ভাবনার বনসাই: এক-শো তেইশ

১. আমিই তোমার অনুপস্থিতি।
আমাকে ফিরিয়ে আনো।




২. একটি অবিনশ্বর শহর
আমাকে প্রতিটি জায়গাতেই
অনুসরণ করে।




৩. ঠান্ডা ঠান্ডা সকাল,
ফুঁসে-ওঠা মেঘের
মুহুর্মুহু গর্জন।




৪. সব কথা গোধূলিতে ফুরোয়।
এবং, মেঘগুলি একে একে এসে
শব্দহীনতায় মিলিয়ে যায়।




৫. রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা ধুলো
এবং শুকনো পাতারা
হাওয়ার সাক্ষ্য দেয়।




৬. সীমান্তের কাঁটাতারের
ওপাশে মাটিতে
পড়ে-থাকা কিছু ফুল
কুড়িয়ে নেয় শিশুটি।




৭. এই সকালে
মেঘের দল
আকাশ ধুয়ে চলে...




৮. আমার সমস্ত একাকিত্ব,
তার সঙ্গে একটি একাকী পাথর
নদীর ঢেউয়ের সাথে খেলে।




৯. খরা...
মুখরা নদীর
স্তিমিত কণ্ঠস্বর।




১০. প্লেটে কেবলই
একটা বিস্কুট পড়ে আছে।
এর নামই একাকিত্ব।




১১. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাবার পর
মুখটা বন্ধ রেখো।
ওরা ভেবে নিক,
তুমিও শোকার্ত।




১২. কখনও কখনও
পারফিউমের ঘ্রাণটা...
এক নাম বাদে
সবই মনে করিয়ে দেয়।




১৩. হঠাৎ হঠাৎ
ছায়ায় ছায়ায়
সে ফিরে আসে!




১৪. বাঁশের বাঁশি
বাজে যে সুরে,
ওতে
কারও প্রস্থান, কারওবা আগমন।




১৫. ভাঁজ-করা হাতের মুঠোয়
একসঙ্গে থাকে বেঁচে
একাকিত্ব ও আমি।




১৬. যার হাতে কাগজের নৌকো,
তারই হাত সমুদ্রের প্রতিদ্বন্দ্বী।




১৭. শীতের বিষণ্ণ আকাশ
সেই বোকা ছেলেটির বন্ধু,
যে কখনও চাইতে শেখেনি।




১৮. হাওয়া গুমোট হয়ে এলে
সমুদ্রের দিকে বাড়িয়ো দু-হাত
পুরনো সময়কে ভেবে।




১৯. ফোনে কথা ফুরিয়ে গেলে
পড়ে থাকে…
কিছু তৃপ্ত আফসোস।




২০. তার মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে লেখা
শেষ চিঠির খামটা
খুলে দেখার সাহসটা
আজও হয়নি কারও।