পড়বে না, তাই লিখি

তোমার অম্লান স্মৃতি, বহুকোণ হীরকের সমাহার দ্যুতি
অমিত বিহ্বল। তুমি ফিরে ফিরে আসো, খেলা করো,
অতনু আবেগে তাই প্রকম্পিত ক্রন্দসীর তনু
সরোবরে জমে তাই অমল মধুর এক সুরময় জলকেলি
বাগানে বাতাসে রঙ্গন মল্লিকা, পথ বেঁধে দেয় বেলী
অমর আকাঙ্ক্ষা জমে আদিগন্ত অন্তহীন মনে।




তুমি ফিরে ফিরে আসো, খেলা করো, বেজে ওঠো
ফিনকি দিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ো স্নায়ুতে
শোনিতে রক্ত তাই পরিশুদ্ধ পরিণত, আলোয় আঁধারে
তাই জমে এক নিরাকার বিহ্বল বিস্ময়।




নীলাক্ষী নির্জন নীলে নিয়ত নিলীন
তোমার আঁখির শুধুই অসীম বিস্তার।
জীবনজমিতে জ্বালা, ঘর্ষণ, স্পন্দন
আচ্ছন্ন আকীর্ণ মন মগ্ন বেলাভূমি
বনে বনে পাতায় শিকড়ে তোমার অমল সঞ্চালন;
আকাশ সমুদ্র মাটি সতত সচ্ছল।




তুমি বারে বারে সমে ফেরো, তাই নবজন্ম
জন্মান্তর---শিহর চমক
চুম্বনে আশ্লেষে শত বেদনা আনন্দ শোক
চিরদিন রক্তে রক্তে, প্রহরে প্রহরে ঘটে
বিস্ফারিত বিপন্ন বিস্ময়।




আবার বিস্ময়শেষে অন্তমেঘে পদ্মরাগ ম্লান হয়ে আসে
শিথিল পালক ওড়ে ছিন্নভিন্ন পথের ধুলায়...
সব জ্বালা আনন্দ শিহর---জীবনের সঞ্চয় বঞ্চনা
নিমেষে সমাধা হয়---নিয়ে আসে
নিঃসঙ্গ নিশ্চিহ্ন শূন্য---অমিয় নিৰ্বাণ।