হার

 
এ হৃদয় হার মেনে যায় তারই কাছে, যে কখনো যুদ্ধে ডাকেনি!


আমি আমারই রক্তের কাঁপনে কেঁপেকেঁপে উঠি!
সে ফুল আমি, যে ফুলের পাপড়ি তারই---বাতাসের নয়, বৃষ্টিরও নয়।
আমি সে ধাতুতে গড়া, যে ধাতু ব্যক্তিগত, অনন্য এবং নৈর্ব্যক্তিক।
আমি কুর্নিশ করি এক আমাকেই,
সামনে আমার ছাড়িয়ে যাওয়ার কেউ যদি থাকে, সেও আমিই!


আমি নিজের আমি’কে বহু-বহুকাল খুঁজেছি নিজেই, পেয়েছি শেষে
কারো হাত ধরে নয়, মন্ত্রেও নয়, নিজেরই ঘামে, নিজেরই বোধে।
আমি সেই মজবুত গাছের শরীর, যে ঝড় সামলায়, বাদলা ঠেকায়
না নুয়ে মাথা! এ শরীরমনের যা বৃদ্ধি, আমার আমি’তেই হল ঋদ্ধি।


এমনি করেই কাটছিল দিন দারুণ সায়ে নিজের পায়ে;
হঠাৎ করেই কী ঝড় এলো, আমারই দেহের জারিত রসে পুষ্ট লতা---পলকা বড়ো,
বাঁচতে চাইল আঁকড়ে ধরে আরেক শাখা---বড়ো গাছের।
অসীম শ্রমে গড়া দর্প চূর্ণ ক্ষণেই ঠুনকো এক শ্যাওলারেখায়!