ঠিক পথে হাঁটা

কেউ তোমাকে গুড-ফর-নাথিং বলেছে? একদম নিশ্চিত থাকতে পারো, সে কেবলই তোমার বাইরের রূপটা দেখে ওই কথাটা বলেছে। তোমার ভেতরের যে সৌন্দর্য ও শক্তি, তা সে দেখেইনি। হয় তুমি তাকে দেখাওনি, নয় তার দেখার চোখ নেই।

এখানে দোষটা কার? অবশ্যই তোমার, যদি তুমি তার কথাটা মেনে নাও। জেতার জন্য কাজ না করেই হার মেনে নেবার জন্য আমাদের মানুষ হিসেবে জন্ম দিয়ে এখানে পাঠানো হয়নি।

তোমার মধ্যে আরেকটা পৃথিবী আছে। সেখানে গিয়েছ কখনও? সময়‌ই পাওনি হয়তো। পাবে কীভাবে যদি সবটা সময় এমন কাউকে দিয়ে বসে থাকো যে তোমার মধ্যে কখনোই ভালো কিছু দেখতে পায় না? তোমার মধ্যে ভালো দেখে না যে, তোমার জন্য ভালো নয় সে।

যদি নিজের ভেতরের পৃথিবীটার খোঁজ কখনোই না পেয়ে থাকো, তবে জানবে কী করে যে সেখানে বসবাস করতে কেমন লাগে? সেখানে হঠাৎ একদিন থাকতে শুরু করে দিলে এমন‌ও তো হতে পারে, তুমি বদলে যাচ্ছ ধীরে ধীরে!

সেখানে যেতে কী লাগে? তেমন কিছুই না, শুধু যেখানে থাকতে ভালো লাগে, সেখানে থাকা যাবে না। যে পৃথিবীটা তোমার চেনা, সেখান থেকে নিজেকে জোর করে হলেও সরিয়ে নিতে হবে... যত কষ্টই হোক। ঠিক পথে হাঁটতে বেশ কষ্ট হয়, ভুল পথে হাঁটতে তেমন কোনও কষ্টই হয় না।

ভুল মানুষের কথাকে মিথ্যে প্রমাণ করার প্রথম ধাপটিই হচ্ছে, মন থেকে মানুষটাকে ভুল হিসেবে মেনে নেওয়া। বাকিটা একসময় আপনাআপনিই হয়ে যাবে।