ভাবনার বনসাই: এক-শো এগারো

১. পূর্ণচাঁদের নিচে
ঘাসের ছায়ায় ছায়ায়
পোকাদের বোকা উল্লাস।


২. পাখিরা কেউ আসে না।
কাকতাড়ুয়া খুব বিরক্ত।
চাঁদের আলোয় ফসল হাসে।


৩. জলে থেকেও
কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা যায় কীভাবে?
...অপেক্ষাকৃত বড়ো কুমির হয়ে।


৪. ঝিঁঝিঁদের অবিশ্রান্ত কান্নায়
আমার মোমবাতিটির আলো
বাড়ে...কমে...মরে...


৫. আগুনের কী সুন্দর খেলা!
দেখার কেউ নেই।
আবার আঁধার...আবার চুপচাপ।


৬. চুরি-করা আপেলগুলির
সবকটাই খেয়ে ফেললাম
একা একাই...কাউকে না দিয়ে!
আর অমনিই সে কী পেটব্যথা!


৭. সন্ধে নামে,
ধুলোর পথে
একাকী হাঁটি;
কাঁদে পাখি...


৮. আমাদের শেষদেখায়
নৌকো ও তীরের লড়াইয়ে
জিতল বালুর পাহাড়!


৯. বৃষ্টির কম্পনে
ধূসর জলে ধূসর বালি
রেখাহীন ছবির সারি...


১০. টম অ্যান্ড জেরি;
জীবন এবং আমি!


১১. বুড়ো জেলে
মাছের চকচকে আঁশের দিকে তাকিয়ে
হিমেল সন্ধের বৃষ্টিকে
বুড়োআঙুল দেখায়।


১২. শীতের এক সন্ধেয়,
পাশ দিয়ে মাত্রই হেঁটে-যাওয়া
পথিককে দেখতে যেই পাশ ফিরলাম,
অমনিই সে কুয়াশা হয়ে মিলিয়ে গেল!


১৩. মাঝে মাঝে কবরস্থানে যাই।
এত সঞ্চয়, এত ছুটেচলা, এত বিদ্বেষ...
এইসবের শেষটা দেখে আসি।


১৪. আমাদের দু-জনের
কবরের উপরে ফোটা ঘাসফুলদের
দেখা হবে, গল্প হবে
প্রজাপতিদের ডানায় রঙে।


১৫. আয়ু ফুরোতে গিয়ে
এতটা পাপে যে যাচ্ছ ডুবে,
তোমার কবরের গায়ে দেখো,
জন্মাবেই না একটিও ঘাস!


১৬. যেদিন মৃত্যুর জন্য তৈরি হলাম,
সেদিন থেকে আজ অবধি
একটি মশাও কামড়ায় না আর!


১৭. সেই দুঃসহ নীরবতা...
ভাঙতে পারল না কেউই!
না অতিথিরা, না ঘরের লোকেরা,
না সাদা কাঠগোলাপেরা।


১৮. একটু চুপ করে থাকলেই
দেখতে পেতে,
সাদা সাদা মেঘের মতো বকের দল
আকাশে ওড়ে কীভাবে...


১৯. শীতের সূর্য
উঠবে কখন,
তার অপেক্ষা
খিদে কি বোঝে?!


২০. একাকী ছাতা
কুঁড়েঘরটির পাশ দিয়ে
এক গোধূলিতে...
বৃষ্টির প্রতীক্ষায় হাঁটে।