ভাবনার বনসাই: বিশ


১. এই রাত, এই একাকিত্ব, এই স্মৃতি---
সবই ভালোবাসি, কেননা
আপাতত আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।


২. তোমার কেন মনে হচ্ছে,
ঈশ্বরের সঙ্গে আমার শুধুই প্রতিদ্বন্দ্বিতা?
বন্ধুত্বও তো থাকতে পারে!


৩. আমাকে সবাই পাগল জানে,
তাই তো আমি এমন পাগলামি করতে পারি!


৪. আকাশ অমন কাঁদছে কেন?
আজ ওকে কে ছুঁয়ে দিল?
না কি ছুঁয়েও ছোঁয়নি বলেই…


৫. শরীর চাইতে গেলে কেন?
আমি রানি হতে চেয়েছিলাম,
ভিখারিনি নয়!


৬. যন্ত্রণারও একটা সীমা আছে!
অথচ তোমার স্মৃতির কোনও সীমাই নেই!


৭. রাতে আমি ঘুমোই কী করে!
চোখ বুজলেই স্বপ্নে আসো!
চোখ মেললেই আকাশে ভাসো!


৮. হয় একসঙ্গে থাকো,
নয় আলাদা হয়ে যাও!
আমি আর কত দিন
তোমার শাশুড়ির সঙ্গে ঘর করব!


৯. তোমার স্বপ্নের সঙ্গে আমার ঘুমের
এ কী বন্ধুত্ব!
দু-জন একসঙ্গেই ওঠে বসে!


১০. লোকে খুঁজেও একটা চাকরি পায় না!
আর আমি কিনা তোমাকে ভাববার চাকরিটা
চেয়েও ছাড়তে পারছি না!


১১. আরও কয় কিস্তি কষ্ট পেলে পরে
তোমার স্মৃতির কিস্তি ফুরোবে?


১২. তুমি নিজেকে ভালো রেখো।
তোমায় পাবো না, সেটা আজ মানতে শিখেছি।
তুমি ভালো নেই, এটা আজও মানতে শিখিনি!


১৩. তোমায় পেলাম না, দুঃখ নেই।
দুঃখ শুধু এটাই,
তোমায় ভালো রাখার দায়িত্বটা পেলাম না!


১৪. এ কী দুনিয়া!
চুপ থাকলে সবাই বলে,
তোমার দুঃখ কীসের?
একটু হাসলেও…
সেই ওরাই বলে,
কী হলো? হাসছ কেন?


১৫. তোমায় দেখার পর হারিয়ে যাইনি,
বরং আরেক বার জন্মেছিলাম!


১৬. এলে কেন?
ভালোই তো ছিলাম!
আছ কেন?
কষ্টেই তো আছি!


১৭. তোমায় পেয়েছি বলেই
আজ মনের মতো বাঁচি!


১৮. আমার যে ঐশ্বর্য দেখল না কেউই,
তা-ই পেল যে,
প্রিয় তো তাকেই বলি!


১৯. আমাকে ভয় কীসের?
যে মানুষ অধিকারই ছেড়ে দেয়,
তাকেও ভয় পাবার কী আছে!?


২০. শরীর তো ছোঁয় অনেকেই;
ভাগ্য কেবল তারই,
যে হৃদয় ছুঁয়ে যায়!