গীতার শ্লোকার্থ: ৯/৩০

স্বামী শিবানন্দ বড়ো চমৎকার একটি কথা বলেছিলেন—প্রত্যেক সাধুর‌ই একটি অতীত আছে, প্রত্যেক পাপীর‌ই একটি ভবিষ্যৎ আছে।




কথাটির তাৎপর্য গভীর। কেবল এই অনুপ্রেরণাদায়ী কথাটি হৃদয়ে ধারণ করতে পারলেও নিজের বর্তমানকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য বিবেকবান মানুষ মাত্রেই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। সমস্ত সম্ভাবনা কখনোই পুরোপুরি ফুরিয়ে যায় না—শুধু নিজেকে বদলে ফেলতে হয় ক্রমাগত সাধনার মাধ্যমে। সামনে আলো আছেই!




গীতায় নবম অধ্যায়ের ত্রিশতম শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন:




অপি চেৎ সুদুরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্।
সাধুরেব স মন্তব্যঃ সম্যগ্ ব্যবসিতো হি সঃ॥




অর্থ: সুদুরাচারঃ অপি (অত্যন্ত দুরাচার বা অসৎ ব্যক্তিও), চেৎ (যদি), অনন্য-ভাক্ (অনন্যশরণ হয়ে কোনো অবিজ্ঞাত সৌভাগ্যের বলে; সহজ কথায়—অনন্যচিত্ত হয়ে বা অনন্যভক্তির সাথে। ভক্তি হতে ভক্তিযোগের যে-পার্থক্য, তা এই কথাগুলি বলে দেয়। বৈধী বা রাগাত্মিকা বা রাগানুগা ভক্তি (যা জন্মালে ভক্ত ভগবান ছাড়া আর কিছু চান না) ভক্তিযোগ নয়—যতক্ষণ না সাধকের মধ্যে অনন্যচিত্ততা জন্মায়, যতক্ষণ না বিষয়াদি কিংবা বর চাওয়ার অভিলাষ হতে, কিংবা অন্য দেবতারা বাসুদেব নয়—এই অজ্ঞান হতে মন সরে যায়।), মাং (আমাকে), ভজতে (ভজনা বা ভক্তি করে), স (তাকে), সাধুঃ এব (সাধুই বা সাধু বলেই), মন্তব্যঃ (মনে করা উচিত বা মনে করতে হবে—যে-সে ভক্তকে সাধু মনে করতে হবে না, কিন্তু যে অনন্যচিত্ত ভক্ত, যে ‘ভক্তিযোগে’ এসেছে, সে দুরাচার হলেও তাকে সাধু মনে করতে হবে, কারণ সে ‘সম্যগ্ ব্যবসিতঃ’, আর যে ভক্তিযোগে এসেছে, তার আর পতন হবে না।), হি (যেহেতু), সঃ (তিনি), সম্যক্ ব্যবসিতঃ (উত্তম বা সাধু নিশ্চয়বান বা সঙ্কল্পযুক্ত বা বুদ্ধিসম্পন্ন; ‘সম্যক ব্যবসিত’ বলতে ভগবদ্‌ভক্তকে বোঝায়; এর কারণ, ভগবদ্‌ভজনেই আমি কৃতার্থ হব—এমন‌ই সেই ভক্তের ভাব।)





তাহলে এই শ্লোকের অর্থ দাঁড়াল এই—অতি দুৰ্বৃত্ত ব্যক্তিও যদি অনন্যচিত্ত হয়ে (অনন্যভক্তির সাথে) আমার আরাধনা করেন, তবে তাঁকে সাধু বলে জানবে, কারণ তাঁর অধ্যবসায় বা চেষ্টা উত্তম।




অতি দুরাচার যে—সে-ও যদি ভজে
আমায় অনন্য ভাবে, জেনো তাকে 
সাধুসম—উপযুক্ত উদ্যম তার॥




এখন এই শ্লোকের তাৎপর্য বিভিন্ন উপায়ে বর্ণনা করছি:




এখানে ভগবান ভক্তির মাহাত্ম্য বর্ণনা করছেন—অত্যন্ত কুৎসিৎ আচারী পুরুষও আমাকে ভজনা করার মধ্য দিয়ে, অর্থাৎ অনন্যভক্তির মাধ্যমে—সম্যক্ সাধুচরিত্রে পরিণত হয়, কারণ ওই ব্যক্তির 'ব্যবসায়’ সুসম্যক হয় বা দৃঢ়তা লাভ করে।




ভগবান ভক্তবৎসল, সে-কথাই শ্রীকৃষ্ণ এখানে বলেছেন। নিন্দিত ক্রিয়াশীল বা জাতিগত কর্মের বিরুদ্ধ আচরণকারীকেও ভগবান ঘৃণা করেন না, বরং তাঁদের উৎকর্ষ সাধন করে থাকেন। অনন্যভক্তির ফলে ভগবদ্‌কৃপায় তাঁর ব্যবসায় বা কর্তব্যকর্ম দৃঢ়তাপ্রাপ্ত হয়। ভগবানকেই জগতের একমাত্র সুহৃদ, আধার, স্বামী ইত্যাদি স্থির করে জানাই 'ব্যবসায়'—এই ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যেই তিনি ভগবানকে ভজনা করেন।




এই শ্লোকে বলা হচ্ছে যে, মহাপাপীরও ভগবানকে ভজনার অধিকার আছে এবং অনন্যভজনার ফলে পরিণামে সে ভগবানকে লাভ করতে পারে। চরম পাপীদেরও ভগবানকে ডাকার অধিকার আছে।




ভগবান তাই বলছেন—আমার উপর ভক্তির এক মহান ফল এখানে বর্ণনা করছি। আমার প্রতি ভক্তির আধিক্য বর্তমান অবস্থা বদলে দেয়। অজামিল (ভাগবতোক্ত কান্যকুব্জবাসী জনৈক ইন্দ্রিয়াসক্ত ব্রাহ্মণ, যিনি মৃত্যুকালে নারায়ণভক্তির পুরস্কারস্বরূপ বিষ্ণুলোকে গিয়েছিলেন), রত্নাকর (রামায়ণ-প্রণেতা ঋষি বাল্মীকির পূর্ব নাম) প্রভৃতি ব্যক্তি অহরহ নাম করে, ভজনা করে সাধু হয়ে গেল বা যায়—তখন তাঁদের দুরাচার বলা চলবে না। তাঁদের সাধু বলে জানবে, কারণ সেই ব্যক্তি সম্যকরূপে ব্যবসিত হয়েছেন, অর্থাৎ পরমেশ্বরের উপাসনার সাহায্যে কৃতার্থ হব, এমন শোভন অধ্যবসায় তিনি করেছেন।




ঈশ্বরের জ্যোতিতে ও শক্তিতে, পাপ কি পুণ্য, সবই বিগলিত হয়। তিনি কারও পাপ-পুণ্য গ্রহণ করেন না বা তা নিয়ে ব্যস্তও থাকেন না। পাপী ভক্তি সহকারে ভজনা করলে সে পাপমুক্ত হয়; কিন্তু পাপের এমনই প্রভাব যে, মানবাত্মাকে ঈশ্বর থেকে দূরে নিক্ষেপ করে।




অত্যধিক পাপী, অশুদ্ধতম চিত্ত ও প্রচণ্ড দুরাচার ব্যক্তিও যদি নিজের চরম অধঃপতন চিন্তা করে অন্তরস্থ ভগবানকে ভজনা করে ও অনুসরণ করতে অগ্রসর হয়, তাহলে সে রক্ষা পায় এবং সাত্ত্বিক পথ গ্রহণের জন্য সিদ্ধি বা মুক্তির দিকে এগিয়ে যায়।




যেহেতু অনন্যভক্তি দুরাচারকে শান্ত করে দেয়, সেহেতু সে আর দুরাচার থাকে না, তখন তাকে সাধু বলে জানবে।




শাস্ত্রে বহুপ্রকার পাপের বহুপ্রকার প্রায়শ্চিত্তের বিধান আছে। অতি দুরাচার ব্যক্তির পক্ষে পাপক্ষালনের জন্য একের পর এক সেই অত্যধিক কঠিন বিধান মানা হয়তো একজন্মে সম্ভব নয়; সেক্ষেত্রে যদি সে অনন্যচিত্তে ভগবানের শরণ নেয়, সে তখন তপস্বী বা সাধু বলে পরিগণিত হয়।




অত্যন্ত দুরাচার ব্যক্তিও যদি অনন্যভাবে আমাকে ভজনা করে, তবে সে সাধু বলে গণ্য হয়; কেননা তার নিশ্চয়াত্মিক বা দৃঢ়প্রত্যয়ী বুদ্ধি উপযুক্ত পথকে অবলম্বন করায় সে শীঘ্রই ধর্মাত্মা হয়।




কেউ যদি অনন্যমনে আমার ভজনা করে, তবে তাকে সাধু বলে জানবে। কিন্তু কেন? তার উত্তর—'মন্তব্য', 'সম্যগ্ ব্যবসিতো' ইত্যাদি—'মন্তব্য' অর্থ: সাধু বলে মনে করবে, অর্থাৎ এটা ভগবানের‌ই মন্তব্য—তোমরা যদি সাধু মনে করার মতো কোনো কারণ না পাও, তবুও এটাকে আমার মন্তব্য বলে গ্রহণ করো। সম্যগ্ ব্যবসিতো: তার বুদ্ধি ব্যবস্থিত হয়েছে—কোনটি মঙ্গলময়, তা জেনে সেদিকে মুখ ফিরিয়েছে।




নিজের ভক্তের প্রতি আমার স্বাভাবিক আসক্তি আছে। সে ব্যক্তি দুরাচার হলেও তার প্রতি আমার সে আসক্তি অপগত হয় না এবং আমি তারও উৎকর্ষসাধন করে থাকি। যদি সে ব্যক্তি পরহিংসাপরায়ণ, পরদারাসক্ত, পরদ্রব্যাপহরণ-তৎপর হয়ে ঘোর দুষ্কৃতিশালী হয়, অথচ আমি ভিন্ন দেবতান্তরের ভজনপরায়ণ না হয়, আমাকে ভক্তি না করে জ্ঞান-কর্মাদির অনুষ্ঠান-নিরত না হয়, এক আমাকেই কামনা করা ছাড়া রাজ্যের আর কোনো সুখ‌ই কামনা না করে—তাহলে সে ব্যক্তিও সাধু।




এখানে ‘মন্তব্য’ দ্বারা বিধি সূচিত হচ্ছে—এমন দুরাচার ব্যক্তিকেও সাধুজ্ঞান না করলে প্রত্যবায়ভাগী হতে হবে; এ বিষয়ে আমার আজ্ঞাই প্রমাণ। যদি বলা হয়, তোমার ভজনা করে, এজন্য সে ব্যক্তি অংশত সাধু, কিন্তু পরদার-পরায়ণতা প্রভৃতি কারণে সে ব্যক্তি অংশত অসাধু—তার উত্তরে বলা হচ্ছে যে, তাকে সর্বতোভাবে সাধুজ্ঞান করতে হবে। তার অসাধুত্ব কখনোই দ্রষ্টব্য নয়, কেননা সে ব্যক্তি শোভন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাধুত্ব লাভ করেছে।





ফলত ঘোর পাপপরায়ণ পুরুষও যদি অনন্যনিষ্ঠ হয়ে ভগবন্নিষ্ঠ হয়, তাহলে সে-ও সাধুরূপে পরিগণিত। শ্রীভগবানের এই বচন আপাতত অসঙ্গত বলে মনে হতে পারে। কিন্তু স্থূলদৃষ্টিতে না দেখে সূক্ষ্ণরূপে পর্যালোচনা করলে, সহজেই উপলব্ধ হবে যে, সত্যস্বরূপ নারায়ণের সত্যস্বরূপ বাক্যে পরমসত্যই নিহিত আছে। যে মানুষ ভগবদ্‌ভক্তির পথে পদার্পণ করেছে, তাকে স্বতঃই উত্তরোত্তর অধিকতর উন্নতির অভিমুখে প্রধাবিত হতেই হবে।




শ্রীভগবদ্‌ভজনের এমনই মনোহর প্রভাব যে, একবার সেই আকর্ষণের মধ্যগত হলে, ক্রমেই অধিকতর আকর্ষণে আকৃষ্ট হতেই হবে। ভগবদ্‌ভজন-জনিত পরমানন্দ তখন ক্রমশ ধীরে ধীরে ও অলক্ষিতভাবে হৃদয়, মন ও ইন্দ্রিয়সমূহকে আচ্ছন্ন ও অভিভূত করে ফেলবে; তখন প্রাণ উম্মত্ত হয়ে অধিকতর আনন্দের আশায় সেই পূর্ণানন্দের উৎসাভিমুখে ছুটতে থাকবে। সংসারের ঘৃণিত লিপ্সা, বিষয়-ভোগের ক্ষণ-বিধ্বংসী আমোদ, ইন্দ্রিয়সমূহের ভোগানুরক্তিজনিত অতিতুচ্ছ সুখ—সকলই ভীষণ অকিঞ্চিৎকর ও যারপরনাই হেয় রূপে প্রতীত হবে।




এর ফলশ্রুতিতে পাপের নিন্দনীয় পন্থায় বিচরণ করার প্রবৃত্তি ক্রমশ তিরোহিত হয়ে যাবে; লালসার কুৎসিত অঙ্গুলিনির্দেশের অনুসরণ করতে আর প্রবৃত্তি থাকবে না এবং বিষয়রূপ-ভোগজনিত ক্ষণিক বিলাসে নয়ন-মন ঝলসিত হতে আর চাইবে না। তখন যে-ব্যক্তি একদিন ঘোর দুষ্ক্রিয়াশীল ও চিরাভ্যস্তপাপী ছিলেন, তিনিও ভগবদ্‌ভক্তির প্রভাবে পরম সাধুরূপে পরিগণিত হয়ে, সর্বত্র বরণীয় ও মুক্তপুরুষ রূপে পূজনীয় হতে থাকবেন। প্রকৃত ভগবদ্‌ভক্তির মহিমা অপরিসীম। এটা ক্রমোৎকর্ষ বিধায়ক ও পরম ফলপ্রদ।




এখন প্রশ্ন আসতে পারে—দুরাচার, খুনী, চোর, ডাকাতকে ভগবান সাধু মনে করতে বলছেন—এটা কীরকম কথা? খুনী, জোচ্চোর…এ সবকে দেখলেই তো ঘৃণা আসবে, ওরা সাধু কেমন করে হবে?




এর উত্তর: দুরাচার খুব কমই সাধু হতে পারে—আর সে যখন সমস্ত অসাধু বৃত্তি ছেড়ে, অনন্যচিত্ত হয়ে ভগবানকে ডাকে, তখনই সাধু বলে বিবেচিত হবে—একবার দুরাচার হলো, আবার ভগবানকে ডাকল, আবার স্বভাববৃত্তি অনুসারে অসাধু বৃত্তি গ্রহণ করল, তাহলে তাকে সাধু বলা চলবে না। যে আগে অসাধু-দুরাচার ছিল, পরে অনন্যচিত্ত হয়ে ভগবদ্‌চিন্তা করে সমস্ত দুবৃত্তি চিরতরে ছেড়ে দিল, তখনি সে সাধু বলে বিবেচিত হবে। যেমন মহাপ্রভুর জীবনে জগাই-মাধাই; শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনে গিরিশ ঘোষ, কালীপদ ঘোষ; আর একসময়ের দস্যু রত্নাকর—এঁরা যখন ভক্ত হলেন, তখন দুর্বৃত্তি একেবারেই ছেড়ে দিলেন; আর অনন্যভক্তির স্ফুরণে ভগবদ্‌স্মরণ করার পর একসময় তাঁরা সাধু বলে পরিগণিত হলেন।




এ সম্বন্ধে অন্যশাস্ত্রেও পাই:




নমেহভক্তশ্চতুর্বেদী 
মদ্ভক্তঃ শ্বপচঃ প্রিয়ঃ।
তস্মৈ দেয়ং ততো গ্রাহ্যং
স চ পূজ্যো যথা হ্যহম॥




এর অর্থ: চতুর্বেদী বা চতুর্বেদ অধ্যয়নকারী বিপ্র‌ও (বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ‌ও) যদি আমার ভক্ত না হয়, তবে সে আমার প্রিয় হয় না; কিন্তু চণ্ডাল হয়েও যদি আমার ভক্ত হয়, তবে সে আমার প্রিয় হয়। সেই ভক্ত চণ্ডালকে দান করবে এবং তার নিকট হতে গ্রাহ্যবস্তু গ্রহণ করবে—সে আমার মতন‌ই পূজ্য। (হরিভক্তিবিলাস, ১০/৯১)




ভভগবানের নামে পাপ পালিয়ে যায়—এ সম্বন্ধে শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত বলছেন: "ঈশ্বরের নামে এমন বিশ্বাস হওয়া চাই—কী, আমি তাঁর নাম করেছি, আমার এখনও পাপ থাকবে! আমার আবার পাপ কী?" (কথামৃত, ১/২/৬/৫৩)




শেষকথা: ভগবদ্‌ভক্তের অপরিসীম মাহাত্ম্য প্রদর্শনের জন্য এই শ্লোকের অবতারণা হয়েছে। নিরন্তর পাপাচার-পরায়ণ, অতিদুষ্ক্রিয়াশীল ব্যক্তিরাও যদি নানান দেবতার প্রতি ভক্তি না দেখিয়ে, কেবল আমারই ভজনা করেন, তাহলে তাঁদেরকেও সাধু বলেই জ্ঞান করা আবশ্যক, যেহেতু তাঁরা পরম শ্রেয়ষ্কর পথই অবলম্বন করেছেন এবং সাধুদের পরিগৃহীত অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয়েছেন।




যে-ব্যক্তি আমি ছাড়া অন্যদেবতার আশ্রয় গ্রহণ করে না এবং আমাকেই পরম দেবতা, পরম প্রভু ও সর্বার্থ-সিদ্ধির মূলীভূত জ্ঞান করে ভজনা করে, তারই এইরূপে সাধুত্ব সূচিত হয়। কেননা সেই ব্যক্তি আমার প্রতি একান্ত নিষ্ঠারূপ শ্রেষ্ঠ পন্থা নির্বাচন করেছেন। নৃসিংহ বা নারসিংহ পুরাণে বলা হয়েছে, "সাতিশয় মলিন হলেও মানুষ যদি শ্রীহরির প্রতি অনন্যচেতা হয়, তাহলেও তিনি পরম শোভাময় রূপে প্রকাশিত হয়ে থাকেন। চাঁদের গায়ে দাগ থাকলেও চাঁদ কখনোই আঁধারে ডুবে যায় না।"