ভাবনার বনসাই: চব্বিশ

১. তোমায় যদি হারিয়ে ফেলি!
…এ ভয়ের নাম‌ই জেলখানা!


২. ভালোবাসলাম,
ফিরিয়ে দিলে।
সুযোগ দিলাম,
লুফে নিলে!


৩. তুমি একাই থাকবে, দেখো!
ভালোবাসাতে পারিনি যদিও,
অভ্যস্ত ঠিক‌ই করে ফেলেছি!


৪. কিছুই যাতনা নাই,
সদাই আনন্দ পাই!
আমি যারে ভালোবাসি,
সবে তারে ভালোবাসে!


৫. সুধাকর শোভে আকাশ-’পরে
পরান জুড়ায় হেরিলে তায়,
আর কিছু নয়, মৃদু তারি তরে
তৃষিত নয়নে চকোর চায়।


৬. কাননে কুসুম হেরিলে যেমন
ভালোবাসে মন আপনি তারে,
তেমনি তোমায় করিয়া দরশন
ভালো না বাসিয়া থাকিতে কি পারে!


৭. বালির ভিতরে নদী
বয়ে চলে নিরবধি,
তরঙ্গের রঙ্গভঙ্গ
ঠাওরানই দুষ্কর!


৮. নীরব মুখে
হাজারো বাধার ভিড়,
এমনকী চোখের হাসিতে
ক্ষতগুলি গভীর;
যা দেখে আমরা
বরং বিরক্তই হই!


অথচ ওসব যার অবয়বে,
সম্পর্কের দামটা তার কাছেই সবচে’ ভারী!


৯. তোমার ঈর্ষায় আমার ভালোবাসা মাপছ, বন্ধু?
আমার কামনায় তোমার পাল্লাটাই যে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে!


১০. আমার শায়েরি শুনে সে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল!
‘কেউ ওর হাত থেকে কলমটা কেড়ে নাও!
ও যে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে!’


১১. তোমার হৃদয়টা তন্নতন্ন করে খুঁজেও
এক তুমি বাদে আর কাউকেই তো পেলাম না!
আমায় ভালোটা তবে বাসলে কবে?


১২. আমায় পেতে তুমি কতদূর অবধি যেতে প্রস্তুত?
যে তার নিজের সীমানারই পরোয়া করে না,
তাকেই কিনা তুমি সীমানা চেনাও!


১৩. সাপ!
আজও তুমি সভ্য হলে না!
শহরেই এলে না কখনও,
সভ্য আর হবেই-বা কী করে!


একটা প্রশ্ন করি...
সভ্যই যদি না হলে,
তবে কামড়াতে তুমি শিখলে কীভাবে!
আর বিষই-বা পেলে কোথায়!


১৪. আয়নায় এত কী দেখো, বন্ধু?
তুমি কি তোমার নিজের চেয়েও সুন্দর?


১৫. এই ক-দিন চুপ হয়ে আছ যে?
চুপ হয়ে নেই, বন্ধু! ঈশ্বরের সঙ্গে গল্প করছি!


১৬. আমি বই পড়ি না আর,
পেপারগুলিও টেবিলে বেকার পড়ে থাকে।
রাতে কিছুসময় তোমার কথা ভাবি,
নিজেকে জানার কাজটা হয়ে যায় ওতেই!


১৭. ইদানীং যারা কাঁদে,
ওরা কাঁদতেই জানে না!
কাঁদতে ওরা অজুহাত খোঁজে,
খুব কেঁদেও নিজেকে পায় না!


১৮. এই শীতল রাত্রি বুঝি
দু-চোখে ঘুম চাপাবে!
আজ তুমি পাশে থাকলে
পুরো রাতকেই পুড়িয়ে দিতাম!


১৯. দিন আসে,
চলেও যায়!
এই পাথরটাই শুধু
যায় না!


২০. আমার যা স্বপ্ন ছিল,
তার সবই বদলে ফেললাম!
হঠাৎ দেখি,
যার জন্য বদলালাম,
সে-ই কিনা উধাও!