চারদিক যে-দিকেই তাকান, সব দিকেই সবাই কেমন বিষাদগ্রস্ত। কারও টাকা নেই, কারও চাকরি নেই। আবার যার টাকা-চাকরি সবই আছে, তার আবার অশান্তির শেষ নেই। ওদিকে, যার অশান্তি নেই, তার আবার চাকরি-বাকরি কিংবা টাকা-পয়সা নেই। কারও আপনজন নেই হয়ে গেছে, তাই সে বিষাদে ভারাক্রান্ত; কারওবা আবার নিজঘরেই আপনজনদের মেন্টাল টর্চার, তাই সে বিষাদগ্রস্ত। চারিদিকে কেমন যেন কেউই সুখে নেই। রংচটা মলাটের বইয়ের মতন উপরে উপরে সব রঙিন, ফুরফুরে; কিন্তু বইয়ের গল্পের পাতায় পাতায় বিচ্ছেদ, শোক আর অ-সুখ। টিকটিক করে ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে, সময় ফুরোচ্ছে, সুখ ক্ষয়ে যাচ্ছে; জীবনের খাতায় নতুন নতুন ছন্দে, ভিন্ন ভিন্ন ছকে বিষাদ যুক্ত হচ্ছে। নাকের ডগার সামনে দিয়ে জীবন পালিয়ে যাচ্ছে, ধরতে গিয়েও ধরতে-না-পারা আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে নিজেকে নিজে বলি…এইসব গানহীন দিন নিয়ে একদিন গান হবে। আচ্ছা, মৃত্যুর আগ অবধি কারও জীবনে কি গানহীনতার দিন আদৌ শেষ হয়?