১. হ্যাঁ, আমি অদ্ভুত। অপেক্ষা করো, একদিন তুমিও অদ্ভুত হতে চাইবে। ২. সব যুদ্ধ থামাতে থামাতে ক্লান্ত হয়ে নিজের কাছেই ফিরে এলাম। এসে দেখলাম, যুদ্ধগুলি আরও আগেই থামতে পারত! ৩. তুমি নিজেকে যতই ঘৃণ্য বানাচ্ছ, ততই আমার সময় নষ্ট করছ। ৪. আমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে, কেননা আমি অপেক্ষা করে ছিলাম। ৫. যতই মানুষ দেখি, ততই বুঝি, মানুষ খুব সহজেই এই সত্যটা ভুলে থাকে: অন্যরাও মানুষ! ৬. যখন আমাকে স্বাভাবিক আচরণ করতে দেখো, তখন ধরে নিয়ো, আমার আসল ক্ষমতাটা অন্য কোথাও। ৭. যদি আমার ভালোবাসার কাজগুলি না থাকত, তবে তুমি আমাকে এমন কষ্টে রাখার সুযোগটা বহু আগেই হারাতে। ৮. রূপে দারুণ, গুণে নিদারুণ! ৯. সব যুদ্ধে আমি নামি না। যে যুদ্ধে আমি নামলেই বরং যুদ্ধের উচ্চতা বাড়ে, সে যুদ্ধে হেরে যাবার নামই জিত! ১০. কষ্টগুলি হাতের তালুতে থাকা জলের মতন। সময় যত গড়ায়, কষ্ট ততই অদৃশ্য হয়। ১১. তুমিই তো সবসময় বলতে, আমাকে ছাড়া বাঁচবে না! সেই তুমিই তো আজও দিব্যি বেঁচে আছ! ১২. যে কষ্ট কমায়, সে-ও চায়, কেউ তার কিছু কষ্ট কমাক। যে খুব গুছিয়ে কাজ করে, সে-ও চায় মাঝে মাঝে চমকে যেতে। যে সবাইকে দেয়, সে-ও চায়, কেউ তাকে কিছু দিক। যে সবার কথা ভাবে, সে-ও চায়, কেউ তাকে ভাবুক। যে খুব দয়ালু, সে-ও চায় দয়া পেতে। প্রত্যাশা শুধু করেই যেয়ো না, কিছু প্রত্যাশা বুঝেও নিয়ো। ১৩. আমার যা-কিছু অদ্ভুত, তা যদি মানতে পারো, হাত ধরো। ১৪. বাঁচতে চাইলে মাত্র দুটো কাজ করতে হয়: স্মৃতিকে খুন করা, নিজেকে পাথর বানানো। ১৫. ওদের বলে দিয়ো, কিছু মানুষ মদের মতন--- যত পুরনো হয়, তত কদর বাড়ে। ১৬. মাঝে মাঝে তুমি অনেক ভালো যুদ্ধ করেও হেরে যাবে। মাঝে মাঝে কোনও ভুল না করেও তোমাকে ভুলের দায় নিতে হবে। তবু মেনে নিয়ো। মেনে নিলে মানুষ অনেকসময় ভালো থাকে। ভালো যদি না-ও থাকো, কিছু অহেতুক দুঃখের হাত থেকে বেঁচে যাবে। ১৭. আমি ভালো আছি, তবে মনটা আরেকটা মনের আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে থাকতে চাইছে। ১৮. দরোজাটা খুলব, যদি আবারও নিঃশ্বাস নিতে পারি। দরোজাটা খুলব, যদি আবারও বাঁচতে পারি। ক্ষত সারাতে রাজি না থাকলে কড়া নেড়ো না। ১৯. যখনই দুঃখের মুখোমুখি হতে ঘুরে দাঁড়ালাম, তখনই দেখলাম, পোশাকের রং বদলে সেই ভালোবাসাই আবার এসেছে! ২০. দুঃখ আবার কী? ভালোবাসা বলো!