ভাবনার বনসাই: এক-শো ছয়

১. ঘড়ির দোকানে
কাঁটাগুলি বার বারই
দুপুর দেখায়;
সন্ধে নামার পরও!


২. কখনওই যার
ধরোনি হাত,
তার কাছেও
হাত পাতা...যায় কি?!


৩. প্রতিটি মুহূর্তের
স্পষ্টতার নামই
বসন্তের বৃষ্টি।


৪. কখনওবা,
ফুল নিজেই নিজের
বয়স বাড়িয়ে নেয়...
ঝরে যেতে।


৫. স্মৃতি বলতে...
আমাদের ভাবনায় ভেসে-যাওয়া
গোলাপের
ফ্যাকাসে কিছু পাপড়ি।


৬. সাগরতীরে হাঁটার মানে...
স্যান্ডেলের ভেতরে ছড়ানো
কিছু নুড়ির ক্ষোভ।


৭. খুব ভোরে
আবছা আলোয়
প্রজাপতির ডানায়
রাতের পাপ।


৮. দামি কথা বলতে পারার চাইতে
কথাকে দামি করে তুলতে পারা
অধিক জরুরি।


৯. যার কেউ নেই,
তার শরাব আছে।


১০. সবলরা লেখে।
দুর্বলরা লিখতে না পেরে
সবলদের আঙুল কেটে নেয়।


১১. তার দুই প্রেমিকা।
এক প্রেমিকা তাকে যত্নে রাখে।
আরেক প্রেমিকাকে সে যত্নে রাখে।


১২. পাহাড়ের ওপাশটায়
তাড়াহুড়োয় রাত নামে,
দিনের ছায়া ঢেকে ফেলতে।


১৩. ডায়েরির...
কিছু পৃষ্ঠায় অভিযোগ,
কিছু পৃষ্ঠায় অভিমান,
কিছু পৃষ্ঠায় অনুরোধ।


১৪. এ জীবনের শেষদৃশ্যে---
তার দু-চোখ থেকে
আমি ক্রমশ সরে যাচ্ছিলাম।


১৫. তারাভরা রাতে...
অনাগত শিশুটির
পায়ের বুড়োআঙুল
মায়ের পেটে নাচে।


১৬. নতুন নতুন বিদেশ যায়,
দেশের শ্রাদ্ধে আনন্দ পায়।


১৭. সকালের প্রার্থনাতে...
অর্কিডগুলি শুষে নেয়
মৌমাছিদের গুনগুন।


১৮. শীতের ধাক্কায়
কুঁকড়ে-যাওয়া কাকটি
উড়তে পারাকেই
প্রার্থনা ভাবে।


১৯. ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর
পেশির দাপটে
স্তিমিত যখন...


২০. যে আচার
আচরণকে ওসকায়,
তা নিতান্তই গোঁড়ামি।