হে দেবী! এই বাংলায় তুমিই একা জাগ্রত; অতএব তোমাকে প্রণাম করি। তুমি সর্বব্যাপিনী, কেননা তুমি সকল ঘরেই আছ! তুমি অন্নপূর্ণা, কেননা তুমি নিজেই নিজের পেট অন্নে পূর্ণ করে থাকো! তুমি অভয়া, কেননা তুমি পতির পিতাকেও ভয় করো না! তুমি রক্ষাকারিণী, কেননা সংসারের যাবতীয় অশান্তি তুমি কৌশলে রক্ষা করছ! তুমি মহামায়া, কেননা জ্ঞানী কি অজ্ঞানী, সকলকেই তুমি বাপের নামও ভুলিয়ে দিতে পারো! পুরুষের তুমিই চোখ, তুমিই কান, তুমিই জ্ঞান—ওরা নিজের চোখে যা দেখে, তা মিথ্যা; নিজের কানে যা শোনে, তা ভুল; নিজের জ্ঞানে যা বোঝে, তা মূল্যহীন! এ সংসারে তুমিই কর্ণধার, কেননা তুমি সকলকে কান ধরে চালাও! তোমার জন্য সবাই বোঝা বইছে; তোমারই জন্য স্বয়ং কুবেরও ভিক্ষার ঝুলিহাতে পথে নামতে বাধ্য হন! হে দেবী! তুমি স্পষ্ট করে বলো, তোমার বীজমন্ত্র ওঁকার, না অলংকার? হে সুরুচি, তোমার স্বরূপ বলো! তুমি মাছের মুড়া খেতে ভালোবাসো, না স্বামীর মাথা? হে দেবী! তুমি চাইলেই সকলের মুণ্ডু ঘোরাতে পারো—কথায়; পৃথিবী ভাসিয়ে দিতে পারো—কান্নায়; পৃথিবীকে রসাতলে পাঠাতে পারো—কলহে! তুমি আমাদের কৃপা করে তোমার ভালোবাসার অত্যাচার থেকে বাঁচাও! প্রেম দূরে থাক, দুমুঠো ভাতও চাই না—কেবলই শান্তি চাই! তোমার জয় হোক!