আজ মিনুর শুক্রবার





আমার ছোটো ভাই মিনু। আমাদের তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার ছোটো; ওর বয়সটা নয় বছর-এ আটকে গেছে। আমরা বড়ো দুই ভাই-বোন পড়ালেখায় মোটামুটি ভালোই, তবে মিনু হয়েছে বেশ অপদার্থ ধাঁচের। এক পড়ালেখা বাদে আর সব কাজই সে খুব নিখুঁতভাবে করতে ভালোবাসে।




ও যখন খুব ছোটো ছিল, তখন আমরা দুই ভাই-বোন মিলে ওকে কোলে নেবার জন্য মারামারি করতাম। ও একটু কেঁদে উঠলেও মায়ের আগেই আমাদের দুই ভাই-বোনের বুক কেঁপে উঠত। মা কলেজের টিচার, বাবা সরকারি কর্মচারী। বাবা-মা দুজনেই উচ্চশিক্ষিত হবার কারণে আমাদের পরিবারে পড়ালেখার স্থানটা ছিল সবার আগে। অঙ্ক, ইংরেজি এবং বিজ্ঞান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা ছিল আমাদের ঘরের অবধারিত বিষয়। পড়ালেখা ঠিকঠাক রেখে যে যা খুশি করতে পারবে, পড়া থেকে কোনোভাবেই নিজেকে দূরে রাখা যাবে না।




আমি যখন সেভেনে, তখন মিনুর জন্ম। এতটুকু ফুটফুটে একটা বাচ্চা। ঠিক যেন গোলগাল ছোট্ট একটা পুতুল। ওকে নিয়েই ব্যস্ততায় কাটত আমাদের দিনরাত।




বছর গড়ায়, মিনু বড়ো হয়। খেয়াল করলাম, মিনু যত বড়ো হচ্ছে, ছবির আঁকার দিকে ওর একধরনের তীব্র ঝোঁক ততই বাড়ছে। সুযোগ পেলেই কলম বা পেনসিল, হাতের কাছে যা-ই পায়, তা দিয়ে ছবি আঁকত। এটা দেখে মা পাঁচ বাক্স রংপেনসিল উপহার দিল ওর পঞ্চম জন্মদিনে।




পেনসিলবক্স হাতে পেয়ে আনন্দে নাচতে নাচতে মিনু যেন দিশেহারাপ্রায়। বড়ো কেক, জমকালো পোশাক আর দামি মজার চকলেটে নয়, ওই পাঁচ বক্স রংপেনসিলেই যেন মিনুর সমস্ত খুশি!




তারপর কেটে গেল মাস কয়েক। দেখলাম, মিনু দিন কি রাত, চব্বিশ ঘণ্টাই আঁকাআঁকি আর রং নিয়েই পড়ে থাকে। বয়স গড়িয়ে পাঁচ পেরোলো, কিন্তু লেখাপড়ায় তার একদমই মন নেই। সবার ছোটো হবার কারণে সে বড্ড আদরের পাখি আমাদের, তেমন শাসন করতাম না কিংবা গায়ে হাত তুলতাম না।




পড়তে বসালেই মিনুর মরণকান্না শুরু হয়। সারাদিন সে হইহুল্লোড় আর আনন্দে কাটালেও সন্ধে ঘনালেই যেন মিনুর প্রাণ যায় যায়! এমন কোনও সন্ধে নেই যে পড়তে বসালে চিৎকার করে কাঁদত না সে। সকাল হলেই পাশের বাসার কারও বাচ্চার চুল ছিঁড়ে দিল তো কামড়ে কারও বাচ্চার মাংস ছিঁড়ে নিল! আজ এ-বাসার এটা ভাঙল তো কাল ও-বাসার ওটা ভাঙল। ঘরের এমন কোনও জিনিস নেই, যা মিনু ভাঙেনি। কোনও বাচ্চার সঙ্গে খেলতে গেলে দশমিনিটের মধ্যেই নালিশ আসত মিনুর বিরুদ্ধে। বাসা থেকে বের হবার পর পরই সে কোনও-না-কোনও অঘটন ঘটিয়েই ছাড়ত। ওর এতটা দুষ্টুমিতে মা-বাবা এবং আমরা যারপরনাই ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে গেলাম।




দিন যতই গড়াচ্ছিল, মিনুর দুরন্তপনা ততই বাড়ছিল। তখন বাধ্য হয়ে মিনুকে পড়াতে বসালে মারতে হতো। দেখতাম, তাকে যতক্ষণই বেতের বাড়ি দেওয়া হতো, ততক্ষণই সে চিৎকার করে করে কাঁদত। বইটা বন্ধ করতে পারলেই মিনুর সে কী অট্টহাসি! যেন সারাপৃথিবী জয় করে ফেলেছে সে! তার এহেন আচরণে সবাই বিরক্ত হয়ে উঠেছিল।




বছর গড়িয়ে মিনু আটে পড়ল।
সময়ের চাহিদায় আমরা সবাই নিষ্ঠুর হতে শুরু করলাম। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পড়ার টেবিলেই তাকে বেঁধে রাখা হচ্ছিল। আমরা পড়ানোর পাশাপাশি বাবাও মিনুকে পড়াতে বসাত। বাবার মেজাজ খুব চড়া ছিল, ফলে মিনুর পিঠ থাকত সবসময় বেতের নিচেই। আর এত বিরক্তির কারণে আমরাও তাকে রোজ রোজ পেটাতে শুরু করলাম।




মিনুর বয়স যখন নয়, তখন সবাই মিলে ওকে মানুষ করার মিশনে নামলাম। বাবা ওকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে আনল। কেড়ে নেওয়া হলো ওর যত রংপেন্সিল ছিল, তার সবই।




খেয়াল করলাম, মিনুর সঙ্গে আমাদের এখন আর আগের মতো নৈকট্য নেই। দিন যত বাড়ছে, মিনু আমাদের কাছ থেকে তত সরে সরে যাচ্ছে যেন!




রংপেনসিল কেড়ে নেবার পর থেকে মিনু কেমন যেন মুহূর্তেই বড়ো হয়ে গেল! মিনুর ব্যস্ততা কমে গেছে। সে আগের চেয়ে চুপচাপ আর শান্ত হয়ে গেছে। আগে যেরকম খিলখিল করে হাসত, মিনু এখন আর সেরকম হাসে না। পড়তে বসালে প্রচণ্ড মার খেয়েও মিনু এখন আর চিৎকার করে কাঁদে না, আগে বাবা পেটালে আমাদের কাছে ছুটে আসত, আমরা পেটালে বাবা-মা’র কাছে ছুটে যেত। এখন মিনু আর কারও কাছেই পালায় না, একবসাতে মাথা নিচু করে ঠায় বসেই থাকে। পড়া না পারলে বেতের বাড়ি খেয়েও মাথা নিচু করে চুপচাপ কাঁদে। চোখের জলের বড়ো বড়ো ফোঁটা টপটপ করে মাটিতে ঝরে পড়ে। যেন কী বিশ্রী রকমের বাধ্য একটা ছেলে! অতিবাধ্যতা কখনও ভালো কিছুর জন্ম দেয় না।




সেদিন বৃহস্পতিবার, মিনু স্কুল থেকে ফিরেছে। স্কুল থেকে ফিরে এক বারও সে রুম থেকে বের হয়নি। রুমে গিয়ে দেখি, কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। গায়ে হাত রাখলাম, প্রচণ্ড জ্বর। ডেকে তুলতেই দেখলাম, সে ওয়াক করে বমি করে দিল। আমি তাড়াতাড়ি বাবাকে ডেকে ওকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটলাম অ্যাম্বুলেন্সে করে।




মিনুর মাথা আমার বুকের মধ্যে লাগানো। শরীর উত্তপ্ত সূর্যের মতো গরম। কিছুক্ষণ পর অনেক কষ্টে মাথা তুলে, চোখ খুলে অস্পষ্ট ঝাপসা জড়ানো স্বরে বলল, আপু, কাল শুক্রবার, তাই না? স্কুলে যেতে হবে না, তাই না? আজকে আমাকে পড়াতে বসাইয়ো না, কেমন?




দেখলাম, ওর ব্যথাতুরা চোখদুটোতে পরের দিন স্কুলছুটির আনন্দ, আর সেদিন পড়তে না বসানোর তীব্র আকুতি। জ্বরে পুড়ে-যাওয়া আমার ভাইটার অমন আকুতি দেখে আমার বুকটা ধক্‌ করে উঠল। আমি ঠোঁটদুটোকে শক্ত করে কামড়ে ধরে ওর মাথাটাকে বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরলাম। হুঁশ হলো, আমার দু-চোখ বেয়ে হঠাৎ ক্ষীয়মাণ ঝরনার জলের মতো টপটপ করে পড়া জলে মিনুর পিঠ ভিজে যাচ্ছে ক্রমশ…।




মিনু ধীরে ধীরে কানের পাশে ফিসফিস করে বলে উঠল, আপুনি, আমি ভালো হয়ে বাসায় ফিরলে আমাকে পেনসিল-বক্সটা একটু দিবে কিছুক্ষণ ছবি আঁকার জন্য?




আমি ওর মুখটা আমার মুখ বরাবর ধরে কপালে-চোখে অজস্র চুমু খাচ্ছি তো খাচ্ছিই; দেখলাম, মিনু তার শক্তিহীন হাতদুটো দিয়ে আমার চোখের জল মুছে দিচ্ছে আলতো স্পর্শে। ওকে আবারও বুকের সঙ্গে শক্ত করে চেপে ধরলাম। পথ যেন আজ ফুরোচ্ছেই না!




তারপর মিনিট দশেক চুপ হয়ে রইল মিনু। ছোটোবেলায় মিনুর যখন জ্বর হতো, তখন সারারাত আমরা কেউ ঘুমাতাম না। ওর মাথার পাশেই সবাই শুয়ে থাকতাম। ওর পাশেই একসময় ঘুমিয়ে পড়তাম। ও সুস্থ হলে আবার আমাদের সবার মুখে হাসি ফুটত, আবার আনন্দের দোল বয়ে যেত।




গাড়ি হাসপাতালের সামনে এসে থামল। হাসপাতালে ঢোকানোর জন্য মিনুকে কোলে নেবার সময় খেয়াল করলাম, মিনু আমাকে দু-হাতে জড়িয়ে আছে, আর ওর শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গেছে। আমি অবাক হয়ে ওর শরীরে ক্রমাগত হাত বোলাচ্ছি, ওকে ডাকছি। ও কীরকম জানি চোখ বন্ধ করে নিশ্চুপ হয়ে আছে। আমি পাগলের মতো ওকে ডেকে চলেছি…।




ওর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে শরীরের যত শক্তি আছে, সব এক করে দৌড়াচ্ছি ডাক্তারের কাছে। বাবাও মিনুকে পেছন থেকে ‘ও মনু…মনু রে…’ বলে হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে আমার পিছু পিছু ছুটছে। তারপর আমার কোল থেকে ডাক্তার মিনুর হাত পরীক্ষা করলেন। পরীক্ষা করে কী বুঝে যেন বাবাকে বললেন, বাড়ি নিয়ে যান, বাচ্চা তো মারা গেছে।




কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে মিনুকে বাবার কোলে দিয়ে একদৌড়ে আরেক ডাক্তারের কাছে গেলাম।




আমার চিৎকার চ্যাঁচামেচি দেখে আরেক জন ডাক্তার ওর হাত, চোখ পরীক্ষা করে মুখটা বিষণ্ণ করে বললেন, হ্যাঁ মা, ও মারাই গেছে।
এতক্ষণ পর আমার হুঁশ ফিরে এল। মিনু মারা গেছে মানে? কী করে সম্ভব? হঠাৎ আমার সারাশরীর যেন অবশ হয়ে গেল। পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। পৃথিবীর সমস্ত শব্দ বিলীন হয়ে গেল। আমি পেছন ফিরে ধীরে ধীরে মিনুর দিকে তাকাচ্ছি। বাবা মিনুকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে ফ্লোরে দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে দিয়ে একদৃষ্টে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। বাবার চোখে জল নেই, ঠোঁটে শব্দ নেই।




আমি শান্তদৃষ্টিতে বাবার কাঁধে মাথা ঝুলিয়ে নিশ্চুপ হয়ে থাকা মিনুর চেহারার দিকে ভালো করে তাকাচ্ছি। দেখলাম, ওর হাতদুটো ছড়ানো, মুখে বিন্দু পরিমাণও কষ্টের ছাপ নেই। যেন সারাজীবনের জন্য রংপেনসিল পাবার আনন্দ মেশানো একটুকরো মুখ, যেন এখুনিই হুট করে মুখ তুলে ধীরে চোখ খুলে ফিক করে হেসে দিয়ে বলবে, ‘এই আপু, রংপেনসিল-বক্সটা কোথায় রেখেছ…একটু দাও না তাড়াতাড়ি!’




আমি আরও কাছে গেলাম। মিনুকে আরও কাছ থেকে অবাক হয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। মিনু কীভাবে মরে যেতে পারে! কী করে সম্ভব! আমার মিনু তো অতটুকু বাচ্চা…মাত্রই তো এল দুনিয়ায়! এই তো সেদিনই ওকে কোলে করে এই হাসপাতাল থেকেই হাসতে হাসতে খুশিতে আনন্দে নাচতে নাচতে বাসায় নিয়ে গেলাম। বাবার কোলে সে বিড়ালছানার মত ম্যাও ম্যাও করে কাঁদছিল এই তো সেদিন, সদ্যফোটা চোখদুটো কেমন পিটপিট করছিল…ঠিক যেন একটা খরগোশছানা। অথচ আজকেও বাবার কোলেই মিনু শুয়ে আছে…কিন্তু নিথর, প্রাণহীন হয়ে! এ-ও কি সম্ভব!?




আমি একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে ভাবছি, পৃথিবী উলটেপালটে যাক, সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যায় তো যাক, কিন্তু আমার খরগোশছানা মিনুটা মরে গেছে, সেটা পৃথিবীর একমাত্র মিথ্যে হোক!




হলো না। মৃত্যু কখনও মিথ্যা হয় না। মৃত্যুই পৃথিবীর একমাত্র সত্য।




আমি মিনুর মাথায় হাত রাখলাম। ওর চোখ-মুখ, নাক, ঠোঁট, চুল, হাত-পা-পিঠ ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছি। খরগোশছানাটার পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে পিঠের জামাটা তুলে দেখলাম, মিনুর পিঠে ছোপছোপ দাগ। বোধ হয়, স্কুলে পড়া না পারার অপরাধে আজ মার খেয়েছে আমার জাদুটা। সেই ছোপছোপ দাগগুলোর আশেপাশে আরও কিছু পুরনো দাগ, যেগুলো হয়তো আমাদেরই দেওয়া বেতের দাগ। এইবার আমার বুকের ভেতরটা ধক্‌ করে কেঁপে উঠল। আমি ওর পিঠের উপর মুখ চেপে হু হু করে কেঁদে উঠলাম।




এবার বাবাও চিৎকার করে কেঁদে উঠল। বাইরে সূর্য ডুবে গেছে। অন্ধকার নেমেছে।




কাঁদতে আমাদের বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ভালোবাসতে আমাদের বড্ড দেরি হয়ে গেছে। বুঝতে আমাদের বড্ড দেরি হয়ে গেছে।




অ্যাম্বুলেন্সে করে মিনুকে নিয়ে ঘরে ফিরছি। নিথর নিস্তব্ধ মিনু। কোনও দুষ্টুমি নেই, দুরন্তপনা নেই, নেই কোনও দাবিদাওয়া। চাঁদের সমস্ত আলো যেন ঢলে ঢলে পড়েছে আমার জাদুসোনার সারাগায়ে। আজ থেকে প্রতিদিনই মিনুর ছুটির দিন, প্রতিদিনই শুক্রবার। মিনুকে আর কক্ষনো পড়তে হবে না।




মিনুকে দাদুর কবরের পাশে কবর দেওয়া হলো।




সেদিন মিনুর আলমারি খুলে ওর ড্রয়িংবুকটা খুললাম। বড়ো বড়ো কয়েকটা পেইজ। সেখানে কাঁচাহাতে আঁকা অনেকগুলো ছবি। প্রায় সব ছবিই আমাদেরকেই নিয়ে। সবশেষ যে ছবিটা এঁকেছে, সেটাতে সবার ডানে আমি, বামে বড়োভাই, মাঝখানে বাবা-মা। আর বাবা-মা’য়ের ঠিক মাঝ বরাবর অর্ধঅঙ্কিত মিনু দাঁড়িয়ে আছে বাবা-মা’র দুই হাত ধরে।




ভাবলাম, তবে কি মিনু তার অসমাপ্ত ছবিটা সমাপ্ত করার জন্যই রংপেনসিল চেয়েছিল তার জীবনের শেষকথাটিতে? আমার সোনাজাদুটা নিজেকে আঁকতে আর পারল না! আমরাই গায়ের জোরে ওকে অসমাপ্ত রেখে দিয়েছি! মানুষখুন করলে ফাঁসি হয়, অথচ স্বপ্নখুনের কোনও শাস্তি নেই। কারও স্বপ্নকে খুন করে ফেললে সে আর বাঁচেই-বা কী করে!




এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। মিনুর আঁকা অসমাপ্ত ছবিটি বড়ো করে বাঁধাই করে বাসায় টাঙিয়ে দেওয়া হলো; তার পাশেই মিনুর খিলখিল করে হাসা একটা ফটোগ্রাফ।




মিনুর আঁকা ড্রয়িংবুকটা উলটেপালটে দেখছি। প্রতি পাতায় পাতায় একজন মিনুর খুব গোপনে শিল্পী হয়ে ওঠার খুন-হয়ে-যাওয়া স্বপ্নটা খুব স্পষ্টভাবে অনুভব করছি। বেঁচে থাকলে আজ মিনু হতো পঁচিশ বছরের তরতাজা যুবক।




হ্যাঁ, আজ আমার মিনুসোনার পঁচিশতম জন্মদিন।




আজ বুধবার। আজ মিনুর শুক্রবার।