ভাবনার বনসাই: বাষট্টি

১. তোমার পাঠানো প্রতিটি শব্দই আমার নিজের শরীরের অংশ।
তুমি যখন যেখানেই থাকো, সেই শহরই আমার সংসার।


২. তুমি রবীন্দ্রসংগীত শোনো। দেখে ভালো লেগেছিল।
পরে দেখলাম, কিছু মানুষ না বুঝেই রবীন্দ্রসংগীত শোনে।


৩. চিবুক ভিজে যাবে, আস্তিন নোংরা হবে, উরু ক্রমাগত কাঁপবে।
তবু নিঃশ্বাসটার যত্ন নেবে। এর নামই বেঁচেথাকা।


৪. একাকিত্বের দিকে চোখ রেখে ভাবি,
চলো, দু-জন মিলে আবারও ভুল করি!


৫. কিছু মানুষের ভালোবাসার উত্তর দিতে নেই;
চুপ থাকতে হয়। এতে দু-জনই ভালো থাকে।


৬. তোমাকে পাবার পর,
জীবনকে উদ্‌যাপন করতে শিখেছিলাম।
তোমাকে হারাবার পর,
জীবনকে অনুভব করতে শিখেছি।


৭. এসো, নাচি! পৃথিবী ঘুরছে তো! না নাচলে ছিটকে পড়ে যাব!


৮. একটা সময় ছিল,
যখন হেঁটে গেলেও মনে হতো, উড়ছি!


একটা সময় আসে,
যখন উড়ে গেলেও মনে হয়, হাঁটছি!


৯. যা করি, তার সবই কষ্ট থেকে।
তাই যা-ই দেখো, তার সবই বাস্তব ঠেকে!


১০. চিরকাল। এ বড়ো সুন্দর একটা শব্দ!
শব্দটা না থাকলে অতটা হাসতাম কী করে? কাঁদতামই-বা কী করে?
শব্দটাকে তাই ভালোবাসি।


১১. কেউ কেউ সুর,
কেউ কেউ কথা,
কেউবা গান হয়ে...দুটোতেই যায় রয়ে!


১২. এসো, নিজেদেরই অভিনন্দন জানাই!
বেঁচে থাকা সহজ কিছু নয়।


১৩. এসো, এ জীবনে কিছুটা সময় সরিয়ে রাখি।
কিছু সুন্দরের দিকে তাকাই,
কিছু বিশ্রামকে প্রশ্রয় দিই,
কিছু পাখির ডাকে ভাসি,
কিছু মানুষের কথা শুনি,
কিছু ঝর্নার দুঃখ বুঝি।


১৪. প্রিয় মন, এসো, চুক্তি করি।
আমি যেমন আছি, ওতেই তুমি সুখ খুঁজবে।
আমি যেটুক ভাবি, সেটুকই তোমার।
আমি দেখতে যেমন, তেমনই ভালো।
আমার ত্রুটিগুলি খুব বাজে দেখায় না।


যা-কিছু আমি, কিংবা যা-কিছু নই,
তা মেনে নিয়ে যায় না আমায় ভালোবাসা কিংবা গ্রহণ করা---
এই উদ্‌বেগটা আর পারছি না নিতে!


১৫. এসো, গল্প করি।
ভালোবাসা নিয়ে, দীর্ঘ সন্ধ্যা নিয়ে, ভোর নিয়ে, গাছ ও পাখি নিয়ে।
এবং, আলোর অসীম ধৈর্য নিয়ে।


১৬. নিজেকে অতটা কুঁকড়ে ফেলো না,
যা দেখলে সবাই খুশি হয়ে ওঠে!


১৭. যে যত উপরে,
সে তত একা।


১৮. এ পৃথিবীর সব কিছুই আমাকে একটু একটু করে মেরে ফেলে।
আমি যা দেখি, আমি যা শুনি, আমি যা নিয়ে বাঁচি। সব!


১৯. আমার ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে
এখন কিনা আমাকে শান্ত থাকতে বলছ!


২০. হৃদয়ে সাইনবোর্ড সেঁটে রেখেছি; সেখানে লেখা:
ব্যবহারের অনুপযোগী; ভেঙে গেছে।