তোকে কখনও যে-কথাটা খুব গভীরভাবে বলা হয়নি, আজ তা খুব বলতে ইচ্ছে করছে।
আমি চেয়েছিলাম, তুই আমার আত্মার খুব কাছের একজন হয়ে থাকবি…
ব্যাপারটা আমার কাছে আরও সহজ হলো, যখন আমি নিশ্চিত হলাম যে, আমি তোকে ভীষণ ভালোবাসি।
জানিস, আমি খুব শান্ত প্রকৃতির একটা মানুষ। নিজের অনুভূতিগুলো নিজের কাছে রাখাতেই যেন আমার এক অদ্ভুত রকমের শান্তি।
আমার কখনও কাউকে এতটা গভীরভাবে ভালোবাসতে ইচ্ছে করেনি। জানি, ভালোবাসার সাথে কিছুটা যৌনতা মেশানো থাকে; এবং আমি বুঝি, আমি যেমন, ঠিক তেমন করে আমাকে মেনে নিতে তোর খুব কষ্ট হচ্ছে, তাই না! একদমই ইচ্ছে করছে না আমাকে এভাবে করে আর বেশিক্ষণ ধরে রাখতে, তাই না রে?
তুই আমাকে ভালোবাসতে পারবি না, কারণ নিজেকে বদলে ফেলে কাউকে ভালোবাসা যায় না...
আমি এক ভীষণ রকমের অনুভূতিহীনতায় ভুগি। অনুভূতিশূন্য হতে হতে একটা সময় আমি তোকে খুঁজে পেয়েছি, তাই তোর কাছেই আমার সব অভিমান রাখতে চেয়েছি।
জানতে চাস, আমার কাছে তুই কেমন?
আগেও বলেছি যদিও…
তুই একটা তীব্র ঘ্রাণ, যেটা থেকে চাইলেই সহজে পালিয়ে আসা যায় না, চাইলেই ভুলে থাকা যায় না তোকে...
আমাকে যেতে হবে...
আমাকে একটু যেতে দিবি তুই?
শোন! তুই আমার কল্পনাতে খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তবে তোর কাছে না গেলে বুঝতেই পারতাম না, তুই এতটা অসাধারণ! মানুষ অসাধারণ হয় তার ব্যক্তিত্বে, আর তুই আমার কাছে অসাধারণ তোর সুবাসে। সম্ভবত এই বিশেষ একটা কারণে আমি তোকে ছেড়ে যেতে পারছি না, অবশ্য যাবার কোনো সুযোগ তুই আমাকে কখনোই করে দিসনি।
তবে আজ কেন পালাতে চাইছি, সেটা জানতে হলে তোর আমাকে ছুঁয়ে যেতে হবে...
পারবি?
তোর সাথে দীর্ঘ এ পরিচয়ের শেষ আমি কখনও করতে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, এটা ইনফিনিটি হোক। হা হা হা...তুই হয়তো ভাবছিস, দীর্ঘসময় ধরে তো আমাদের পরিচয় নয়!
ও, তোকে বলা হয়নি, প্রথম যেদিন তোর সাথে আমার কথা হয়েছিল, সেদিন তোর একটা ছদ্মনাম দিয়েছিলাম—নীড়…তোর নম্বরটা আমার মোবাইলে এই নামে সেভ করা।
জানিস তো, মানুষ কখন একটা ঘর খুঁজে বেড়ায়? সম্ভবত যখন সে খুব ক্লান্ত থাকে...
যখন তুই আমাকে জিজ্ঞেস করিস, “ভালো আছিস তো!”, তখন আমি উত্তর করতে পারি না, কারণ দীর্ঘশ্বাস বোঝানোর কোনো অক্ষর আমি খুঁজে পাই না।
তুই পারলে আমাকে ঘৃণা করিস, আর নাহয় আমাকে খুব ভালোবাসিস...মনে রাখিস।
আমি তোকে খুঁজি...