স্বতোৎসার

যেতে চেয়েছিলে তুমি এই নির্মাণের সংসারে এসে,
শব্দেরা যেখানে দুরন্ত বাসনার মতো ক্রীড়ায় রত,
কিংবা কোনো মানসপুত্রের নির্লোভ স্বতোৎসার হয়ে উৎপাদিত, তাই 
ঋণী তুমি সেই ধূসর অপরাহ্ণের কাছে।




রিনরিনে ব্যথা গোটা বুক ছেয়ে ফেলেছে,
পিদিমের কোমল আলোয় প্রবীণা পাঁচালির সুর,
অন্তে তাই শুধু কাননবালার যত বিস্ময় জমে থাকে।




এখনও কিছু শব্দ আছে, যার ফেরে মানবমায়া—
মরীচিকা, সিক্ত যূথীর বেদনঢালা।




যৌবনের কাছে ভিক্ষুক হয়ে বেঁচে থাকা কোনো সাহসের কথা নয়।
ফেলে আসি তাই ভূষিত জীবনকল্প, বাগানবাড়ি…
সাধের শখ।




এসব ঘিরেছে কারা?
এরা কি কোনো ছায়া? না কি হেমন্তের
সংগোপনে ফেলে-আসা অগণিত ফসলের পিছুটান?




শীতল অবগাহকের সান্নিধ্য-সন্ধান
কেবল শুধুই ভরাট মনন—জটিলতার দান।




প্রাণসখা, তুমিও ছিলে মত্ত দিনে ওই নীলিমায়
এবং ছিল অষ্টপ্রহর অপার গরিমায়।




মনস্কপ্রায় হেমন্তদিন উদাস উদাস সাড়া,
সঠিকভাবেই যদিও ছিল সুখকে নিয়ে নাড়া।




যেহেতু কোষ-স্পষ্টতা সেই মনস্বতায় অন্যথা,
চিত্তবাদল ঘোর তামসী বেদনভরা যথা।




নিঃশেষে প্রান দগ্ধ চকোর মুঠোয় থাকে দুঃখ,
তুষ্ট বারেক নন্দীমুখী, হয় না সে আর রুক্ষ।




প্রাপ্তিস্বীকার ছিন্নশরিক অবস্থিতি মিত্র,
লিপ্ত শুধুই লিপ্ত বাতাস হয় না তো তাই সিক্ত।