আমার জংলাপাড়ের শাড়ি সেদিন হয়েছিল ক্ষুব্ধ; সে এক আকাশকুসুম বাড়ি, আমি এতখানিই মুগ্ধ!
তোমার কেবলই তাড়াতাড়ি, আমার চোখে স্থির বারতা; আমার যে আবেগের বাড়াবাড়ি, তোমার কেবলই বাড়ছে অস্থিরতা!
আমি তোমাতেই ভাসি, তোমাতেই ডুবি, তুমি সমুদ্রের অনন্ত পাড়; তোমার কিচ্ছুটি যায় আসে না, ব্যস্ত যেন খুবই! তোমার শরীরও দেখি কেমন জানি অসাড়!
আমার বুকে মধ্যগগনের প্রেম, তোমার হাতে একনদী অবহেলার পিচকারি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি, এটা ভীষণ চিৎকার করে বলেও কখনও পারিনি জানাতে, আবার চুপ করে থেকেও পারিনি বোঝাতে। সহ্য করে গেছি কেবলই তোমার নির্লিপ্ততা আর উপেক্ষার আগুন-ফাগুন।
সে নিয়ে আমার কোনও দুঃখ নেই, জানো? আফসোস, তুমি যে মানুষটিকে ভালোবাসো, তাকে আমি চিনি। আমি খুব ভালো করেই জানি, তোমার হৃদয় তার হাতে পড়লে কেমন দুমড়ে-মুচড়ে যাবে!
সবটা জেনেও কিছুই বলতে পারছি না। এর চেয়ে অসহায় নিজেকে মনে হয়নি আর কখনও।
ইচ্ছে করছে, প্রয়োজনে তোমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিই! তোমার মৃত্যুও সহ্য করে নেব আমি; কিন্তু তুমি যে অবহেলায় আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছ এতকাল, সেই একই অবহেলা যদি তোমার প্রেমিকা তোমায় আমারই সামনে ফেরত দেয়, আমি তা মেনে নিতে পারব না। কোনোভাবেই না! হয় তোমাকে খুন করব, নাহয় নিজেকে, এটাই আমার শেষকথা!
ছু্ড়ে দিয়ে ভাঙনের কাঁথা-বালিশ, আমাকে আর একটা বার জড়িয়ে ধরো।
তুলে রেখে সব অভিযোগ আর নালিশ, শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমায় পবিত্র করো।
এটুকুনই আমার শেষচাওয়া--- একটা বার কাছে এসো; তা-ও যদি না হয় পাওয়া, তবে চিতার পাশেই বোসো।
এ জন্মে তো বলেই দিলে যা ইচ্ছে হলো, মুখে বাধল না তো কিছুই! পরের জন্মে আমায় সহ্য কোরো নাহয়, তোমার ইচ্ছেই মানব, রাখব মাথা নিচুই!