When I approach Love, it buries itself in me.
So, I've decided to make it approach Me.
I'd rather play hide and seek with it!
I promised to Love many a time,
Later, I realized I made promises only to break them up.
I, then decided to make Love promises to me.
For Love's sake, I let not it break the promises!
I taught Love how to live broken-hearted.
It stayed longer to leave me forever.
I burnt myself in desire ---
Yet let it go away safe.
I walked on the wall of darkness,
Love made its journey to my soul,
I wonder I hardly noticed its pace,
Only discovered its essence in the silent music of darkness!
I thought, I drank the nectar of love to my heart,
But I sipped but a little!
I found myself entrapped with your eyes,
Even though I never dared ask you even just a kiss!
Love once whispered to my soul,
I was too busy then even to listen to it.
Long long afterwards, I heard its echo,
My heart treasured it, I felt like floating!
Our sweetest feelings always remain untouched, I realized.
I did mesmerize Love, its zeal.
Angels robbed it but once,
Again, it dropped like a star on the strand I stood.
How can Love be subdued? I made them bethink!
Love tried to veil your radiant eyes,
Even you remained behind the silken snare of your tresses.
How could pearls get concealed when oysters let not them do so?
Can water but turn to wine if I leave a kiss?
Love gave me leave to kiss, made me bold to woo,
Yet, how can daring fate be ignored? I wonder!
Elsewhere in other world, my soul dotes in solitude,
In the distant shore, you once dreamt to go.
The story of that distant bliss--couldn't but be gone with the wind,
Left me insane, just in the lap of eternity.
So obvious in hue, yet blurred in guise of Erida.
I recalled my oath, which I made not to you, but to my love.
Again came Aphrodite, just emerged from the ever-frozen zone!
As vowed I've, never dare banish Love.
Never too late begins my ache to shun.
Gentle swain as I'm to refuse---
To turn wicked spirit into divine one!
O Love! You whom I often and silently can't but adore,
Hear the sighing sound beyond silence's shore;
Yet not too late to counsel or pray.
I'll dare to bet Love's broken heart for decades to come!
ফুটনোট।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই কবিতায় প্রেম নেই, শুধুই ভালোবাসা আছে।
কবিতাটা প্রায় ৯ বছর আগে লেখা। এর পেছনের কথাগুলো মজার। বলছি।
ওইসময়ে আমি ইংরেজিতে লিখতাম; ইংরেজি মানে, শুধুই ইংরেজি। আমার ইচ্ছে ছিল, কখনোই বাংলায় লিখবো না। আমার ইচ্ছেগুলো মুহূর্তে-মুহূর্তে বদলায়; এটাও বদলেছে। এখনো পর্যন্ত আমার সবচেয়ে বেশিদিন টিকে-থাকা ইচ্ছে---বেঁচে থাকার ইচ্ছে। আমি এই কবিতাটার প্রথম ৩ লাইন লিখে কোনো এক শ্রাবণসন্ধ্যায় স্ট্যাটাস আকারে পোস্ট করেছিলাম। বৃষ্টির আশ্চর্য ক্ষমতা। ও কীভাবে যেন লিখিয়ে নেয়! ওইসময়কার লেখাগুলো পড়লে আমার নিজেরই বিশ্বাস হতে চায় না, ওগুলো আমার লেখা। এখন আমি হাজার চেষ্টা করলেও ওরকম ইংরেজিতে আর লিখতে পারবো না। আমার স্ট্যাটাসগুলোতে বেশিরভাগই কমেন্ট করতেন আমার ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ডরা; তাদের সাথে আমার খুব ভাল সখ্যতা ছিল। (শিক্ষিত ইন্ডিয়ানরা সাধারণত আমাদের চাইতে ভাল ইংরেজি জানে। ওদের অবশ্য বিভিন্ন কারণে জানতেও হয়।) আমার মনে আছে, ওইসময়ে আমি মিশতাম আমার চাইতে ভাল জানেন, বোঝেন, শুধুই এরকম লোকজনের সাথে। অবশ্যই নিজের স্বার্থে, নিজেকে ডেভেলাপ করার জন্য। ছোটো মানুষের কাছে জিতে যাওয়ার চাইতে বড় মানুষের কাছে হেরে যাওয়াও অনেক ভালো। (স্যাররা যখন পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন করে সেটা নিয়ে বাহাদুরি করেন, তখন আমার কেন জানি খুব হাসি পায়। আরে বাবা, স্টুডেন্টরা পারে না বলেই তো ওরা স্টুডেন্ট! পারলে আপনার বাহাদুরিটা আপনার সমকক্ষ কিংবা আপনার চাইতে বেশি জানেন, এমন কারো সাথে করে দেখান না দেখি!) তাদের কাছে অনেককিছুর জন্যই আমি কৃতজ্ঞ। (ওদের সাথে আমার এখন আর কোনো যোগাযোগ নেই। ভুলে যাওয়ার এবং লোকজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা আমার অসীম। আমার পুরনো বন্ধুদের মধ্যে কিছু বন্ধুর সাথে আমার এখনো যোগাযোগ আছে, এবং এটা পুরোটাই ওদের কৃতিত্ব, আমার নয়।)
তো, যা বলছিলাম। আমি প্রথম ৩ লাইন লেখার পর আমার ইন্ডিয়ান বন্ধুরা (ওখানে আইআইটি'র একজন প্রফেসর ছিলেন, যিনি আমার সব লেখাই অন্ধভাবে পছন্দ করতেন। উনার লেখা অনেক বই বিশ্বের অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং য়্যুনিভার্সিটিতে পাঠ্য। আমার কথা উনি ক্লাসেও বলতেন। উনার সাথে একটা ব্যাপার নিয়ে আমি দুর্ব্যবহার করেছিলাম। এতে উনি আঘাত পান এবং আমার সাথে আর কখনোই কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি।) এবং একজন বাংলাদেশি বন্ধু (ও অক্সফোর্ডে পড়াত। ও আমার লেখার মস্তো বড়ো ফ্যান ছিলো। ওর সাথে আমি খুবই তুচ্ছ একটা কারণে প্রচণ্ড ঝগড়া করেছি, এবং সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। এর পুরো দোষটা আমার ছিল।) ওই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতে শুরু করে। আমার কী খেয়াল হলো জানি না, আমি সব রিপ্লাই দেয়া শুরু করলাম কবিতার ঢঙয়ে। (আসলে সব দায় ওই শ্রাবণসন্ধ্যার।) এভাবে করে অনেকক্ষণ চললো। হঠাৎ আমার বাংলাদেশি ফ্রেন্ডটা আমাকে ইনবক্স করলো। "সুশান্ত, তুমি কি খেয়াল করেছো, তুমি যা যা কমেন্ট করেছো, ওগুলো মার্জ করলে একটা সুন্দর কবিতা হয়ে যায়?" আমি বললাম, "না করিনি। আমার ভালো লাগছিল, তাই ওরকম করে কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছিলাম, আর কিছু না।" ও বললো, "আমি তো তোমাকে চিনি। ওটা বলে দিতে হবে না। এক কাজ কর, তুমি এটাকে কবিতা বানিয়ে ফেল।" ওর কথায় আমি কমেন্টগুলোকে একসাথে জড়ো করলাম। দেখলাম, কথাগুলো পাশাপাশি বসে কোনো ধরনের ঝগড়াটগড়া করছে না। ওদের বন্ধুত্ব ভালই লাগলো। এভাবেই হয়েছিল এই কবিতা। এটা ফেসবুকের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আরো অনেকদিন পর। কোনো এক ঈদ-পুজোর ছুটিতে। (স্রেফ আলসেমির জন্যে আমার অনেক লেখাই হারিয়ে গেছে যেগুলো আমি আর কখনোই খুঁজে পাবো না। একই লেখা দুইবার লেখাও তো সম্ভব নয়।)
কবিতাটা নিয়ে একটা বাজে অভিজ্ঞতা বলি। এই কবিতাটা আমার আরেক ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ড উনার এক ব্লগে উনার নিজের লেখা বলে দাবি করে শেয়ার করেছিলেন, যেটা আমি আমার আরেক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি আরো দেড় বছর পর। আমি উনাকে খুবই বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করি এই কাজটা উনি কেন করলেন। উনি এতে বরং ক্ষেপে যান এবং আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। ভদ্রলোক ছিলেন ইন্ডিয়ান আর্মির রিটায়ার্ড চিফ ফিজিশিয়ান। উনি কয়েকটা ব্লগ চালাতেন। (বেশিরভাগ ব্লগই যৌন বিষয় সম্পর্কিত।) আমি কষ্ট পেলে যা করি, কিছুই বলি না এবং সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। কথা শোনানোর কাজটা আমি বরাবরই কম পারি (কিংবা করতে চাই না) এবং আমার কাছের নয়, এমন কাউকে কথা শোনানোর ব্যাপারে আমি বিন্দুমাত্রও আগ্রহবোধ করি না। আমার একটাই নীতি, লিভ অ্যান্ড লেট লিভ। উনার ক্ষেত্রেও তা-ই করি এবং আর কখনোই কোনো ধরনের যোগাযোগ করিনি। আমি বন্ধু হারানোর স্বাভাবিক প্রতিভাসম্পন্ন মানুষ। অনেক বড় মানুষ আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছেন আমারই ভুলে। যোগাযোগের ব্যাপারে আমি উদাসীন; তাই নিঃসঙ্গ। আমার সবচেয়ে পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু মাত্র ৩ জন---মা, বাবা, ছোটো ভাই।
আগ্রহীরা নিচের লিংকে গিয়ে কমেন্টগুলোও দেখে নিতে পারেন। একটু সময় নষ্ট হবে, এটা ঠিক। তবে, আমি নিশ্চিত, কমেন্টগুলোর মিথস্ক্রিয়া আপনাদের ভাল লাগবে। (ক্ষমা করবেন, কোনো লিংক দিতে পারলাম না। এই বন্ধনীর কথাগুলো বাদে এই নোটটার পুরোটাই আমার আগের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছিল। সেখানে কবিতাটা ছিল। সেই পোস্টে অনেক পণ্ডিত মানুষের কমেন্ট ছিল, যেগুলি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমার আগের আইডিটা তো এখন আর নেই, কিছু অসুস্থ বিকৃত মানুষ তা চিরতরে বন্ধ করার ব্যবস্থা করে সুখী হয়েছেন। সেটার সাথে হারিয়ে গেছে অনেক রত্ন, যা আমি আর কখনোই খুঁজে পাবো না।)