ভাবনার বনসাই: তেষট্টি

১. একদিন তুমি ঘুম ভেঙে কাউকে পাশে পাবে না।
সেদিন ঘরে ফিরতে রাত হলেও কেউ কিছু জিজ্ঞেস করবে না, এমনকী চাইলে ঘরে তুমি না-ও ফিরতে পারো, কেউ কৈফিয়ত চাইবে না।


সেদিন তুমি একে কী নামে ডাকবে?
স্বাধীনতা? না কি নিঃসঙ্গতা?


২. বার বার দেখা করতে বলছি।
লজ্জা পাচ্ছি না, তা নয়।
মন মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে ওঠে, লজ্জা মানে না।


৩. ঘরের মানুষের সঙ্গে মনের মিল না থাকলে
নিজের ঘরেই অতিথি হয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।


৪. হ্যাঁ, একদিন তুমি সেখানে যাবে।
তবে এই মুহূর্তে তুমি এখানে আছ।
এই সময়টাও তো সুন্দর!


৫. শরীরের সতীত্বের চাইতে মনের ভালোত্ব অনেক বেশি জরুরি।


৬. দিনশেষে, ঘরে ফিরে, এমন কারও মুখ দেখতে ইচ্ছে করে, যে মানুষটা আমার কাছে পুরো পৃথিবীর সমান।


৭. তোমাদের মতামতের চাইতে আমার শান্তির দাম অনেক বেশি।


৮. সমুদ্রকে বলেছিলাম, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আমি বড্ড বেমানান। আমার হৃদয়টা খুব নরম, জলের মতন।
তখন আকাশ হেসে বলল, ঠিক এ কারণেই তুমি এখানে আছ!


৯. একদিন সে ছিল। তখন প্রতিটি দিনকেই সুন্দর মনে হতো।
আজ সে নেই। এখন পৃথিবীর কোনও কিছুকেই আর সুন্দর মনে হয় না।


১০. তোমাকে কখনওই বলতে পারিনি, দিনের মধ্যে আমি যে কত কত বার ভাবি, তুমি কোথায় আছ, তুমি কী করছ, তুমি ভালো আছ কি না!


১১. যদি আমায় সম্মান দিতে না জানো,
ভালোবাসার দাবি নিয়েও সামনে এসো না।
আমার কাছে, সম্মানের তুলনায় ভালোবাসা বড়ো তুচ্ছ।


১২. তোমার ওই হৃদয়টা
এক রক্ত পাম্প করা বাদে আর কী কাজে লাগে?


১৩. তোমার কষ্টগুলি আমাকে দাও।
তোমার হৃদয়ের দহনগুলি আমাকে দাও।
আমি আঁধারে বাঁচতে শিখেছি।


১৪. অনুভব তো তুমিও করেছ, তাই না?
সেই অনুভূতিগুলির কথা বলছি,
যা হৃদয়ে ধারণ করতে ভালো লাগে,
যা যন্ত্রণা দিলেও পেতে ভালো লাগে!


১৫. তোমায় বলেছিলাম,
আমি দুঃখেও বাঁচতে জানি!
আর তুমি কিনা শুনেছ,
আমি দুঃখেই বাঁচতে জানি!


১৬. সারাজীবনই এমন একটা স্টেশনে অপেক্ষা করে আছি,
যেখানে, আমার ট্রেন কোনটা, তা কবে আসবে, কিংবা আদৌ আসবে কি না, এসবের কিছুই আমি জানি না।


১৭. আমার মৃত্যুর পর
তোমরা আমার কবরের গায়ে ভালো কিছু লিখো।
জীবনে এক কষ্ট বাদে আর কিছুই আমি পাইনি।


১৮. জেনে রেখো,
একদিন সবাই সবই বুঝতে পারে।
সেদিন হয়তো কিছুই আর করার থাকে না,
কিন্তু বুঝতে ঠিকই পারে।


১৯. আমাকে ব্লক করার আগে মনে করে ইনবক্সে জানিয়ে রেখো,
কেন এতদিন ব্লক করোনি!


২০. সবসময়ই জেনে রেখো,
তোমার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী লোকজন
সুযোগের অভাবে
মাঠে কৃষিকাজ করে, রাস্তায় বাদাম বেচে।