ভাবনার বনসাই: সাতানব্বই

১. ভালোবাসা খুঁজতে এসে
সাদাদুধ পান করে
স্মৃতি-হাতে ফিরে গেছে।


২. তোমার চিঠিগুলি হতে
উৎসরিত আলো এবং উত্তাপ
আমার নিঃশ্বাসের রসদ জোগায়।


৩. প্রিয় ছোট্ট পাখি!
আমার এই খাঁচায়
নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নাও।


৪. চলো, দু-জন মিলে
পৃথিবীর শেষপ্রান্ত অবধি
গিয়ে দেখি...শান্তি কোথায়!


৫. ভেতরে ও বাইরে
আজ আমি
উত্তরে উত্তরে জর্জরিত!
কিছু প্রশ্ন হবে?


৬. আমাকে বুঝতে চাইলে
আমার কাছেই এসো,
কবিতার কাছে নয়।


৭. আমাদের রাত্রিগুলি
প্রদীপ্ত হয় যে আলোতে,
সে আলো মূলত আমরাই!


৮. সবার মাঝে থেকেও,
যে সবার মতন নয়,
তাকে ঠিকই চেনা যায়।


৯. তুমি নিজেও জানো না,
কতটা গভীর পদচিহ্ন
এ বুকে ফেলে রেখে
চলে গেছ।


১০. আমার অসংখ্য ভুলের
প্রায়শ্চিত্ত করতে গিয়ে
আজও কি তুমি
কষ্ট পাচ্ছ?


১১. তুমি আমার নিঃশ্বাস,
বেঁচে থাকার কারণ,
ভাবনার একমাত্র অনুষঙ্গ
...অথচ তুমি অন্য কারও।


১২. আমায় একটু বাঁচাবে?
অনুশোচনায় ও পাপবোধে
বাঁচতে আজ বড্ড কষ্ট হচ্ছে!


১৩. এই জীবনের
সমস্ত অর্জনের বিনিময়ে হলেও
যদি তোমাকে দু-চোখের সামনে
আবারও হাসতে দেখতে পারতাম!


১৪. সেই দিনটির জন্য
অপেক্ষা করো, যেদিন
তীব্র অনুশোচনায় ক্রমেই
তোমার আত্মা বহুখণ্ডিত হবে।


১৫. বেশিদূরে যাইনি তো!
অন্ধত্ব এবং বধিরতায়
কিছু সময়ের জন্য
একটু হারিয়ে গিয়েছিলাম।


১৬. এই আত্মা, এই অস্তিত্ব...
শুদ্ধতম ভালোবাসাতেও নয়,
শুধুই শান্তিতে বাঁচে।


১৭. সামনে অনেক পথ...
ভয় নেই, হাঁটো;
আমি সঙ্গে আছি।


১৮. এ হৃদয়ে
ভালোবাসার যে বীজটা বপন করেছিলে,
তার অঙ্কুরোদ্‌গমটুকুও দেখে গেলে না!?
এত তাড়া! এত কুণ্ঠা!


১৯. এত আলো! এত রং!
কাছে আসো! জড়িয়ে ধরো!
এসো, দু-জন মিলে
আত্মায় আত্মায় বাঁচি!


২০. তোমার কবিতা, তোমার গান...
আমাকে ভালোবাসা দেয়,
কিছুতেই মুক্তি দেয় না!