হরিণের গা পিছলে জ্যোৎস্না/ শেষ

 
নিচের কথাগুলো পড়ে দেখো তো ঠিক আছে কি না:
Please forgive me if I've written anything wrong (it may be of grammar, spelling, word, expressions...) because I've never written any of my feelings and thoughts in English before to you or to myself. I don’t know English well.


Yes, I'm the luckiest person who got your unconditional love. I am not sure about the number of your beloveds but there is no doubt that I am one of them, is there? For me, it is a great opportunity to be your beloved, and I am very much thankful to you because you gave me the opportunity and let me tell you about my thoughts and feelings for you. You give me the freedom to express my love, feelings, and emotions to you. Yes, there is no one but you whom I can tell everything and anything without any hesitation or fear. You are the only one to whom I can reveal myself without even any single question and most of the time your indulgence gives me the courage to do that more and repeatedly.


Now I believe in the language of love although once I used to think it is the most difficult and mysterious language in the world. I do believe that humanity comes from love. And you are the one who has helped and encouraged me to express my love, to be frank, and to enhance that heavenly feeling. When you tell me that you love me, I feel restless and whisper to myself: Ah, if I could hold time and make this moment stay forever! Sometimes when you tell me not to hurry or to shut down my restlessness, I feel impatient and can't get out of it. I know that you tell me to do that for achieving the clarity of my thought but somehow restlessness envelops my soul, I think you know it better than me. Now you know a little about my past incidence or about my dark chapters. I chose to walk in the dark to understand more about the light, not to stay with darkness. It was my conscious decision. It was the time when everything seemed to be meaningless: my life, my beliefs...when it seemed to me that I got stuck and bewildered. Those days I was walking on a shaky ground which might explode at any time. And I got you at that very moment!


I got your love, your company... and when I got your love, I was suddenly experiencing ecstatic emotions like bliss, euphoria, and freedom. But at the same time, I also felt that the pain was still present. Maybe it happened because the emotions were surrounded by my past that I had to confront myself. Now I can understand how you have changed my thoughts and how slowly you have changed me. And last night when you told me that you do respect each of my words, that was the moment when I thought I had achieved something precious. It is one of the best gifts of my life. Because I got the gift from the one whom I respect and love... Yes, I took it as a gift. When anybody doesn’t give me the respect that I think I deserve, then first I look at myself and think if I did anything wrong to them and then I look at the person from whom I am asking for it. And if anyone shows respect to me, first I look at them to know who they are. And if my words or feelings or thoughts get respected by anyone or someone special, that means a lot to me, and I can feel that respect. Yes, sometimes I feel afraid when I think if I lose you, what would happen to me! That's why when you are busy, don’t get time to talk to me, I feel someone will steal you from me but I also know that it’s nothing but madness. Let me love you, take my love, be my love... I love YOU, my sonapakhi!


আমার কিছুই ভাল্লাগে না, জানো? আমার এত একলা লাগে কেন? হয়তো প্রায় সবার‌ই একলা লাগে, কেউ বলে, কেউ বলে না। তাই নাকি? কেন বলে না ওরা? ও আচ্ছা, আমার মতো সবার তো আর বলার কেউ থাকে না, তাই? তোমার কি একলা লাগে কখনও? বোধহয় লাগে না। লাগলে আমাকে বোলো, তার পর আমি অনেক অনেক চুমু দিয়ে দিব, আর একলা লাগবে না। এর পর তুমি আমাকে যেদিন ফোন করবে, সেদিন এই বিষয়ে কিছু বলবে। কেন সবারই মাঝে মাঝে একলা লাগে অথবা সবারই লাগে কি না, কাদের লাগে, কাদের লাগে না। কেন লাগে, কেন লাগে না। সব বলবে। এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় কাজ কী? তোমাকে জ্বালানো। আমি তোমাকে যত জ্বালাই, তত ভালো থাকি। সুতরাং আমি তোমাকে জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে তোমার মাথা খেয়ে ফেলব। এটাই আমার সিদ্ধান্ত। আমাকে একটা বইয়ের নাম বলো। আমাকে তোমার পছন্দের একটা বইয়ের নাম বলো। জানপাখিটা আমার, কলিজাসোনাপাখিটা, আই লাভ ইউ। আমি ঘুমাতে যাচ্ছি। আর আমি তোমাকে এত্ত এত্ত এত্তগুলা চুমু খেয়ে ঘুমাব।


লক্ষ্মী, তুমি কি আমার উপর বিরক্ত হয়ে ফেসবুকে আসছ না? আমি সারাক্ষণ মেসেজ করতে থাকি এজন্য…তা হলে আমি আর তা করব না। তুমি কিছু বল না কেন? তেমন হলে বলো, আমি মেসেজ করব না আর। আমি আসলেই একটা ছাগল ছাড়া আর কিছুই না। একেবারে ধরে ধরে বুঝিয়ে না দিলে অনেক কিছুই আমি বুঝি না। আমার মনে হয় সব কিছুই স্বচ্ছ। লুকানো কিছু বা পেছনের কিছুও যে থাকতে পারে, এসব আমার মাথায় আসে না। আমি প্যাঁচানো কিছু বুঝতেই পারি না। উফফ্‌ আমি তো এসবও বলতে পারব না। তোমার ধারণা আমি নাকি তোমাকে অনেক ভুল বুঝি...কই যে যাব আমি...


জানপাখি, কেমন আছ? খুব ব্যস্ত? আজকে তুমি আমার একটা মেসেজেরও রিপ্লাই করোনি। কেন? কৈফিয়ত চাইছি না, জানতে চাইছি। আমি জানি, কৈফিয়ত চাইলেও তুমি দেবে না, কেননা তুমি বাধ্য নও। এছাড়া আমি তোমার কৈফিয়ত পাবার মানুষও নই। আমি হচ্ছি তোমার অপ্রয়োজনীয় মানুষ, তোমার জীবনে শরণার্থী। শরণার্থীদের কৈফিয়ত চাইবার অধিকার নেই, তাদের যতটুকু দেওয়া হবে, তারা ততটুকুই ‘জ্বি হুজুর’ বলে গ্রহণ করবে। আমার অবস্থানটা সেখানেই। তুমি জানতে চাইবে না আজ সারাদিন আমি কী করেছি? কীভাবে কাটিয়েছি? অবশ্য তাতে তোমার কিছু এসে যায় না, আমি যা খুশি তা-ই করেই কাটিয়ে দিতে পারি, তাতে তোমার কোনও কৌতূহল নেই। আমাকে বাঁধতে তোমার ইচ্ছে করে না। এটা আমার জন্য কষ্টের। তবে যদি তোমায় আমি ভালো না বাসতাম, তবে আমার ব্যাপারে তোমার এমন নিঃস্পৃহতা আমার জন্য বরং সুখের হতো। আজ সকালে তোমার কাছে একটা বইয়ের নাম জানতে চেয়েছিলাম, তোমার পছন্দের। তোমার পছন্দের বইয়ের নাম জানতে চাওয়ার অবশ্য কারণ আছে। আমার সব বই ভালো লাগে না। যেসব বই কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পরও ভালো লাগে না, সেসব বই আমি আর পড়ি না, মানুষের সাথে মেশার বেলাতেও আমার একই থিওরি, যেসব মানুষের সাথে কিছুদিন কথা বলার পর দেখি, মানুষটার সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কোনও অজুহাতই নেই, তার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখি না, এটা যে কোনও সম্পর্কের বেলাতেই করি। যার সাথে আলাপ জমে না, তার সাথে আলাপ জমানোর কোনও চেষ্টাই আমি করি না। তাই বলে আমি খুব হিসেবি মানুষ, এমনটা ভাবা বোধহয় ঠিক হবে না। তো যা বলছিলাম, অনেক বই আছে যেগুলো শেষের দিকে এসে অথবা মাঝখানে এসে ভালো লাগতে থাকে, সেই বই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক সময়ই অত দূর এগুতে ইচ্ছে হয় না, এজন্য পড়াও হয় না অনেক কিছুই। তা ছাড়া তোমার পছন্দের বই সবগুলো যে আমার ভালো লাগবে, এই আশা না থাকলেও এটা জানি, যে বই তোমার ভালো লাগে, সে বইয়ে ইউনিক কিছু আছে, আনন্দ নয়তো ভীষণ পরিমাণে কষ্ট পাবারও কিছু আছে সেখানে, যেটা কিছুতেই বইয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকে না, অতএব বইটা আমাকে শেষ পর্যন্তই পড়তে হবে। এজন্য তোমার পছন্দের বই পড়তে ভালো লাগে, ভালো লাগে বলেই পড়ি। সকালে বাইরে গিয়েছিলাম, তুমি বইয়ের নাম জানালে তখন কিনে নিয়ে আসতে পারতাম, তা ছাড়া আমার কাছে নতুন বই শেষ হয়ে আসছে, তুমি তো আমাকে সময় দিতে সময় পাও না, তা হলে আমি বেঁচে যাওয়া সময়টাতে কী নিয়ে থাকব, সেজন্য ওই সময়টাতে অন্য বই পড়ি। অবশ্য কয়েকটা নতুন বই কিনেছি, জানি না কেমন হবে। কখনও কখনও বই আর খাবার এই দুটো জিনিস একই মনে হয় আমার কাছে---যতক্ষণ চোখের সামনে থাকবে, ততক্ষণ ওটা শেষ না করা পর্যন্ত কেমন একটা ক্ষুধা ক্ষুধা লাগে।


তুমি হাসছ, তাই না? আমার সব কথাতেই তোমার হাসি পায়, আমি সেটা জানি। আমার সব কিছুতেই তুমি অবাক হও। আমি রেগে গেলে মজা লাগে, আমি কারণে অকারণে অভিমান করলে অবাক হও। (অবশ্য আমার সব কারণই তোমার কাছে ভীষণ বেশি অকারণ!) আমি হাসলে অবাক হও, আমি কিছু বললে অবাক হও, চুপ করে থাকলে অবাক হও। আমি তো একটা আশ্চর্যজনক বস্তু তোমার কাছে, এজন্য আমার সব কিছুতেই তোমার ভীষণ অবাক লাগে। তোমার কি আমাকে সত্যিই বাচ্চা মনে হয়? না হলে আমার সব আবেগই তুমি ওভাবে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দাও কী করে? আমি যা খুশি করি না কেন তোমার মনে হয়, ও তো বাচ্চা মেয়ে, ও কিচ্ছু বোঝে না, সুতরাং যা খুশি করুক, বড় হলে বুঝবে কতটা কথা বলতে হয়, কখন চুপ থাকতে হয়...কেন আমি অত বুঝে কথা বলতে যাব? আমি তো তোমাকে ভালোবাসি, আমি এত হিসেব করে কথা কেন বলব? আর প্রেমের বেলায় কি কেউ এভাবে হিসেব করে? একটু খোঁজ নিয়ে দেখো তো, যারা প্রেম করে তারা সারাক্ষণ একজন আর একজনের কত খবর নেয়, প্রতি মুহূর্তে একে অপরকে মিস করে, কথা বলে। তুমি তো এসবের কিছুই কর না। এভাবে কেউ করে প্রেম? দেখাও তো দেখি একটা! তুমিই তো বল, জীবনটা একটা ভারসাম্যে চলে! তা হলে আমাকে যে সময় দাও না, ওগুলোর ভারসাম্য কবে হবে? সে তুমিই ভালো জানো!


আজকে শপিংয়ে গিয়েছিলাম। প্রতিবার ঢাকায় যাবার আগে আমার বোনের ছেলের জন্য কিছু একটা খেলনা নিই, কিন্তু এবার সে ক্যাডেটে চান্স পেয়েছে, সুতরাং এবার তাকে বড় গিফট দিতে হবে। তা ছাড়া সেও বড় হয়ে যাচ্ছে, প্রতিবার তার গিফট কিনতে গিয়ে আমার কী রকম যন্ত্রণা যে লাগে, তা বলে বোঝাতে পারব না। তার কোনও কিছুই পছন্দ হয় না, তার যে কী পছন্দ হয় আমি বুঝি না, তার জন্য যেটাই কিনতে যাই, সেটাই অলরেডি তার খেলা হয়ে গেছে, তা হলে আমি নতুন কী দেবো? আমার বোনের বাসা পুরোটাই একটা বাচ্চাদের খেলনার ফ্যাক্টরি হয়ে গেছে! যদিও এর মাঝে আমি একবার তার জন্য কিছু নিয়ে যাইনি, যখনই সে দেখল আমি তার খেলনা আনিনি, অমনিই সে ঝামেলা শুরু করে দিল, এখনই তাকে নিয়ে গিয়ে কিছু কিনে দিতে হবে, আমি কেন তার খেলনা নিতে ভুলে গেছি, আমি নাকি তাকে এখন আর আদর করি না, আরও কত কথা! এমনই হয়, পেতে পেতে হঠাৎই কোনও দিন না পেলে সেদিন অভাবটা বোঝা যায়, অথবা তখনই গুরুত্বটা চোখে পড়ে। আমি ভাবতাম, তার বাসাভর্তি এত এত খেলনা, সুতরাং আমি একবার কিছু না নিয়ে গেলে তার চোখেও পড়বে না। কিন্তু প্রতিবারই আমার আসার কথা শুনলে সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বসে থাকে…মামণি খেলনা আনবে, নতুন খেলনা। অবশ্য মামণির সব কিছুই তাদের পছন্দ, তা সে নতুন অথবা পুরনো যা-ই হোক না কেন। তার পর যখনই মামণির দেওয়া খেলনা পুরনো হয়ে যায়, তখন মামণির উপর ছোটখাট কিলঘুসির প্র্যাকটিস অস্বাভাবিক কিছু না।


তুমি নিশ্চয়ই আজ খুব ব্যস্ত ছিলে, না হলে আমার মেসেজের রিপ্লাই দাও না, তা তো হয় না কখনও। অবশ্য তুমি ইচ্ছে করেই রিপ্লাই দেওয়া কমিয়ে দিতে পার, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। হয়তো ভাবছ, এর চেয়ে বেশি দূর গেলে, এর চেয়ে বেশি মাথায় তুললে আমি দুর্বল হয়ে পড়ব তোমার প্রতি…আরে বাবা, এখনও কি কম কিছু আছি? কেন, কখন, কী কর আমার যে সবই জানতে ইচ্ছে করে!…অবশ্য, তোমারটা তুমিই ভালো বোঝ। আমি যা দেখি, তুমি তো তার চেয়ে বেশিই দেখ, সুতরাং তোমার সবই সঠিক। কিন্তু আমি এতটুকুই বুঝি, মেসেজ দিতে পারা অথবা কথা বলে ফেলতে পারা যতটা সহজ, তার চেয়ে অনেক অনেক কঠিন হচ্ছে মেসেজের রিপ্লাই চাইলেও অথবা ইচ্ছে করেই না দিয়ে থাকা। (অবশ্য যদি সেখানে বিপরীত মানুষটা তোমার ভালোবাসার কেউ হয়, তবেই!) যখন উত্তরটা তোমার জানা অথচ তুমি জ্ঞাত বা অজ্ঞাত যে কারণেই হোক, সেটা লিখতে পারছ না, তখন কিন্তু অন্য রকম লাগে, ভীষণ অস্বস্তি হয়, কখনও কখনও প্রচুর কষ্টও হয়, ব্যাপারটা কিছুটা এমনই। ভালোবাসি যাকে, তার মেসেজের রিপ্লাই না দিয়ে নিজেকে পাথরের মতো আটকে রাখা সত্যিই খুব কষ্টের। অবশ্য তুমি কৌশলে অনেক কিছু এড়িয়ে চলার অসীম বুদ্ধিমত্তা রাখ, সেটা স্বীকার করতেই হবে। কখনও কখনও এটা বুঝে খারাপ লাগলেও নিজেকে বুঝিয়ে নিই যা তুমি যা কর, হয়তো এটাই করা প্রয়োজন, আর এজন্যই তা কর।


আমি বেশ কিছু দিন ধরে চিন্তাভাবনা করে ঠিক করেছি, আগামীবার যখন তোমার সঙ্গে দেখা করতে যাব, আমরা একসঙ্গে আবার যখন সময় কাটাতে যাব, সেদিন আমি শাড়ি পরব। তোমার সামনে কখনও তো এর আগে শাড়ি পরিনি। শাড়ি আমার খুব প্রিয়। যদিও খুব কম পরা হয়। কিন্তু কী রঙের শাড়ি যে কিনব, সেটাই বুঝতে পারছি না। তা ছাড়া আমাকে কোন রঙে যে ভালো দেখায়, তা আমি আজও বুঝিনি। আয়নার সামনে যেকোনও রঙের শাড়ি পরে দাঁড়ালে মনে হয়, এটাতেই আমাকে ভালো মানায়। আমার আসলে কোনও গুণই নেই। তোমার কী রঙের শাড়ি পছন্দ? আমি সূতিশাড়ি পরব। যদিও জানি তোমার এসবে কোনও আকর্ষণ নেই। আচ্ছা, তুমি কি মেয়েদেরকে শুধুই প্রয়োজনের বস্তু হিসেবেই দেখ? যখন দরকার, তখন কাছে টানো, শুধুই শারীরিক প্রয়োজনে, চাহিদা মিটে গেলে তখন অত মনে থাকে না...অবশ্য, আমি এর বাইরে তোমার কাছ থেকে কিছু আশা করি না। কারণ তোমার সাথে আমার শারীরিক কোনও বিষয়, নয়তো তোমার পছন্দের কিছু বিষয় ছাড়া…আমাদের মাঝে আর কোনও কথা তেমন একটা হয় না, তা হলে এর বেশি কী করে বুঝব, বলো? হয়তো আমিই ভুল। হয়তো তুমি অন্য সব জায়গায় অন্য কিছু, কিন্তু আমি তো সেসব দেখিনি কখনও, আমাকে তুমি দেখাওনি কখনও। তা ছাড়া আমাদের মাঝেই-বা কী এমন আছে যে তুমি সেগুলো নিয়ে কথা বলবে? আমাদের মাঝে কেন বলছি…আমাদের দুজনের বলে কিছু কি আছে আদৌ? উত্তরটা তোমারই ভালো জানা। তুমি কখনও আমার কোনও বিষয় জানতে চাও না, নিজেও তোমার কোনও অনুভূতির কথা জানাও না, আমার এই বিষয়টা খারাপ লাগে। আমি তোমাকে আমার মতো করেই সব সময় বুঝে নিই। আমাকে সেটা করতেই হয়। তোমাকে এত দিনে এটুকুই চিনেছি। হয়তো ধীরে ধীরে সুযোগ পেলে, সময় হলে আরও জানব।


তুমি বোধহয় এরই মাঝে আমার আচরণ কিছুটা বুঝে নিয়েছ। আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে বলেছে, তোকে কে বিয়ে করবে? তোর তো দিনে সত্তরবার মুড ওঠানামা করে। আর বলেছে আমার ভেতর নাকি কোনও রোম্যান্স নেই। কথা কি সত্যি? তোমার কী মনে হয়? মাঝেমধ্যে মনে হয়, জানি, ছুড়ে ফেলাটা খুব সহজ, ছুড়ে ফেলাটাই সহজ। এও জানি, ইচ্ছে হলে যখন-তখন তুমি ছুড়ে ফেলতে পার...এজন্যই তো এক তোমার বাদে আর কারও ছুড়ে ফেলার সামগ্রী হতে চাই না। আচ্ছা, আমি তোমাকে জাজ করি খুব? না লক্ষ্মীটি, আমি মোটেও তোমাকে জাজ করি না, আমার সে যোগ্যতাই যে নেই। আমি শুধু তোমাকে আমার চিন্তাগুলো পরিষ্কার করে বলে দিই। আমার ভুল থাকতেই পারে। তুমি যখনই আমাকে বোঝাও, আমি তো ঠিকই বুঝি, তুমি কিছু বোঝাবার পরে কখনও কি সে কাজ দ্বিতীয়বার করেছি? আরেকটা কথা। আমার মেসেজ পেলেই কি তোমার ভয় হয়? অভিযোগের ডিব্বা একটা আমি...এটা মনে হয়? তুমি কই থাকো সারাদিন? তোমার মন খারাপ নাকি? আমি কি লেখা কমিয়ে দেবো? একটা মাথা আর কত খাব! তুমি কেন বিনেপয়সায় লোকের উপকার কর? ওরা যদি তোমার ক্ষতি করে দেয়, তখন? অবশ্য, ওরা যে এর বেশি কিছু করতে পারে না! ওরা কাজের মধ্যে একটা কাজই পরে, তা হলো অন্যের ক্ষতি করা। ওদের কী দোষ? তুমি নিজেই নিজের যত্ন নিয়ো, অন্য কেউ না নিলেও, কেমন?


Life is not a walk, not a romance,
Not an eternal rest of contemplation,
Destiny has one flaw ---
It gives us trials.


Half-life --- battle, half-life --- pain,
And only the joys of the moment,
From the spiritual wounds, you can’t wash off the salt,
But in these wounds.


While they burn in you
And make your heart beat,
Your eyes will not become cold
And your spirit will not turn into stone.


Years run, they are not sorry for us,
We are all in power at the time,
Despising the suffering and sadness,
To see a ray of happiness in the darkness.


Pass through evil and smile,
Believe me, art is not simple,
Do not get dirty, do not bend
And keep a holy light in your soul!


তোমার কালকের মেইলটা পড়লাম। অনেক ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছ এটা। খুশিতে আমার ঈদ ঈদ লাগছে। যদিও আজকাল ঈদ এলে খুশি তো দূরের কথা, প্রচুর টেনশন আর প্রেসারে থাকি, কারণ আমার কাছে ঈদ মানেই বাসায় ২০/২৫ জন গেস্ট মিনিমাম ১৫ দিনের জন্য একা সামলানো। এজন্য ঈদ ভালো লাগে না, ঈদের নাম শুনলেও জ্বর চলে আসে। ছোটবেলার ঈদের মতো সেই মজার ঈদ এখন আর নেই। এখন যেদিকে তাকাই, যেখানে যাই, শুধু কাজ আর কাজ, দায়িত্ব আর দায়িত্ব। কিন্তু তোমার এই সিদ্ধান্তটা ছোটবেলার ঈদের মতোই খুশির। আচ্ছা, আমি একটা সমস্যায় পড়েছি, একটু হেল্প করতে পারবে? সমস্যার কথাটা লিখছি, একটু পড়ে রিপ্লাই দিয়ো।


যদি তোমার ছোটবেলার কোনও বন্ধু তোমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও বারবার তোমাকে বিরক্ত করে, তোমাকে যখন-তখন ফোন করে, মেসেজ পাঠাতেই থাকে সময় অসময় এবং তোমার রেসপন্স না পেয়ে তোমার উপর আরও জেদ চেপে ধরে রাখে, তোমার সাথে কথা বলবেই এমন জেদ করে এবং এও ভয় দেখায়, সুযোগ পেলে তোমার কোনও ক্ষতি করতে ছাড়বে না, আর বিষয়টা যখন দীর্ঘদিন, এই ধরো প্রায় দুবছর ধরে চলে, তুমি যদি ঠান্ডা মাথায় তাকে তোমার অনিচ্ছার কথা জানাও এবং তাকে তার জীবনে বাঁচতে বল, তার পরও সে জেদ চেপেই রাখে এবং বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম্বার থেকে বিরক্ত করতেই থাকে, তখন তুমি কী করবে? যখন তুমি জানো তার ব্যাপারে সিরিয়াস কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না, কেননা সে তোমার অনেক পুরনো বন্ধু এবং সে তোমার বন্ধুদেরও কমন বন্ধু, তোমার বাসার মানুষও যখন তাকে চেনে, তুমি খারাপ কোনও সিদ্ধান্ত নিলে স্বাভাবিক বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও কোনওভাবেই রাখা অসম্ভব, আর তুমিও অযথা শত্রুতা বাড়াতে চাইছ না, আবার সেখানে তুমি কোনও প্রকার প্রতারণা করোনি, এমন কিছুই ছিল না তোমাদের মাঝে, বরং সে-ই সব সময় একতরফাভাবেই তোমাকে বিরক্ত করে গেছে, সব সময় তোমাকে এটাও বলছে সে তোমাকে ছাড়বে না…এমন অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তুমি কী অ্যাকশন নেবে বা নিলে ভালো হয়?


একটা ছেলে নির্লজ্জ হলে যে কোন পর্যায়ের নির্লজ্জ হতে পারে, তা ভাবতেও অবাক লাগে। আমি আসলে বুঝতে পারছি না কী করা উচিত। আমি এ পর্যন্ত তাকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেছি, এখনও চলছি, কিন্তু বিরক্তির মাত্রা দিনদিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমি যতই তাকে এড়িয়ে চলি, সে ততই জেদ ধরে, আরও বিরক্ত করে। আমি ভেবেছিলাম, এড়িয়ে চললে আস্তে আস্তে নিজেই ক্লান্ত হয়ে নিজ থেকে সরে যাবে, কিন্তু সে যাচ্ছে না তো যাচ্ছেই না, বরং কিছু দিন পর পরই উদয় হয়। প্রতিবারই যেন তার উৎসাহ আগের বারের দ্বিগুণ হয়! একটা অশিক্ষিত ছেলের বিরুদ্ধে কিছু হয়তো বলা যায়, কিন্তু একটা শিক্ষিত ছেলে অযথা কেন নিজের কাছে নিজেকে ছোট করছে, আর যেচে পড়ে অসম্মানজনক কাজ করছে, আমার মাথায় ঢুকে না। সে আমার কাছে ক্রমাগত অপমানিত হচ্ছে, এটা আমি বুঝতে পারছি কিন্তু সে বুঝতে পারছে না। ব্যাপারটাকে সে তোয়াক্কাই করছে না। আমি বুঝতে পারছি না আমার কী করা উচিত। আমি আসলেই বুঝতে পারছি না কিছু, তুমি একটা পরামর্শ দিলে উপকার হতো। প্লিজ, এড়িয়ে যেয়ো না। অযথা আমাকে এমন বিরক্ত করার হাজার মানুষ আছে, আমি অহংকার নিয়ে বলছি না, খুব বিরক্তি নিয়েই বলতে হচ্ছে এটা, আর কেন এসব মানুষ আমার পিছু ঘুরঘুর করে, আমি তাও জানি না, আমি বাসা থেকেও খুব কম বের হই। আমি যতই একা থাকতে চাইছি ততই মনে হচ্ছে আমাকে মানুষের অকারণে বিরক্ত করার ইচ্ছা বেড়ে যাচ্ছে। আগে এরা কেউ আমার এত খোঁজ করত না। আমার অসহ্য লাগছে সব কিছু! আমার উপর রাগ কোরো না, আমি কিন্তু সব সময় এসব এড়িয়ে চলি। আমি কাউকে কোনও কমিটমেন্ট দিইনি, নিজেও তেমন করে জড়াইনি। ভাবছি, পুলিশকে এই ব্যাপারটা জানিয়ে রাখব, ওকেও বলব যে আমি পুলিশকে ইনফর্ম করেছি।


আমি জানি, তুমি খুব ব্যস্ত থাকো। আমাকে সময় দেওয়ার সময় তোমার আসলেই থাকে না, হয়তো একান্তে নিজেকে দেওয়ার সময়টুকুও পাও না অনেক সময়। কিন্তু আমি যে কিছুতেই নিজেকে বোঝাতে পারি না! আমি যে সারাদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করে থাকি কখন তুমি মেসেজ করবে, কখন ফোন করবে, কখন একটু তোমার সাথে কথা বলব, কখন একটু তোমার কথা শুনতে পাব। রাগ করে হলেও তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে হয় খুব। যাকে ভালোবাসি, সব সময় সে নরমকোমল কণ্ঠে কথা বলবে, এটা আমি নিজেও কখনও আশা করি না। মানুষের মন সব সময় ভালো থাকেও না। তোমার আমাকে কোনও কিছুই একটুও হিসেব করে করতে হবে না। তুমি আমাকে যাচ্ছেতাই করেই ব্যবহার কোরো। আমি তোমার স্বাভাবিকতা চাই, তোমাকে তোমার মতো করে পেতে চাই। অমন পেলে নিজেকে অনেক কিছু বলতে পারব আমি, তার সব কিছু তুমি বুঝবে না। আমি যখন তোমার কাছ থেকে কোনও কষ্ট পাই তোমার অজান্তেই, তখনও আমার ভীষণ ভালো লাগে, মনে মনে মনকে বলি এই ভালোলাগাটুকুই থাকুক সারাজীবন---আমাকে পোড়াক, আমাকে শেষ করে দিক। আমি তোমার কাছে বারেবারে জানতে চাই, আমায় তুমি ভালোবাস কি না। আসলে তুমি যখন নিজের মুখে বল ‘ভালোবাস’, তখন কী যে অসম্ভব ভালো লাগে, আমি বোঝাতে পারব না। তুমি রাগ কর, রাগ দেখাও, বকা দাও (যদিও দাও না কখনওই), বিরক্তি দেখাও, অবহেলা কর…তবুও তো কর, তবুও তো আমাকে আর আমার সব কিছুকে ঠিকই সহ্য কর। রাগ, অভিমান, অভিযোগ করার সুযোগ আমাকেও তো দাও। আমাকে ভালো না বাসলে এই স্পেসটুকু আমি পেতাম না কখনও, সে আমিও বুঝি। সব বুঝি, তবুও ভুল বুঝি, ভুল বুঝে নিজে নিজে একা একা কষ্ট পাই, নিজের মনে কষ্ট তৈরি করে নিই। আমি জানি সব, আমি বুঝতে পারি সবই। আসলে আমি তো সারাদিন শুধু তোমাকে নিয়েই থাকি, তোমাকেই সব সময় ভাবি, আমার সব কিছুতেই তুমি সবার আগে…এজন্যই এমন হয়, আমি এলোমেলো হয়ে যাই, তোমাকে এলোমেলো করে তুলি, অস্থির হয়ে থাকি, কিন্তু এও বুঝি, তোমার পৃথিবীতে অন্য অনেক কিছু আছে, তোমাকে সারাদিন সারাক্ষণ অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়, আমি তোমার পুরো জগত তো নই, হয়ও না কেউ কারও গোটা পৃথিবী। কিন্তু সত্যি বলছি, আমার পুরোটা জগতজুড়ে আমি তোমাকে ছাড়া যে আর কিছুই ভাবি না, এজন্যই আমি এমন করি। আমার জগত যে খুব ছোট, ওখানে তোমার মতো বিশাল কোনও পৃথিবী হয়তো নেই, কিন্তু ওখানে শুধু তোমাকে নিয়েই আমি দিব্যি শান্তিতে কাটিয়ে দিতে জানি।


কখনও এতটা তো ভালো থাকিনি কষ্টের মাঝেও, এজন্য এই লোভ ছাড়তে চাই না। এই কমফোর্ট-জোন থেকে বের হতে ইচ্ছে হয় না। আপু আজকাল খুব বেশি বিরক্ত করছে, জানো, প্রতিদিন ফোন করে কথাশেষে বলে বসবে, এবার ঢাকায় আসার সময় মনে করে অবশ্যই তোর বায়োডাটা আর ছবি নিয়ে আসিস। আমিও বলি, আচ্ছা। কিন্তু ও বুঝে নেয় কীভাবে যেন যে আমি হয়তো আনব না। নিইও না। আজ বলেছে, অবশ্যই নিয়ে আসিস, আরে আমি তো তোকে এখনই বিয়ে দিয়ে দেবো না। ভয় কীসের তোর? আমি শুধু নিজের কাছে রাখব, কখন কী কাজে লাগে এজন্য, তুই ভয় পাস না। আমি যখনই এসব শুনি, আমার ভেতর ভীষণ ভয় কাজ করে যে এই বুঝি হয়ে গেল সব, আর আমি নিজের মতো থাকতে পারব না, আর তোমাকে ভালোবাসতে পারব না, আর তোমাকে নিয়ে আলাদা করে ভাববার সময় পাব না, আবারও সেই পুরনো অন্ধকার সব অধ্যায়...এজন্য ভালো লাগে না। ইচ্ছে হয়, নিজের মতো করে একটু বাঁচি। আর কটা দিন থাকিই না এভাবে! আর কটা দিন তোমাকে জ্বালাই, বিরক্ত করি, আর কটা দিন কষ্ট পাই। আর এখন ইচ্ছে নেই কারও ঘাড়ে ঝুলে পড়ার। নিজেকে যত দিন না নিজের জায়গায় শক্ত করে দাঁড় করাতে না পারি, তত দিন ওসব কিচ্ছু ইচ্ছে হয় না আমার। কারও সাপোর্ট নিয়ে বাঁচা আর কারও উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে বাঁচা আমার জন্য, আমার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য অনেক জটিল আর কষ্টকর। আমি জানি, আমি নিজেকে শক্তসমর্থ করতে না পারলে ভবিষ্যতে আমাকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হবে, তখন ওসব শুনতে বাধ্যই থাকব। নিজেকে তখন আর কিছুরই হাত থেকে বাঁচাতে পারব না। সব কিছুই মুখবন্ধ করে সহ্য করতে হবে। এর চেয়ে বরং এখন যত যা আসে সহ্য করি যাতে পরে ওসব আর সহ্য করতে না হয়।


একটা কথা ছিল। তোমার ‘যে ছায়া আলোর অধিক’ লেখাটার মেয়ে চরিত্রটা বেশ ছ্যাঁচড়া টাইপের। কেমন জানি আত্মসম্মানবোধহীন, অ্যাটেনশন-সিকার টাইপের। এই পর্যন্ত যা লিখেছ, তার পুরোটাই ওরকম। নীরজাকে কেন অমন করে বানালে? মেয়ে-চরিত্র দেবে হিমুর নীলার মতো, একটু রহস্য রহস্য টাইপের। এরকম নীরজার মতো মেয়ে যে নেই, তা বলব না। আছে হয়তো, এ জগতে ছ্যাঁচড়ার অভাব কোনও কালেই ছিল না, এখনও নেই। কিছু ভুল ধরিয়ে দিই, কেমন? সে তার কষ্টের কথাগুলো বারবার বলে, আর কষ্টের কথা কাউকে বারবার বলে একমাত্র অ্যাটেনশন-সিকাররা। সে ‘ডোন্ট লিভ মি’, ‘বাই ফরএভার’ বলে বলে আবারও ছ্যাঁচড়ামি করে, যেটা একজন আত্মসম্মান-থাকা মেয়ের ক্ষেত্রে কখনওই হওয়া উচিত না। এককথার মানুষ সব জায়গায় সম্মানিত, ছেড়ে যেতে না পারলে বারবার ছেড়ে যাচ্ছি বলাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার মা তাকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছে বলে সে বারবার মাকে দোষারোপ করে। থিংক ডিপলি, কতটুক অসহায় হলে একজন মা তার সন্তানকে বিক্রি করে দিতে চায়, ভাবা যায়? দুনিয়াতে এমন কোনও মা নেই যে তার সন্তানকে অকারণে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় মেয়ের উচিত ছিল নিজের পায়ে এত দিনে দাঁড়িয়ে যাওয়া, চাইলেই একটা মেয়ে কিন্তু এত বড় অসহায় অবস্থায় মাকে সাহায্য করতেই পারত, ম্যাট্রিক পাস করেও কিন্তু চাকরি পাওয়া যায়, এক্ষেত্রে আমি বলব, মেয়েটা পুরোই একটা অকর্মার ঢেঁকি যে কিনা মাকে সাহায্য করতে পারে না। সে বারবার বলে যায়, তাকে কেউই কখনওই ভালোবাসেনি, বাসে না, সে ভালোবাসার যোগ্য নয় কেননা যোগ্য হলে অবশ্যই কেউ না কেউ তাকে ভালোবাসত, সে ভালোবাসার মতো নয় বলেই কেউ তাকে ভালোবাসে না। এমন করে কারা বলে? যারা এসব বলে বলে নিজের দিকে অন্যের মনোযোগ টানতে চায়, তারাই তো, না? কাউকে জোর করে ভালোবাসানো যায় নাকি? জোর করে বড়জোর ভিক্ষে মিলে, ভালোবাসা নয়।


সে বারবার এটাই প্রমাণ করতে চায় যে সে ওই ছেলেটিকে এত্ত বেশি ভালোবাসে যে তার জন্য দুনিয়ার সব ভুলে যায়, মন্দিরে পুজো দেয় তার আয়ু বাড়ার জন্য! একটু ভাবো তো, কেউ সত্যিই কাউকে ভালোবাসলে কখনও সে তার জন্য কী করল না করল, এসব ফিরিস্তি তুলে ধরবে না, ছেলেটার মনের ভেতরে এসব ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাবে না---হিসেব করে ব্যবসা হয়, ভালোবাসা নয়। আর মেয়েটা নিজের কথা বলে যেতেই থাকে বলে যেতেই থাকে। ছেলেটা কী বলল, কী ভাবল, তার চাইতে মেয়েটার কাছে বেশি জরুরি সে নিজে কী ভাবল, কী ভাবছে, কী বলছে---এসব। দেখা যায়, ছেলেটা হয়তো এমন কিছু বলছে, যেটা দুজনের মধ্যেই একটা সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারত, আর মেয়েটা হুট করেই সে যা ভাবছিল আগে, সেখানেই চলে যায় কোনও কারণ ছাড়াই, এবং সেখানে থেকেই ঘ্যানরঘ্যান করে নিজের পুরনো টেপরেকর্ডটা চালাতেই থাকে চালাতেই থাকে। এটা কারা করে, জানো তো? সাইকোপ্যাথরা! এদের সাথে সহজ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা যায় নাকি? আরও কী কী যেন আছে, আপাতত ভুলে গেছি। আমার কথায় কিছু মনে কোরো না, আমি অনেক সময় কী বলতে কী বলি, ঠিক থাকে না। আমি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে mentally disturbed ভীষণভাবে। বাঁচতে ইচ্ছে করে না কখনও কখনও। খুব বিরক্ত লাগে। তবু বেঁচে আছি। তোমাকে ভেবেও বেঁচে থাকা যায়। তোমার যদি কখনও বাঁচতে ইচ্ছে না করে, তবে খুব বেশি পার্সোনাল আর একান্তই পারিবারিক বিষয় না হলে আমাকে বলতে পার, আমি তোমাকে বাঁচার সহজ পথ বলে দেবো। আমাকে যেকোনও কিছুই বলা যায়, আমি নীরজা না, আমি তোমাকে কখনও ভুল বুঝলেও সেখান থেকে সময়মতো সরে আসতে জানি। জেদের মধ্যে ঢুকে পড়াটাই শেষকথা নয়, জানতে হয় কখন জেদ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। আমার কাছে জেদের চাইতে সম্পর্কটা দামি। কিছু মেয়ে আছে, যারা নিজের জেদকে বাঁচানোর জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষকে খুনও করে ফেলতে পারে। নীরজা ক্যারেকটারটা অনেকটা ওরকম। আমি ওই সাইকোলজির মানুষ নই। এমনকি যদি আমার কোনও বিষয় নিয়েও ডিস্টার্বড হও, সেটাও বলতে পার। আমি দুনিয়ার সবচাইতে সহজপথের মানুষ।


শুনো, নিজের পৃথিবীটাকে যতই ছোট রাখবে, সুখী হবার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। যার পৃথিবী যত বড়, তার যন্ত্রণার পরিধি তত বেশি, অথচ মানুষ ভাবে কিনা তার উল্টোটা! আর আমাকে কেন জিজ্ঞেস কর আমার মন কেন খারাপ? কখনও কখনও কিছু মন খারাপের কারণ স্বয়ং স্রষ্টাও বোধহয় বুঝতে পারে না, আর তুমি তো স্রেফ একজন মানুষ। মনের কোন গলিতে যে কখন আগুন লেগে সাম্রাজ্য পুড়ে খাক হয়ে যায়, তার হদিস যে পুড়তে থাকে, সে ছাড়া আর কে-ইবা জানে? আর কখনও কখনও তো স্বেচ্ছায় সাম্রাজ্য পুড়তে দিতে হয়, কলিজায় পোড়া যে দাগ, তা দেখতে রংধনুর চেয়েও ঢের রঙিন। ব্যস, রংধনুর সাতটা রং, আর পোড়া কলিজার একটাই রং---ধূসর কালো। সেটা নিয়েই-বা বেঁচে থাকতে পারে কয় জন, বলো? আচ্ছা, কেমন আছ তুমি? খেয়াল করলাম, তোমাকে কখনও ‘কেমন আছ’ বলিনি। খুব কঠিন প্রশ্ন এটা। এটা কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না, অথচ মানুষ এটাই জিজ্ঞেস করে সবচাইতে বেশি। এটা ভারী ও কঠিন প্রশ্ন বলেই কখনও জিজ্ঞেস করিনি। তুমি কখনও মেনটালি ডিস্টার্বড ফিল করলে আমার সাথে শেয়ার কোরো, এসব জমিয়ে রাখলে আমার মতো অ্যাকিউট ডিপ্রেশনে চলে যাবে, মরার আগেও সেখান থেকে বের হতে পারবে না তখন। কারও সাথে শুয়ে তাকে প্রেগন্যান্ট বানিয়ে এসেছ? ওরকম হলে সেটাও বলতে পার, সেটারও সমাধান আছে। আচ্ছা, তোমাকে ‘কেমন আছ’ জিজ্ঞেস করলে তুমি বল, আই অ্যাম ওকে। এটা মানুষ তখনই বলে যখন সে আসলেই নট ওকে। ‘I am OK’ is a pure coverlet of hiding something. তবুও It’s OK, কিছু কথা একান্তই নিজের ভেতর রাখতে হয়। সব কিছু বলে ফেললে মানুষ বড় অসহায় ও অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ইদানীং তোমার কথা ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে উঠি। তোমার জন্য মায়া লাগে, কষ্ট হয়। আমার মনে হচ্ছে, তোমার ভেতর কিছু একটা তোমাকে ভেঙেচুরে দিচ্ছে কিন্তু দেখাচ্ছ না, কারণ দেখাতে পারছ না। জানো, এই দুনিয়ার কারও ভালোবাসা আমার লাগে না, তুমি না বাসলে মনে হয় দুনিয়ার কেউই আমাকে ভালোবাসে না, তুমি ভালোবাসলে মনে হয় পুরো দুনিয়াই আমার পায়ের তলে। তুমি আমার কাছে পুরো একটা দুনিয়া। তুমি পাশে আছ, এটা ভাবলেও শরীরে অনেক শক্তি ভর করে।


এই লেখার শুরুর কবিতার শেষ অংশটি দিয়ে শেষ করছি:
Here, buried
in the sadness of invincible
hopes and youth
in a bleak crypt---
I went out, I went out
with last consolation
of the memory at dusk
and still, I weep for you.