বড়ো হয়ে যাবার পর

বড়ো হয়ে গেছি খুউব,
মনখারাপের কথা তাই আর কাউকে বলতে পারি না।




যখনই মনে হয়, কারুর সাথে একটু শেয়ার করি,
তখনই আবার মন থেকে আসে…না থাক, আজ নাহয় সয়ে যাই!




বড়ো হয়ে যাবার কারণে হাসিখুশি থাকতে হয়।
সেজেগুজে, চুলে চিরুনি করে,
আয়রন-করা ড্রেস পরেই বেরুতে হয়।
বাচ্চাদের মতন তো আর
এলোমেলো করে আইসক্রিম খেতে,
গোলাপি রঙের শনপাপড়ি খেয়ে মুখটা গোলাপি করতে
পারি না।




এতটাই বড়ো হয়ে গেছি যে,
মায়ের সাথে, বোনের সাথে একই বিছানায় ঘুমোতে পারি না।
ওতে নাকি ‘প্রাইভেসি’ নষ্ট হয়ে যায়।
অথচ প্রাইভেসি ঠিক রাখতে রাখতে কবে যে…
বড়ো হয়ে গেলাম, একা হয়ে গেলাম…
তা-ও, ওই ‘প্রাইভেসি’টা ভাঙা হবে বলেই
কাউকেই কিছু বলতে পারলাম না।




বড়ো হয়ে গেছি বলে
ভেতরটাও মরতে শুরু করেছে, সমস্ত চাঞ্চল্য নেমে এসেছে আজ হাঁটুতে।




আহারে, এত বড়ো কবে হয়ে গেলাম!
কেন হয়ে গেলাম!
লোকে কেন বড়ো হয়!
কী করলে আবার ছোটো হতে পারব?