ঈশ্বর নয়, রুয়েলিয়া

নির্জলা শুদ্ধ মানুষ দেখতে কেমন হয়, লেমনেড সোডায় তারাও কি জীবনটাকে একপ্রস্থ ভিজিয়ে রাখে কি না আমার জানা হয়নি।




কিশোরবেলায় মার্থা ছিল, কালোয় মেশানো একমাথা সোনালি চুল,
তরুলতার মতন এঁকেবেঁকে হেঁটে আসত সান্তা ডেল প্রিসিলার দরোজা খুলে, হাতে দুটো সাদা রুয়েলিয়া থাকত।




সে বলত, আরও একটা সকাল-প্রাপ্তির জন্য ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানাও।




আমি শুধু তাকিয়ে থাকতাম, দুটো সাদা রুয়েলিয়া হতে চাইতাম;
মনে মনে বলতাম, আমায় ওই দুটো রুয়েলিয়ায় বিভাজনক্ষম করে দাও, ঈশ্বর,
তবেই তোমায় নৈবেদ্য দেবো!




ঈশ্বর তাঁর নিজের পুত্রের ফুলে ভাগ বসালেন না।




একদিন রেললাইন ধরে হাঁটছি,
কাশবনে এক কিশোরী জীবনের অলক্ষে সুখ সাজায় গুনে গুনে,
ঠোঁটে হেমলক মেখে পরক্ষণেই মৌচাকে মুখ ডোবায় গোপনে;
শীতের সকাল বলে, মেয়ে, শিশিরে পা দিতে হয় বুঝে-শুনে!




আমি হেসে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলাম পা, জোনাকির আলোয় পথ খুঁজে
সান্তা ডেল প্রিসিলায় ফিরে এলাম!




আজ প্রিসিলায় মেরুন আলোর বান ডেকেছে।
ফাদার ফিঞ্চ বললেন, চৌত্রিশ দিন হয়ে গেল রুয়েলিয়ায় কেউ জল দেয়নি,
এ-ই তবে ফিরে এলে!




অথচ, আমি চেয়েছি আজ প্রিসিলায় নিয়ন আলো জ্বলুক,
আজ মার্থা কিছু সময় লাভ-অ্যাট-আর্মস পড়ুক,
রুয়েলিয়া-দুটো আজ নাহয় ঈশ্বর হয়ে উঠুক!




নীলনদ ডেকে বলল, মনে আছে, একদিন স্পার্টায় রানি লসট্রিস টাইটাকে চুমু খেয়েছিল?
অবোধ বালক, তবে কি তুমি টাইটা হতে চাইছ?




বললাম, বিভূতিভূষণ পড়েছ?
বিষ্ণুমন্দিরে জীতু-মালতীর সন্ধে-দেওয়া প্রেম দেখেছ?




ল্যারি বলত, জোসেজাইনকে ভালোবেসে বার বার আমি উইলোবনে ফিরে আসতাম!




অনস্তিত্বে বাতিল মানুষ, জানি; তবুও
আঁকশিতে স্বপ্ন গেঁথে সুখী হবার অনিবার ইচ্ছে।




তোমায় লেখা হয়নি, বাগানে ব্লিডিং-হার্ট ফুটেছে!




ওহে নীলনদ, সান্তা ডেল প্রিসিলায়
আমি কেবল ওই দুটো রুয়েলিয়া হতে চাইতাম।