ভাবনার বনসাই: বত্রিশ

১. থাক, ওদের দুর্ব্যবহার করতে দাও!
পৃথিবীতে এসেছেই যখন,
খালিহাতে ফিরবে কেন!?


২. শায়েরিকে খুন করার পর
শায়েরকে খুঁজতে এসেছ কোন আক্কেলে!?


৩. এ ঘরের সব কাজই
হারিয়ে গেল ঘুমে!
জেগে দেখি,
ঘরের মালিকই উধাও!


৪. যখন তোমাকে পাশে রেখে
জীবনের দিকে তাকাই,
তখন গোটা জীবনটাই গায়েব হয়ে যায়;
শুধুই একধরনের অনুভূতি পড়ে থাকে…!


৫. আমরা দু-জন আজ কোথায় হারিয়ে গেলাম?
যে দু-জনের জন্ম হয়েছিল, আজ ওরা কোথায়?


৬. শায়ের, তোমার নাহয় শায়েরি লিখেই সময় কাটে!
কিন্তু আমি তোমার সময় না চেয়ে
কীভাবে সময় কাটাই, বলো তো?


৭. বন্ধু, কেন আমায় প্রতিযোগী ভাবছ?
সবাই কি আর জীবন নিয়েই প্রতিযোগিতা করে?


বন্ধু, কেন আমায় ব্যর্থ ভাবছ?
সাফল্যের ব্যাকরণটা তোমার মনের মতোই?


৮. ‘জীবনটা তো আর ফিরে পাবে না!’
‘ফিরে পেতে চেয়েছেটা কে!’


৯. ও আচ্ছা, তুমি আমায় ঘৃণা করো?
কী বললে! তুমি এখন অন্য কারও!


১০. তোমার হাতটা ছেড়ে দিলাম!
ভেবো না, আমি ভাবছি,
তুমি আমায় ভালো আর বাসো না!
আমি জেনে গেছি,
আমি বড়ো হই, এটা তুমি চাও না!
তোমায় ভালোবাসতে পারি,
কিন্তু তোমার ভালোবাসার বলি হই কী করে!


১১.  দূরে সরে গেছ, দুঃখ নেই।
দুঃখ শুধু এটাই,
যাদের কাছে রাখছ, তাদের মধ্যে আমি নেই!


১২. যে শায়েরি লেখে,
তার ঘর করতে চাইলে
সতিনের ঘর করতে রাজি থেকো।
শায়েরিই যে তার প্রথম ঘরনি!


১৩. আহা, যদি সেদিনটা জীবনে আসত,
যেদিন দুশ্চিন্তা এসে দরোজায় কড়া নাড়লে
দরোজা না খুলেই বলে দিতে পারতাম,
আজ নয়, আরেক দিন!


১৪. যাকে ভালোবাসি, সে ভালোবাসে না।
এটা মেনে নিতে হয়।
সে নিজেও হয়তো এটা মেনে নিয়েই বেঁচে আছে!


১৫. তোমার ভালোবাসার অঙ্কটা বুঝতে গিয়ে
আজ আমি অঙ্কও বুঝি না, জীবনও বুঝি না!


১৬. একদিন বলেছিলে,
বন্ধুত্বের সীমানাটা পেরোই, চলো!
…সেদিন থেকেই দূরত্বের শুরু!


১৭. তোমাকে খুব করে চাই।
কেন চাই, আমি জানি না।


১৮. তুমি যা যা চাইবে,
তার অনেক কিছুই তোমার ভাগ্যে নেই!
মেনে নাও। বয়স বাড়লে মেনে নিতে হয়।


১৯. তোমার জায়গায় থেকে
আমায় শান্ত হতে বোলো না।
পারলে আমায় জায়গায় এসে
নিজে শান্ত হয়ে দেখাও!


২০. ধর্মে বলছে, নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখো!
তার মানে কি…তোমাকে দেখা ধর্মে বারণ!?