১. যে রাত জাগে, সে তার সঙ্গে জাগার মানুষ পেয়েই যায়! …সেই মানুষটা কারও বেলায় সে নিজে, কারও বেলায় অন্য কেউ। ২. ছেলের বিয়ের আগে মা সুস্থ কি অসুস্থ, যা-ই থাক, ছেলেকে বিয়ে দেবার পর, প্রায়ই, মা হয়ে যান সুস্থ, ছেলেবউ হয়ে যায় অসুস্থ। মা ঘর সামলায়, বউ ঘুমায়। ৩. এই শহরে আলোর অভাব নেই। এখানে বাতির চাইতে মানুষের হৃদয়ই জ্বলে বেশি। ৪. যখন তুমি পাশে থাকো, সব রাস্তাই সুন্দর… হোক তা কাদামাটির কিংবা কংক্রিটের। ৫. এখন তুমি চাইলে স্বপ্নের দিকে তাকাতে পারো। ভয় নেই, আমি পাশে আছি তো! স্বপ্নটা ঠিকই ছুঁয়ে ফেলবে! ৬. এসো, আমাদের জীবনখাতার শেষপাতায় ভালোবাসাকে সহজ করে দেখাই! আমাদের গল্পটা অমরত্ব নাই-বা পেল, বেঁচে তো থাকবে! ৭. সারাজীবনই আমি নিজের পেছনে দাঁড়িয়ে রইলাম। হে জীবন, আমার সামনে থেকে আমাকে সরিয়ে দাও, আমি যে এগোতে পারি না! ৮. জীবনটা আজ হঠাৎ এত রেগে গেল যে? ব্যাপার না, এ নতুন কিছু নয়, ও মাঝেমধ্যেই এমন করে! ৯. এসে দেখে যাও! তুমি আমায় যা যা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছ, ওসবের এখন আর ক্ষমতাই নেই আমার গোনার মধ্যেও আসার! ১০. জীবন তো তা-ই, যা নিয়ে বাঁচা যায়! মৃত্যু তো তা-ই, যা নিয়েই বাঁচে সবাই! ১১. মৃত্যুকেও সারিয়ে তোলা যায়! কিন্তু জীবন সারাবে কীভাবে! মৃত্যুও প্রবোধ মানে, কিন্তু জীবন মানে কী!? ১২. এখনই নিজেকে নগ্ন কোরো না! একটু সময় দাও… আগে নিজের কামনার সতীত্ব পরখ করে দেখি! ১৩. বইগুলি দূরে ছুড়ে ফেলে একবার বাইরে গিয়ে চাখো, জীবন কেমন! সূর্যকে চুমু খেয়ে একবার পুড়েই দেখো, মৃত্যু কেমন! ১৪. সারাজীবনই ভালোবাসার মানুষ খুঁজে খুঁজে শেষমেশ পেলাম কিনা একটা ভালোবাসার পুলিশ! ১৫. হে প্রিয়তমা, শায়েরি পড়ে আমার প্রেমিকার সংখ্যা গুনে আমাকে অমন আঘাত কোরো না; আমি তো আর ওদের সবাইকেই শায়েরিতে রাখি না! ১৬. যে যত সহ্য করতে পারে, লোকে তাকেই তত কষ্ট দেয়! সহ্য করতে পারার পুরস্কারই কষ্ট! ১৭. দেখো, আমার মতন আর কাউকেই পাবে না! …ইদানীং এটা মাথায় এলেই বড়ো ভালো লাগে; যতটা ভালো তোমাকে ভাবলেও লাগে না! ১৮. কাউকে কিছু বলতে চেয়ে, বহু বছর চেষ্টা করেও, আজও কিছু বলতে পারিনি! ১৯. আগে ভাবতাম, আহা, জীবনটা আরেকটু বড়ো হতো! এখন ভাবি, হায়, জীবনটা আরেকটু ছোটো হতো! ২০. প্রিয়, যদি কখনও মনে হয়, আমি ভুল পথে চলে যাচ্ছি; সেদিন তুমি নিজে ঠিক পথে ফিরে এসো!