ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা: ১২০

  
 
  
 ভাবনা: আটশো চৌত্রিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। লিখতে চাইলে, আপনি যা লিখতে চাইছেন, তা আগে নিজের অনুভবে নিয়ে আসতে হবে। তারপর আপনার অনুভূতিকে কিছু শব্দের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে হবে। অনুভূতির সততা লেখাকে জীবন্ত করে দেয়।
  
 মনে হতে পারে, কাজটা সহজ। কিন্তু আসলে তা নয়।
  
 বেশিরভাগ মানুষই মনে করে, তারা অনুভব করতে পারে। কেউ তা বিশ্বাস করে, কেউবা ধরেই নেয়, হ্যাঁ, এই মুহূর্তে আমি যা ভাবছি, তার নামই অনুভব করা। কিন্তু এ সবই প্রকৃতপক্ষে ভাবনা, বিশ্বাস কিংবা জ্ঞান।
  
 অনুভব জিনিসটা ভিন্ন কিছু। অনুভব করতে না জানলে লেখালেখি করা যায় না। হ্যাঁ, অনুভব করতে জানতে হয়। এটা শেখা যায়, তবে শেখানো যায় না।
  
 আপনি চাইলেই বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ভাবতে পারবেন, অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্বাস করতে পারবেন, পড়াশোনা বা জানাশোনার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলেই কোনও একটা ব্যাপার অনুভব করতে পারবেন না। আবার অনুভব করতে একবার শিখে ফেললে অনুভব না করে থাকতে পারবেন না। এ এক মায়াজালের মতো।
  
 কেউ চাইলে আপনাকে শেখাতে পারবে কী করে ভাবতে হয়, কী করে বিশ্বাস করতে হয় কিংবা কী করে জানতে হয়। কিন্তু অনুভব কী করে করতে হয়, তা আপনাকে কেউ শেখাতে পারবে না।
 যখন আপনি কিছু একটা নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনি নিশ্চয়ই ভাববার একটা রাস্তা বেছে নিয়েছেন, যে রাস্তাটা আপনার নিজের বানানো নয়। আপনি যা বিশ্বাস করছেন, তা আপনার আগেও অনেকেই বিশ্বাস করেছে। আপনি যা জেনেছেন, আপনিই প্রথম ব্যক্তি নন, যিনি তা জেনেছেন। কিন্তু আপনি যখনই কিছু একটা অনুভব করছেন, তখন অনুভব করার সেই কাজটা আপনি নিজের সমস্ত সত্তা দিয়ে করছেন, যেখানে এক আপনি বাদে আর কারুর বিন্দুমাত্রও কোনও ভূমিকা নেই।
  
 যারা সম্পূর্ণ নিজের মতো করে অনুভব করতে পারে না, তাদের পক্ষে লেখালেখি করা অনেকটাই অসম্ভব। আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করি, যে পৃথিবী আমাদের সারাক্ষণই শেখাচ্ছে কী করে অমুকের মতো হতে হবে, কী কী করলে পরে তমুকের মতো হওয়া যাবে। তাই এখানে থেকে নিজের মতো করে বেঁচে থাকবার লড়াইটা পৃথিবীর বিরুদ্ধে গিয়েই করতে হয়। নিজের একান্ত অনুভূতির প্রতি পুরোপুরি সৎ থাকবার এই যে যুদ্ধ, এটা বরাবরই চিরন্তন। এর খোঁজ যারা পায়নি, বেঁচে থাকতে তাদের কষ্ট করতে হয় অনেক কম।
  
 অন্যরা যা ভাবে, তা বলে দেওয়া সহজ।
 অন্যরা যা লেখে, তা লিখে ফেলা সহজ।
 অন্যরা যেভাবে বাঁচে, সেভাবে বেঁচে থাকা সহজ।
 অন্যরা যা অনুভব করতে পারত, তা লিখে ফেলা কঠিন।
 আমি নিজে যা অনুভব করি, তা লিখে ফেলা কঠিন।
 লেখকেরা উপরের শেষ দুটো কাজ করতে পারেন। কাজটা সহজ নয়। নিজের ও অন্যের অনুভব বোঝা ও তা লেখা যদি সহজ হতো, তবে এ পৃথিবীতে দুঃখী মানুষের সংখ্যা হয়ে যেত অগণিত।
 এই যে লেখালেখি, তা করতে গিয়ে একজন লেখককে যে কষ্টটা করতে হয় শুরুর দিকে, তা সম্পর্কে, যারা লিখতে পারে না, তারা অনুমানও করতে পারবে না। একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে অবশ্য কাজটা, সহজ না হলেও, লেখকের মন ধীরে ধীরে তা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
 লেখকের মন অন্যদের সাথে মেলে না। এখানে 'অন্যদের' বলতে, লেখক যখন লিখছেন না, তখন তিনি যে মানুষটা, তাকেও বুঝিয়েছি। অর্থাৎ লেখক যখন লিখছেন, তখন তিনি যা, অন্যান্য সময়ে তিনি কোনোভাবেই তা নন।
  
 লেখকের দিনযাপন বিষাদের। চোখের সামনে একটা সাদা কাগজ আর গোটা পৃথিবী। এই দুইয়ের মধ্যে একধরনের প্রেমের, দ্রোহের কিংবা নিঃস্পৃহতার সম্পর্ক স্থাপন করানোর কাজটা লেখককে করতে হয়। এ এক মায়ার ফাঁদ, যে ফাঁদে তিনি আমৃত্যুই স্বেচ্ছায় আটকে থাকেন।
 কাজটা কঠিন মনে হচ্ছে? হয়তোবা তা-ই!
  
 এই প্রশ্নটা একজন লেখককে জিজ্ঞেস করে দেখুন। তাঁর উত্তর এরকম কিছুই হবে: কাজটা মৃত্যুর চাইতে সহজ বোধ হয়।
  
 যদি উত্তরটা ভিন্ন কিছু হয়, তবে তিনি সম্ভবত লেখকই নন।
  
 দুই। আমরা বেশিরভাগ মানুষই একটা ভুল করি।
  
 যারা সত্যি সত্যি বেয়াদব, তাদের বেয়াদব বলে সন্দেহ করি।
 যারা সত্যি সত্যি আমাদের হেটার, তাদের হেটার বলে সন্দেহ করি।
 যারা সত্যি সত্যি ক্ষতিকর, তাদের ক্ষতিকর বলে সন্দেহ করি।
 যারা সত্যি সত্যি মূর্খ, তাদের মূর্খ বলে সন্দেহ করি।
 যারা সত্যি সত্যি অপদার্থ, তাদের অপদার্থ বলে সন্দেহ করি।
 যারা সত্যি সত্যি বেআক্কেল, তাদের বেআক্কেল বলে সন্দেহ করি।
 যারা সত্যি সত্যি ছোটোলোক, তাদের ছোটোলোক বলে সন্দেহ করি।
  
 আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের সিক্সথ-সেন্স প্রথম বিবেচনায় যাদের যা বলে সন্দেহ করে, প্রায় সময়ই, ওরা সত্যি সত্যি তা-ই। যাকে বেয়াদব মনে হয়, তাকে বেয়াদব মনে হওয়া-হওয়ির কিছু নেই আসলে, সে একটা ভেজালমুক্ত বেয়াদবই! বেয়াদবকে জায়গা দেওয়ার কোনও মানেই নেই। প্রায় ৯৮% ক্ষেত্রেই আমাদের সিক্সথ-সেন্স মানুষ সম্পর্কে যা বলে, তা-ই হয়। তাই প্রথমেই যাকে যা মনে হয়, তাকে তা ভেবেই মানসিক পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে ফেলা ভালো---সে ইট মেরে আপনার মাথাটা ফাটিয়ে দিয়ে পালানোর সময় যাতে পাটকেল ছুড়ে তার ঠ্যাঙটা ভেঙে দিতে পারেন।
  
 বলতে পারেন, ওই যে ২%-এর বেলায় মন ভুল করে, তার বেলায়?
 এর উত্তর হচ্ছে, ৯৮টা বেয়াদবকে জীবন থেকে সরাতে গিয়ে যদি ২টা ভালোমানুষ তার সাথে ভুলবশত সরে যায়, তবে কোনও অসুবিধে নেই। কেননা মাত্র ২টা বেয়াদব আপনার জীবনে যা ক্ষতি করতে পারে, তার অর্ধেকও উপকার করার ক্ষমতা বা ইচ্ছে কোনোটাই ওই ৯৮টা ভালোমানুষের নেই। ভালোমানুষেরা সাধারণত নিরীহ ও স্বার্থপর প্রকৃতির হয়। আগেও একটা পোস্টে বলেছি, আবারও বলি: আমরা বিপদে পড়ি গুটিকয়েক খারাপ লোকের সরবতার কারণে নয়, অসংখ্য ভালো লোকের নীরবতার কারণে।
  
 জীবনে যাকে রাখার দরকার নেই, তাকে রেখে দিলে তার জন্য আপনাকে চড়া মূল্য দিতে হবে। দ্বিতীয় বার না ভেবেই তাকে জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিন, কিংবা তা করা সম্ভব না হলে নিজেই তার কাছ থেকে দূরে সরে আসুন। দেখবেন, ভালো থাকবেন।
  
 তিন। দুঃখী হ‌ওয়ার চাইতে বরং লোকের চোখে অহংকারী হ‌ওয়াও ভালো।
 
 
 যে বিনয় দুঃখ আনে, তা বিনয় নয়, দুর্বলতা।
  
  
 চার। যত মানুষ, তত ফানুস!
  
 পাঁচ। একটা সিম্পল লাইফ-হ্যাক শিখিয়ে দিই, কেমন?
  
 যাকে আপনার কোনও একটা তথ্য দেওয়ার দরকার নেই, কিংবা সেই তথ্যটি যার জানার কোনও দরকারই নেই, তাকে কখনওই সেই তথ্যটি দেবেন না।
  
 এ কারণেই অপরিচিত কেউ আমার ওয়ালে বা ইনবক্সে এসে আমার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ (চাকরি, পরিবার ইত্যাদি) নিয়ে একটাও কথা বলার চেষ্টা করলেও আমি খুবই বিরক্ত হই। আর এক বার বিরক্ত হলে পুনরায় বিরক্ত করার সুযোগটা আমি তাকে আর দিই না। আমি যতটুকু নিজ থেকেই জানাব, আপনার শুধুই ততটুকু জানার সুযোগ আছে। এর বাইরে জানতে পারে যারা, আপনি তাদের মধ্যে পড়েন না।
  
 এই টেকনিকটা আপনিও ফলো করে দেখতে পারেন। শান্তি কিছুটা হলেও বাড়তে পারে।
  
  
 ভাবনা: আটশো পঁয়ত্রিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। আমরা কেমন জানি!
 যে পালাতে চায়, তাকে পালাতে দিই না।
 যে ফিরতে চায়, তাকে ফিরতে দিই না।
 যে এই দুইটার একটাও চায় না, তাকে গুঁতাই, খালি গুঁতাই!
  
 লোকে বলে, সুখে থাকতে ভূতে কিলায়!
 একদমই ভুল কথা! সত্যটা হচ্ছে, সুখে থাকলে আমরাই ভূতকে কিলাই!
 আমরা সুখও সহ্য করতে পারি না, দুঃখও সহ্য করতে পারি না।
 আমরা বুঝিই না যে কী সহ্য করা উচিত আর কী সহ্য করা উচিত নয়!
  
 দুই। আমার চেহারা নাহয় একটু কালোই ছিল,
 আমাকে প্রায়ই ডাকতে কাক!
 আমরা দু-জন মিলে তোমার বরের ভুঁড়ি,
 আবার মাথায়ও দেখি টাক!
 তোমার কালোতে এত অ্যালার্জি, তাই
 বরের ফরসা মাথা, চুল একটাও নাই!
  
 তিন। কেন অমন যুক্তি দেখাও, মুক্তি খোঁজো,
 করো ভুলে যাবার বায়না?
 আমি তো এখন দূরের মানুষ,
 তোমার আপন কেউ হই না!
  
 চার। ঈদ মোবারক! ঈদ মুবারক! ইদ মোবারক! ইদ মুবারক!
  
 আপনাদের সবার কাছ থেকে অসংখ্য শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ। কারও কাছ থেকেই দাওয়াত পাইনি। পেলে খুশিতে আপ্লুত হতাম। আর কারও কাছ থেকে এক-শো টাকাও সালামি পেলে তো রীতিমতো আবেগে কেঁদে ফেলতাম!
  
 আপনাদের অনেক ভালোবাসি। পরের বার, মনে করে, ভালোবাসা নিয়ো, সালামি দিয়ো!
  
 আপনাদের শুকনো ভালোবাসা আমার দু-চোখ ভিজিয়ে দিয়েছে। চোখের পানি ফেলতে ফেলতে ভেবেছি, আমাকে যারা ভালোবাসে, তাদের সবাই-ই এত কিপটে! কেউ বাদ নেই! সামনে কিপটে, পেছনে কিপটে, ডানে কিপটে, বাঁয়ে কিপটে! আহা আহা, একেই বুঝি বলে ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে আত্মিক বন্ধন! পোস্টটা লিখতে গিয়েও আমি কাঁদছি...জানি না এ কান্না কবে থামবে! কিপটে লোকের ভালোবাসার জয় হোক!
  
 সবাই সুস্থ থাকুন।
  
 পাঁচ। ওই বন্ধ নম্বরটিতে বিশেষ একটি দিনে আমি ‘শুভ জন্মদিন’ লিখে পাঠাতাম, অনেক বছর পাঠিয়েছি। বৃষ্টি নেমে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তের অপূর্ব আলো-হাওয়ায় রিকশার একপাশে সরে বসে মানুষটির পছন্দের রাস্তাগুলো ধরে একা একাই ঘুরে বেড়িয়েছি বহু বহু দিন। নিরামিষ খেতে ভালো লাগে না যদিও, তবু আমি নিরামিষ রেস্টুরেন্টে গিয়ে জানালার ধার ঘেঁষে ওই পুরনো চেয়ারটিতে বসেই নিরামিষ দিয়ে ভাত খেয়েছি, প্রতি মাসে অন্তত এক বার। এই আমিই আমার অপছন্দের বড়ো লাল টিপ পরে আয়নার সামনে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতাম। একসময় কেউ একজন আমাকে লাল টিপে দেখতে চাইত। আর হ্যাঁ, আমি আজও হাই-হিল পরি না, হাই-হিল ছিল সেই মানুষটির কাছে ভীষণ বিরক্তিকর এক ব্যাপার। আমি এখনও আমার অসীম ইচ্ছেকে দমিয়ে রেখে শুধু বৃষ্টি দেখি, ওতে ভিজি না। সে ছাদে দাঁড়িয়ে আমার বৃষ্টিতে ভেজাটা পছন্দ করত না। আমার খুব পছন্দের ন্যুড কালারের লিপস্টিকটা আমি সেদিন থেকে আর দিই না, যেদিন সে বলেছিল, ‘যাদের ঠোঁট অমন সুন্দর, তারাও যখন লিপস্টিক দেয়, তখন নিজের সৌন্দর্যের সাথে খুব অন্যায় করা হয়।’
  
 কেউ একজন আমাকে মজা করে মাইকেল জ্যাকসনের মতন সেজে ছবি তুলতে বলেছিল। অবিকল ওরকম করে সেজে আমি ছবিও তুলেছিলাম, বাড়ির কেউ দেখে ফেলবে বলে লুকিয়ে রেখেছি। ২০১৬ সালের সেই ডায়েরিটা খুললেই দেখি, তার এ-পৃষ্ঠায় ও-পৃষ্ঠায়, সামনে-পেছনে, দাঁড়িতে-কমাতে, কলমের কালিতে, শব্দে শব্দে শুধুই সেই মানুষটির ঘ্রাণ লেগে রয়েছে। বয়স বাড়লেও আমি পালটে না যাওয়ার শপথ করেছিলাম, অনেকটা জোর করেই নিজেকে আগের বয়সে বেঁধে রেখেছিলাম। মনে ভয় ছিল, যদি আমার সেই মানুষটি আবার ফিরে আসে? ফিরে এসে যদি আমার বদলে-যাওয়া নতুন রূপটি মেনে নিতে না পেরে চলে যায়?
  
 কিন্তু ইদানীং অনেক কিছুই আমাকে বড্ড ভাবায়।
  
 আমি আজকাল ভাবি, কাজলে দু-চোখ ভরেও, চোখে চোখ রেখে কথা বলার পরেও যে মানুষটির চোখেই পড়িনি, এমন কোন কারণ আছে, তার জন্য বৃষ্টিকে উপেক্ষা করার?
 আমার খোলা-চুলের ঘ্রাণ যার নাক পর্যন্ত পৌঁছাবার রাস্তাই খুঁজে পায়নি কোনওদিন, তার জন্যে এত যত্নে ঢেউ-খেলানো চুলগুলো আলগা রেখে, বিবাগিনি হয়ে একলা ঘুরে বেড়ানোর কী মানে?
 আমার কোমল পায়ের আলতা যার মনে স্নিগ্ধতা আনতে পারে না, তার জন্য আমি নিজের পছন্দের লিপস্টিক দেওয়া কেন ছেড়ে দিয়েছিলাম?
 কপালের টিপ সরিয়ে যে কখনও চুমু খেতে জানত না, সেই মানুষটিকে স্মরণ করতে গিয়ে আমার এমন নিরামিষ খাওয়ার কী ব্যাখ্যা?
 একটিও ছুটির দিনে একটুখানি সময় যে মানুষটি আমার কথা শোনার জন্য বের করতেই পারল না, তার জন্য কেন আমি চিৎকার করে এত কাঁদব?
 যে মানুষটির ভালোবাসা বিছানায় শুরু হয়ে বিছানাতেই শেষ হয়, তার জন্য একগাদা ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালের বিছানায় গড়াগড়ি খাওয়ার আগে আমার কি আর এক বার ভেবে দেখা উচিত ছিল না?
  
 মানুষ ভুল মানুষের প্রেমেই পড়ে। আমিও পড়েছিলাম।
 মানুষ ভুল মানুষের জন্যই কাঁদে। আমিও কেঁদেছিলাম।
 মানুষ ভুল মানুষের কথাই মানে। আমিও মেনেছিলাম।
 মানুষ ভুল মানুষের পথেই চলে। আমিও চলেছিলাম।
 মানুষ ভুল মানুষের সঙ্গেই বাঁচে। আমিও বেঁচেছিলাম।
  
 মানুষ ভুল মানুষের কাছেই জীবনের সবচাইতে সঠিক শিক্ষাটি পায়। আমিও পেয়েছি। পেয়েছি বলে মানুষ চিনতে ভুল আজ আর করি না। আগে ভাবতাম, আমি মানুষটিকে হারালাম। আজ বুঝি, মানুষটিই আমাকে হারাল! আগে নিজের ভাগ্যের কথা ভেবে দুঃখ হতো। আর এখন মানুষটির দুর্ভাগ্যের কথা জেনে করুণা হয়। যার চোখে কখনও আমার জায়গা হয় না, তাকে ভেবে ভেবে চোখের জল ফেলার চেয়ে বোকামি আর একটিও নেই!
  
 ছয়। কাউকে তার নিজের কমফোর্ট-জোন থেকে সরিয়ে এনে ভালোবাসা কিংবা সম্মান দেখাবেন না। এতে সে মুখে কিছু বলতে না পারলেও মনে মনে খুবই বিরক্ত হয়।
  
 কেউ ডাল-ভাত খেতে চাইলে তাকে জোর করে কাচ্চি খাওয়াবেন না।
 কেউ টিশার্ট পরতে চাইলে তাকে জোর করে স্যুট-টাই পরাবেন না।
 কেউ রিকশায় ঘুরতে চাইলে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলবেন না।
 কেউ রং-চা খেতে চাইলে তাকে জোর করে ক্যাপাচিনো খাওয়াবেন না।
 কেউ মোবাইলের পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে না চাইলে তা জানার চেষ্টায় চেষ্টায় নিজের আদরের চোখদুটোকে ট্যারা বানিয়ে ফেলবেন না।
 কেউ ফ্লোরে বসে হাত-পা ছড়িয়ে খেতে চাইলে তাকে জোর করে ডাইনিং-টেবিলে বসাবেন না।
 কেউ স্বল্পাহারে অভ্যস্ত হলে তাকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে জোর করে বেশি খাবার খেতে বাধ্য করবেন না।
 কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে চটপটি-ফুচকা খেতে চাইলে তাকে টানতে টানতে এসি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবেন না।
 কেউ কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে ঠাট্টা নিতে না পারলে তার সাথে তা নিয়ে ঠাট্টা করবেন না।
 কেউ আপনার উপদেশ শুনতে না চাইলে তার ভালোর জন্য ঘাড়ে ধরে তাকে উপদেশ গেলাবেন না।
  
 এসব করলে মানুষের মধ্যে বিরক্তি তৈরি হয়, ভদ্রতাস্বরূপ কিংবা ঝামেলা এড়াতে মুখে কিছু বলতে পারে না। আপনার মন রাখতে গিয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা একরাশ বিরক্তি নিয়ে আপনার সাথে মেশে, সেটা কি ভালো কিছু? কাউকে জোর করে উপাদেয় খাবার গিলিয়ে তার পেটটা খারাপ দেওয়ার কী মানে? সাফার তো তাকেই করতে হয়, আপনাকে নয়।
  
 অনেককেই দেখি, লোকের বাসায় গিয়ে ভালো করে মুখ-হাত না ধুয়েই ছোটো বাচ্চাকে আদর করে। বাচ্চার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে বাচ্চাকেই অসুস্থ বানিয়ে দেয়! বাসার লোকজন অতিথির মন রক্ষা করতে গিয়ে নিজের বাচ্চাকে অসুখের মুখে ঠেলে দেয়। সেই অতিথি যদি বাচ্চার দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানি'ও হয়, তবুও ব্যাপারটা বাচ্চার বাবা-মা'য়ের জন্য অতিবিরক্তিকর! বাচ্চা অসুস্থ হলে বাচ্চার বাবা-মা'কেই সাফার করতে হয়, অতিথিকে নয়।
  
 প্রত্যেকেরই একটা পার্সোনাল কমফোর্ট-জোন থাকে। সেখান থেকে তাকে সরালে সে বিরক্ত হয়। কাউকে সম্মান কিংবা ভালোবাসা দেখানোর সবচাইতে ভালো রাস্তাটি হচ্ছে, তাকে তার মনের মতো করে থাকতে দিয়ে তা দেখানো। কে কীসে আনন্দ পায়, তা কেবল সে-ই জানে। এক্ষেত্রে বাকিদের সব অনুমানই মিথ্যে। কার কোথায় সুখ, তা জিজ্ঞেস করে তাকে সেখানেই সুখ দেওয়া ভালো। তা না করলে খুব আন্তরিক প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়।
  
 ভাবনা: আটশো ছত্রিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। পাখিরাও কীভাবে যেন জেনে যায়, কখন চলে যেতে হবে। মানুষ তা জানতে পারে না। মানুষ অপেক্ষা করে আর করতেই থাকে। কীসের জন্য সেই অপেক্ষা? এর উত্তর মানুষের জানা নেই। চলে যাওয়ার সময় হলেই পাখিরা চলে যায়। অথচ চলে যাওয়ার সময় হলেও আমরা থেকে যাই। সময়ে থেকে যাওয়া যতটা আনন্দের, অসময়ে থেকে যাওয়া ততোধিক কষ্টের। মানুষ অপেক্ষা করে আর করতেই থাকে। অপেক্ষাটা কীসের জন্য, তা সে নিজেও জানে না। জানে না বলেই কষ্ট পায়। অপেক্ষার দাম দিতে জানে না যে, মানুষ তার জন্যই অপেক্ষায় থাকে।
  
 পাখিরা বুঝতে পারে, কখন আঁধার নামবে। মানুষ তা বুঝতে পারে না। বুঝতে পারে বলেই পাখিরা আঁধারের সমস্ত আঘাত থেকে নিজেদের দূরে রাখে। আঁধার পেরিয়ে যাওয়ার নামই জীবন! অথচ মানুষ আঁধারের কোলেই নিজেকে সমর্পণ করে। আঁধারকে আলিঙ্গন করার সকল আয়োজন করার পর যখন আঁধার আসে, তখন মানুষ ভাবে, এর নামই বুঝি নিয়তি! আঁধারে ডুবে যেতে যেতেও মানুষ ভাবে, সামনেই আলো! হাত বাড়ালেই আলো! যে আঁধার সরানো যায় না, সে আঁধারের কাছ থেকে নিজেই সরে যেতে হয়। এই সহজ সত্যটা পাখিরা জানে, মানুষ জানে না।
  
 পাখিরা পেছনে ফেলে যায় জীবনের যত অহেতুক ভার। নিজেকে হালকা করে নেয় বলেই ওরা বেশিদূর উড়ে যেতে পারে স্বচ্ছন্দে। মানুষ ছাড়তে জানে না, নিজেকে ভারী করেই রেখে দিতে চায়। কীসের উপরে যে মায়া রাখতে হয়, আর কীসের উপর থেকে তা ছেড়ে দিতে হয়, পাখিরা তা বুঝতে পারে, মানুষ যা পারে না। পারে না বলেই মানুষের কষ্ট বেশি। স্মৃতি ও স্মৃতিচিহ্ন যখন সামনে চলতে দেয় না, তখন তা ফেলে দিতে হয়। যদি নতুন স্মৃতির সৃষ্টিতে পুরনো স্মৃতির গায়ে একটু হলেও প্রলেপ পড়ে, তবে কী দরকার পুরনো স্মৃতিতে বেঁচে বেঁচে নিজেকে কষ্টে রেখে দেওয়ার? স্মৃতি বিলীন হয় না, তবে মলিন তো নিশ্চয়ই হয়। সে চেষ্টা তো করতেই হবে! পাখিদের কাছ থেকে আমরা আর কবে শিখব?
  
 পাখিরা বোঝে, শেষ বলে কিছু নেই। ওরা জানে, দেশ বদলালে বাঁচা সহজ। ওরা জায়গা বদলে ফেলতে জানে। জায়গা বদলানোর মানে কিন্তু পুরনো জায়গা চিরতরে ছেড়ে যাওয়া নয়। বিশ্বস্ত ও পরিচিত জায়গা যখন বাঁচার প্রতিকূলে চলে যায়, তখন সে জায়গাটিকে সময় দিতে হয় অনুকূলে আসার জন্য। পাখিরা এসব জানে, বোঝে। ওদিকে, মানুষ ভাবে, এখানেই বুঝি শেষ! এই আশ্রয়ই তার জীবনের শেষ আশ্রয়! দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই পাখিরা অন্য আশ্রয়ে চলে যায়। মানুষ যায় না, আর যায় না বলেই ভুল আশ্রয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরে। ঘরে আগুন লাগলে ঘরের মায়া ছাড়তে হয়। ছাড়তে না জানলে পুড়ে মরতে হয়। বিশ্বস্ত ঠিকানা বলে কিছু নেই। যে ঠিকানায় কেউ ভালো থাকে না, তার বেলায় সে ঠিকানা নিশ্চয়ই সমস্ত বিশ্বস্ততা হারিয়েছে!
  
 পাখিরা পাখিদের কাছে টেনে নেয়। ওরা জানে, বাঁচার মানেই কাছে টেনে নেওয়া। ওদের সবার মনেই একই মন্ত্র, তাই বাঁচতে ওদের অসুবিধে হয় না। পাখি বুঝে পখিরা কাছে টানে না, পাখি হলেই পাখিরা কাছে টানে। অন্য দিকে, মানুষ মানুষকে দূরে রেখে দেয়। কাছে এলে ভাগ দিতে হয়। পাখিদের মতো করে নিজের ভাগটা ছেড়ে দিতে মানুষ শেখেনি। তাই কাছে এলেই বরং মানুষ সন্দেহের চোখে দেখে। মানুষ বুঝে মানুষেরা কাছে টানে বা দূরে সরায়। এখানে ন্যায়বিচার বলে কিছু নেই। বিচারটা কার প্রতি ও কার হাতে, এই দুই বুঝেই তৈরি হয় বিচারের রায়। ঘটনা নয়, সত্যও নয়, বরং মানুষ বুঝেই বিচার, মানুষ বুঝেই অবিচার। তাই একা একা কষ্টে বাঁচাই মানুষের নিয়তি।
  
 এক পাখির মৃত্যু আরেক পাখিকে যতটা স্পর্শ করে, মানুষের মৃত্যু মানুষকে ততটা স্পর্শ করে না। এই আত্মিক বন্ধনটি অনুভব করতে পাখিরা শিখেছে। আর শিখেছে বলেই ওদের হৃদয়ে ভালোবাসা আছে। এই ভালোবাসা ওদের সবার মধ্যেই ছড়িয়ে আছে। ভালোবাসা অনুভব করতে পাখিদের অত কিছুর প্রয়োজন কখনো হয় না। আর মানুষের ভালোবাসা কাজ করে কেবলই কাছের কারো জন্য। দূরের কেউ এই পৃথিবীতে থেকে গেল কি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল, এতে মানুষের কিছু এসে যায় না। পাখিদের এই মানবিক স্বভাবটি মানুষের নেই। মানুষের সমস্ত মনুষ্যত্ব পাখিরা কীভাবে যেন চুরি করে ফেলেছে!
  
 পৃথিবীর শেষ সীমানায় পৌঁছে গেলেও পাখিরা ঠিকই মনে রাখে, কোথা থেকে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। মানুষ মাত্র আরেক ঘরে গেলেই আগের ঘরের সমস্ত সুখস্মৃতি আস্তাকুঁড়েতে ছুড়ে ফেলে দেয়।
  
 দুই। তারপর বলো, তোমার চাকরির ইন্টারভিউতে দেখানোর জন্য আমার বিভিন্ন কমেন্টের ও আমাকে নিয়ে বানানো নানান ভুয়া পোস্টের কয়টা স্ক্রিনশট মোবাইলে যত্ন করে রেখেছ? মনে করে সেগুলি প্রিন্ট করে রেখো, ইন্টারভিউ বোর্ডে যথাসময়ে দেখাতে না পারলে তো ওঁরা রুম থেকে লাত্থি মেরে বের করে দেবেন।
  
 থেমো না, গবেষণাটা চালিয়ে যাও। দ্যাখোই-না কী পাও! সবাই বেকার নয়, কেউ কেউ আজাইরা! হাতের কাছে কাগজ-কলম থাকলে কোথাও এক্ষুনি লিখে রাখো। এই যে লোকের পেছনে লেগে আছ, আজ থেকে পাঁচ বছর পরও এরকম পেছনেই পড়ে থাকবে। যে এগিয়ে আছে কিংবা এগিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে, সে কখনওই কারও পেছনে লাগে না। পেছনে লাগার এমন ফালতু মানসিকতাই তোমাকে সারাজীবন পিছিয়ে রাখবে।
  
 তিন। : জেগে আছ যে?
 : বুঝি আজই চোখে পড়ল? না কি গল্প করার নতুন মানুষটা উধাও হওয়ার আজ প্রথম দিন?
  
 চার। My peace is more important than your love.
  
 Love me or hate me, don't destroy my peace. I feel attraction only towards them who give me peace.
  
 I feel more comfortable in the peaceful no-love zone than in the disturbing love zone.
  
 Not love, peace and only peace is the last word for me.
  
 পাঁচ। প্রিয় প্রশান্ত ও শতাব্দী,
  
 এই কয়দিন তোমরা দু-জন ভূতের মতন যে পরিশ্রমটা করেছ, তা দেখে আমি নিজেই প্রচণ্ড অনুপ্রাণিতবোধ করেছি। সেই পুরনো আমি'টাই বার বার আমার কল্পনায় ফিরে এসেছে, যে আমি'টা একদিন ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখেছে, যে আমি’টা একসময় দিনের পর দিন অবিশ্বাস্য রকমের পরিশ্রম করে গেছে। তোমাদের এই আবেগটা সবাই বুঝবে না, কেননা সবাই এর মধ্য দিয়ে যায়নি।
  
 আমি যা পারিনি, তোমরা তা পারছ। এটা দেখতে বড্ড ভালো লাগে। পরিশ্রমী মানুষের জয়টাকে যেন নিজেরই জয় মনে হয়! এই যে এতটা খাটতে পারছ, এটা অনেক বড়ো একটা সৌভাগ্য। খাটতে পারার জন্য সুযোগ লাগে, উপযুক্ত কারণ লাগে। সবার তা থাকে না, অনেকেই খুব খুঁজেও সেরকম কোনও প্লাটফর্মই পায় না! তোমরা তা পেয়েছ, সময়টাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছ।
 পরিশ্রম করতে পারার চাইতে বড়ো সৌভাগ্য আর হয় না। ঘাম ও মেধা, এই দুই খরচ করার মতো সামর্থ্য ও ইচ্ছে যার মধ্যে আছে, সে কখনো পিছিয়ে থাকে না। রৌপ্যরূপ পেইজটা আমি ফেভারিটস-এ রেখে দিয়েছি। তাই তোমাদের সব পোস্টই আমি দেখতে পাই। তোমাদের কাস্টমারদের সন্তুষ্টি ও উচ্ছ্বাস দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। কাস্টমাররা দেবতার মতো, ওদের খুশি রাখাটাই ব্যবসার মূল কাজ।
  
 পণ্যের গুণগত মান নিয়ে কোনও আপস না করা, সবচাইতে কম সময় পণ্যটি যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া, কথায় ও কাজে শতভাগ মিল রাখা, বেছে বেছে সবচাইতে সুন্দর গহনাগুলি নির্বাচন করতে পারা---এসব কারণে রৌপ্যরূপ মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই পৌঁছে গেছে রুপার গহনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানটিতে। রৌপ্যরূপ তোমাদের সন্তানসম, তোমাদের সন্তান যেন বাড়ে দুধে-ভাতে।
 বাকিরা যখন হাঁটছে, তোমরা তখন দৌড়ো! বাকিরা যখন দৌড়চ্ছে, তোমরা তখন আরেক পথে দৌড়ো! যদি পানও বিক্রি করো, তবে পানটা এমনভাবে বিক্রি কোরো যাতে তোমাদের ধারেকাছে পৌঁছনোর চিন্তাও কারো মাথায় না আসে। অনন্য হও, অনতিক্রম্য হও।
  
 জায়গাটা ধরে রেখো, এই প্রার্থনা করছি না।
  
 নিজেকে প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যেয়ো, এই প্রার্থনাই রইল।
  
 আশীর্বাদে-
 তোমাদের দাদা
  
 পুনশ্চ। রৌপ্যরূপ নিয়ে কোনো বাজে কমেন্ট, হা-হা রিঅ্যাক্ট দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন, আপনাকে সুশান্ত পালের কোনো দরকার নাই, ভবিষ্যতেও দরকার হওয়ার আশঙ্কা অতি অল্প। আপনি নিজের প্রয়োজনেই আমার পেইজে এসেছেন, আপনাকে এখানে আসতে কেউ দাওয়াত দেয় নাই। এখানে যা পাচ্ছেন, তার সবই পুরোপুরি ফ্রি-তে পাচ্ছেন। আমার পেইজের ওয়ালে আমি আমার ছোটো ভাইকে যত খুশি তত প্রমোট করব। প্রমোট করতে আমি তো আর আপনার ওয়ালে যাইনি, কখনো যাবও না, নিশ্চিত থাকতে পারেন! আমি কী করব কী করব না, সে ব্যাপারে আমি যার-তার পরামর্শের ধার ধারি না। অতটা খারাপ দিন আমার এখনো আসেনি। এটা নিয়ে আপনার আপত্তি থাকলে আপনি এখান থেকে এক্ষুনি বিদায় হোন। পেইজ থেকে কাউকে ব্লক করার সময় আমি একসেকেন্ডের জন্যও দ্বিতীয় বার ভাবি না, এটা আপনারা জানেন। পেইজের ব্লক-লিস্টে লক্ষাধিক সদস্য, কেননা বাড়তি পেইন নেওয়ার সময় আমার একদমই নেই। আপনার নিজের পরনে লুঙ্গিই নাই, আর আপনি আসেন কিনা আমাকে প্যান্ট পরা শিখাইতে! এটা অহংকার নয়, এটা স্বস্তিপ্রিয়তা।
  
 ভাবনা: আটশো সাইত্রিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। আমি শুনেছি, তুমি খারাপ। অত‌এব, তুমি খারাপ। শোনা কথা কখনো মিথ্যে হতে পারে না!
  
 আমি জানি, আমি খারাপ। তবুও, আমি খারাপ ন‌ই। জানা কথা তো মিথ্যে হতেই পারে!
  
 দুই। সাধারণ লোকজন তার পেছনেই লাগে, যাকে ওরা চেনে। ওরা তাকেই চেনে, যে ওদের কোনো-না-কোনো কাজে আসে। বাকিদের পেছনে ওরা কখনো লাগে না, পেছনে লাগার ওরকম হাজারটা কারণ থাকলেও লাগে না। চেনেই তো না, লাগবে কীভাবে? চেনা মানুষের মুখেই ব্রণের দাগটা বেশি চোখে পড়ে!
  
 লোকের উপকার করার অর্থ‌ই হলো, নিজেকে বিপন্ন করে ফেলা। তাই টাকার বিনিময়ে উপকার করাই সবচাইতে ভালো। তখন অকৃতজ্ঞতা, কৃতঘ্নতা এসব আর গায়ে লাগে না। টাকার ঘ্রাণে গুয়ের গন্ধ‌ও পালায়! মজার ব্যাপার, আপনি বিনা মূল্যে লোকের উপকার করলেও লোকে ভাববে, এখানে নিশ্চয়ই আপনার কোনো একটা ধান্দা আছে! তার চেয়ে বরং ধান্দা হাসিল করেই উপকার করা অনেক আরামের। ছোটোলোকের বিচারে, মহত্ত্বও একধরনের ছোটোলোকি!
  
 'আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে,'
 অন্যেরে লয়ে বিব্রত রহিলে উপকৃতের ঘায়ে আপনিই মরে!
  
 তিন। উচ্চশিক্ষিত ছোটোলোক ও অশিক্ষিত ছোটোলোক---জিনিস একই। প্রথম গ্রুপ শুনতে দামি দামি কথা বলে ছোটোলোকি করে, দ্বিতীয় গ্রুপ শুনতে সস্তা সস্তা কথা বলে ছোটোলোকি করে। দিনশেষে দুই গ্রুপেরই মনমানসিকতা হুবহু একই রকমের।
  
 চার। কুত্তার বাচ্চা, শুয়োরের বাচ্চা, চোরের বাচ্চা, অমানুষের বাচ্চা ইত্যাদি গালি শুনে অনেকেই খুশি হয়ে ওঠেন এ ভেবে, ‘যাক্‌! গালিটা তো আমার বাপ-মা খেয়েছে, আমি তো আর খাইনি!’ আবার অনেকেই মেজাজ খারাপ করে ফেলেন এ ভেবে, ‘ব্যাটার এত বড়ো সাহস! আমার বাপ-মা ধরে গালি দিচ্ছে!’
  
 উপরের দুই দলেরই বোঝায় কিছু ভুল আছে।
  
 কেউ যখন কাউকে কুত্তার বাচ্চা বা এ ধরনের কিছু বলে গালি দেয়, তখন বুঝতে হবে, গালিটা সে আসলে তাকেই দিচ্ছে, তার বাবা-মা’কে নয়। কীরকম?
  
 কুত্তা, শুয়োর, চোর, অমানুষ-সহ গালি দেওয়ার জন্য আরও যা যা বাংলা শব্দ বহুলমাত্রায় ব্যবহৃত হয়, লোকে সেই শব্দগুলি দিয়ে ভালো কিছু বোঝায় না। আপনি বলতেই পারেন, কুকুর খুব ভালো একটা প্রাণী, কুকুরের নাম উচ্চারণ করে গালি দিলে সেটা গালিই হয় না। আপনাকে একই সাথে এটাও বুঝতে হবে, যে লোক কুকুরের কথা উচ্চারণ করে গালিটা দেয়, সে লোক কুকুরের ভালো দিকগুলি নয়, বরং নোংরা বা বাজে দিকগুলিই মাথায় রাখে গালিটা দেওয়ার সময়। এ কুকুর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তর ‘কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি, বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।’-র আদরের কুকুরটি নয় নিশ্চয়ই!
  
 অতএব, ওই সমস্ত প্রাণীর বাচ্চা বলে গালি দেওয়ার সময় মানুষ ধরেই নেয়, ওদের সন্তান বা বাচ্চা ওদের মতোই বাজে হবে। আপনি এ-ও বলতে পারেন, সন্তান তো সবসময় বাবা-মা’য়ের মতোই হয় না, ভিন্ন রকমেরও তো হয়! হ্যাঁ, ঠিক আছে, সেটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার! কিন্তু গালিটা যে দিচ্ছে, সে কোন বিশ্বাসে বা কারণে গালিটা দেয়, তা আপনাকে মাথায় আনতে হবে। ইতর প্রাণীর সন্তানেরাও ইতরই হয়, এটা মাথায় রেখেই লোকে ওরকম করে গালাগালি করে। কুত্তার মতো আচরণ, শুয়োরের মতো আচরণ, চোরের মতো আচরণ, অমানুষের মতো আচরণ---এইসব আচরণ নিয়ে গালিদাতা লোকেরা ভালো কিছু নিশ্চয়ই ভাবে না। ভাবে যারা, ওরা ওসব বলে গালিও দেয় না।
  
 তাই যদি কেউ আপনাকে ওদের বাচ্চা বলে গালি দেয়, তবে আপনাকে ধরে নিতে হবে, তার স্টেরিয়োটিপিক্যাল ভাবনায় ও বিশ্বাসে ওদের বাচ্চারা যেরকম হয়, সে আপনাকে ওরকমই বাজে, নিকৃষ্ট, ইতর, খারাপ, নোংরা একটা মানুষ ভাবে। যার কাছে ‘কুত্তার বাচ্চা’ একটা গালি, সে সাধারণত বাচ্চার বাবা কিংবা মা’কে নিয়ে ভাবে না, নির্দিষ্ট কিছু খারাপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বাচ্চাকেই ভাবে। বাচ্চার বাবা-মা’কে এখানে টেনে আনা হয় এজন্য যে, মানুষ তার নিজেকে গালি দিলে যতটা মেজাজ খারাপ করে, তার বাবা-মা’কে টেনে এনে গালি দিলে মেজাজটা তার চাইতে আরও অনেক বেশি খারাপ করে। এতে গালিদাতার উদ্দেশ্য সফল হয়। গালিটা ঠিকভাবে গায়ে লাগানোর একটা টেকনিক ছাড়া এটা আর কিছু নয়।
  
 তাই কুত্তার বাচ্চা, শুয়োরের বাচ্চা, চোরের বাচ্চা, অমানুষের বাচ্চা ইত্যাদি বলে কেউ আপনাকে গালি দিলে এটা মনে করার কোনও কারণ নেই, গালিটা আপনার বাবা-মা খেলো, বরং গালিটা সত্যি সত্যি আপনিই খেয়েছেন। কেউ আপনার বাপ-মা তুলে গালাগালি করে না, আপনাকেই গালাগালি করে। কুত্তার বাচ্চা মানে কুত্তার বাচ্চার জিনগত খারাপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কেউ। আবারও বলছি, এখানে কুকুরের বিশ্বস্ততা, সারল্য, প্রভুভক্তি ইত্যাদি মাথায় রাখা হয় না। আরও সহজ করে যদি বলি, যখন কেউ আমাদের ‘শালা, ভদ্রলোকের বাচ্চা!’ বলে গালি দেয়, তখন কিন্তু তার মাথায় কেবল সেইসব ভদ্রলোকের কথা মাথায় থাকে, যাঁদের সন্তানেরা মানুষ হয়নি, বাবা-মা’য়ের মতো ভদ্রলোক হতে পারেনি। বাবা-মা’য়ের প্রসঙ্গ টেনে আনাটা স্রেফ কৌশল বাদে আর কিছু নয়।
 তাই গালিতে কখনও কারও বাবা-মা থাকে না, কেবল সে-ই থাকে। তবে হ্যাঁ, ব্যতিক্রম একটা আছে! লোকে যখন চোরের বাপ, চোরের মা কিংবা এ ধরনের কিছু বলে গালি দেয়, তখন কিন্তু ভিন্ন ব্যাপার ঘটে। যার বাবা কিংবা যার মা বলে লোকে গালিটা দেয়, গালিটা তাকেই মাথায় রেখে দেওয়া হয়। চোরের বাপ কিংবা চোরের মা ভালোমানুষ হলেও হতে পারেন, তবে গালিদাতা চায়, তিনি যাতে ওই গালিটা শুনে নিজের সন্তানের ব্যাপারে লজ্জাবোধ করেন। এখানে গালিদাতার চোখে, তিনি একজন ব্যর্থ বাবা কিংবা মা, মানুষ হিসেবে খারাপ তিনি না-ও হতে পারেন।
 অপরদিকে, চোরের বাচ্চা কিন্তু একেবারে সলিড গালি, এখানে কোনও ভেজাল নাই। গালিটা যাকে দেওয়া হয়, কেবল সে-ই গালিটার লক্ষ্যবস্তু, তার বাবা কিংবা মা নয়। এখানে গালিদাতার চোখে, সে-ই খারাপ, তার বৈশিষ্ট্যগুলি খারাপ, সে মানুষ হিসেবেও খারাপ; তার বাবা-মা’কে টানার কারণ তাকে মানসিকভাবে আহত করা।
  
 তাই আপনি কুত্তার বাচ্চা মানে আপনার বাপ-মা কুত্তা নয়, আপনি নিজেই কুত্তা। সেই কুত্তা পাশে এসে খুশিতে লেজ নাড়ায় না, দৌড়ে এসে অকারণে কামড় দেয়। সেই কুকুর কোলে বসে বিস্কিট খায় না, ঘেঁটে ঘেঁটে ময়লা খায়। আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়মানুষ আপনাকে কখনও কখনও আদর করে যে কুত্তার বাচ্চা ডাকে, সেই আদরের কুত্তার বাচ্চার সাথে গালির কুত্তার বাচ্চাকে মেলালে ভুল করবেন। অতএব, যে লোক আপনার বাবা-মা’কে সম্মান করে, সে-ও আপনাকে স্বচ্ছন্দে গালিটা দেওয়ার সকল অধিকার রাখে। কুত্তার বাচ্চা গালিটা শুনে আপনার বাবা-মা’য়ের নিষ্পাপ চেহারা কল্পনা করে রেগে গিয়ে নিজেকে গালিমুক্ত ভাবার কোনও কারণ নেই।
 লোকে চোরের বাচ্চা গালিটা দেয় বাচ্চার দিকে তাকিয়ে, চোরের দিকে তাকিয়ে নয়; চোরের বাপ গালিটা দেয় চোরের দিকে তাকিয়ে, বাপের দিকে তাকিয়ে নয়। যে আপনাকে চোরের বাচ্চা বলে, সে আপনার বাপকে না-ও চিনতে পারে; কিন্তু যে আপনাকে চোরের বাপ বলে, সে আপনার সন্তানকে নিশ্চয়ই চেনে।
  
  
 ভাবনা: আটশো আটত্রিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। এই দেশ ভদ্রলোকদের জন্য নয়। এখানে শান্তিতে থাকবার অধিকার তো সেদিনই হারিয়ে ফেলেছিলাম, যেদিন ডাক্তারসাহেব আমার পাছায় ইনজেকশন পুশ করবার পর ছোট্ট আমি ব্যথায় কুঁকড়ে-যাওয়া মুখেও বলেছিলাম, 'থ্যাংক ইউ!'
  
 প্রিয় বাবা-মা, আমি এখন কার কাছে যাব?
  
 দুই। প্রায় লোকই, রাস্তার ফালতু লোকটিকেও বুকে টেনে নেয়, যদি সে লোকটি এমন কারও সম্পর্কে খারাপ কথা বলে যাকে সে অপছন্দ করে; এমনকী সেই খারাপ কথা তার জানামতে মিথ্যে হলেও কোনও অসুবিধে নেই। এভাবেই রাস্তার লোকটি জাতে ওঠে, আর সে জাতে নামে বা নিজের জাত চেনায়।
  
 আপনার পেছনে লাগে যারা, তাদের দিকে তাকালে দেখবেন, বুড়ো বয়সে নাতিনাতনিদের কাছে গল্প করার জন্য তাদের জীবনে ওই একটিই অর্জন আছে। 'জানিস, আমার জীবনটাই কেটেছে লোকের পেছনে লেগে! কত লোককেই এই জীবনে বিরক্ত করলাম! এমন ধন্য মানবজন্ম আরেক পিস দেখাতে পারবি?'
  
 তিন। জীবন যদি হয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, তবে সে শিক্ষকের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসটি হচ্ছে, ভালোবাসা। প্রেম হলো, তুমুল প্রেমের পর এল ব্রেকআপ। এরপর কী হয়? নানান ধরনের অনুভূতি আর অভিজ্ঞতা জীবনকে অনেককিছুই শেখায়। এক ব্রেকআপ মানুষকে অনেক বদলে দেয়। জীবনের বিভিন্ন কিছু সম্পর্কে ধারণা আর ভাবনাগুলিকেও অন্য দৃষ্টিতে দেখতে শেখায় এই ব্রেকআপ। নিজের ভেতরের শক্তিটা বেড়ে যায় অনেকখানি। তবে এর প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠা সত্যিই খুব কঠিন। আমি দীর্ঘকাল ধরে কয়েক হাজার মানুষের বিরহগাথা পড়েছি। অনেকেই আমার কাছে চিঠি লিখে, মেইল করে, ফোন করে তাদের জীবনের এই কষ্টের কথা শেয়ার করেছেন। সবাইকেই যে সবসময়ই কাউন্সেলিং করতে পেরেছি, এমন নয়। সময় বা সুযোগের অভাবে অনেককেই সাহায্য করতে পারিনি, তবে প্রত্যেকের কথাই মন দিয়ে শুনেছি বা প্রত্যেকটা চিঠিই পড়েছি। আশ্চর্যের ব্যাপার, বেশিরভাগ আহত হৃদয় আবারও রক্তাক্ত হতে পারে জেনেও আগের মতোই প্রেমকে গ্রহণ করার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে ওঠে। এদিক দিয়ে ভাবলে বলা যায়, প্রেমাসক্তি ব্যাপারটা মাদকাসক্তির চাইতে কোনো অংশে কম তীব্র নয়। প্রকৃত ভালোবাসাটা কারও ভালো ও খারাপ দুই দিকই মেনে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি হয়। দেখানেপনা নয়, বরং আপনি ঠিক যেমন তেমনটাকেই যদি কেউ মেনে নিয়ে আপনাকে ভালোবাসতে পারে, তবেই সেটা সত্যিকারের ভালোবাসা।
  
 চার। যখন কোনও রুমে অন্যদের সাথে শেয়ার করে থাকবার সময় রুমের সমান ভাড়া দিতে পারে না বলে কার‌ও সিদ্ধান্তের দাম সেই রুমে থাকে না, তখন তাকে গরিব ছাত্র বলে।
  
 যখন কোনও ঘরে অন্যদের সাথে শেয়ার করে থাকবার সময় ঘরের পুরো ভাড়া দেওয়ার পরও ভাড়াটা যে দিচ্ছে, তার সিদ্ধান্তের দাম সেই ঘরে থাকে না, তখন তাকে পরিবারের কর্তা বলে।
  
 পাঁচ। বিয়ে জিনিসটা কারেন্ট জালের মতো---ভালো মানুষও ধরা খায়, খারাপ মানুষও ধরা খায়।
 কারেন্ট জালের কাছে বড়ো মাছে আর ছোটো মাছে কোনও ভেদাভেদ নাই, সবাই-ই ধরা খায়। বাদ যায় না একটিও মাছ!
  
 বিয়ের কাছেও ভালো মানুষে আর খারাপ মানুষে কোনও ভেদাভেদ নাই, সবাই-ই ধরা খায়। বাদ যায় না একটিও মানুষ!
  
 ছয়। অনুভব করি,
 প্রতিটি নিঃশ্বাস তোমাতে বাধা পেয়ে, আমারই কাছে ফিরে আসে...
 অথচ তুমি বলে কেউ নেই।
  
 সাত। (এই পোস্টটি কেউ বাংলায় অনুবাদ করতে পারলে, তাঁকে নোবেল দেওয়া হবে।)
  
 : kamon aco,babo?
 : kamon ar takbo?jamon taka manos pram cara,tamon e ace.
  
 : rag kora na,babo.tome amar tea pake na,bolo?
 : ame kau na.
  
 : acha-pacha kaw aca?kall dabo?
 : acha-pacha sobai aca.pora kall deo.
  
 : tome cakre ta pala na akono?
 : pabo,tome pachay takla tek e pabo.ar kecu den opakka koro,babo.
  
 : pake,kaiso rata?
 : kabo na,kaya cara dabo.
  
 : mana?ce,ce,ke bolco tome asob?
 : kecu na.tome ato bulbal lako kano?ame kecui buje na.
  
 : omg,ke bul leklam?
 : eija babo,kaba,bul,acha-pacha,kaiso,aisob.
  
 : ara,lakai ke jai asa?monar bab prokas korai boro kota.
 : tai bola tome pachay takta bolba amaka?
  
 : rag kora na,jan.acca,tome amar book a takba,kusi?
 : book?boiar modda kan takbo?asob tomar kaca kala mona hocca?balobasa ki kala?amar mon ke kalar jenes?
  
 : babo,ataka kala bola na.kala hocca futbal kala,mana hocca mase…oija atas bocor pora…
 : ke,tome amar mase ka kala bolla?tomar cock nai?
  
 : ke,ato boro kota?amar cock nai mana?tome dakba amar cock?daraw dakacce…
 : osobbo,oslel.atota karap tome?ame cola jacce,brak up tomar sata.
  
 : babo,jao na.amar ki dos?tome e to bolla amaka cock dakata…babo…darao…tomaka cara ame bacbo na…babo…akto sona jao…
  
 আট। আমায় ছেড়ে চলে গেলে...
 তোমায় অভিশাপ দেবো না। তুমি ভালো থেকো।
  
 কখনও যদি কোনও কারণে তুমি অক্সিজেনের অভাবে অজ্ঞান হয়ে যাও, তখন যেন এমন কেউ বন্ধু হয়ে পাশে এসে তোমার নিচের চোয়ালটা চেপে ধরে মুখ ফাঁক করে ফুসফুসে বাতাস ঢোকায়,...যে মানুষটা শেষ ব্রাশ করেছিল দেড় সপ্তাহ আগে।
  
 তোমায় অভিশাপ দেবো না। তুমি ভালো থেকো।
  
 নয়। আগ্রা গিয়েছি কত কত বার, তবু তাজমহল অবধি যাওয়া আজও হলো না! কেন? সংশয়ে, সংযমে, সংকোচে . . . সুখের অপেক্ষাই যে আনন্দের! সব পেয়ে গেলে সুখ চলে যায়। আমাদের বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা লোভের চাইতে আশারই বেশি।
  
 দশ। আমাদের দেখা হয়েছিল,
 প্রেম হয়নি।
 আমাদের আলাপ হয়েছিল,
 সম্পর্ক হয়নি।
  
 অথচ দ্যাখো, তোমায় কী যে ভীষণ ভালোবেসে
 নিজেকে আজও সুখী মানুষের তালিকার প্রথম দিকেই রাখি!
  
 পুড়ছি ভীষণ আমি,
 লোকে ভাবছে...জ্বর!
 পুড়তে পুড়তেই বুঝছি এখন
 ভালোবাসা নয়, ভালোবাসার আঘাতই বড়ো দামি!
  
 এগারো। এ জয় আমাদের! এ জয় সারা বাঙালি জাতির! জয়ের এ আনন্দ উদ্‌যাপন করতে আপনাদের জন্য আরও কিছু উপহার নিয়ে এলাম। এই কাপ আমাদের সবার! এই ব‌ই আমাদের সবার! এই অর্জন পুরো বাংলাদেশের! কাপ ও ব‌ইয়ের সাথে সবার সময় ভালো কাটুক।
  
 ব্রাজিল হারলে জিতে যায় বাংলাদেশ!
 আর্জেন্টিনা হারলে জিতে যায় বাংলাদেশ!
 বাংলাদেশ জিতলেও জিতে যেত বাংলাদেশ!
  
 আসুন, সবাই মিলে বেশি বেশি স্ট্যাটাস দিই। স্ট্যাটাস দিলে মন ভালো থাকে।
  
 বারো। : অ্যাঁই, আপনি চা বানাতে পারেন? দুধ-চা?
 : হ্যাঁ।
  
 : ঠিক আছে, ছেলে আমাদের পছন্দ হয়েছে। আমাদের কোনও যৌতুক চাই না, আমরা শুধু ছেলেকেই নেবো। আমাদের মেয়ের শুধু চা পেলেই পুরোদিন চলে যায়। আপনাদের ছেলেকে ও সুখেই রাখবে।
 আমার মেয়েটা যখন সকালে উঠবে, তখন এক কাপ, অফিস থেকে ফিরলে এক কাপ, এরপর প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় এক কাপ করে চা বানিয়ে দিতে পারলেই হবে। আর বাসার রান্নাবান্না? ওটার জন্য সাথে করে লোক আমরাই দিয়ে দেবো। ছুটির দিনে অবশ্য আমার মেয়েই রাঁধবে, রাঁধতে ও খুব ভালোবাসে।
  
 আপনার ছেলের শুধু লুঙ্গি কাছা দিয়ে চা বানানো ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। সে চাইলেই 'শ্রীময়ী', 'অনুপমা' ইত্যাদি সিরিয়াল দেখতে পারবে, এলাকার ভাইদের সাথে লুডু, তাস, ক্যারম, কুতকুত খেলতে পারবে। আর সবচেয়ে বড়ো কথা, চাইলে এলাকার ভাবিদের সাথে লাইনও মারতে পারবে। আমাদের মেয়ে আবার অনেক আধুনিক ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কেবল চায়ের কাছেই সে পরাধীন। সে শুধু চা-টাই চায়। আমরা চাই, আপনাদের ছেলের চা-টা যেন খুব ভালো হয়, এর বাইরে আর কোনও দাবিদাওয়া আমাদের নেই।
  
 আমাদের বাড়িতে ছেলে আপনাদের রাজা হয়েই থাকবে। বলুন, আপনারা রাজি তো?
  
  
 ভাবনা: আটশো উনচল্লিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। আমি যেদিন মারা যাব, সেদিন বাইরে জোছনার বাঁধভাঙা ঢল পড়বে। দু-চারটে ঝিঁঝিঁপোকা এদিক ওদিক উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে একটা ঘাসের ডগায় ঘুমিয়ে পড়বে। গাছের ফাঁকফোকর ভেদ করে চাঁদের আলো সারাউঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেলবে। জানালার পাশে আমার প্রিয় কদম গাছটায় দুইটা কদম ফুটে সাথে সাথেই ঝরে যাবে। বাইরে হু হু ঠান্ডা বাতাস বইবে। আমি জানালার গ্রিল পেরিয়ে বাতাসদের বার বার ছুঁয়ে দেখতে চাইব। চোখ বন্ধ করে বুঝতে চাইব, ওদের রং দেখতে কেমন হয়? নীল? বাদামী? না কি টকটকে লাল?
  
 বড়ো নারকেল গাছের মাথার উপর সগর্বে দাঁড়িয়ে থেকে বাঁকা চাঁদটা আমার মুখোমুখি হয়ে কথা বলবে। আমার পোষা বেড়ালটা বার বার আমার পায়ে পায়ে গা ঘেঁষতে থাকবে। ব্যালকনিতে যে টুনটুনি-জোড়ার সাথে রোজ কথা বলি, ওরা কী যেন বলতে চাইবে বার বার, আমি তার কিছুই ঠিক বুঝতে পারব না। যে লেবু গাছটার সাথে প্রতিদিন দেখা হতো, সে বোধ হয় টুপটুপ করে কাঁদবে। কেন কাঁদবে, জানি না। আলমারির কোনায় সদ্য সংসার-পাতা টিকটিকিটা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকবে আমার দিকে। ভাববে, আবার দেখা হবে তো?
  
 আচ্ছা, আমি যেদিন মারা যাব, সেদিন কী বার থাকবে? খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবার।
 গলির মুখে তিনটে কুকুর রোজ আমার অপেক্ষায় থাকে। ঘরে ফিরবার সময় পরিবারের কারুর জন্য কখনও একটা চকলেটও হাতে না থাকলেও, ওই কুকুর তিনটিকে কী কারণে জানি রোজই বিস্কিট কিনে খাওয়াই। ওরা আমাকে দেখলেই পায়ের কাছে এসে খুশিতে লাফায় আর গা ঘেঁষতে ঘেঁষতে শুয়ে যায়। আমার ঘরে ফেরায় ওদের চাইতে বেশি খুশি এ পৃথিবীতে আর কেউ হয় না। ওরা যে ওই বিস্কিটের জন্য আমার গা ঘেঁষে না, সেটা বুঝতে পারি। এই তিনটে কুকুর অনেকগুলো বছর গলির মোড়টায় ঠায় বসে থাকবে আমার ফেরার অপেক্ষায়, আমি জানি।
  
 সেদিন আমার প্রেমিকা বলেছিল, আমার জন্য সে হাজার বছর অপেক্ষা করবে। আমি জানি, আমি মারা যাবার ছাপ্পান্ন দিনের মাথায় আমাকে ভুলতে পারার জন্যই সে তার বন্ধু প্রতাপকে বিয়ে করে নেবে। শুধু ওই তিনটে কুকুর ছাড়া আমার জন্য আর কেউই কখনও অপেক্ষা করে থাকবে না।
 আমি যেদিন মারা যাব, সেদিন পাশের বাসার জামিল চাচার ঘরে একটা বাচ্চার জন্ম হবে। বোধ হয় মরে গিয়ে আমি ওই বাচ্চাটা হয়ে আবার জন্ম নেবো। কিন্তু ওরকমটা কেন হবে? আমি যে জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসই করি না! আচ্ছা, এই জন্মান্তরবাদ মিথ্যে যদি হয়, তবে কি কেউই কখনও আর ফিরবে না?
  
 কোনও এক ঘোরসন্ধ্যায় আমি মারা যাব। সে সন্ধ্যায় আলাদা কিছুই হবে না, শুধু আমি মারা যাব। মৃত্যু জাঁকালো কোনও ঘটনা নয়। আমি যাদের চিনি, তাদের সবাই-ই থাকবে, এক আমি ছাড়া। আমার আধখাওয়া পাউরুটিটাকে ছয়টা তেলাপোকা মিলে ভাগ করে খাবে। আমি দেখতে পাবো না এসবের কিছুই!
  
 আমি যেদিন মারা যাব, তার পরের দিন বন্ধুদের সাথে সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকবে। কিন্তু সেই পরের দিনটা আমার জীবনে আসবে না। আমাদের ঘরদোর সাজানো থাকে, শুধু ঘরের মানুষটাই আর থাকে না।
 আমার মৃত্যুর পর আমার লাশ সামনে রেখে সবাই খুব করে কাঁদবে। মা-বাবা আর ভাই কিছুক্ষণ পর পর হুঁশ হারিয়ে ফেলবে কাঁদতে কাঁদতে। আমার মৃত্যুর তিন দিন পর্যন্ত প্রেমিকা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোবে। বন্ধুরা সবাই হু হু করে কাঁদবে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।
  
 আমার মৃত্যুর সাত দিন পর্যন্ত সবাই ভীষণ কাঁদবে। মা প্রায় প্রতিরাতেই ঘুম ভেঙে আচানক ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠবে। আমার জন্য সবারই খুব মায়া হবে। মৃত মানুষের জন্য মায়া হওয়াই নিয়ম।
 সাত দিন পর সবাই ধীরে ধীরে ভুলে যাবে। কিন্তু গলির মোড়ের তিনটে কুকুর যতদিন বাঁচবে, ততদিন আমাকে কখনও ভুলবে না। আমি ফিরব বলে রোজ সন্ধ্যায় ওরা অপেক্ষা করবে। সবার সব কিছু শেষ হয়ে যাবে আমার সাথে, শুধু ওদের অপেক্ষাটুকুই টিকে থাকবে।
  
 সারাজীবনই কত মানুষের জন্য কত-কী করলাম, কত-কী ভাবলাম, কত-কী ছাড়লাম; অথচ আমি বেঁচে থাকব কেবলই তিনটে কুকুরের অপেক্ষায়!
  
 দুই। ঠিক কখন, কোন সময় তোমাকে মিস করছি এবং ভালোবাসছি, এই সমস্ত কিছু যদি নোটিফিকেশন আকারে তোমার ফেইসবুকে যেত... তবে তুমি সত্যিই ভীষণ ভয় পেতে!
  
 তিন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সবচাইতে ভরসার মানুষ ছিল মীরজাফর। এই বিশ্বস্ত ‘কাছের মানুষ’টিই সিরাজউদ্দৌলার সাথে জঘন্যতম বিশ্বাসঘাতকতা করে বসেছিল। জুলিয়াস সিজার জীবনে একটি বারের জন্যও কল্পনাতেও আনতে পারেননি যে ব্রুটাস তাঁর দূরের কেউ। অথচ সিজারের বুকে ছুরিটি বসিয়ে দিয়েছিল তাঁর সবচাইতে কাছের বন্ধু ব্রুটাসই! বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী খন্দকার মোশতাক শেখ-পরিবারের কতটা কাছের লোক ছিলেন, বঙ্গবন্ধু মোশতাককে কতটা কাছের মানুষ ভেবে ভালোবাসতেন, তার সবই আমরা জানি।
  
 আমাদের জীবনের সবচাইতে ভয়ংকর ট্র্যাজেডি কী, জানেন? আমাদের সবচাইতে বড়ো বড়ো বিশ্বাসগুলি ভাঙে আমাদের সবচাইতে বিশ্বস্ত মানুষেরাই। জীবনের সবচাইতে বড়ো ক্ষতি করে দিয়ে চলে যায় সবচাইতে কাছের মানুষগুলিই। আমরা কাছের মানুষ বানাই এমন কিছু মানুষকে, যারা ‘দূরের মানুষ’ তো দূরে থাক, মানুষ নামেরও অযোগ্য।
  
 যে মানুষটা আমার দুর্বল জায়গার খোঁজ জানবে না, সে আমাকে দুর্বল জায়গায় আঘাত করার সুযোগটা কখনওই পাবে না। যাকে আমি বিশ্বাস করিই না, সে আমার বিশ্বাস ভাঙবে কী করে? বিশ্বাস তো তারাই ভাঙে, যাদের আমরা বিশ্বস্ত বলে জানি। ক্ষতিটা করে তারাই, যাদের আমরা কাছের ভেবে আমাদের কাছে ঘেঁষতে দিই। মানুষের জীবনে সবচাইতে বেশি দুঃখ আনে এই বিশ্বাস।
 জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরাজয় হলো কাছের ও বিশ্বস্ত মানুষদের কাছে প্রতারিত হওয়াটা। দূরের মানুষ ভাঙলে দেয়ালটা হলেও রাখে, কাছের মানুষ ভাঙলে ঘর-মন-জানালা-দরজা’সহ সব কিছুই ইঞ্চি ইঞ্চি চুরমার করে ভাঙে। ভেঙে একেবারে ছারখার করে ফেলে।
  
 ঠেকে ও ঠকে যেতে যেতে আমরা একসময় ঠিকই জিতে যাই। কেউ ঘুরিয়ে মিথ্যে বললেও ধরে ফেলতে পারি, কেউ প্রতারণা করছে জেনেও মুচকি হেসে উলটো পথে হেঁটে চলে যেতে পারি। শুধু পারি না নতুন করে কাউকে বিশ্বাস করে দু-চারটা গোপন কথা বলতে, পারি না কাউকে বুকের সাথে চেপে ধরে সবচেয়ে চাপাকষ্টটির কথাটি নির্ভয়ে বলে ফেলতে। এর কারণ, বড়ো হতে হতে জীবন আমাদের হাতে-কলমে শিখিয়ে দিয়ে যায় যে, আমাদের সবচেয়ে কাছের মানুষগুলোই আমাদের সবচেয়ে দূরের মানুষ।
  
 সবাইকে অবিশ্বাস করে বাঁচতে হওয়ার চাইতে বড়ো শাস্তি আর নেই। পৃথিবীতে এটাই একমাত্র শাস্তি যা মানুষ নিজের দোষে পায় না।
  
 ভাবনা: আটশো চল্লিশ
 ………………………………………………………
  
 এক। বেয়াদবকে পাত্তা দিলে অনেক কিছু, পাত্তা না দিলে কিছুই না।
  
 দুই। এই পৃথিবীতে একজন বসও নেই, যার সন্তান অসুন্দর। যদি কেউ আপনার সন্তানকে অসুন্দর বলে, তবে ধরে নেবেন, আপনি তার বস নন। আপনার অধীনে চাকরি করে যে, তার কাছে আপনার সন্তানের সৌন্দর্য সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়া কিংবা তার সামনে আপনার সন্তানের সৌন্দর্য নিয়ে ভালো ভালো কথা বলা অপরিপক্বতা ছাড়া আর কিছু নয়। প্রত্যেকের কাছেই তার নিজের ও বসের সন্তান ত্রুটিহীন, নিখুঁত। এই দুই প্রতীতির প্রথমটিকে বলে বাৎসল্য, দ্বিতীয়টিকে বলে কৌশল। কারও স্বাধীন মতামত দেওয়ার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখে তার কাছে মতামত চাইবার মতো ভণ্ডামি আর হয় না। আপনার সাথে যার কোনও স্বার্থের সম্পর্ক নেই, সৎসাহস থাকলে মতামতটা তার কাছ থেকে চান, যদি সে মতামত দেওয়ার মতো যোগ্যতা রাখে।
 তিন। (এই পোস্টটা কেউ অনুবাদ করতে পারলে তাঁকে এই ছাত্রীর টিউশনিটা দেওয়া হবে। হ্যান্ডসাম স্যালারি, গিভ ইট অ্যা ট্রাই!)
  
 ডু ইউ নৌ, ইট ইজ বৃষ্টিং লাইক, ইউ নৌ, কুত্তা-বিলাই হিয়ার? ওহ! হাউ ইউ নৌ! আই ম্যাড!
  
 বিকজ অভ দিস রেইন, আওয়ার ইলেকট্রিসিটি ইজ গোয়িং-কামিং, অ্যাগেইন, ইউ নৌ, গোয়িং-কামিং। দ্যাটস হোয়াই, আই ক্যান নট রিডিং, ওকে? বাট আই গুড স্টুডেন্ট অ্যান্ড শ্যুড রিড ভেরি ওকে, ইউ নৌ! আই নিড পাস ইন্টারমিডিয়েট। আদারওয়াইজ, আই উইল নট কোয়ালিফিকেশন ডিইউ অ্যাডমিট। ইফ নট কোয়ালিফিকেশন, আই নট লিভ!
  
 মাই মাদার আপসেট, ফাদার ডিপ্রেস। দে নট বিলিভ মি নাউ, বিকজ মাই লাভ বিজয়। ডিড নট টেল ডিসক্রিপশন বিজয়? আরে, কাম অন! বিজয়, বয়ফ্রেন্ড। নাউ আই লিটল, ডিপ লাভ। আই বিকাম বিগ, বিজয় ডু জব, দেন উই ম্যারেজ। ইটিসি, ইটিসি। ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড? আই ক্যান নট আন্ডারস্ট্যান্ড ফাদার-মাদার দ্যাট, লাভ ইজ লাভ পজিশন, অ্যান্ড ডিইউ ইজ ডিইউ পজিশন। হোয়াই পিপল মিক্স? আই হ্যান্ডেল বোথ, লাভ সাইড এডুকেশন। হুহ।
  
 ইউ নৌ শিওর মাই ইংলিশ? ইংলিশ ইজ ফেভারিট মাইন। দ্যাটস হোয়াই, আই অ্যাম গিভ অ্যাডমিট ডি-ইউনিট, ইন্সটিড অভ এ-ইউনিট। ইংলিশ হ্যাজ গুড সেন্স মি, নৌ ইউ?
  
 বাট আই অলসো রিড বাংলা ওয়েল।
 পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটির মিটির…ইট ইজ, ইউ নৌ, কলড দ্বিরুক্তি, যদিও কোন অর্থে, আই ফরগেট। বাট আই ডোন্ট কেয়ার!
 অ, অঘা, অজ, অনা…উপসর্গ অর অনুসর্গ, ফরাসি অর ফারসি, আই নট শিওর, বাট নো প্রবলেম! আই উইল হ্যান্ডেল মাই সাইড-বয়!
 বিদ্যা প্লাস আলয় সমান বিদ্যালয়, ইট ইজ কলড মেবি ব্যঞ্জনসন্ধি, অর বিসর্গও ক্যান বি! নো ম্যাটার, আই উইল লুক পাশের খাতা টু শিওর।
 বক্তৃতাদানে পটু যে…এটা মাস্ট বি বাচাল, অর মোটিভেশনাল স্পিকারও হতে পারে। বোথ কারেক্ট, আই শিওর! ইউ নৌ, প্রতিশব্দও গিভেন থাকে সামটাইমস! কোয়েশ্চেনে যেটা গিভেন থাকবে, ইউ নৌ, আই উইল টিকমার্ক, অর মেবি বৃত্তভরাট! ডিইউ কাম টিকমার্ক অর বৃত্তভরাট? নো প্রবলেম, আই উইল শিওর।
  
 ইউ সি, হাউ ইজ মাই বাংলা?
 ইট ইজ ভেরি জোস, আই রাইট? আই নৌ শিওর আই পাস।
  
 নাউ টাইম ফর জেনারেল নলেজ। ইউ নৌ, ইট ইজ সংক্ষেপে জিকে।
 : বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
 - সিরি…অর শিরি…অর শ্রী…মাভো বন্দর…নায়ক…অর নায়কে…অর নায়েকে? আই নট শিওর, বাট আই লুক বুক, শি ফেমাস, কমন কোয়েশ্চেন, নো প্রবলেম!
 : গাছের প্রাণ আছে, এটি আবিষ্কার করেন কে?
 - ট্রিলাভার মহাদেব সাহা। দিজ নেইম হ্যাজ মাই বিএফ আঙ্কেল, সেইম নেইম, মেবি সেইম পারসন! ওএমজি!
 : কলমের আবিষ্কারক?
 : টমাস অর থমাস আলভা সামথিং সন, মেবি এডি অর বিডি। ইউ নৌ, হি ইজ মোটামুটি এভ্রিথিং আবিষ্কারক। হিজ নেইম আনসার এভ্রি আবিষ্কারক কোয়েশ্চেন, নো প্রবলেম! হি ইজ সুপারজিনিয়াস! হি মাস্ট বি ডিইউ অর বুয়েট অ্যাডমিট পাস! আই শিওর!
  
 ইয়েএএএ…! ইউ সি মাই জিকে?
  
 নাউ ইটস টাইম ম্যাথ।
 আই নৌ ম্যাথ ব্যাডলি। ক্যালকুলাস সো টাফ। ডিফারেন্সিয়েশন ইজ ফাদার টাফ। ইন্টিগ্রেশন আই ফরগেট এভ্রিথিং! বলবিদ্যা ডোন্ট টাচ মি নেভার। দি আদার ম্যাথ আই ক্যান সাম মেমোরি।
 প্লিজ, হেল্প মি মাই ম্যাথ।
 প্লিজ, কাম অন!
 গিভ ডিপ স্ট্রং টিপস। আই উইল রক ইংলিশ, বাংলা, জিকে। আই ওয়ান্ট নৌ ভেরি গুড ম্যাথ। কাম অ্যান্ড লার্ন মি ম্যাথ।
  
 আদারওয়াইজ, মাই ফাদার মাদার উইল নট ম্যারি মি বিজয়। ইফ, বিজয় নট মাইন, আই সুইসাইড। ইফ আই সুইসাইড, বিজয় সুইসাইড, ইফ বিজয় সুইসাইড, বিজয় হৌল ফ্যামিলি সুইসাইড। ইফ অল সুইসাইড, পুলিস কেইস মাই ফাদার। ইউ ডোন্ট নৌ মাই ফাদার। ইফ পুলিস কাম হোম, ফাদার উইল গো টু গ্রেভিয়ার্ড। অ্যাগেইন ডিগ মাই গ্রেভ, অ্যান্ড হি টেল মি, ‘ডিইউ ইজ নট ফর এভ্রিওয়ান, ডিয়ার!’
  
 চার। মানুষ হিসেবে আমাদের বড়ো ব্যর্থতা এই, আমরা সে কাজের জন্যই পয়সা পাই, যে কাজটা আমরা আদৌ পছন্দ করি না।
 যারা তাদের পছন্দের কাজের জন্যই পয়সা পায়, তারা খুব ভাগ্যবান।