সুখ তার অনেক গল্পকথা, দুঃখের আল ভেঙে অবশেষে হেঁটে চলা… না, আমার তেমন কোনো দুঃখ নেই—পরবাসী পথিক তো এমনই হয়।
দেখি, সবুজ আগুনে হঠাৎ শুভ্রতার খেয়া! সে কি তুমি, ক্যামেলিয়া?
তুমি ছিলে অনাদি গল্পে ফেব্রুয়ারি-জুড়ে… কেমন এলোমেলো হাসতে, জড়িয়ে জড়িয়ে থাকতে! ভাবতাম, বিরহবাসরে সুখের কেনা-বেচা হয় তাহলে!
সুখগুলি কেমন হিসেবি, ঠিক গুনে গুনে আসে! কষ্টগুলি বেহিসেবি, জীবনের গোলাঘর কেমন যে ভরিয়ে রাখে!
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, জোছনাজলে শরীর খুলে বসি, চাঁদের আমেজ কেমন, আমিও একটু ছুঁয়ে দেখি, ছুঁয়ে দেখি… হয় না, জানো!
মনে হয়, শরীরভর্তি পাপ নিয়ে অমন শুদ্ধতায় স্বপ্ন ছোঁয়া দায়! ভেষজ অনলে গরল কাটবে, এমনই তো কথা ছিল; তবে আর অমৃতবাণী চাইব কী করে, বলো!
হ্যাঁ, লিখছিলাম তোমায়, ক্যামেলিয়া! যদি একটি বার এলোমেলো হাসতে, জড়িয়ে থাকতে… দেবসুধা তোমারই বৃত্তে নাহয় রাখলে, আমি আবার কিশোর প্রেমিক, তুমি বধূপূর্ণিমা; গোপনে খেয়ালি তারা, হেম-অনু-রঙ্গনা; ত্রিবেণী আসরে, তুমি আমার, ওগো ক্যামেলিয়া!
না, ভয় পেয়ো না, আমি কবি নই; তোমার শুভ্রতা দণ্ডিত হতে দেবো না।
হ্যাঁ, কী যেন লিখছিলাম! সবুজ অনলে, শুভ্রতার খেয়া ভাসছে... এক, দুই, তিন করে সময়টা ফুরিয়েছে যত, তুমি আর আমি মিলে, মনে আছে, তারা গুনেছিলাম কত?
ওই তো, চোখের কোণে, আলগোছে ক্যামেলিয়া হাসছে!