১. ভোর একটু একটু করে সূর্যের আলোর শেকল খোলে। ২. ভাবো... তারায় তারায় রাত নিজেকে ছড়ায় কেমন করে! ৩. জীবনের রসদ... অন্ধকার সুড়ঙ্গ ধরে আলোর যাতায়াত। ৪. রাত নামে... তার সঙ্গে বাড়ে পোকামাকড়দের স্বপ্নবুনন। ৫. ওয়েটিং-রুমে ছায়ারা ক্রমেই দীর্ঘ করে সারিদের ভিড়... ৬. নদীর গায়ে গায়ে আবছা কুয়াশা... ভ্রূণদের চোখে জন্মজয়ের স্বপ্ন। ৭. রৌদ্র বাড়লে বালিতে বালিতে সমস্ত পদচিহ্ন মিলিয়ে যায়... ৮. গোলাপের প্রতিটি পাপড়ির গায়ে গায়ে লেপটে আছে আমার প্রেমিকার অভিমান। ৯. এক প্যাঁচা আরেক প্যাঁচাকে ডাকে রাতের উৎসবে। আর এদিকে ঘুম ভেঙে আমি ডাকি এক নিজেকেই। ১০. দেরি হয়ে যাচ্ছে... হয়তো প্রতিটি শব্দই তোমার প্রতিচ্ছবি... কে জানে! ১১. ভরাপূর্ণিমায় খুব খুঁজেও নিজের ঘর পায় না যে, সে-ও, ঘোরঅমাবস্যার আলোয়, অন্যের টয়লেট খুঁজে নেয় বাধ্য হলে... ১২. শোবার ঘরে টাঙানো পর্দা; একেকটা দেয়াল যেন... প্রেয়সী ও চাঁদের মাঝে। ১৩. শীতের গাছেরা প্রতিদিনই একটু একটু করে আকাশ বাড়ায়... ১৪. পাতাদের ছায়া এদিক-ওদিক দোলে, বাঁশির সুরে নাচে... ১৫. জ্ঞানে ছোটো, ধর্মে বড়ো--- অজ্ঞতাতে ভালোই দড়ো! ১৬. যদি এ পৃথিবীর ঘূর্ণন বাড়িয়েও দিই, দেখা কি হবে তবু... মৃত্যুর আগে? ১৭. তারাদের মাঝের জায়গাগুলিতে জোনাকিদের অভয়ারণ্য। ১৮. আমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনে পৃথিবীর সব ফুল আমায় এনে দিলেও কী লাভ...!? ১৯. প্লেনের জানালা থেকে উঁচু উঁচু দালানগুলিও একেকটা পুতুলের ঘর। ২০. আমার লাইব্রেরির বইয়ের কোন পাতায় কী আছে...কী নেই, পুরোটাই জানে উই।