কে তোমাকে নিয়ে কী ভাবে কী ভাবে না, ওসব নিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই। তুমি কী ভাবো কী ভাবো না, ওরা তো তা জানেই না। তোমাকে নিয়ে তাই ওরা ওটাই ভেবে নেয়, যা ভাবতে ওদের ভালো লাগে। তুমি শত চাইলেও ওই জায়গা থেকে ওদের সরাতে পারবে না। কে তোমাকে নিয়ে কী ভাববে বা কতটা ভাববে, তার উপর তো তোমার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, তাই না? ওদের ভাবতে দাও, ওরা ভাবুক যা খুশি। যদি কেউ তোমাকে ভালোমানুষ ভাবতে চায়, তবে সে তা-ই ভাববে; মজার ব্যাপার, তুমি আদতে খারাপ হলেও, সে তোমাকে ভালোই ভাববে। আর তুমি যেমনই হও না কেন, কেউ যদি তোমাকে খারাপ ভাবতে চায়, সে তোমাকে খারাপ ভাববেই। শুধু নিজে ভেবেই ক্ষান্ত হবে না, অন্যদেরও উৎসাহিত করবে। কেউ তাকে থামাতে পারবে না। আরও অদ্ভুত একটা ব্যাপার ঘটবে। তুমি যতই চেষ্টা করবে, ওদের মন জয় করতে, ওদের মনমতো চলতে, আরও ভালো কাজ করতে, ততই ওরা তোমাকে বেশি বেশি খারাপ ভাববে, যদি ওটাই ওদের ইচ্ছে হয়। তোমাকে নিয়ে যার যা ভাবনা, তা থেকে তাকে দূরে সরাতে তুমি পারবেই না! ওদের ভুলভাল ভাবতে দাও। ওদের উলটাপালটা মন্তব্য করতে দাও। ওদের এলোমেলো কথাবার্তা ও কুৎসা ছড়াতে দাও। ওদের দৌড় অতটুকুই। ওরা ওটাকেই সাফল্য ভাবে। তুমি যা করছ, তা যদি ঠিক হয়, তা যদি কারও কোনও ক্ষতি না করে, তবে যে যা-ই বলুক, তোমার মাথাটা উঁচু করেই রাখো। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখো। তুমি শেষ হয়ে গেলে ওদের চাইতে বেশি খুশি আর কেউ হবে না, কেননা তখন ওরা জিতে যাবে। এগিয়ে যাও, দৃষ্টি সামনের দিকেই রাখো। ওদের কথা ভেবে ভেবে সময় নষ্ট না করে, ওদের ভুল প্রমাণিত করার পেছনে সময় খরচ করো। ওদের ভাবনার কারণে তুমি কষ্টভোগ করবে না, নিজের কাজের কারণেই তুমি কষ্টভোগ করবে। লোকের ধারণাকে তুমি তেমন একটা বদলাতে পারবে না। তবে তুমি নিজের কাজগুলিকে উন্নত করতে পারবে। ওরা দেখবে, তুমি এগিয়ে যাচ্ছ। ওরা বুঝবে, ওরা ভুল ভাবছে। তবু ওরা ওদের জায়গা থেকে সরে আসবে না। ওদের মনের মতো করে নিজেকে বদলে লাভ নেই, সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ীই নিজেকে বদলে ফেলো। ওতেই হবে। আমরা বেশিরভাগ মানুষই, যার সঙ্গে আমাদের কথা বলারই কোনও দরকার নেই, তার কাছেও নিজেকে ব্যাখ্যা করতে শুরু করে দিই! কোনও মানে হয়!? যার কাছে নিজের অবস্থানটা ব্যাখ্যা করার কোনও দরকারই নেই, সে তোমাকে যা ইচ্ছে ভেবে নিক, যেমন খুশি ব্যাখ্যা করুক। তুমি মুখে কোনও উত্তর দিয়ো না। তার হয়তো কাজ নেই, তোমার তো আছে!