১. এই হাতটাই বুঝি হাত ছাড়বার রাস্তা! ২. সিগারেটের ধোঁয়া পেছনে ফেলে যায় একেকটা গোলাপ। ৩. পৃষ্ঠার ভাঁজে ভাঁজে স্মৃতির খাঁজে খাঁজে জীবনসুর বাজে বাজে। ৪. বিষণ্ণ গোলাপের ঝরে-যাওয়া প্রত্যেকটি পাপড়ি শহর ছেড়ে যায়। ৫. মন উচাটন খুব! দিবাস্বপ্নে দেয় ডুব! ৬. বৃদ্ধের দাঁতহীন চোয়ালে আঙুর হারিয়ে যায় কিশমিশে। ৭. টুকরো টুকরো কাম পূর্ণিমার পূর্ণচাঁদকে ক্রমেই করে খণ্ডিত। ৮. বসন্তের মৃদু হাওয়ায় কেবল গোলাপেরই নয়, মেশে সিগারেটেরও ঘ্রাণ। ৯. ছুটির দিন; বাইরে বৃষ্টি; ভেতরে আগুন। ১০. ঠান্ডা মৃদুহাওয়া; গ্রীষ্মের নতুন ফ্রকে থরোথরো স্তনবৃন্তযুগল। ১১. একুশটি বসন্তশেষেও ফুলের অবসর; মৌমাছি এল না। ১২. নদীর ঘোলা জল ভেদ করেও পাথর চোখে পড়ে, যেখানে আটকে গেছে ব্রায়ের স্বচ্ছ ফিতে। ১৩. ফিরে আসার অনেক আগে, ফিরে যাবার অনেক পরে, সে ওখানে ছিল। ১৪. তোমার ওষ্ঠযুগলের উত্তাপ হতে ঝরে সুরের শীতলতা। ১৫. এ জীবনের সূর্যোদয়ে ধ্বংসস্তূপের ছায়াই গল্প বলে। ১৬. হাতের ক্যামেরা ড্রোনে উঠে বলে, কেবল লাল ফুলটাই হলদে। ১৭. মজবুত জানালা; রাতভর... বৃষ্টি ঢোকে না, তাপ ঢোকে। ১৮. এঁটো ঠোঁট চুমু খেয়ে এঁটো মোছে। ১৯. ঘরের দিকে একছুটে গিয়ে দেখি, বন্দিত্বের উঁচু দেয়াল। ২০. শরীরের উত্তাপে--- রৌদ্র, বৃষ্টি, শৈত্য... পালায় তিনই!