১. রাস্তা মাপতে মাপতে ঘর ভুললাম! রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে ঘর তুললাম! ২. ওই হাতের মুঠোয় যখনই তোমার মুখটা রাখো, গোলাপের দিকে তাকিয়ে ভাবি, এ জীবনে গোলাপের শাখাও হলাম না! ৩. কীসের আশায় অপেক্ষা করছ? যে ফেরেনি, তার ফেরার আশায়? না কি থেকে গেছে যে, তার যাবার আশায়? ৪. ঠোঁট বন্ধ করে রেখো না! যদি সে ফিরে আসে, আর তুমি ঠোঁট খুলতে খুলতেই পালিয়ে যায়? ৫. আমি বলছি না, তুমি কখনও তার দেখা পাবেই না! পেতেও তো পারো, যদি কোনোদিন তাকে চোখে ধারণ করতে শিখে যাও! ৬. আমার ঘুমটাই তো মন! আমার মনটাই তো রাত! আমার রাতটাই তো তুমি! তবে এখানে আলাদা করে স্বপ্নের ব্যবচ্ছেদের কথা আসছে কেন? ৭. পৃথিবীকে সাজাতে চেয়ো না, যদি নিজেই না সাজো! নিজেকে সাজাতে যেয়ো না, যদি নিজেই না বোঝো! ৮. আমার শায়েরি পড়ে রক্তও যদি ঝরে, সেই রক্তের দামই-বা কী, যদি তা চোখ থেকে না ঝরে! ৯. তুমি কোনোদিনই উপন্যাস হয়ো না, অতটা ওঠা-নামা ধরতে ধরতেই তো আমার মৃত্যু এসে যাবে! ১০. কামনার চোটে যাদের কথা যা ভুলে গেছ বেমালুম; জেনে রেখো, ওদের মধ্যেও ঈশ্বর আছেন! ১১. মাতাল হতে কি শুধুই মদের পেয়ালা লাগবে? সাকির হাতের ফুল হলে চলবে না? ১২. দোকানে শুধুই টগর ছিল, তাই খালিহাতেই এলাম! গোলাপের জন্য টগর কিনে আনে কোন নির্বোধ, বলো! ১৩. তোমায় হারিয়ে আজ দ্বিতীয় বার কাঁদলাম! প্রথম বার কেঁদেছিলাম তোমায় পাবো না ভেবে! ১৪. নিজের চোখে তোমায় অসুখী হতে দেখবে, এমন মানুষও কি আছে কোথাও… যদিও কখনও কখনও, দেয়ালও ঘরের দিকে তাকায়, দরোজাও চৌকাঠ মাড়ায়! ১৫. আমার চেহারা মনে আছে তো? না কি যাদের ফিরিয়ে দাও, সবাইকেই একই চেহারায় দেখো? ১৬. চোখ ঢাকলে কেন? আমায় দেখছি না তো! এদিকে তাকাও, নিজের দিকে একটু তাকাই… ১৭. আমার এমন লাগছে কেন? তুমি যে চলে যাবে, তা তো আগেই জানতাম! ১৮. তোমায় পাই বা না পাই, তুমি সুখী হলেই আমার সবই পাওয়া হবে! ১৯. তোমার কাছে সহজলভ্য হয়েছি বলেই আমায় পাওয়া সবার জন্যই সহজ ভাবছ? নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হঠাৎ এত কমে গেল তোমার! ২০. জীবন আমায় শিখিয়েছে, যারা মুখোশ পরে থাকে, ওরাই সহজে মুখোশ ধরতে পারে!