সময়খিদে

এই যে বেদনার সাথে আমার মধুর যৌনসংগম,
কোকিলের ডাকের সাথে আমার অস্থিমজ্জার ক্ষয়ে পড়া,
খেজুরের রসের সাথে মিশিয়ে নিজের অশ্রুসুধা পান,
কিংবা মলমের মতন ঠান্ডা পিঠে একটুকরো দগদগে ঘা—
তুমি কি এসব আমায় দিতে পারবে?




পারবে তো বলো…তবে একদৌড়ে খালি পায়ে গিয়ে তোমার পায়ে মাথা ঠুকে আসি; যেমনি মাথা ঠুকি ঠাকুরের পায়ে।
বলো, আমি কি আসব?




আরে… আমি জানি। তুমি কি আর ওসব দিতে পারবে!
তুমি তো শুধুই টাকা দিতে পারবে—অনেক অনেক টাকা তোমার।




একটু সময় চাইলে কাঞ্জিভরম কিনে দিতে পারবে,
কথা বলতে চাইলে সোনারুপার গয়না কিনে দিতে পারবে,
দেখা করতে চাইলে তো আস্ত একটা বাড়িই কিনে দিতে পারবে!




আচ্ছা, এতসব জিনিস তো তোমারও আছে, তবে তুমি কেন অসুখী, বলতে পারো? তোমার সুখ কোথায়?




নিজেকে এই প্রশ্ন করার সাহস করেছ কখনো?
অবশ্য এত সময় তোমার কোথায়…
এত বেকার সময় তো শুধু আমারই আছে…
বেকারের কাজই তো ভাবার আর ভাবানোর… হা হা হা 
কী বলো?




ভেবে দেখো, সুখী হতে, আত্নাকে তৃপ্ত করতে কী কী লাগে?
না না, আমাকে লাগে, সেটা বলছি না।
আমাকে যে লাগে না কোথাও, সে আমি বুঝে ফেলেছি।




তুমি আমাকে পুরো পৃথিবীই কিনে দিতে পারবে, কিন্তু একটু সময় দিতে পারবে না।
অথচ ছোটোখাটো তোমাকেই আমি ভালোবেসেছিলাম।
আমাদের ছোটো-ছোটো স্মৃতি, গান, আড্ডা, ছোটো-ছোটো খুনসুটি, এসব দিয়েই তোমাকে আমি বাঁচিয়ে রেখেছিলাম।




অবাক হচ্ছ?
থাক, আর অবাক করব না।
যাও, অফিসে যাও; দেরি হয়ে যাচ্ছে।
অফিস ছাড়া তোমার আর কোথায়ই-বা যাবার আছে!