ভাবনার বনসাই: নিরানব্বই

১. বাতাসকে অনুকরণ করো।
তোমার বিশেষ গুণটি
পতাকার মতো উড়িয়ে রাখো।


২. আকাশের দিকে উড়ে-যাওয়া
কিছু ফুলকির নাভিতে নাভিতে
তুমি আটকে ছিলে,
আর আমিও আটকে গেলাম।


৩. সেইসব দুঃসহ স্মৃতিতে
আবারও ফেরার...
প্রশ্নই ওঠে না!


৪. অতীতের স্মৃতিগুলি
এখন শুধুই মরিচিকা
এই শীতের প্রহরে।


৫. নীল নীল ফিসফিস
সূর্যাস্তের উষ্ণ-নরম
কানে কানে ঢোকে।


৬. এত দেরিতে এলে!
অন্ধকারে অন্ধকারে
কত সময় খরচ হলো!


৭. পথের পথিক
সূর্যের খোঁজ
রাখেই তো রোজ!


৮. কবরে-ফোটা ফুলের গায়ে,
সমাধিলিপির পাথরে
প্রতিদিনই একটা করে তারা খসে।


৯. সেইসব থাবার দিকে চোখ রেখো,
যারা দেয়াল আঁচড়ায়
বালিশ ছেঁড়ে...


১০. কী এক বুদ্ধিজীবী!
মুখোশের দিকে তাকিয়ে
মুখের তত্ত্ব বানায়!


১১. একটু দূরেই দাঁড়িয়ে
সেই বার্তাবাহক,
তোমার অতীত-ভুলের সমস্ত প্রমাণ
যার ঝুলিতে।


১২. পাশে থাকতে যদি চাও,
এমনভাবে থেকো,
যেন তোমার কোলাহলে
আমার ধ্যান না ভাঙে।


১৩. খুব ধৈর্য নিয়ে
আকাশের এবং রাস্তার
দিকে শূন্যদৃষ্টি ছুড়ি,
একবুক দীর্ঘশ্বাস চেপে।


১৪. আকাশে সাঁতরে সাঁতরে
পাহাড়ে ও সমতলে
অমন করে কে বাঁচে?
জলের মাছ? না স্থলের মানুষ?


১৫. শুরু কি শেষ,
দিন কি রাত---
সবই এক, যদি ঘুম ভাঙে।


১৬. জীবনের একটা নাম দিলাম।
তারপর?
অনুভবটা করব কী করে?
এমন নির্লিপ্ত থেকেই?


১৭. জানালার বাইরে তাকাই...
এই দেহ ছেড়ে ঘর ছাড়ি...
এই বেয়াড়া ডানা ভাঙি কীভাবে!


১৮. একদিন সন্দিগ্ধ মনে
মেনে নিয়েছিলাম,
বেশি প্রাণী বন্দি
খাঁচার বাইরেই!


১৯. ধীরে ধীরে দম নাও;
দ্রুত ফুরিয়ে ফেললে
দ্রুত ফুরিয়ে যাবে।


২০. আমি পেছনে তাকাই না,
সামনেও তাকাই না।
আমি কেবলই
আমার দিকে তাকাই।