ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা: ১৩৬


ভাবনা: নয়-শো ছেচল্লিশ
………………………………………………………


১। Somehow your heart knows what you want. Listen to it, or you will suffer later.

২। Sometimes you need someone to sleep with under the roof.
Sometimes you need someone to sleep with under the stars.

Life is difficult.

৩। I wish I had no one in my life whose call I have to receive. Obligation sucks!

৪। তুমি আমার মেসেজের রিপ্লাই দিয়ো না, প্লিজ! তুমি রিপ্লাই না দিলে আমার পাপের কিছুটা হলেও প্রায়শ্চিত্ত হয়। কাউকে চিরদিনের জন্য চলে যেতে দেবার পর তার প্রেমে পড়ে যাবার চাইতে বড়ো পাপ যে আর হয় না! তুমি তো সেই দেবী, যাকে উপেক্ষা করেছি বলেই আমার সারাটা জীবন অভিশপ্ত হয়ে গেছে। তুমি আমার পুরো জীবনের আফসোস!

৫। If you are poor, never underestimate the power of money consoling yourself, telling... Money cannot buy happiness... or such rubbish things. Only the rich people have got the right to underestimate the power of money. Of course, poverty deserves some silence.

৬। যে দেশে বিসিএস ক্যাডার হ‌ওয়াকে জ্ঞানী হ‌ওয়া মনে করা হয়, সে দেশে জ্ঞানের চর্চা বিসিএস গাইডব‌ইতেই হবে... স্বাভাবিক।

মেসি পিএসজি'তে ফিরে গিয়ে কী লাভ হলো? তার চেয়ে বরং বিসিএস কোচিংয়ে ভর্তি হলে জ্ঞানী হবার একটা চান্স অন্তত থাকত! আর ক্যাডার হয়ে যেতে পারলে কথাই ছিল না... হাজারে হাজারে মুরিদ, লাখে লাখে টুরুলাভ!

৭। Stop telling me about your philosophy. People suffer for your practice, not for your philosophy. If your practice is tolerable, your philosophy is tolerable. If you're bad, your beliefs can't be good. What you practise is more important than what your philosophy teaches. Period.

৮। আপনি কারও কাছ থেকে জোর করে সময় বা পরামর্শ চাইতে পারেন না। তাঁর দিক থেকে সুনির্দিষ্ট কারণ বা আগ্রহ না থাকলে কেউ আপনার সাথে কথা বলবেন কি বলবেন না, সেটা তাঁর ব্যাপার। একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষকে টানা দুই বারের বেশি ফোন দেওয়া বা একটানা মেসেজ পাঠিয়ে যাওয়া মানসিক সুস্থতার লক্ষণ বলে আমি মনে করি না। আপনার যত প্রয়োজন‌ই থাকুক না কেন, আপনি এটা করতে পারেন না। কাউকে নিজের সমস্যার কথা ক্লান্তিহীনভাবে বলে যাওয়া তাঁর কাছে কোনও কিছুই মিন করে না যদি তিনি আপনাকে সময় দিতে না চান।‌ আপনার আবেগ বা প্রয়োজনের দাম কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে জিরো। এমনকী আপনি যদি তাঁকে মনপ্রাণ উজাড় করেও পছন্দ করেন, তাতেও তাঁর কিছুই এসে যায় না।

মানুষ এভাবেই নিজের আবেগকে সস্তা করে ফেলে। যা পাবার অধিকার আপনার নেই, জোর করে কার‌ও‌ কাছ থেকে তা আদায়ের চেষ্টা করলে যদি তিনি আপনার সাথে খারাপ আচরণ করেন, তবে আপনি সেটা ডিজার্ভ করেন। অধিকার ও আনুকূল্যের মধ্যে পার্থক্য আছে। অধিকার আদায় করা যায়, কিন্তু আনুকূল্য পাওয়া না পাওয়া অন্যের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। আপনার সমস্যা আপনার কাছে বড়ো, অন্যের কাছে বড়ো নয়। এটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না, মিনিমাম কমনসেন্স থাকলেই চলে।

৯। হাইট অব কিপটামি:

লোকটা এতটাই কিপটা ছিল যে সব‌ই জমিয়ে রাখত, কিছুই খরচ করতে চাইত না... এমনকী বিয়ের সময় সে খুঁজছিল সন্তান আছে, এমন কোনও মেয়েকে, যাতে বিয়ের পর সন্তান উৎপাদন করার জন্য কিছুই খরচ করতে না হয়!

১০। এ জগতের অন্যতম সস্তা জিনিস হলো কিপটা লোক; কেননা তার নিজেরও কোন‌ও দাম নাই, তার পয়সার‌ও কোনও দাম নাই। বলা যায়, কিপটা লোক মাত্রই ছোটোলোক প্রো-ম্যাক্স। কিপটা লোকের সাথে চলার মানেই বাড়তি একটা লোকের খরচ বহন করে চলা। তার সাথে মেজাজখারাপ ফ্রি! কোনও মানে হয়? এর চাইতে একলা চলাই ভালো।

কিপটা লোকের একটাই কথা:
তোরা যে যা বলিস ভাই,
আমার লজ্জাশরম নাই।

কৃপণতা মূলত একটি মানসিক সমস্যা। এই সমস্যায় আক্রান্ত বেআক্কেল মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন নিজের মনকে ভালো রাখার স্বার্থে। বেআক্কেল মানুষ বড়োই বিরক্তিকর।

যে আমায় করেছে অকারণে পর,
সে করুক কিপটা জামাইয়ের ঘর।

১১। Love not, suffer not.

১২। আমি বেশিরভাগ ব‌ই‌-ই কিনি অনলাইনে। সেই সূত্রে, ক্যুরিয়ারের ডেলিভারি-ম্যানদের সাথে আমার ব‌ইবাহিক সম্পর্ক।

১৩। দীর্ঘসময় ধরে স্টুডেন্ট পড়ানো এবং অনলাইন ও অনস্টেজ স্পিচ ডেলিভারির সুবাদে আমি একজন অমাইক মানুষ... আমার কণ্ঠস্বর যথেষ্ট জোরালো।

১৪। পুরুষমানুষ 
সন্তানকে ভালোবাসে,
স্ত্রীকে ভয় পায়।

(উল্লেখ্য, 'সন্তানকে' এবং 'স্ত্রীকে' শব্দদুটির আগে নিজদায়িত্বে 'নিজের' শব্দটি বসিয়ে না পড়লে পোস্টটির বক্তব্য ভুল বোঝা হয়ে যাবে।)

১৫। ১২ হাজারের বেশি ব‌ইয়ের একটি পার্সোনাল লাইব্রেরি, তার পাশেই ছিমছাম বেড-ডাইনিং-ড্রয়িং রুম, খুব কাছের দূরত্বে অফিস।

এ-ই আমি।

১৬। আমি মাঝে মাঝে ভাবি, যাঁরা আমার মতো শীতে কাবু হয়ে পড়েন, ঠাণ্ডা সহ্য‌ই করতে পারেন না, তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে শীতল দেশগুলিতে গিয়ে থাকেন কীভাবে?! (আমি ইমিগ্রেশনের কথা বলছি, মাইগ্রেশনের নয়।)

অভিজ্ঞতা থেকে এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলবেন?

আচ্ছা, খুব ঠাণ্ডায় কি মানুষ হঠাৎ হঠাৎ বিষণ্ন হয়ে পড়ে?

('ধন ধান্য পুষ্প ভরা' জাতীয় কমেন্ট চাইছি না; ওসব আমরা জানি ও মানি।)

১৭। Never underestimate your boss's ability to underestimate you.

১৮। সাদিয়ার বাচ্চাটা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি কথা বলা শিখল কেন?

স্বাভাবিক! সাদিয়া যে পরিমাণে বদমেজাজি, বেচারা আর কতদিন মুখ বুজে সহ্য করবে!

১৯। যেদিন ঘরদোর পরিচ্ছন্ন ও গোছানো, ফ্রিজে ও টেবিলে অনেক ধরনের খাবার থাকে, রান্নাও হয় ভালো, হাতে গল্প করার মতো সময় থাকে, সেদিন ঘরে আসে না কেউই।
অথচ যেদিন ঘরদোর অপরিচ্ছন্ন ও এলোমেলো, ফ্রিজে ও টেবিলে খাবারের আয়োজন থাকে সামান্য, রান্না হয় মোটামুটি, ব্যস্ততা থাকে ভালোই, সেদিন‌ই দরজায় কড়া নাড়ে অতিথি।
এ কী পরিহাস!

২০। সেদিন হঠাৎ আবিষ্কার করেছি, রাতের জার্নিটা অসাধারণ। ইনসিকিউরিটি, ভয়, একাকিত্ব... আবার একধরনের উচ্ছলতাও। আমি যখন-তখন বিপন্ন হতে পারি... এই বোধের মধ্য দিয়ে যে কখনও যায়নি, তার আবার জীবন কীসের?!

আসলে জীবনে সব সুখ থাকলে হয় না, ঝালমুড়ির মতন সবকিছুর মিক্সার থাকতে হয়, নইলে জীবন উপভোগ্য হয় না। একটু-আধটু অনিশ্চয়তা না থাকলে জীবনটাকে গোয়ালঘর গোয়ালঘর লাগে। গোছানো জীবন সবসময়ই খুব নগণ্য জীবন। জীবনে সুখ ও মহত্ত্ব কখনও একসাথে থাকে না।

তোমরা যে জীবনটা যাপন করো, তা পৃথিবীর ছয়-শো নিরানব্বই কোটি নিরানব্বই লক্ষ মানুষ‌ই যাপন করে। বাকি যে কয়েক হাজার মানুষ আছে, তারা আমার মতোই। আমরা আয়নার উলটো পিঠে চেহারা দেখি। আয়নায় যা দেখা যায় আর আয়নায় যা দেখতে হয়, এই দুইয়ের মধ্যে অনেক দূরত্ব আছে। এই দূরত্ব পেরোতে যে সাঁকোটা লাগে, তার নাম‌ দুঃখ। দুঃখ‌ই প্রকৃত ঐশ্বর্য।


ভাবনা: নয়-শো সাতচল্লিশ
………………………………………………………


১। নিতান্তই প্রয়োজন না হলে নিজেকে অত ব্যাখ্যা করতে যাবেন না। (মানসিকভাবে হলেও) হয় এড়িয়ে যান, নয় দূরে সরিয়ে দিন।

অপ্রয়োজনীয় মানুষের কাছে নিজেকে ব্যাখ্যা করলে প্রয়োজনীয় সময় নষ্ট হয়, ওদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। নিজেকে ব্যাখ্যা করা ও না করা, দুই-ই স্রেফ অভ্যাস। চেষ্টা করলে অভ্যাস বদলানো যায়।

দিনশেষে, যা-কিছু নিয়ে আমাদের বাঁচতে হয়, সেগুলির মধ্যে ওরা নেই। তাই যদি নিজের জীবনে ওদের জায়গা দিই, তাহলে ওরা এসে কিছু প্রয়োজনীয় মানুষ ও সুখ জীবন থেকে বের করে দেবে।‌ কখন যে দেবে, দেবার আগ পর্যন্ত টের‌ই পাবো না। কী দরকার!

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে... ঋষিকবির এই মহৎ দর্শন লালন করে আমরা বেঁচে আছি। আর‌ও ভালো হয়... কাউকে কখনোই না ডাকলে। ডাকলেই সমস্যা। ডাকলেই লোকে দুর্বলতার সুযোগ নেয়।

জীবনে মানুষ বাড়লে সুখ কমে।

২। না, আমাকে এখন টাকা দিয়ো না। একেবারে ফকির হয়ে যাই, তখন আবার চাইব। তোমার কাছে চাইতে আমার ভালো লাগে।

ছোটোবেলায় স্কুলে যখন যেতাম, বান্ধবীদের বাবারা ওদের মাঝরাস্তায় কোলে নিয়ে আদর করে এক টাকা বা আটআনা দিত। আমাকে কেউ কখনও স্কুলে যাবার বা স্কুল থেকে ফিরবার সময় টাকা দিত না কেন, তা ভেবে ভেবে ওই ছোট্ট আমার‌ও তখন খুব বিষাদে ধরত। ছোট্ট আমাকে কোলে নিয়ে আট‌আনা দেবার কেউ ছিল না।

সেই ছোটোবেলায় একটাকা না পাবার তীব্র আক্ষেপ আমার অনেক যুগ থেকে গিয়েছিল। এখন আমি চাইলেই দু-পকেট অনেকগুলি একটাকার কয়েনে ভর্তি করে রাখতে পারি, কিন্তু ছোটোবেলার সেই ছোট্ট আমি'র আক্ষেপটা কমেনি আজ‌ও। কিছু আক্ষেপ সারাজীবনেও যায় না।

তোমার কাছ থেকে মাঝে মাঝে এরকম করে টাকা চাইব বাবার কাছে যেভাবে চাইতে পারতাম; এমনকী আমি চাকরি বা ব্যাবসা করে কোটিপতি হলেও আমাকে মাঝে মাঝে সামান্য কিছু টাকা দিয়ো। ছোটোবেলা শুরু হবার আগেই বাবাকে হারিয়েছি, বার্ধক্য শুরু হবার আগেই তোমাকে হারিয়ে বুড়ো হতে চাই না।

৩। তুমি কাউকে মিস করছ, কিন্তু তার সাথে কথা বলার কোনও পথ তোমার সামনে আর খোলা নেই। তাই তুমি এই একাকিত্বের কষ্ট কার‌ও সাথে শেয়ার করছ। তুমি এই তৃতীয় মানুষটার সাথে আদৌ কথা বলছ না, তুমি আসলে তার মধ্যে তোমার পছন্দের মানুষের ছায়া খুঁজে বেড়াচ্ছ।

মজার ব্যাপার, এই নতুন মানুষটাও কাউকে মিস করছে। যাকে সে মিস করছে, তার সাথে কথা বলার কোনও রাস্তা তার নেই। তোমার মধ্যে সে অন্য কাউকে খুঁজছে। খুব যে খুঁজে পাচ্ছে, তা-ও নয়, তবু তোমার সাথে কথা বলতে তার খারাপ লাগছে না। তোমরা গল্প করছ, তোমাদের ভালো লাগছে। তোমরা দু-জন‌ই মূলত ছায়ার সাথে গল্প করছ। মানুষ ছায়াজীবী প্রাণী।

মানুষ একদিন এভাবেই বাঁচতে শিখে যায়। বাঁচতে গেলে এভাবেই বাঁচতে শিখতে হয়। যার সাথে বাঁচতে ইচ্ছে করে, তার সাথেই বাঁচতে পারে যারা, ওরা খুবই অবিশ্বাস্য রকমের সুখী মানুষ। অতটা সৌভাগ্য নিয়ে বাঁচতে বেশিরভাগ মানুষই পারে না। মনের মতো মানুষের সাথে বাঁচতে না পারলেও কেউ মরে যায় না। যেত যদি, তবে পুরো পৃথিবী শ্মশানে আর কবরে ভরে যেত।

মানুষ বোধ হয় মিস করতেই জন্মায়, তাই মিস করে করেই বাঁচে। আর বাঁচে বলেই মানুষ একসময় ভিন্ন মানুষকে মেনে নেয়। উপায় কী... বাঁচতে হবে তো!

৪। মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে; আর আগের চেয়ে কম স্বস্তি নিয়ে মরে। কিন্তু কেন এমন হয়? কী করলে পরে মানুষ তার বৃদ্ধ বয়সে সুখে বাঁচতে পারে?

উত্তরটা সহজ। যা করতে আমাদের ভালো লাগে, যদি তা করা বন্ধ করে না দিই, অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ভালোলাগার কাজটা করে যাই, তাহলে বাঁচতে আমাদের ততটা খারাপ লাগবে না।

এই যেমন, কেউ গাইতে ভালোবাসে, কেউ ছবি আঁকতে ভালোবাসে, কেউ লিখতে ভালোবাসে, কেউ বাগান করতে ভালোবাসে, কেউ হাতের কাজ করতে ভালোবাসে, এবং এরকম আরও অনেক কিছু। এইসব কাজ‌ই মানুষকে ভালো রাখে, দিনযাপনের ক্লান্তি ভুলতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের সচলতা মানুষকে ভালো রাখে, অপ্রয়োজনীয় চিন্তাভাবনা থেকে দূরে রাখে।

মানুষ বুড়িয়ে যায় মূলত মনকে ভালো রাখতে পারে না বলে, আত্মার যত্ন ঠিকভাবে নিতে পারে না বলে। বয়সের ভারে যে অবসাদ আসে, তাতে শরীরের ও ভাবনার শক্তি ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে থাকে... যদি মস্তিষ্কের আলস্যকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। যা করতে ভালো লাগে, তা করার সময় মানুষ সাধারণত শারীরিক ও মানসিক নানান বিষাদ ভুলে সুন্দর সময়ে বাঁচতে পারে।

শখের কাজে বয়স‌ও হার মানে। ক্লান্তি ও অবসাদ ভুলতে ভালোলাগার কাজ অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। এতে মনের ক্ষমতার জোরে সকল ধরনের বাধা সরিয়ে মানুষ কর্মক্ষম থাকে, সুখের অনুষঙ্গ নিয়ে বৃদ্ধ বয়সেও হাসিমুখে থাকতে পারে।

৫। : I've a bad habit... I pee in the washbasin.
: I've the worst habit... I love you.

৬। Your smile is a treat for my eyes.
Your voice is a treat for my ears.
Your face is a treat for my soul.
Your touch is a treat for my feelings.
Your absence is a treat for my existence.

Thank you for your beauty.

৭। তুমি যেন জানালার শার্সিতে ছড়ানো বৃষ্টিফোঁটার স্তিমিত শোভাযাত্রা...
এখানেও নেই, নেই ওখানেও...
তবু আছ সবখানেই।

৮। While giving quality time to a stranger, I usually check whether it adds value or pleasure to my life or not. If the answer is yes, I give time. If the answer is no, I simply ignore them. I usually prefer spending time with myself to spending it with someone else. Often, giving time to a stranger destroys our inner peace.


It's okay to make people happy only when for this you don't have to do anything that makes you unhappy.

৯। When poor people buy, they usually buy goods and services satisfying their moneybags.
When rich people buy, they usually buy happiness satisfying their eyes.
You're rich only when money becomes the cheapest bargain to you.

১০। People love to hate.

১১। Small minds get attached to things.
Average minds get attached to people.
Great minds get attached to passions.

১২। Women want love from men. Men want peace from women. And both of them get disappointed.

১৩। Cheap people are cheaper than cheap things. So avoid cheap people even when they offer you expensive things.

১৪। যা যা রেখে দিয়েছেন, কিন্তু কোনও কাজে লাগবে না কখনোই, বরং কষ্ট দেয় মাঝে মাঝে... যখন‌ই সেগুলি দেখেন কিংবা চোখের সামনে বা আড়ালে রেখে সেগুলি নিয়ে ভাবেন... তা তা রিমুভ করে দিন, সত্যি সত্যি দূরে ফেলে বা সরিয়ে দিন... অথবা একদমই অপরিচিত কেউ, যে আপনাকে চেনে না, আপনাকে নিয়ে যার কোনও জাজমেন্ট নেই বা থাকলেও তাতে আপনার কিছুই এসে যাবে না কখনও... তার কাছে, এই যেমন নাহয় আমার কাছেই জমা রাখুন। কষ্ট জমা রাখার সুযোগ পেলে তা গ্রহণ করা ভালো।

বছরশেষে, নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও এইটুকু করতে পারলে, প্রথম কিছুদিন কষ্ট হবে নিশ্চয়ই, তবে সামনের বছরটা ভালো কাটবে।

স্মৃতি ছুঁতে চাইলে হাত দিয়ে নয়, মন দিয়ে ছোঁন।

এসো, পাখিদের মতো বাঁচি,
যা-কিছু নিষ্প্রয়োজন, তার সব‌ই পেছনে ফেলে আসি...

১৫। যদি সত্যিই ভালোবাসো,
তবে আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থেকো না;
বরং সেদিকে তাকাও, যেদিকে তাকাই আমি।

ভাবনা: নয়-শো আটচল্লিশ
………………………………………………………


১। : যার সাথে তুমি একটু আগে হ্যান্ডশেইক করলে, তুমি কি ভুলে গেছ, সে তোমার প্রতি একসময় কতটা নিষ্ঠুর ছিল!
: ভুলে গেছি কিংবা মনে রাখিনি।
: অতটা অন্যায় আচরণ ভোলা সম্ভব?
: অবশ্যই সম্ভব, যদি ভুলে যাওয়াটাকে খুব স্পষ্ট করে মনে রেখে দেওয়া যায়।
: তোমার ক্ষত কি তবে সেরে গেছে?
: হ্যাঁ, খোঁচাই না বলেই!
: আর সেইসব কষ্টের স্মৃতি?
: তা-ও... ওদেরকে ওদের মতো করে ফেলে রেখে এসেছি সেই কবেই!
: তুমি ওকে এভাবে ছেড়ে দিলে তাই বলে!
: আমাকে কষ্ট দিয়ে যাকে একদিন বাঁচতে হয়েছে, তার দেওয়া কষ্ট বয়ে আমাকে যে বাঁচতে হচ্ছে না, এর চাইতে বড়ো পুরস্কার আর কী হতে পারে, বলো?

২। আমরা ভাবি, আমি যেভাবে ওকে দেখতে চাই, কেন সে ঠিক ওরকম নয়? কেন সে আমার পছন্দের পথে চলে না? কেন সে আমার আমার মতো করে ভাবে না? কেন তার বিশ্বাস আমার বিশ্বাসের মতো নয়? আমার পথে সে নেই যেহেতু, তবে সে নিশ্চয়ই ভুল পথে চলছে!

এসব ভেবে ভেবে আমরা স্রেফ সময় নষ্ট করি। কখনো কখনো এসব ভাবনা চাপিয়ে দেবার বা প্রচার করার চেষ্টা করে মানুষকে বিরক্ত ও বিব্রত করি। মানুষ তখন ধরেই নেয়, আমাদের মত ও পথ বোধ হয় অন্যকে বিরক্ত করার অবারিত লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে।

যারা আমাদের মনের মতো নয়, তাদের আচরণ ও জীবনযাপন দেখে আমরা যদি অস্বস্তিতে ভুগি বা বিরক্ত হ‌ই, তবে কিন্তু তার সম্পূর্ণ দায় আমাদের নিজের। আমরাই আমাদের বিরক্তিতে ও বদমেজাজে ডুবিয়ে রাখি ইচ্ছে করেই। মেনে নিতে পারলে সময় বাঁচে, ভালো থাকা ও রাখা যায়।

কাউকেই বদলে ফেলার প্রয়োজন নেই। কার‌ও মত ও পথ নিয়ে রায় দেবার প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে বরং অনেক ভালো নিজের সহনশীলতা বাড়ানো। যে যেভাবে বাঁচে, তাকে ঠিক সেভাবেই বাঁচতে দিলে তার কোনোকিছু নিয়ে আমিও বিরক্ত ও বিব্রত হব না; আমার কোনোকিছু নিয়ে সে-ও বিরক্ত ও বিব্রত হবে না। মানুষকে তার মতো করে মেনে নিতে পারাই স্মার্টনেস।

৩। : চেষ্টা করো সংস্কৃত শিখতে।
: কেন?
: প্রার্থনা করতে সহজ হবে, তাই।
: কীরকম সহজ?
: মন্ত্র যা আছে, তার সব‌ই তো সংস্কৃত ভাষায়।
: আমি তো নিজের ভাষাতেই প্রার্থনা করি। অসুবিধে তো হয়নি কখনও।
: তা না হোক, তবে এ-ও তো সত্য, সংস্কৃত দেবতাদের ভাষা, ঈশ্বরের ভাষা।
: হতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর যে আমার ভাষাতেই আমার সাথে কথা বলেন, আমার প্রার্থনার উত্তর দেন। আমাকে তাহলে নতুন ভাষা শিখতে হবে কেন প্রার্থনা করতে গেলে?

হ্যাঁ, তিনি সব ভাষাই বোঝেন। তাঁর অবস্থান যে মানুষের হৃদয়ে... হৃদয় কি আর অন্য ভাষায় কথা বলে হৃদয়ের ধারকের সাথে? হৃদয় যার, ঈশ্বরও তার, ভাষাও তার। হৃদয় না জাগলে হাজারো মন্ত্র উচ্চারণ করলেও ঈশ্বর সাড়া দেবেন না।

পুনশ্চ। 'সংস্কৃত' শব্দটি সহজবোধ্যতা ও নির্বিঘ্নতার স্বার্থে ব্যবহার করেছি। শব্দটিকে অন্য যে-কোন‌ও ধর্মগ্রন্থে ব্যবহৃত ভাষার নাম দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারেন চাইলে।

৪। : এই নদীতে তুমি কতদিন ধরে নৌকা বাও?
: সে তো অনেক দিন! পঁচিশ বছর কেটে গেল নদীর সাথে...
: তাহলে তো এ নদীর সব‌ই চেনো!
: তা বলা যায়... প্রতিদিনই তো স্রোতের বাঁকে বাঁকে বাঁচা-মরা...
: হুম... নদীর কোথায় কোথায় কত বড়ো পাথর আছে, কোন জায়গায় চর জাগবে জাগবে করছে... সেসব খবরও তাহলে জানো নিশ্চয়ই?
: না না, তা জানি না; জানা সম্ভবও নয়, প্রয়োজনও হয় না।
: কেন, বলো তো?
: শুধু জলের গভীরতার খোঁজ জানলেই চলে। পাথর কি চর, দুই-ই স্থান বদলায়, কিন্তু গভীরতা স্থির, ধ্রুব। গভীরতা ধরে নৌকা বাই, তাহলে নৌকা আর আটকায় না...

জীবনের বেলাতেও এক‌ই নিয়ম। গভীরতার পথ ধরে চলতে একবার শিখে নিলে অগভীর অনুষঙ্গের তোয়াক্কা না করলেও চলে। যাদের কেবল অগভীরেই নেশা, তারা কখনো গভীরতার দেখা পেলে হাঁসফাঁস করতে করতে ডুবে মরে।

৫। কবিতা পড়ো... শব্দহীনতার সাথে বন্ধুত্ব পাতাতে।
প্রবন্ধ পড়ো... যুক্তিতে শান দিতে।
ভালোবাসার গল্প পড়ো... মনকে স্বস্তি দিতে।
জীবনী পড়ো... বড়ো মানুষদের অনুভব করতে।
ধর্মগ্রন্থ পড়ো... আত্মার গহিনে আলাপ জমাতে।

৬। কিছুক্ষণ পরেই গুলি করে মেরে ফেলা হবে, এমন পাঁচ বন্দি সৈন্যের একজন বলল, বন্ধুরা, এসো, আমরা সবাই মিলে আমাদের শেষমুহূর্তটা গান গেয়ে কাটাই। ওরা আমাদের হত্যা করতে পারবে, কিন্তু আমাদের সুর মৃত্যুর পরও আমাদের অস্তিত্বের সাক্ষ্য দেবে।

সবাই মিলে তা-ই করেছিল।
যে দু-জন সৈনিক ওদের গুলি করে হত্যা করে, সেই ঘটনার বহুবছর পর‌ও ওদের মস্তিষ্ক থেকে সেই শেষগানের সুর মুছে যায়নি। একধরনের তীব্র পাপবোধ ওদের তাড়া করে বেড়িয়েছে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত।

ঈশ্বর আমাদের এমন কিছু উপহার দিয়েছেন, যা চিরকালই অজর-অমর-অক্ষয়।

৭। মানুষের কাছে যাব কীভাবে?
খুব সহজ ছয়টা কথা মনে রেখো, তাহলেই হবে...
এক। সবচাইতে জরুরি ছয় শব্দের বাক্যটি: আমি স্বীকার করছি, আমার ভুল হয়েছে।
দুই। সবচাইতে জরুরি পাঁচ শব্দের বাক্যটি: আপনি দারুণ একটা কাজ করেছেন।
তিন। সবচাইতে জরুরি চার শব্দের বাক্যটি: আপনার মতামত জানতে চাইছি।
চার। সবচাইতে জরুরি তিন শব্দের বাক্যাংশটি: অনুগ্রহ করে একটু...
পাঁচ। সবচাইতে জরুরি দুই শব্দের বাক্যটি: আপনাকে ধন্যবাদ।
ছয়। সবচাইতে গুরুত্বহীন একটি শব্দ: আমি।

৮। এক বিখ্যাত আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করা হলো: আপনার সাফল্যের রহস্য কী?

"আমার স্ত্রী। না, সে কখনোই আইন নিয়ে পড়েনি। সে ভুল করেও আমার কাজে নাক গলায় না। সে কখনোই আমার কাছ থেকে পরামর্শ চায় না, নিজেও আমাকে কখনোই পরামর্শ দেয় না। কিন্তু তার অস্তিত্ব আমাকে বাঁচিয়ে রাখে। আমি কী চাই, তা সে আগে থেকেই বুঝতে পারে; আমার মেজাজ কখন কেমন হয়, তা সে আন্দাজ করতে পারে; আমি কখনও খুব রেগে গেলে, আমার সমস্ত চেঁচামেচি সে ধৈর্য ধরে শোনে; সবসময়ই সঠিক সময়ে আমার জন্য সঠিক কথাটাই সে কীভাবে যেন বলে ফেলতে পারে।

সন্ধ্যায়, যখন আমি বিভিন্ন দলিলপত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি, তখন সে আমার পাশে চুপচাপ বসে সোয়েটার বোনে বা কিছু-না-কিছু সেলাই করে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে তার ওই সুঁইয়ের শব্দের চাইতে ভালো কিছু আমি আজ‌ও পাইনি। সেই পরিচিত শব্দে প্রতিদিন‌ই আমার সমস্ত উদ্‌বেগ ও উৎকণ্ঠা দূর হয়ে যায়, এবং আমি মনের মধ্যে একধরনের অসীম শক্তি অনুভব করি।

সে না থাকলে আজ আমি জীবনে কিছুই হতে পারতাম না। সে পাশে থাকলে আমার মনে হয়, আমি পৃথিবীজয় করে ফেলতে পারব।"

স্ত্রীর প্রতি এমন সুন্দরভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে পেরেছেন খুব কম লোকই।

৯। : পারলে একটা ব‌ই পাঠিয়ো। খুব সুন্দর কোনও ব‌ই... পড়তে ভালো লাগবে, এমন; পড়ার পর অনেক দিন মনে থাকবে, এমন; অনান্য বই থেকে আলাদা করে চেনা যায়, এমন; তোমার পড়ে ভালো লেগেছে, এমন; পড়লে লেখকের প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করে, এমন...
: বরং কিছু ফুল পাঠাই?
: পড়তে চাইছ না তো? ভালো লাগে কোনটা, তা বোঝার ভার কমাতে চাইছ বুঝি?
: কপটতার আশ্রয় নিতে পারি না বলেই ফুল পাঠাতে চাইলাম।
: এই চমৎকার রূপটি ছাড়াও আরেকটা চমৎকার রূপে তোমাকে দেখতে চাই বলেই অমন করে বলেছি। ফুল চেনার মানুষ যখন ব‌ইও চেনে, তার চেয়ে সুন্দর যুগলবন্দি আর কী হয়, বলো?
: তবে আমি কী করব?
: সময় নাও... তবু আমি উপহার এবং উপহারের শর্ত পালটাব না।

১০। Instead of being ashamed, some people are glad with their cheapness.

But why? Because they have more friends.



ভাবনা: নয়-শো উনপঞ্চাশ
………………………………………………………


১। লোকে কতভাবেই তো ঈশ্বরকে ডাকে...

আমরা যেমন জুতো খুলে রাখি তাঁকে ডাকার সময়ে, তেমনি পাশ্চাত্যের লোকজন মাথার টুপিটা খুলে তাঁর প্রার্থনা করে।

কিন্তু প্রার্থনা ব্যাপারটা সত্যিই কি জুতো বা টুপি খোলা না খোলার উপর নির্ভর করে? কিংবা পা বা মাথা আবৃত অনাবৃত করা না করার উপর?

একদমই না।

প্রার্থনা শুধুই হৃদয়নির্ভর। যে প্রার্থনায় হৃদয় নেই, সেখানে ঈশ্বর কখনোই থাকেন না।

হাজারো পুস্তক মাথায় বোঝাই করেও যদি হৃদয় না জাগে, তবে সমস্ত প্রার্থনাই দিনশেষে সুপ্ত থেকে যায়।

২। নতুন অফিসে গেলে আমি যে চেয়ারটায় বসি, তা নিয়ে আমার নানান রকমের ভাবনা থাকে।

রিভলভিং চেয়ার দেখলে ওটা পালটে ফেলি। চেয়ার ঘুরলে আমার ভালো লাগে না।
খুব আরামদায়ক চেয়ার দেখলে ওটাও পালটে ফেলি। অত আরামে কাজ ভালো হয় না। কাঠের শক্ত চেয়ার দেখলে দেখে নিই, পিঠ চেয়ারের পেছনটাতে ঠিকভাবে রাখা যায় কি না। পিঠের দিকটায় একটু সামনের দিকে বাঁকানো শক্ত মসৃণ চেয়ার‌ই আমার ভালো লাগে।

মানুষ‌ও এই চেয়ারের মতন। প্রথম দেখায় আমরা ঠিক করে ফেলি, এই লোকের সাথে দ্বিতীয় দেখা হবার আদৌ কি দরকার আছে বা নেই। কাউকে দেখলেই অসহ্য লাগে, কাউকে দেখলে আপন আপন লাগে। কার‌ও সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে, কার‌ও মুখ দেখলেই বিরক্ত লাগে। কাউকে ভালো লাগে, কাউকে ভয় করে।

আপনিই ঠিক করে নিন, আপনি কোন ধরনের মানুষ হিসেবে নিজেকে দেখাতে চান। আপনি তো আর চেয়ার নন, আপনার প্রাণ ও বোধ আছে, নিজেকে নিজের খুশিমতো মেলে ধরার ক্ষমতা আছে।

৩। কার‌ও সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই কোনও রায় দিয়ে ফেলো না।

এক‌ই গাছের কাছে...
শীতে গেলে দেখবে, সে শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে;
বসন্তে গেলে দেখবে, পাতায় পাতায় পুরো গাছ ছেয়ে আছে;
গ্রীষ্মে গেলে দেখবে, ফলের ভারে সেই গাছ যেন নুয়ে পড়েছে।

তুমি যাকে নিয়ে কথা বলছ, তাকে তুমি কখন কীভাবে দেখছ, কিংবা আদৌ তার সাথে কখনও মিশেছ কি না, তার উপর নির্ভর করছে সবকিছু।

কাউকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোনোর আগে খুব ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে নাও: তুমি কি সত্যিই মানুষটাকে চেনো?

খুব স্পষ্ট করে না জেনে ও বুঝে অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে জাজ করা অতিনিকৃষ্ট লোকের কাজ।

৪। এক ছোট্ট মেয়ে তার স্কুলের খাতায় লিখেছিল: আমাদের বাসার সবাই বড্ড গরিব। আমার বাবা গরিব, আমার মা গরিব; ওরা আমাকে আমার খুশিমতো খেলনা কিনে দেয় না। আমার ভাই-বোন সবাই আরও গরিব; ওরা শুধুই আমার বাবা-মা'য়ের কাছে হাত পাতে। আমাদের বাবুর্চি আর ড্রাইভার‌ও গরিব; ওরা শীতকাল এলেই গরম কাপড় কেনার জন্য বাড়তি টাকা চায়। আমাদের কাজের বুয়াও গরিব; তার ছেলেটার ফরম ফিলাপ করার সময় সে টাকা চেয়ে নিয়েছিল। আর সবচাইতে গরিব হচ্ছি আমি নিজে; আমার বয়সি ছেলে-মেয়ে'দের ধুলো-মাটি নিয়ে খেলতে চুপচাপ শুধু দেখেই গেলাম গাড়ির কাচের ভেতর থেকে...

৫। : বছরশেষে করার মতো সবচাইতে সুন্দর কাজ কী হতে পারে?
: নিজের জীবন নিয়ে ভাবো, ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ হ‌ও।
যারা আজ নেই, তুমিও কি থাকতে পারতে না ওদের দলে?
তোমার যা আছে, তার চেয়ে কম কিছু পেলে পৃথিবীর এমন কী ক্ষতি হয়ে যেত?
ভাবো, এবং ধন্যবাদ দাও।

৬। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস যার যত শক্ত, তার দুশ্চিন্তা তত কম।
যার দুশ্চিন্তা যত বেশি, সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস তার তত দুর্বল।

বিশ্বাসীদের‌ও কীসের অত উদ্‌বেগ?!

৭। একটা ক্যালেন্ডার চুরি হয়ে গেলে...
যার চুরি যায়, সে হারায় ১২ মাস!
যে চুরি করে, সে পায় ১২ মাস!

চোরের আয়ু কি আর এমনি এমনিই বেশি!?

৮। যখন সত্যিই সফল হলাম, তখন তিনটি বিষয় আমাকে অবাক করে দিয়েছিল:
যাদের দেখে মনে হতো, ওরা ব্যর্থ হবে, ওদের অনেকেই সফল হয়েছিল;
যাদের দেখে মনে হতো, ওরা সফল হবে, ওদের অনেকেই ব্যর্থ হয়েছিল;
সবচাইতে বেশি অবাক হয়েছি নিজেকে সফল হতে দেখে!

৯। কখনোই যে ঝগড়া করতেও দিলে না, এখন তো আর চাইলেও পারবে না ঝগড়া করতে... আমি চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে।

১০। I love to live alone and unnoticed.

Who among you love to live like this?

১১। দাওয়াত/নিমন্ত্রণ যদি দিতেই হয়,
পুজোয় দিন, নাড়ু খেয়ে আসব;
ইদে দিন, সেমাই খেয়ে আসব;
বড়োদিনে দিন, কেক খেয়ে আসব;

বুদ্ধপূর্ণিমায় দিন, পায়েস খেয়ে আসব।
কিংবা আপনার বাসায় দাওয়াত/নিমন্ত্রণ দিন। আর‌ও ভালো হয় যদি আপনার গ্রামের বাড়িতে দাওয়াত/নিমন্ত্রণ দেন। খুব খুশিমনেই বেড়াতে যাব।

ন‌ইলে দেবেন না। এর বাইরে আর কোনও ধরনের দাওয়াত/নিমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করি না, কেউ দিলে অতিবিরক্ত ও অতিবিব্রত হই। আমারটা আমি ভালো বুঝি। আপনি আপনারটা নিয়ে থাকার প্র্যাকটিস করুন। নিতান্তই বেকার ও আজাইরা না হলে কেউ এভাবে আরেকজনের পেছনে পড়ে থাকে না।

কথা শেষ।

আপনার কোনও কিছু নিয়েই আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। আপনার একটিও বিষয় নিয়ে আমি কখনোই মাস্টারি করিনি, এখনও করছি না, ভবিষ্যতেও করব না। সামান্যতমও কমনসেন্স আর ঘিলু থাকলে আপনারও তা-ই করার কথা। আমার জ্ঞান আছে কি নেই, আমি মৃত্যুর পর কোথায় যাব, আমি ভুল পথে আছি কি ঠিক পথে আছি... এসব নিয়ে আপনার গবেষণা করার দরকার নেই।

আমার পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি কখনোই যার দ্বারস্থ হতাম না, সে-ও যখন গায়ে পড়ে জোর করে পরামর্শ দিতে দৌড়ে আসে নির্লজ্জের মতো, কীরকম জানি খুবই বিরক্ত লাগে!! আপনার ওয়ালে আমি যাই না, এই জন্মে যাবার কোনও সম্ভাবনাই নেই। আপনার কাছ থেকে পরামর্শের দরকার হলে তো আর আপনি আমার ওয়ালে ঘুরঘুর করতেন না, তাই না?

১২। : আজ থেকে তোমার নাম দিলাম 'রোদসী'।
: হঠাৎ?
: মন চাইল তোমাকে নতুন নামে ডাকতে।
: নামটা চমৎকার! এর অর্থ কী?
: কীসের অর্থ? নামটার? না কি নতুন নাম দেবার?
: দুটোরই।
: রোদসী মানে স্বর্গ ও পৃথিবী একসাথে। যার মধ্যে তুমি স্বর্গ ও পৃথিবী দেখতে পাবে, সে-ই তোমার কাছে রোদসী।
: সত্যি বলছ?! এত ভালোবাসো তুমি আমাকে?
: উঁহু, এ ভালোবাসা নয় গো, এ শুধুই উদ্‌বেগ ও বিতৃষ্ণা! তোমার দু-চোখের দিকে তাকালে, এমনকী তোমাকে ভাবলেও আমার আর বেঁচে থাকতে মন চায় না, মরে যেতে ইচ্ছে করে। এত যন্ত্রণা আর কত মেনে নেওয়া যায়, বলো?
: তোমার মতন একটা ফালতু লোকের সাথে আমার মতো মেয়ে বলেই এতদিন সহ্য করে টিকে আছি!
: সেটাই সেটাই... তোমাকে আমি বলেই এতদিন সহ্য করে যাচ্ছি। তোমার ফাঁদে যে পড়িয়াছে ভুলে একদিন, সে-ই জানে তোমারে স‌ওয়া কী কঠিন কী কঠিন... বাই দ্য ওয়ে, তুমি তো তাহলে দ্বিতীয় অর্থটাও ধরে ফেলেছ, তাই না?
: তোমার তো প্রেমিকার অভাব নেই! আমার পেছন পেছন কী? লজ্জাও করে না? পুরাই চরিত্রহীন লোক একটা!


ভাবনা: নয়-শো পঞ্চাশ
………………………………………………………


১। তিন ধরনের লোক থেকে আমি সবসময়ই দূরে থাকি:

যারা আমাকে জোর করে হলেও বড়োলোক দেখতে চায়
যারা আমাকে জোর করে হলেও জ্ঞানী বানাতে চায়
যারা আমাকে জোর করে হলেও ওদের স্বর্গে নিতে চায় 

এর কারণ: ওদের মধ্যে আমি উদারতা নয়, বরং ধান্দাবাজি দেখতে পাই। হয়তো আমার‌ই দেখার ভুল, কিন্তু আমি ওরকম‌ই দেখতে পাই... কী আর করা যাবে!

আমার অবুঝ মন বার বারই আমাকে বলে:
আমি গরিব থাকলে ওদের বাপের কী?!
আমি নির্বোধ থাকলে ওদের বাপের কী?!
আমি নরকে গেলে ওদের বাপের কী?!

কেউ গায়ে পড়ে আমাকে বিরক্ত ও বিব্রত হতে বাধ্য করলে আমার কীরকম জানি করুণা হয় তার জন্য...

২। যদি কখনও মন থেকে সমস্ত বড়োত্বের সংস্কার ঝেড়ে ফেলতে পারেন... এই যেমন আমি বড়ো, অমুক ছোটো, তমুক মাঝারি... তবে সময় করে সহজ ও উদার মন নিয়ে কোনও আদিবাসীর বন্ধুর বাড়ি থেকে ঘুরে আসবেন। জীবনের সহজ পাঠ শিখতে পারবেন। দেখবেন, সকল হিসেবকে দূরে সরিয়ে রেখে কেবলই ভালোবাসার বন্ধনে মানুষ আজও মানুষকে কাছে টেনে নেয়। খুব অল্প নিয়েও মানুষের হৃদয় কতটা বড়ো হতে পারে, তা টের পাবেন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সময় কাটালে। একপৃথিবী ঐশ্বর্য দিয়েও কী হবে, যদি নিজের আত্মাটুকুই হারিয়ে বসে থাকি? মানুষ চিনতে চাইলে মানুষের কাছে যেতে হয়।

তবে আদিবাসীদের মধ্যেও কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের সাথে মিশতে আপনার ভালো লাগবে না, যদি আপনি সহজ হৃদয় নিয়ে মিশতে চান। এমন মানুষ তো সব সম্প্রদায়েই আপনি পাবেন, তাই না? তবে আমি যতদূর দেখেছি, ওঁদের সাথে মেশাটা অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি সুখকর। মেশার সময় নিজেকে মাটির কাছাকাছি নিয়ে যাবেন, মন ও মস্তিষ্ক থেকে সমস্ত জাজমেন্টকে (গায়ে পড়ে মাস্টারি করার বিশ্রী বদভ্যেস) ছুটি দিয়ে ওঁদের জীবন দেখে আসুন সুযোগ থাকলে। মনে রাখার মতো সুন্দর অভিজ্ঞতা হবে।

নিজের কথা বলি। অবসর কাটানোর জন্য আমি সাধারণত একা থাকি কিংবা মাঝে মাঝে এমন মানুষের কাছাকাছি থাকি, যার বা যাদের সংস্পর্শে থাকলে কোন‌ও হিসেব, সংস্কার, সংশয় এবং প্রত্যাশার ভার সহ্য করতে হয় না।

৩। কিছু মানুষের সাথে (সচেতনভাবে) একদমই না মিশে বেঁচে-যাওয়া সময়টাতে অন্য কিছু মানুষের সাথে বার বার মিশুন। দেখবেন, জীবন অতটা অসুন্দর নয়।

৪। দুঃখ এ জীবনে এসেছে মাত্র দুই বার:
তোমার সাথে দেখা হবার আগে,
তোমার সাথে দেখা হবার পরে।

৫। যে ভালো কাজটি আপনি নিজের জন্য করেন, কখনোই তার প্রচার করবেন না। যেমন সকল ধরনের অপ্রকাশ্য ইবাদত বা প্রার্থনা।
যে ভালো কাজটি আপনি অন্যের জন্য করেন, চাইলে তার প্রচার করতে পারেন, তবে গোপন রাখতে পারলে আরও ভালো।

অহেতুক প্রচার দেখলে লোকে বিরক্ত হয়, হাসাহাসি করে; বিশেষ করে, আপনার ব্যক্তিগত যা-কিছু নিয়ে কার‌ও কিছু এসে যায় না, তা নিয়ে বেশি প্রচার না করাই ভালো। হ্যাঁ, যদি মনে হয়, প্রচার করলে কিছু মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হবে, তাহলেই তা করতে পারেন।

৬। Never invite small problems to invite big problems to solve those small problems.

৭। The more you disturb others in the name of religion, the more you make your religion disturbing in their eyes.

Religion needs no advertisement.

৮। একদিন তুমি আমাকে নিয়ে পালাতে চেয়েছিলে।
আজ বুঝতে পারি, সেদিন তোমার কথা শুনলে তুমি আমাকে একা ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে। তখন না পারতাম ফিরতে, না পারতাম একলা বাঁচতে।
কখনও কখনও, সবচাইতে প্রিয় মানুষটির কথাও শুনতে হয় না।

৯। When someone keeps destroying your inner peace by advising you about the unnecessary people or topics, just tell them:

"No time to fuck the bastards.

I don't care about other people's love or respect. So, please stop caring about my personal issues. Surely you'll end up making a mess. I'm not an easy thing to digest and I'm happy with that.

And, please stop advising me. It just disturbs me more.

Clear?"

Sometimes, well-wishers are annoying. Stop them if they annoy you. Peace is more important than even the whole world. So, never invite or entertain people who destroy it.

Love is a trap, so is respect. To make yourself happy, stop caring about people's love or respect. Unnecessary people kill necessary time.

Always remember a golden rule: The fewer people, the more peace.

People hurt. People change. People replace. Stop expecting from people.

People hate successful people. Accept it.

১০। আপনাকে কিছু মানুষ অবহেলা করেছে, এটা যতটা সত্য, তাদের অবহেলা করার সুযোগটা আপনিই করে দিয়েছেন, এটা ততোধিক সত্য।

১১। দূরত্ব আমাদের যতটা নিকটে নিয়ে এসেছে, নৈকট্য আমাদের ঠিক ততটাই দূরে সরিয়ে দিয়েছিল।

তাই বরং এ-ই ভালো!

১২। দেশে ভালো অবস্থানে থাকার পরও... দেশ ছেড়ে কেউ পালাতে চায় না, দেশের মানুষ ছেড়ে পালাতে চায়।

১৩। Just 3 rules to be happy:

Stop overthinking.
Stop being unnecessarily emotional.
Stop being judgemental.

That's all.

১৪। এদেশে কেউ আপনার সামনে এসে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে, কেউবা আপনার পেছনে থেকেও মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।

প্রথম দলের নাম ভিক্ষুক। ওরা এই কাজটা করে টাকা-পয়সা'র জন্য। এটাই ওদের জীবিকা। কাজটা ওরা শখে করে না, পেটের দায়ে করে।

দ্বিতীয় দলের কোনও নাম নেই। ওরা বেকার হোক না হোক, ওদের কোনও কাজ নেই। কাজ নেই বলেই ওরা আরেক জনের জীবন নিয়ে পড়ে থাকে। ওরা লোকের পেছনে লেগে টাকা-পয়সা না পেলেও মানসিক শান্তি পায়। এটা ওদের জীবিকা না হলেও বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। শুয়োরের সাথে ওদের পার্থক্য এক জায়গায়: শুয়োর পেছনে পেছনে ঘোরে মলের আশায়, ওরা পেছনে পেছনে ঘোরে শান্তির আশায়। আপনি ওদের চিনুন না চিনুন, ওদের নিয়ে ভাবুন না ভাবুন, ওদের পাত্তা দিন না দিন, ওদের অপমান করুন না করুন, ওদের নিয়ে কথা বলুন না বলুন... এসব নিয়ে ওদের কোনও মাথাব্যথা নেই। আপনার পাছাতেই রয়েছে ওদের বাঁচার একমাত্র পথ। ওরা আর কোথায় যাবে!? ওদের একটাই কথা: তোরা যে যা বলিস ভাই, মোদের লজ্জাশরম নাই।



ভাবনা: নয়-শো একান্ন
………………………………………………………


১। মেসির হাসি,
বড়ো ভালোবাসি!

মানুষ যেমনি করে নিজের সন্তানকে চুমু খায়, ঠিক তেমনি করে ট্রফিতে চুমু খেলেন মেসি! বস্তুত, অর্জন তো সন্তানের মতোই আদরের! মেসির বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখে সত্যিই মন ভালো হয়ে গেছে! এত সুন্দর বিদায় মেসিকেই মানায়!

প্রিয় মেসি, তুমি যতটা মেধাবী, ততোধিক জিনিয়াস! পুরো আসর জুড়েই তুমি আলো ছড়িয়েছ। তোমার হাত ধরেই তিন-এ পা রাখল আর্জেন্টিনা। কখনও সুযোগ পেলে বাংলাদেশে বেড়াতে এসো। তুমি ভাবতেও পারবে না, আমরা তোমাকে কতটা পাগলের মতো ভালোবাসি!

ওদের পুরস্কার গ্রহণ করা দেখতে কীরকম জানি আনন্দ হচ্ছে! এখানেই খেলার সৌন্দর্য। আমাদের সকল খুনসুটি আজ শেষ হলো। এ এক আবেগমথিত বিশ্বকাপ! সত্যিই, ইটস দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ!!! কাল থেকে আমরা আবার আগের মতো গরিব কিংবা দুঃখী... কিংবা ক্লান্ত।

বাজে খেলে জিতে যাবার চাইতে খারাপ খেলে হেরে যাওয়াও অনেক গৌরবের। প্রিয় এমবাপ্পে, তোমার মন খারাপ করে থাকা দেখতে ভালো লাগছে না। তুমি অনেক সুন্দর একজন মানুষ। আজকের খেলা তুমিই সুন্দর করে দিয়েছ। তোমাকে আমরা সবাই মনে রাখব। আজ তুমি হেরে গিয়েও জিতে গেছ! ধন্যবাদ, গুরু!! অহংকারের টুপিটা খুলে রাখলাম সম্ভ্রমে...

ভুভুজেলা বাজছে, আতশবাজি ফাটছে, আনন্দমিছিল চেঁচাচ্ছে! আজ রাত যেন আলোর রাত! রাস্তায় রাস্তায় বাইকের শোভাযাত্রা, মানুষের জয়োল্লাস! আমাদের অনেককিছুই নেই, তবু আনন্দে ভেসে যাবার মতো অনেক বড়ো একটা হৃদয় আছে। ঠিক এই জায়গাতেই আমরা অনন্য!

২। আমার দেখা সুন্দরতম লড়াই এইমাত্র শেষ হলো।

অভিনন্দন, আর্জেন্টিনা! মেসির জন্য ভালোবাসা...

এমবাপ্পের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার চোখে, আজকের খেলার নায়ক এমবাপ্পেই। একজন জাদুকর কীভাবে একটা খেলাকে এতটা টেনে নিতে পারে, আজ তা-ই দেখিয়ে দিল এমবাপ্পে! আজ ফ্রান্স খেলেনি, এমবাপ্পে খেলেছে। রেসপেক্ট!!!

এবং, অবশেষে এবারের বিশ্বকাপ মেসির হাতে!!!

আজকের পর থেকে অনেকদিন আর অপেক্ষা করে থাকা হবে না মাঠের জাদুকরদের দেখার জন্য। বিশ্বকাপ আমাদের কিছু সুন্দর সময় উপহার দিয়েছে। ধন্যবাদ!!!

৩। এভাবেও ডুবে যাওয়া যায়!!!

৪। তোমাদের প্রিয় টিমকে ম্যাচ জেতার জন্য টাইব্রেকার পর্যন্ত যেতে হচ্ছে, আর তোমরা কিনা চাও... পারলে পরীক্ষায় না বসেই চাকরিটা পেতে!!!

দেখো! শেখো!!

৫। এই মিসটা জাস্ট মেনে নিতে পারছি না!!!

৬। ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসূরির 'হাত ধরে' সমতায় এল ফ্রান্স!!!

৭। সেই লেভেলের একটা গোল!!!

৮। আপনারা ভাবছেন, আমি বোধ হয় আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ন‌ই!
আমাকে চিনতে আপনাদের এখনও বাকি আছে। খেলাশেষে চিনবেন!

৯। ফরাসি প্রেমিকা, ফরাসি কবিতা, এমবাপ্পে... দেখায় সহজ, অথচ বোঝা বড়ো শক্ত!!!

১০। খেলা যখন "খাইট্টা খা!" নীতিতে গড়ায়...

ক্রোয়েশিয়ার শেষ মুহূর্তের আগুনে ব্রাজিলের ঘর পুড়েছিল, আজ ফ্রান্সের শেষ মুহূর্তের আগুনে আর্জেন্টিনার ঘর...

১১। What a save!!!

১২। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেলাম, গোল্ডেন বুট মেসির জন্য অর্ডার করা হলেও ভুল করে এমবাপ্পের পায়ের মাপে বানানো হয়ে গিয়েছিল। অগত্যা কী আর করা!!!

১৩। রাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে তো রাগ‌ই ভালো!    

ফ্রান্সের উপর রাগ আমার এখনও কমেনি!!!    

১৪। ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে!!!
আর্জেন্টিনা তাই হালকা কাইতে!!!

১৫। দুনিয়ায় ব্রাজিল, এক হ‌ও, বাজি ফাটাও!!!

১৬। এমবাপ্পে, খুশিতে মন চাইতেসে, তোমারে বাসায় গিয়া ফ্রিতে প্রাইভেট পড়ায়া বিসিএস পরীক্ষায় ফার্স্ট বানায়ে দিই!!!

১৭। গাধা স্টুডেন্টের সাথে প্রেম করা আর ফ্রান্সকে সাপোর্ট করা এক‌ই কথা। দু-জনকেই ভালোবাসতে খুব ভালো লাগে পরীক্ষার দিনের আগ পর্যন্ত‌ই!

১৮। আধুনিক কবিতার জন্ম হয়েছিল ফ্রান্সে।
আজ আধুনিক ফুটবলের মৃত্যুও হবে ফ্রান্সে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'সুদূর ঝর্নার জলে' এবং 'ছবির দেশে, কবিতার দেশে' পড়ার পর থেকে ফ্রান্সকে কখনোই ভুলতে পারিনি। আজকের খেলার পর থেকে ফ্রান্স মনের মধ্যে একদমই স্থায়ীভাবে গেঁথে গেল!

১৯। বিশেষ মুহূর্তে দুর্বল,
ফ্রান্সের পায়ে ফুটবল!

২০। আমার এক বান্ধবী আছে... এক‌ই সঙ্গে যথেষ্ট স্বাস্থ্যসচেতন এবং যথেষ্ট মোটা। ফ্রান্সের খেলা দেখে আমার কেন জানি সেই বান্ধবীর কথা খুব মনে পড়ছে।

২১। মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এই অপদার্থ ফ্রান্সকেও মানুষ সাপোর্ট করে?!
সহজ হিসেব! আপনার মতন বুদ্ধিমান মানুষ যদি আমার মতন ছাগলকেও ফলো করতে পারে, তাহলে ফ্রান্স কেন কিছু সাপোর্টার পাবে না?

২২। আপনাদের মনে দেখছি একটাই প্রশ্ন: এই ফ্রান্স কীভাবে ফাইনালে উঠল?!

আরে ভাই, কুউল... কুউল! আমার মতো ছেলে যদি বিসিএস পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে পারে, তাহলে ফ্রান্সের মতো টিম ফাইনালে উঠতে পারবে না কেন?!

ভাগ্যে থাকলে মোরগও ডিম দেয়, আর ভাগ্যে না থাকলে মুরগিও ডিম দেয় না।

২৩। কোচিংয়ের সব মডেল টেস্টে ফাটিয়ে-দেওয়া ক্যান্ডিডেটটা যখন অ্যাডমিশন টেস্টে নিজেই ফেটে-টেটে একেবারে চুপসে যায়, তাকে আজকের পর থেকে বলা হবে: তুই একটা ফ্রান্স!

২৪। আজ যদি আর্জেন্টিনা না জিতে, তবে এটাই হবে এ বিশ্বকাপের সবচাইতে বড়ো অঘটন!

আর্জেন্টিনার খেলা দেখে অভিভূত!!

ফ্রান্স কি সত্যিই মেধায় ফাইনালে উঠেছে? না কি কোটায়?

২৫। ফুলের ঘায়ে মূর্ছা,
গোল হ‌ইল তেরছা!

সত্যিই অসাধারণ খেলছে আর্জেন্টিনা!!

২৬। পালা মুরগি যদি ডিম না দেয়, তখন মানুষ কী করে?
হয় মুরগিটাকে জবাই করে ফেলে, নয় আরেকটা মুরগি পালে।

শুধুই মুরগির প্রতি ভালোবাসা থেকে সাধারণত কেউ মুরগি পালে না।
যারা পালে, তাদের কাছে থাকতে চাইলে শুধু ভালোবাসা দিলেই চলে। তবে ভালোবেসে ডিম দিতে চাইলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার, তার দায় মুরগির একার।
যারা পালে না, তাদের কাছে থাকতে চাইলে শুধু ডিম দিলেই চলে। তবে ডিম দিতে গিয়ে ভালোবেসে ফেললে সেটা ভিন্ন ব্যাপার, তার দায় মুরগির একার।

ডিমের মজা শুধুই ডিমে, ভালোবাসার মজা শুধুই ভালোবাসায়। এই দুই মজা একসাথে থাকতেও পারে, তবে থাকতেই হবে, এমন কিছুতেই নয়। এক্ষেত্রে ভালো হচ্ছে, গিভ অ্যান্ড টেইক পলিসি। যে ঘরের খেয়েদেয়ে শরীর বাঁচে, ডিমটা সেই ঘরেই দেওয়া বেটার। খায় এক ঘরের, ডিম দেয় আরেক ঘরে, এরকম মুরগির কপালে অনেক দুঃখ।

২৭। চার ভাই ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে এসেছেন। ওঁদের নামগুলো একটু খতরনাক টাইপের। বড়োজন ধলা মিয়া, মেজোজন সোনা মিয়া, সেজোজন নুনু মিয়া, ছোটোজন চান মিয়া।

সোনা মিয়ার সাথে ভিসা অফিসারের কথা হচ্ছে।

ভিসা অফিসার: নুনু তো আপনার ছোটো, ঠিক না?

সোনা মিয়া: জি ম্যাডাম, নুনু আমার ছোটোই। এই তো নুনু আমার পিছনেই দাঁড়ায়ে আছে।

(চট্টগ্রামে আদর করে 'নুনু' বলে ডাকে। এই যেমন নুনু কাকা, নুনু মামা... এরকম। আবার ছোটো শিশুদেরও আদর করে ওই নামে ডাকা হয়। বড়ো হয়ে যাবার পরও অনেককেই পরিবারের ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ওই আদরের ডাকটা জনসমক্ষেও সহ্য করতে হয়!

অন্য কোনও এলাকায় এই অদ্ভুত 'নামডাক'-এর প্রচলন আছে কি?

অঞ্চলভেদে আরও কিছু আদরের ডাক চাইলে শেয়ার করতে পারেন।

ওই চার ভদ্রলোকের বাড়ি চট্টগ্রামে কি না, তা অবশ্য আমি জানি না।)


ভাবনা: নয়-শো বায়ান্ন
………………………………………………………


১। আমার পেইজের হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর মেসেজ পাই এই টাইপের: আমার বয়ফ্রেন্ড আমার সাথে এই করেছে, সেই করেছে... ও খুব খুব খারাপ, আমি এত্তগুলা ভালো... কীভাবে পারল ও আমার সাথে এমন করতে... আমি কিছুতেই শান্ত হতে পারছি না, সবকিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে দিনরাত... একটা মানুষ এতটা প্রতারক হয় কীভাবে... আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি কাঁদতে কাঁদতে... আমার মধ্যে কী নেই, যা ওর/ওদের মধ্যে আছে... কিছুতেই স্মৃতিগুলো ভুলতে পারছি না... 
... এরকম হাজারো খুবই জটিল ঘটনার বিশদ বর্ণনা-সহ মেসেজ!

ওরা সবাই আমার কাছ থেকে এর সমাধান চায়। এমনভাবে চায় যেন আমি ওদের সমস্যা সমাধানের জন্য হাঁ করে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
আমি একটা সমাধান সাধারণত দিই: Leave and move on. (অল্প কথায় এটাই পৃথিবীর সবচাইতে কাজের সমাধান।)
ওরা ওতে খুশি হয় না। ওরা চায়, আমি সব কাজ ফেলে টাইপ করে করে সমাধানের পথ লিখতে থাকি, যেন ওরা আমার পরিচিত কিংবা আমার ওখানে কোনও ইন্টারেস্ট আছে! ওরা বোঝেই না যে, ওদের পার্সোনালি সময় দেবার কোনও কারণই আমার নেই। মন চাইলে দেবো, না চাইলে দেবো না। কোনও গিভ অ্যান্ড টেইক তো এখানে নেই যে সময় আমাকে দিতেই হবে কিংবা সময় দিতে আমার মন চাইবে, তাই না? Time that matters is never free.
ঠিকভাবে উত্তর না পেলে ওরা আবার মন খারাপ করে, কেউ কেউ চরম গালাগালিও করে। এই অধিকারবোধ ওরা কোথায় পায়, আমি ঠিক জানি না। বোধ হয়, এটাও ওদের আবেগের একটা অংশ। ফাও আবেগ এত বেশি বলেই তো ওরকম মারা খায়! আবেগের মাইরের উপর তো আর কোনও মাইর নাই! ঠিক‌ই আছে!

ভাবছি, এখন থেকে সবাইকেই কমন একটা সমাধান দিয়ে দেবো: বয়ফ্রেন্ড ঝামেলা করছে তো কী হয়েছে? এটা কোনও ব্যাপার?! আমি আছি কী করতে? আমি কি তোমার পর... হুঁ? দুগ্গা দুগ্গা বলে এখনই আমার গলায় ঝুলে পড়ো! আমি তোমাকে সুখে রাখব, কখনোই কোনও ঝামেলা করব না... ও পচা, আমি ভালো... হোক এবার তোমার-আমার অনন্ত প্রেম...

২। নিজের ঘর ফেলে আমরা অন্যের ঘরে স্বর্গ খুঁজি। নিজের মানুষ ফেলে আমরা পরের মানুষে সুখ খুঁজি। অথচ নিজের আত্মায় যে স্বর্গ নেই, সেই স্বর্গ আর কোথাও নেই। তাহলে কেন খুঁজি অমন করে?

খুব সহজ তা বোঝা। যেখানে গেলে, যার কাছে গেলে নিজের আত্মা ভালো থাকে, বাঁচতে আনন্দ হয়, মানুষ সেখানেই যায়, তার কাছেই যায়। আত্মার সম্পর্ক আর সামাজিক সম্পর্ক ভিন্ন ব্যাপার। প্রথমটাতে মানুষ বাঁচে, পরেরটাতে সমাজ বাঁচে।

যাকে আমার আত্মা চায় না, তার সাথে থাকতে হ‌ওয়া... এর চাইতে বেশি একাকিত্ব আর কোনও কিছুতেই নেই।
যেখানে থাকতে আমার আত্মা চায় না, সেখানে থাকতে হ‌ওয়া... এর চাইতে বেশি অসহায়ত্ব আর কোথাও নেই।

৩। আর্জেন্টিনার একজন সচেতন সাপোর্টার হিসেবে, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু খেলার স্বার্থে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি মাঠের পরিবর্তে ফেইসবুকে আয়োজন করার জোর দাবি জানাই!

ফেইসবুক থাকতে মাঠে কী!?

৪। গোওওওওল!!!

ভামোস, ব্রাজিল... থুক্কু... ফ্রান্স!!!

৫। প্রথমে (সত্যি সত্যি) ভেবেছিলাম, মরক্কোকে সাপোর্ট করব। পরে যখন দেখলাম, আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা দলে দলে মিছিলে মিছিলে মরক্কোকে সাপোর্ট করছে, তখন মনে হলো, না, মরক্কোকে সাপোর্ট করা যাবে না।

আর্জেন্টিনা মানেই সমীকরণ!

ভামোস, ফ্রান্স!

৬। দেখার মতো একটা গোল-মিস!!!

৭। দেখার মতো একটা গোল!!!

৮। কখনও কখনও, নির্জন কক্ষে আয়নার সামনে দাঁড়াও। সোজাসুজি নিজের চোখের দিকে তাকাও। যথাসম্ভব, পলক ফেলো না। মাথা থেকে বাকি পৃথিবীকে ছুটি দিয়ে দাও কিছু মুহূর্তের জন্য। নিজের ভেতরের আমি'টাকে খোঁজো। নিজের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসো। নিজেকে স্পষ্ট উচ্চারণে বলো, পৃথিবীতে এর চেয়েও সুন্দর মানুষ হয়!? পৃথিবীর সমস্ত নির্দয়তার মুখোমুখি দাঁড়াবার জন্য এমন কী দরকার, যা আমার মধ্যে নেই!?

দেখবে, তোমার হৃদয়ে সতত‌ই এক নদী প্রবহমান, যার স্রোতের বাঁকে বাঁকে শুধুই আনন্দ, ভালোবাসা, বিশ্বাস ও শক্তি। মেঘ যেমনি করে কেটে যায় রৌদ্রের গন্ধ পেলে, ঠিক তেমনি তোমার সমস্ত পুরোনো ভয় ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে সেই পুণ্য মুহূর্তে। একধরনের সুখ টের পাবে, নিজেকে নির্ভার লাগবে। নদীর জলে সেই তুমি'টার ছায়া দেখতে পাবে, যে তুমি'র সাথে দেখা করার প্রতীক্ষায় তুমি জীবনের এতগুলি বছর ধরে অপেক্ষা করে আছ।

৯। গোওওওওলললল!!! East or West, Argentina is the best! নিন্দুকের মুখে ছাই পড়ুক! কাপ এবার আমরাই জিতব! ভামোস, আর্জেন্টিনা!!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: পল্টিবাজি খুব‌ই খারাপ।

১০। সেইরকম! এবারের কাপ আমাদের!!

১১। মেসির হাসি,
বড়ো ভালোবাসি!

১২। খেলার মাঠে বলের উপর দুই দলেরই সমান অধিকার। বল... কেউ পাবে, কেউ পাবে না---এটা হবে না, এটা হবে না! ফরটি-সিক্সটি বল পজেশন... মানি না, মানব না!

১৩। বুঝলাম না, পেনাল্টি দিল না কেন?! পড়ে যেতে বুঝি কষ্ট হয় না!?