ভাবনার বনসাই: এক-শো আঠারো





১. আমার শরীরে তোমার মন, তোমার মনেই আমার ভালোবাসা।




২. আমায় হৃদয়ে যে রক্ত ঝরছে, তার কারণ শুধুই আমার লাল চোখজোড়া বলতে পারবে। সাহস করে চশমা সরাও, চোখ রাখো আমারই চোখে...

ওহ্, ভালো কথা! তার আগে তোমার প্রেমিকার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসো।




৩. ঘুমোতে বোলো না আর এক বারও।
আমি এতটাই ক্লান্ত যে একবার ঘুমিয়ে গেলে তুমি আমাকে আর জাগাতে পারবে না।

এমনকী, মৃত্যুর পরেও...না!




৪. আমার এতগুলি ক্ষত সারাতে তুমি কেবল ওইটুকুন মলম এনেছ?
তোমায় ক্ষতের সংখ্যা গুনতে শিখিয়ে দিলে, মলমটা ফিরিয়ে নিতে ভুলে যাবে না তো?




৫. : বড়ো অসময়ে এসেছ, যাবার সময় হয়ে গেছে।
: আমাকে না, তুমি সময়কে বিদেয় করো। আমি সময় পালটাতে জানি।




৬. : যদি আমাকে শেষ অবধি চলেই যেতে হয়?
: যেয়োই নাহয়! কিন্তু আমাকে ভয় দেখানোর সাহস কোরো না!




৭. : আমি আর কত অপেক্ষা করব?
: আমৃত্যু!




৮. : আজ আমি একটা সত্য কথা বলি?
: যেদিন আগের বলা প্রত্যেকটি মিথ্যের জন্য নিজেকে শাস্তি দিতে পারবে, তুমি কেবল সেদিন ঠোঁট নাড়ার সুযোগ পাবে।




৯. : আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, অথচ তুমি কখনও সেটা বিশ্বাস করোনি।
: যে বিশ্বাস করাতে পারেনি, সে কখনও ভালোই বাসেনি!




১০. : শায়ের, মনে খুব জ্বালা করে; এ কীসের শাস্তি আমি পাচ্ছি?
: যাকে ভালোবেসেছ তুমি, তাকে ভালোবাসতে চাওয়াটাই তো অপরাধ!
: কেন!?
: প্রিয়, বেছে বেছে মাত্র কিছু সংখ্যক মানুষকেই ভালোবাসা ধারণ করার মতন মন দেওয়া হয়েছে!




১১. : ওখানে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তুমি ভালোবাসতে গেলে?
: মৃত্যু সবার জন্যই নির্ধারিত, কিন্তু ভালোবাসা সবার জন্য নির্ধারিত নয়!




১২. : ভালোবাসায় কী এমন সুখ আছে?
: পুড়ে ছারখার না হলে তো আর পোড়ার আনন্দ বুঝতে পারবে না!




১৩. :শায়ের, আমি কোথায় গেলে শান্তি পাবো?
: নিজের কাছে।




১৪. : শায়ের, কত বিদ্যা অর্জন করলাম, তবুও শায়েরি লিখতে পারলাম না।
: বিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফেলে মন হাতে নিয়ে বোসো।




১৫. : আপনি কলমে হাত রাখলেই কী চমৎকার লেখা হয়ে যায়!
: কলমে হাত দেওয়া শিখতেই আমি পুরো যৌবনকাল খরচ করেছি।




১৬. : শায়ের,তাকে পেয়ে মনে হচ্ছে, না পাওয়াই বেশি ভালো ছিল!
: কিন্তু যে পায়নি তাকে, সে তো বলে বেড়াচ্ছে, নিঃশ্বাস নিতেও নাকি যন্ত্রণা হচ্ছে!




১৭. : শায়ের, আমার শেষইচ্ছে, সে যেন আমায় ভালোবাসে।
: তারও শেষইচ্ছে, তাকে যেন কেউ ভালোবাসে!




১৮. : শায়ের, ওই মানুষটি সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন; আর নাকি তিনি বাঁচতে চান না!
: বাঁচতে চাওয়ার ইচ্ছা থেকেই মানুষ বিদায় নেয়। যে মরতেই চায়, সে মরে যায়, বিদায়ের ধার‌ই ধারে না!




১৯. চোখে আমার ক্লান্তি ভীষণ, ব্যর্থতা আর গ্লানি;
আমায় তুমি ভালোবাসোনি কখনও, সেটা আমি ভালো করেই জানি!




২০. : শায়ের, রাতে ঘুমোন না যে, আপনার হয়ে কি কবিরাজের কাছে যাব?
: সবাই কেন ঘুমিয়ে কাটাবে রাত, সেটা কবিরাজ আর তুমি মিলে ভাবো!