ভাবনার বনসাই: এক-শো উনিশ





১.
: সময় কাটছে কেমন?
: আমার সময় থামিয়ে দিয়ে তুমি এই প্রশ্ন করছ!?




২.
: খুব অভিমান আমার সাথে?
: ঈশ্বর সবাইকে অভিমান বোঝার মতন যোগ্যতাই দেননি!




৩.
: আমাকে ভালোবাসো না আর?
: উপায় নেই, তাই বাসি। নইলে খোদার কসম করে বলছি, তোমাকে ভালোবাসতাম না।




৪.
: অনুরাগ কী?
: আগে অভিমান কী, সেটা তো বোঝো! অনুরাগ তো অনেক অনেক পরের কথা!
৫.
: তুমি কত বোকা, কেমন বাচ্চাদের মতন অভিমান করো...হা হা!
: ভাগ্যিস, তুমি বুদ্ধিমান, অভিমান করতে শেখোনি!




৬.
: আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না?
: আমার তো সব শেষই, নতুন করেই শুরু করতে হবে! কিন্তু তুমি কেন নতুন করে শুরু করবে!




৭.
: আমার চোখ দিয়ে দেখো এক বার!
: আমি তো অন্যের চোখেই দুনিয়া দেখি!




৮.
: চোখ বুজে আছ যে?
: তোমাকে দেখার জন্য আমাকে এর আগে কখনোই চোখ মেলতে হয়নি।




৯.
: ভালোবাসো তো?
: নিশ্চয়ই... বেঁচে আছি যেহেতু!




১০.
: তুমি কেন চুপ করে থাকো?
: আমার কথা তো তুমি বোঝো না, চুপ থেকেই দেখি বরং!




১১.
: আমি কীভাবে তোমায় আঘাত করেছি?
: চুপ করে থেকে।




১২.
: তোমার লেখা পড়লে কান্না পায়।
: আমি যে কাঁদতে কাঁদতেই লিখি, সেটা নিশ্চয়ই তুমি বিশ্বাস করবে না।




১৩.
: শুধু ভালোবাসলেই কি হয়?
: না, যাকে ভালোবাসো, তাকে সেটা বুঝিয়েও দিতে হয়।




১৪.
: কীভাবে তোমায় শেষ করে দেওয়া যায়, তুমি নিজেই বলো দেখি?
: আমাকে আরও অবহেলা করতে হবে।




১৫. যে বাতাস তোমাকে ছোঁয়, তুমি যেই রাস্তা ধরে বাড়ি যাও, আমি সেই রাস্তা ধরে দাঁড়িয়ে থাকি। তুমি যখন এই রাস্তাটা পার হও, তোমার চোখে অজান্তেই আমার মুখটা ভেসে ওঠে!

তুমি এবার‌ও নিশ্চয়ই এটাকে কাকতালীয় বলে পাশ কাটিয়ে যাবে...




১৬. আমি জেগে থাকলে তাকে ভাবি, ঘুমোলেও তাকেই স্বপ্নে দেখি! বলো, তোমরা পড়েছ কেউ এমন বিপদে!?




১৭. লেখা থামিয়ে একটু বিশ্রাম নেবো ভেবেছিলাম, আর হুট করে কিনা তোমার সঙ্গেই আজ দেখা হয়ে গেল!




১৮.
: তুমি কোথায় খোঁজো আমাকে?
: যে রাস্তাগুলোতে কখনোই তোমার যাওয়া হয় না, সেখানে গিয়ে।
: কেন?
: তোমাকে আমি আর কখনোই পেতে চাই না, সেজন্য।




১৯.
: আজকাল এলোমেলো লেখো খুব।
: তুমিও যে পড়ে দেখবে, সেটা জানলে আরেকটু পড়াশোনা করে নিতাম।




২০.
: তুমি কোথায় থাকো? কেন কখনো নিয়ে যাও না আমাকে?
: নরকে শুধু আমাকেই মানায়।