আমি তেমন কেউ নই, যাকে পরিচয় করিয়ে দিতে তোমার ভালো লাগবে। টানাটানা চোখ, পাতলা-সরু ঠোঁট, কোমড় লুটিয়ে-পড়া চুলের গোছা; ওসবের একটাও যে আমার নেই! কী দিয়ে ভোলাব তোমাকে? আসলে ভোলাতে আমি চাই-ইনি কখনও। এসব ভোলানো-টোলানো'তে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু তোমাকে দেখার পর থেকে মনে হয়, ইস্, সবকিছুর বিনিময়েও যদি তোমাকে ধরে রাখতে পারতাম! আমার চেহারায় কোনও চার্ম নেই, অ্যাট্র্যাক্টিভ পার্সোনালিটিও নেই। আমি ইম্প্রেসিভ নই বলেই তুমি আমাকে কখনও কারও সামনে আনতে চাও না। বন্ধু, আত্মীয়, পরিবার কারও কাছেই কখনও আমার কথা বলতে পারোনি তুমি, আমি জানি। কখনোই যে বলতে পারবে না, এ-ও জানি। আচ্ছা, কাউকে ভালোবাসা জরুরি? না কি শোঅফ করতে পারা জরুরি, বলো তো? আমি যদি খুব সুন্দরী হতাম, ইম্প্রেসিভ হতাম, আর ভালোবাসার নামে শোঅফ করতাম, তাহলে নিশ্চয়ই তুমি আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এতদিনে, তাই না? তোমরা যারা ভালোবাসা পেতে চাও, তারাই আবার রং-রূপ-স্ট্যাটাসের কাছে মাথা নত করে বসে থাকো। এমন দু-মুখো কি তুমি একাই? না কি সব পুরুষই অমন? ভালোবাসতে পারুক আর না পারুক, মানুষটার সাদা চামড়া থাকতে হবে; তোমাকে শ্রদ্ধা করুক আর না করুক, তাকে গ্ল্যামারাস হতে হবে! এটাই কি বেশিরভাগ পুরুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবার সূত্র? ওহে পুরুষ, সাদা চামড়ার কারণেই যদি তোমাদের মনে ভালোবাসা জাগে, তবে সেই মানুষটির কুঁচকে-যাওয়া চামড়ার বেলায় কী ঘটবে, ভেবে দেখেছ? ভালোবাসার চেয়ে শোঅফকে বেশি গুরুত্ব দিতে দিতে প্রকৃত ভালোবাসা যে পুরো দুনিয়া থেকে উঠে যাচ্ছে, সে খবর তুমি রেখেছ কি? অবশ্য রাখবেই-বা কেন? ওতে তোমার কী-ইবা এসে যায়?