আলোকবন্দিত্ব

 
ব্যথা তো অনেকেই দেয়, কাঁদাতে পারে ক’জন!
তোমাকে পেয়ে অনেক ব্যথা সহ্য করতে শিখেছি, প্রিয়…
শিখেছি কাঁদতেও। আজ, এখন, অনেক দুঃখই ভেসে গেল…।


আমি তোমার কাছে নিজেকে মেলেছি যতটা অসংকোচে,
এই পৃথিবীর আর কারও কাছে মেলিনি ততটা। নয় বিন্দুসমও!
এমনকি, আমার পরিবারও আমাকে ঠিক ততটুকুই জানে, যতটুকু
প্রয়োজন হয় আমাকে জানতে, বুঝতে নয়।


তা ছাড়া, নিজেকে প্রকাশ করেই-বা কী হয়, বলো?
বেশিরভাগ মানুষই তো…অন্য মানুষকে ভালোবাসতে কিংবা সম্মান করতে জানেই না!
যা-ই হোক, এইসব থাক! আমি তো আর এমন কেউ নই, যাকে তোমার জানার আছে!


আমার খুব ইচ্ছে, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তোমাকে ভালোবাসুক!
যে তোমাকে ভালোবাসবে না, সে---ভালোবাসায় বাঁচতে জানে না, এমনই কেউ হবে নিশ্চয়!


সেদিনের কথা। ল্যাপটপে তোমাকে দেখছি। একটার পর একটা।
তোমাকে দেখতে দেখতে কখন কয়টা বাজছে, খেয়াল ছিল না।
মা রুমে দুইবার চা দিতে এসে দুইবারই তোমাকে দেখেছে।
শান্তকণ্ঠে জিজ্ঞেস করেছে, ‘ছেলেটি কে রে, মা?’ কোনও চিন্তা না করেই মাকে বলেছি,
‘যে পুরো পৃথিবীকে আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে, ছেলেটি এমন কেউই, মা!’
এর পরের কথোপকথনটা…এখন লেখা যাবে না।
সব কিছু লেখা যায় না বলেই তো আজও বেঁচে আছি!


আমি তোমাকে আসলে কী বলতে চাই, তা আমি,
সত্যিকার অর্থে, নিজেই জানি না। শুধু এটুক জানি,
আমাদের যে ভালোবাসা, সেটার গভীরতা কতটুকু,
তুমি আমাকে কীভাবে নাও, আমাকে কতটা ভাবো,
এইসব ভাবতে, নিজেকে একই সাথে…ক্লান্তও লাগে, সুখীও লাগে।


তোমার সাথে আমার কথা হয়েছে খুব অল্পই।
তোমার লেখার মধ্য দিয়ে, আমি তোমাকে অনুমান করার চেষ্টা করি মাত্র।
যদি কোনও দিন অনুভব করি,
তোমাকে, আমার যা ইচ্ছে, মন খুলে তা-ই বলতে পারব, লিখতে পারব,
তার পরিবর্তে রাগান্বিত হয়ে তুমি আমাকে আঘাত করবে না কিংবা
অপমান করবে না,...সেদিন তোমাকে বলার অনেক কিছুই থাকবে আমার!


কেন, জানো? কারও সম্পর্কে তাকেই বলার জন্য,
নূন্যতম একটি মানসিক বোঝাপড়া থাকা খুব দরকার।
এখনও, আমাদের মধ্যে সেটা তৈরি হয়নি।
কোনও দিন হবে কি না, তা-ও জানি না।
আমি এখনও অবধি, তোমার শুভাকাঙ্ক্ষীর ধাপটাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছি!
Content Protection by DMCA.com