১. মানুষের জীবনে কিছু কিছু দাগ থাকে, যেগুলি একদিন রংধনুর চাইতেও ঝলমলে হয়ে ওঠে! বন্ধু, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছ যা-কিছু, তা-ই সবকিছু নয়।
২. তোমাকে দেখার ইচ্ছেটা খুব তীব্র, তবু দুঃখের ভারটা যে আরও অনেক বেশি! ফেলে চলে যাবে যখন, তখন তা একা একা বয়ে বেড়াব কী করে, বলো!
৩. বেশি বেশি সুরেই বেসুরো শব্দরা খেলা করে! এখন তুমিই বলো, কোন সুরে তুমি তোমার জীবনের গানটা গাইবে ঠিক করলে?
৪. পুরো রাস্তাজুড়ে হেঁটো না, কিছুটা জায়গা ফাঁকা রেখে হেঁটো। তা না করো যদি, তবে হাত বাড়ালে ধরতে আসবেটা কে!
৫. ঘটনার সেইসব বাঁকগুলির দিকে তাকাও, যা যা ছিল বলেই আমরা ঘটনাটা জানি।
৬. হৃদয়ের সমস্ত অভিযোগ একদিন আশীর্বাদ হয়ে সামনে আসে। তার আগে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে হয় অসংখ্যবার …প্রার্থনার কাছে, যন্ত্রণার কাছে।
৭. তোমার দয়াপ্রদর্শনের পরাকাষ্ঠা দেখে আমার সমস্ত দুঃখ যেন আকাশ ছুঁল!
৮. বলি না যা-কিছু, হৃদয়ের মধ্যে তা কেবলই প্রতিধ্বনি হয়ে বাঁচে।
৯. কেন বলো ক্ষতগুলির যত্ন নেব না, যখন ক্ষতই জীবন সাজায়? যন্ত্রণা না পেয়ে দুঃখ সারাতে পেরেছে কে-ইবা কবে?
১০. হায়, দূরত্বের অর্থটা বুঝেছি বিচ্ছেদের পরেই!
১১. নিজের হৃদয়ের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণই যার হাতে, সে-ও কি তবে মানুষ?
১২. জীবনের সবকিছুই তো নিজের হাতে, তবে হাতটা কার হাতে, তা কেউই জানে না!
১৩. বন্ধুদের অবিশ্বস্ততা এমন একটা সীমায় পৌঁছে গেছে যে, এমনকী নিজের উপরেই আমার আর কোনও বিশ্বাস নেই!
১৪. কেউ যখন নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে কারও সঙ্গে গল্প করে, তখন কি সে প্রকৃতপক্ষে নিজের সঙ্গেই গল্প করে না?
১৫. এই ভরাম্যহ্ফিলে একজনও কি নেই, যে বিশ্বস্ত, যার কাছে নিজেকে মেলে ধরা যায়?
১৬. রাত্রির অভিশাপ যে এখনও এই দু-চোখে লেপটে আছে! তুমিই বলো, এই ভগ্নদৃষ্টি তোমার দিকে ছুড়ি কী করে! এদিকে তাকিয়ো না, তৈরি হতে আমার আরও একটু সময় লাগবে।
১৭. সময় হলে, এমনকী চুপচাপ গোছের লোকটাও নিজের দুঃখের ঝুলি মেলে ধরে। হায়, ওই মেলে ধরা পর্যন্তই! ভাগটা নেবার জন্য কাউকে আর পাওয়া যায় না!
১৮. এমন একটাও কি দিন নেই, যে দিনটাতে কোনও অভিযোগই থাকবে না?
১৯. একটা হৃদয় আরেকটা থেকে দূরে সরে যায় না জেনেই… এই দূরে সরে যাবার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না!
২০. হঠাৎ করেই দয়া দেখাচ্ছ যে? হঠাৎ করেই প্রতিশ্রুতি রাখতে শুরু করলে যে? তবে কি শেষমেশ তোমাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখতে বলছ?