ভাবনার বনসাই: সাতাশ

১. তোমায় ভালোবাসি না আর,
শুধুই ভয় পাই!
খুশি হয়েছ তো এবার?


২. খুব চেষ্টা করেও,
কিছুতেই সহজভাবে বাঁচতে পারছি না!
হে ঈশ্বর!
বিনা চেষ্টায় সহজ একটা মৃত্যু যেন অন্তত পাই!


৩. আমার প্রেমিকা আমাদের দেখা হবার
তৃতীয় দিনে আমাকে আর ফিরিয়ে না দিয়ে
গ্রহণ করেছিল!


তুমি তো নিশ্চয়ই জানো,
মাত্র দু-দিনেরই এ দুনিয়া!


৪. তোমরা অনেকেই ভাবো,
আমি বুঝি ঘাড়ের ব্যথা কমাতেই
দুটো বালিশ সঙ্গে নিয়ে শুই!


তোমরা কি কাঁদোইনি কখনও?
তবে এখনও বেঁচে আছ কী করতে!


৫. ভালো তো তোমায় আজও বাসি!
তবে মায়াটা আর নেই!
তুমি আজ নিশ্চিন্তমনে ঘুমোতে পারো!


৬. হে ঈশ্বর!
হয় ক্ষত সারাও,
নয় মুক্তি দাও!


৭. আমার কলমটা কেড়ে নেবার চাইতে বরং বলে দাও,
আমার আয়ু তোমার সহ্য হচ্ছে না!


৮. যে চোখ ফুঁড়ে রক্ত বেরোয় না,
সে চোখ কী কাজে লাগে?
যার ধমনীর রক্ত জল হয় না,
তার দামটা কোথায় থাকে?


৯. ধর্মালয় ভাঙছ, ভাঙো!
তবু হৃদয় ভেঙো না,
ওখানে যে ঈশ্বর থাকেন!


১০. আমি কাঁটার শরীরও কত আলতো করে ধরি,
আর লোকে কিনা ফুলকেই ধরে গলা টিপে!


১১. আহা, এ কী স্বাধীনতা!
তুমিও আমায় ছেড়ে গেলে,
আমিও আমায় ছেড়ে গেলাম!


১২. লোকে কেবল দেয়ালে টাঙানো ছবির তারিফ করেই খালাস!
পেরেকের কথা কেউ কোনোদিন মুখেই নিল না!


১৩. আজ তোমার পালা,
কাল আমার জ্বালা!


১৪. যদি ডুবে যেতে চাও,
তবে এমনভাবে ডোবো, যাতে
ঢেউয়ের গায়েও টোকা না লাগে!
কেউ কেউ যে ঢেউ দেখেই বাঁচে!


১৫. প্রেম কি মৃত্যু…সে কি বয়স বুঝে হয়?
হৃদয় কি জরা…সে কি সময় মেপে বয়?


১৬. আমার প্রাণটাই যখন চুরি করেছ,
তখন চাইলেই কি আর মরতে দেবো!?


১৭. যখন এ দুটি ঠোঁট কাঁপতে থাকে
তোমার নামের তাড়নে,
কারও চোখে ভুলেও চোখ ফেলি না
গোপন সুখের বারণে।


১৮. যে কখনও দুঃখ পায় না,
সে-ও কী করে প্রেমে পড়ে?
যার শান্তি মেলেনি আজও,
ভালোবাসায় সে-ও কতটা মরে?


১৯. কেউ যন্ত্রণায় একটুখানি আহ্‌ করলেও
কাঠগড়ায় দাঁড়ায়!
কেউবা হাসিমুখে বুকে ছুরি চালিয়ে দিলেও
কাঠগড়া মাড়ায়!


২০. আজও যা হয়নি দেখা,
ভেবো না, তা তৃষ্ণা জাগায়!
দেখেছি যেটুক,
তার কতটুকুই-বা তৃষ্ণা ভাগায়!