সোজা। প্রেম মহান করে অসাধারণ মানুষকে, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভালো একটা চাকরি বা ব্যবসা না থাকলে মহত্ত্ব ভয়েই আমাদের ধারেকাছেও ঘেঁষে না! নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলো যাতে কেউ তোমাকে ছেড়ে চলে যাবার সময় বলতে না পারে যে তুমি তার যোগ্য ন‌ও বলেই সে বেটার অপশনের খোঁজ পেয়ে কাজটা করছে। ছ্যাঁকাও সহ্য করা যায়, তবে অপমান সহ্য করা খুব কঠিন।
  
 পুনশ্চ। বর্তমান বাজারে প্রতিষ্ঠা জিনিসটা প্রেমের মতো সেরদরে বিক্রি হয় না। আশেপাশে যত বিবাহিত লোকজনকে দেখছ, তাদের প্রায় সকলেই বিয়ের আগে অন্য কারও প্রেমিক-প্রেমিকা ছিল। তারাও তোমার মতো করেই একসময় ভাবত, এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে ডট ডট ডট!
  
 বারো। যদি কারও জন্য আপনার তীব্র ভালোবাসা কিংবা আপনার জন্য কার‌ও তীব্র ভালোবাসা তাকে কিংবা আপনাকে পড়াশোনাই করতে না দেয়, তবে তার কিংবা আপনার উচিত দেরি হয়ে যাবার আগেই ব্রেক‌আপ করে ফেলা, কেননা ঠিকমতো পড়াশোনা করে একটা ভালো চাকরি পাবার বা জীবনে ভালো কিছু করতে পারার সম্ভাবনা ভবিষ্যতে আপনাদের ব্রেক‌আপ না হবার সম্ভাবনার চাইতে অনেক অনেক অনেক বেশি। তা ছাড়া ভালোবাসার ঠ্যালার চেয়ে পড়াশোনার ঠ্যালা অনেক আরামের। জানেন‌ই তো, ভালোবাসার সুযোগ আজীবনের, চাকরির পরীক্ষা দেবার সুযোগ মাত্র তিরিশ বছর পর্যন্ত! প্রেম-ভালোবাসা মানুষকে অমরত্ব দান করে, আর চাকরি-বাকরি মানুষকে জীবন দান করে। বিয়ের বাজারে একজন উত্তম প্রেমিক বা প্রেমিকার চাইতে একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষের আদর-কদর বেশি। ভালোভাবে প্রেম করার চাইতে ভালোভাবে বেঁচে থাকা অধিক জরুরি।
  
 তেরো। বিয়ের আগে:
 প্লিজ, চুপ করে থেকো না, বাঁচতে কষ্ট হয়!
  
 বিয়ের পরে:
 প্লিজ, চুপ করে থাকো, বাঁচতে কষ্ট হয়!
  
 বিয়ের আগে কি পরে,
 তোমরা যে যা-ই কিছু বলো না,
 সম্পর্ক মানেই জলজ্যান্ত করোনা!