১. শীতের বৃষ্টি, ধীরে ধীরে, অশ্রু জমায় সেইসব চিঠির গায়ে, যেখানে সমাহিত আছে আমার পুরনো যত দুঃখ। ২. যে রাস্তা ধরে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছ, সে রাস্তার দৈর্ঘ্য ও বয়স বেড়েছে প্রতিদিনই। ৩. চলতে পথে যে থেমে যায়, তার পায়েই শেকল জড়ায়... ৪. শীতের ঝড়ো বৃষ্টি... বড়োসড়ো বোকা ছাতাটি পেছনে হাঁটার চেষ্টা করে। ৫. পাহাড়ে কি পর্বতে... থাকেন না ঈশ্বর; শুধু মনেই থাকেন। কেবল মনকে পেতেই সেখানে যাওয়া! ৬. এই সকালে... মনের মধ্যে তুমি, জানালার বাইরে দাঁড়কাক। আমি হঠাৎ বাইরেই তাকাই! ৭. বাতাসের এত ক্ষুধা কীসের! আমার যা-কিছু আলো, খেয়ে নেয় তার সবই...! ৮. নিজেকে চেনে না, অথচ ঈশ্বরকে চেনে... এমন যে লোক, কপট সে, জেনো। ৯. পাথরের গায়ে যদি থাকত রং কিংবা ঘ্রাণ, তবুও কি লোকে পাথরের গায়ে ফুল খুঁজত?! ১০. আহা, যদি কখনও বুড়ো না হতাম! ...নতুন যা আলো, আসত কি তবে?! ১১. চেঁচিয়ে বললাম, হ্যাঁ, ভেতরে এসো! এল না সে ভেতরে। দরোজায় কড়া চলল নেড়ে আমায় ভয় দেখাতে... ১২. পুরনো কবরগুলি ঘুরে ঘুরে দেখো... আজও সেখানে সূর্য ওঠে...ডোবে... ১৩. আমি বরং পিতার সেই সন্তানটি হব, যে খুব বকা খায়... অনাথ হবার চেয়ে। ১৪. মৃত্যুসংগীত: শুকনো পাতার মড়মড় ধ্বনি... হাওয়ায়, পায়ের তলায়। ১৫. মৃত্যুর আগেই... চাঁদের আলো, ফুলের ফোটা, প্রেমিকার হাসি... দেখতে দিয়ো। ১৬. যেখানে আমার শেষ, সেখানে তোমার শুরু... মধ্যরাতের সূর্যতে। ১৭. তোমার মধ্যে আলো ছিল কি আগুন ছিল, টের পাইনি পোড়ার আগে। ১৮. কফির প্রতিটি চুমুকেই হাজারটা তুমি মেশানো... সঙ্গে একাকিত্ব। ১৯. প্রতিটি বিচ্ছেদই, দিনশেষে, হস্তান্তরযোগ্য। ২০. বুনো নাশপাতিতে প্রথম কামড়টি আমার হোক।