ভাবনার বনসাই: এক-শো পাঁচ

১. কাঠ থেকে পেরেক
উপড়ে ফেলার সময়
পেরেকও মায়ায় কাঁদে!


২. রাক্ষুসে মেঘ
পুরো একটা পাহাড়
খেয়ে সাবাড় করে!
তারপর...ঘুমিয়ে পড়ে।


৩. যে পাখিটিকে দেখতেই পাইনি,
সেই পাখিটি সম্পর্কে
জানার জন্য কেবল
শাখার দোলটুকুই যথেষ্ট নয়।


৪. বাগান থেকে গোলাপ ছিঁড়ে
প্রিয়ার হাতে দেবার পর
যদি তার চাইতে সুন্দর গোলাপটি ফোটে,
তখন আফসোস করেই-বা কী লাভ!?


৫. কাঙ্ক্ষিত লাল গোলাপটি
হাতে পেয়ে গেলে পরে
কালো গোলাপটিকেই
বরং বেশি সুন্দর লাগে।


৬. এক কাজের সময়
আরেক কাজের স্বপ্ন দেখলে
কাজে ভুল তো হবেই!


৭. মশা মারার ব্যাট হাতে
ঘরে মশা না থাকলেই বরং
মেজাজ খারাপ হয়।
মানুষ বড্ড রক্তপ্রিয় প্রাণী।


৮. যে ঘাসগুলি হয়নি কাটা,
ওরা থাকে নুয়ে শিশিরে শিশিরে
ভালোবাসার ভারে।


৯. কুয়াশার ঘায়ে,
হাওয়ায় দুলতে-থাকা
লন্ঠনটি...হঠাৎ নিভে যায়।


১০. এক বৃদ্ধের তরুণী স্ত্রী
শিখার কাঁপন দেখলেই
বৃদ্ধের ছায়ায় নেচে ওঠে!


১১. দূরের পাহাড়ের গায়ে কুয়াশা,
ছায়ার গায়ে মেয়েটির দু-চোখ,
এই দুইয়ে তৈরি হয় দূরত্ব।


১২. পূর্ণচাঁদের নিচে
সমুদ্রের শান্ত পিঠ যেন
আয়নার মসৃণ শরীর।


১৩. নদীর সর্পিল শরীরে
গ্রীষ্মের মেঘের ছায়া
যেন...গোধূলিতে
রাখালের স্বস্তি।


১৪. কাম ফুরোয় তো
ফুরোয় প্রেম।


১৫. গ্রীষ্মের ঝড়ে
উত্তপ্ত হাওয়ায়
গিরিখাতের মধ্যখানে
বৃষ্টি।


১৬. শীতের দিনে
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এসে
মেঘমুক্ত আকাশের দিকেও
ওরা সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়।


১৭. ঝড় কখনও
শিশুদের গায়েও
নরম হয়ে
আছড়ে পড়ে না।


১৮. এর কোনও শেষ নেই;
এবং যত যা-ই কিছু হোক,
এতে মাধুর্য আসবে না কোনোদিনই!
...আমি কাকের ডাকের কথা বলছি।


১৯. এ কী অন্ধকার!
বাদুড়গুলিকে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না!


২০. এই আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে
চাঁদের আলো ঢোকে
তৃষ্ণা জাগিয়ে...
পালিয়ে যেতে!