লেখকের প্রেমিকা

তুমি তোমার পাঠকদের সাথে আমাকে মিলিয়ে ফেলো, তাই না? তোমার পাঠকেরা তোমাকে শুধুই শোনে, আর আমি ফিল করি। তার পরেও কি আমরা একই? আমি দেখেছি, কেউ কেউ কোনও কারণ ছাড়াই ফলো করে তোমাকে, অন্যেরা করে, সেজন্য। ওরা তোমার লেখা পড়েই না। ওদের কাছে তোমার লেখা একটি বইও নেই। এরকম কয়েকজনকে আমি চিনিও। আর ওদের তো তোমাকে দরকার আছে নিজের লাভের জন্যই। আমি তোমার লেখার পাঠক হিসেবে জীবনেও কিছু বলিনি তোমাকে। আজকে বলি। কিছু মনে নিয়ো না।


তোমার পাঠক আর অনুসারীরা প্রায়ই তোমার ওয়ালে গিয়ে মিথ্যে কথা লেখে। তোমাকে নিয়ে বাজে কথাও এরাই বলে। তুমি কত বড়ো বড়ো পোস্ট লিখো, ওগুলো পড়তেও তো আধঘণ্টা লাগার কথা, মিনিমাম বিশ মিনিট; আবার কিছু কিছু পোস্ট পড়ার সাথে সাথেই অনেকসময় পুরোটা বোঝা যায় না, সময় লাগে বুঝতে। আর এরা পোস্ট করার ৩ মিনিটের মাথায়ই শেয়ার দেয়। ১০ মিনিটে শেয়ার হয় ৫০টা। ফাজলামোর একটা সীমা থাকে। তুমি কি এদের কমেন্ট পড়ো? বেশিরভাগই কমেন্টের রিপ্লাই পাবার জন্য কমেন্ট করে। আর তোমার সাথে অ্যাডেড থাকলে লোকের কাছে বা নিজের কাছেই ভাব দেখানো যায়, সেজন্য ফ্রেন্ড হতে চায় এরা। আর কিছুই না। যারা লেখা পড়বে, তারা ফ্রেন্ড কেন হতে চাইবে? যারা পড়বেই না একটাও লেখা, তারাও-বা ফেইসবুকে তোমার ফ্রেন্ড হয়ে কী করবে? যাকে ফলো করলেই সব কাজ চলে, তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকতে চাইবার কী মানে?


বুঝে না বুঝে পকপক করতে থাকে হাঁদারামগুলো। বুঝে না যখন কোনও পোস্ট, তখনও কমেন্ট করে। ঠিকঠাক সমালোচনা করতে পারে, এরকম দশজনও নেই তোমার ফলোয়ার-লিস্টে, ইউ ক্যান ট্রাস্ট মি। এতই প্রশংসা করে মাঝেমধ্যে যে রীতিমতো রবীন্দ্রনাথের সাথে তুলনা করে বসে থাকে! কী যে বিরক্ত লাগে দেখলে! যেন তুলনা করলেই তার ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়ে গেল। আসলে কী জানো, ওরা রবীন্দ্রনাথও পড়ে না, তোমাকেও পড়ে না। যারা তোমার লেখা পড়ে, তারা সমালোচনা করে তোমার বক্তৃতার; আর যারা তোমার বক্তৃতা দেখে, জীবনে একঅক্ষরও পড়ে দেখেনি তোমার লেখা, তারা কিনা করে তোমার লেখার সমালোচনা। আই মিন, সিরিয়াসলি? ফাজলামোর একটা সীমা থাকা উচিত! যারা এত ভালোবাসি ভালোবাসি বলে উলটে ফেলে, তাদের যদি তিন দিন তোমার সাথে রাখো, তবে তারা ছুটে পালাবে।


কেন? কেননা দূর থেকে দেখে বা লেখা পড়ে যা মনে হয় তোমাকে, তুমি মোটেও তা নও। দুনিয়ার কেউই তার লেখা বা কথার মতন না। লেখা পড়ে লেখককে পড়া, কিংবা বক্তৃতা শুনে বক্তাকে চেনা, এই দুইয়ের একটিও হওয়া প্রায় অসম্ভবই মনে হয় আমার কাছে। তোমাকে বুঝতে, মানে যতটুকু বোঝা সম্ভব আরকি, আমার নিজেরই অনেক কষ্ট হয়েছে। তোমার সাথে থাকাটা দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজগুলির একটা। আমি চলে যাই না, কারণ আমি ছেড়ে যেতে পারি না। তুমি যে পরিমাণ বদরাগী আর জেদি (সাথে আরও কিছু ব্যাপার আছে), তাতে খুবই মুশকিল তোমার সাথে টিকে থাকা। হ্যাঁ, তোমার ভালো দিকও আছে। আর আমি তো পাগলই, তাই আমার হিসেব বাদ।


যা-ই হোক, তো যা বলছিলাম, সমালোচনা করলে তো আমি লাইন ধরে ধরে করি, যখন থেকে দু-চারটে বই উলটে দেখা শিখেছি আরকি। এইটুকু ভালো, এইটুকু অ্যাভারেজ, এইটুকু ভালো না---একদম এভাবেই বলতে পছন্দ করি আমি। তবে আমিও সমালোচনা করার মতন পড়ুয়া নই। আমি এটা বলারও যোগ্যতা রাখি না যে কারও লেখা ভালো, না কি মন্দ। যে লেখা আমি সহজেই বুঝতে পারি, আমার কাছে সে লেখা ভালো; যা বুঝি না, তা ভালো না। এ-ই হচ্ছে আমার হিসেব। যেমন ধরো, তোমার ইংরেজি লেখাগুলো আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তাম, অপেক্ষা করে থাকতাম, কারণ তোমার ইংরেজি লেখা আমার ভালো লাগে। হ্যাঁ, অনেক লাইনেরই ভাবানুবাদ আমি বুঝি না, বেশ সময় লাগে। ওগুলোর আক্ষরিক অর্থ বের করলে আমার হাসি পায়। ওগুলোও দেখতাম দুই মিনিটের মধ্যে কত কত শেয়ার! তোমার কবিতার ছন্দ মেলানোটা আমার ভালো লাগে না। মানে, ছন্দের দিকে খেয়াল করতে গেলে তোমার যা লেখার ছিল, তা লিখতে পারো না প্রায়ই, এটা আমার মনে হয়। যেগুলো ছন্দ না মিলিয়ে লিখো, ওগুলো অপেক্ষাকৃত ভালো হয়। আবার নাম-ধাম-চরিত্র দিয়ে যেগুলো লিখো, ওগুলোর বেশিরভাগই পড়তে ভালো লাগে না। গত মাসের ৪ কি ৫ তারিখে যে ইংরেজি লেখাটি লিখেছ, ওটা বেশ ভালো ছিল।


তোমার লেখা নিয়ে বলতে গেলে আমার রাত চলে যাবে। আমি একটা সময় তোমার প্রত্যেকটা লাইন জাজ করতাম, কতটা ভালো লাগে আর কতটা লাগে না, তা নিয়ে ভাবতাম। আমি তোমার লেখার নিয়মিত পাঠক ছিলাম, একদম নিয়মিত। এত কিছু বলে এটা বোঝাতে চাইছি না যে আমি তোমার খুব বিশাল একজন পাঠক। আরও কিছু মানুষ থাকার কথা, যারা আমার মতনই নীরবে পড়ে আর লাইক-কমেন্ট তো দূরের কথা, ওরা তোমাকে ফলোও দিয়ে রাখেনি! আমি এত কিছু আজকে কেন বলছি, জানি না। ভেবেছিলাম, কখনওই পাঠকের জায়গা থেকে আমি কথা বলব না। আর এখন তো ইচ্ছে থাকলেও পড়তে পারি না আর। টাইমলাইনেও যাই না তোমার। জানো, ব্যক্তিগত অধিকারবোধ নিয়ে পাঠক বা সমালোচক, কিছুই হওয়া যায় না। তখন ব্যাপারটা পুরোপুরি একচোখা হয়ে যায়। কাউকে ভালোবেসে ফেললে তার সবই ভালো লাগে। ভালোটাও ভালো লাগে, খারাপটাও ভালো লাগে। এই যন্ত্রণায় আর পড়িই না। এমন না যে আমি না পড়লে তোমার কিছু যাবে আসবে। কিন্তু আমি আর পড়তে পারি না, এটা আমার কষ্ট, নিজেই বঞ্চিত হই আমি।


কোন কথা থেকে কোথায় চলে এলাম! আমার খারাপ লাগে কখন, জানো? তুমি আমাকে তোমার পাঠক বা ফলোয়ারদের সাথে গুলিয়ে ফেলো, এটা দেখলে। সবাই একসাথে থাকলে তুমি আমাকে খুঁজে বের করতেই পারবে না, এটা ভাবলে একটা তীব্র চিৎকার আসে ভেতর থেকে। ওদের যা জায়গা দাও, আমাকেও তা-ই দাও, বা হয়তো তার চেয়েও কম! আমার খারাপ লাগে এটা ভাবলে যে তোমার জীবনে আমার অলটারনেটিভ আরও অনেক আছে, আমার জায়গাটা শুধুই আমার একার না। কিন্তু আমি তো লেখা পড়ে তোমাকে ভালোবাসিনি। আমি তো কাছ থেকে তোমাকে দেখার পর আস্তে আস্তে তোমাকে ভালোবেসেছি। সেই সময় আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে তুমি একজন লেখক। মাত্র বাইশ দিনের মাথায় আমি তোমার কাছে চলে যাইনি এই ভেবে যে এই মানুষটির লেখা ভালো, অনেকেই তাকে চেনে। আমি তোমাকে খুব সাধারণ মানুষ হিসেবে ট্রিট করেছি সেই প্রথম থেকে এখন অবধি। আমি তোমার মধ্যে সাধারণ একজন মানুষকে দেখেছি বলেই তোমাকে ভালোবেসেছি তেমন কিছুই না জেনে। আমার যে অতশত চাওয়া, অধিকারবোধ, ওসবের একটাও কোনও লেখকের কাছে চাওয়া না, সবই তোমার ব্যক্তিসত্তার কাছে।


তোমাকে সব কিছু বলে না দিলে তুমি কিছুই বোঝো না। তাই বলে দিলাম। এ-ও জানি, এত কথার প্রতিটি শব্দ, অক্ষরই তোমার কাছে ফেলনা। তোমাকে যেসব মানুষ বলে যে, ভাইয়া, আমার মা রোজা রাখে আপনার জন্য, এটা সেটা, হাবিজাবি…তুমি কি জানো, আমি কত রোজা রেখেছি তোমার জন্য, যার হিসেবই আমার কাছে নেই, কত কত মানত, কত যে মাজারে যাওয়া! অথচ তুমি আমাকে বলেছ যে এ সবই আমার অহেতুক পাগলামো ছাড়া আর কিছুই নয়! কত কত কথা বলি, কিন্তু এই ধরনের কথা মানুষের মতো বলে বেড়াতে ইচ্ছে করে না। কারণ যাকে ভালোবাসি, তার জন্য এগুলো করব, এটাই তো স্বাভাবিক! আর এইসবের আবার পাবলিসিটি কীসের? প্রতিদান কীসের?


যে ভালোবাসে, সে ভালোবাসিটা বলেই না মুখে। তারাই ওটা বলে, যারা ভালোবাসা কী, এটা জানেই না। আমি বার বার বলি, কারণ বলতে আমার ভালো লাগে, বা হয়তো আমিও, ভালোবাসা যে কী, এটা জানিই না। মানুষজন যারা তোমাকে এগুলো বলে,…এটা করি সেটা করি আপনার জন্য, তারা করেই আসলে বলার জন্য। কিছু মনে কোরো না আমার কথায়। আমি কী কী করি, সেগুলো বলা শুরু করলে তুমি আমাকে পাগল ভাববে, না হয় আমার কথা বিশ্বাসই করবে না। না-ইবা করলে! তুমি আমার সুখও বুঝবে না, যন্ত্রণাও বুঝবে না। বুঝতে হবেও না।


এত বড়ো মেসেজ লিখেছি যে আর জায়গাই হচ্ছে না ইনবক্সে! এত কথা যে কোথায় পাই আমি! পড়ে দেখবেই না, তা-ও খুব ভালো করে জানি। তবুও লিখলাম। শোনো, তোমার ফলোয়াররা কেউ কি তোমাকে বাচ্চাদের মতো করে কাঁদতে দেখেছে? তোমার আবেগ দেখেছে? দুর্বলতা দেখেছে? আমি দেখেছি। অল্প হলেও দেখেছি। আমাকে সবার কাতারে কীভাবে যে ফেলো, তা আমার বোধে আসে না। যা-ই হোক, আজান হবে এখন, রোজা রেখে কত কথা বললাম। আমার জন্য এইটুকু দোয়া কোরো যেন ভালো করে বাঁচি, নাহলে যেন মরে যাই। একসময় দয়ায় বেঁচেছি, এখন তো আর সেটুকুও পাই না। মরেই যাই আমি, বাকিরা সবাই বাঁচুক!


সরি, হ্যাঁ? অনেক বেশি অনধিকারচর্চা করে ফেললাম আজকে। তোমার মন বড়ো, আমাকে ক্ষমা কোরো। অবশ্য, তোমাকে এসব বলে কোনও লাভই নেই! আমিও যে একটা মানুষ, এটা তোমার আচরণে আমি ভুলেই যাই। কিন্তু আল্লাহকে বলে লাভ আছে। তিনি ফেরান না কাউকে। যা জানার, তিনিই জানুন। তুমি তাদের কথা জানতে থাকো, যারা তোমার আশেপাশে থাকে। তুমি তোমার সময় তাদেরকেই দাও, সময় বড্ড মূল্যবান তো! তারাই তোমাকে বোঝাক ভালোবাসা কী, কীভাবে বাসতে হয়, কী কী করতে হয়। আমরা যারা অনেক দূরে থাকি, তারা এসব বুঝিও না। এত শোঅফ করতেও পারি না। তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষদের খুব সময় নিয়ে বুঝিয়ে বোলো, এসব শোঅফের জিনিস না। এসব অনুভব আর পাবো না জেনেও বিশ্বাস করার জিনিস।


কথা বলো না কেন? একটু কথা বললেই আমি সুখে থাকি। আমাকে একটু সুখে রাখলে কি তোমার সুখ কমবে? আমি বাঁচলে কি তুমি মরে যাচ্ছ? না-ইবা কথা বললে। আমার সাথে কথা বললে তোমার তো খুব সময় নষ্ট হয়, আমি জানি।


শোনো, তোমাকে না খুব দেখতে ইচ্ছে করে, তাই ইউটিউব ভিডিওতে যাই, তোমার ইন্টারভিউ দেখি। আট-দশ মিনিটের বেশি আমি সহ্য করতে পারি না। কান্না আসে। আচ্ছা, নিজের কষ্টের কথা এভাবে কেন বলো? এভাবে বলতে হয়? আমার ইচ্ছা হয়, তোমাকে ওখান থেকে জোর করে টেনে সরিয়ে নিয়ে আসি, থামিয়ে দিই তোমার কথা-বলা। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি ঠিকই এমন করতাম। তুমি যে হাতজোড় করো ওরকম ক্ষমা চাওয়ার মতন করে, কেন করো? তুমি কেন নিচু হবে? তুমি নিচু হতে পারবে না।


তুমি যে ছোটোবেলায় টিচারদের কাছে মার খেতে, কীভাবে আর কেন খেতে, ওসবের এত নিখুঁত বর্ণনা কেন লিখতে হবে? এত পড়াশোনা করতে, তবুও তোমাকে মারতেন তাঁরা? আর তুমি চুপ করে থাকতে, বাসায় বলতেও না? কেন কেন কেন? তুমি কি সারাজীবনই চুপ করে থাকবে? সব শুধু সহ্য করে যাবে? কাউকে কিচ্ছু বলবে না? এই যে যেমন আমাকেও কিছু বলো না! তুমি ছোটোবেলায় এতই বোকা ছিলে? ভালো কথা, ছিলে। কিন্তু এটা বলো, ওসব কথা কেবলই আমার গায়ে এসে এসে লাগে কেন? আমার শুধু মনে হতে থাকে, এসব এখনকার ঘটনা। যেন তোমার এখন কষ্ট হচ্ছে।


আমি তোমার জীবন নিয়ে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করছি, তাই না? বকা দেবে? দাও। আমি একেবারেই বাইরের মানুষ। ফেইসবুক অফ হয়ে গেলে আমিও অফ। সেই আমি কেন তোমার ভেতরে ঢুকে যাই? তোমার কষ্ট, যন্ত্রণা, সমালোচনা, তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা, নিন্দা এগুলো আমার গায়ে লাগে কেন বলতে পারো? মনে হয়, কেউ আমাকেই আঘাত করে যেন! তোমার লেখা, তোমার কবিতা, তোমার কথা-বলা সবই আমাকে পোড়ায়। তুমি আমার মেসেজ অ্যাভয়েড করে আমাকে আর কতই-বা কষ্ট দিতে পারবে, বলো? তোমার সব কিছু জুড়েই তো আমার কষ্ট। কয়টা জায়গা থেকে আমাকে বাদ দেবে? আমি তো থেকেই যাই তবুও। আচ্ছা, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হওয়াটা তো লজ্জারই কথা, কিন্তু আমি কী করব খারাপ লাগলে? তুমি এর পরে আমাকে কড়া কথা শোনাবে, তাই না?...ওই যে ওইদিন যেমন শোনালে? শোনাও। আমি তো তোমার জীবন থেকে দূরেই থাকি, তবুও তোমার গায়ের হাওয়া আমার গায়ে এসে লাগলে আমি কী করব?


আমি সব কিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি রকমের বাড়াবাড়ি করছি। অধিকার ছেড়ে দেবার বদলে যেন আরও বেড়ে গেছে। আমার তো ইদানীং খুব প্রাণ জ্বলে তোমাকে একটু দেখার জন্য, কিন্তু সেটা আর হবে না। শোনো, এখানে খুব ভালো মাজার আছে। আগে মাজারে বিশ্বাস করতাম না। এখন করি। আমি কী মানত করেছি, জানো? শুনলে আমাকে ছ্যাঁচড়া ভাববে না তো? শুনে হাসবে না তো? আমি মানত করেছি যেন যে-কোনওভাবে আমার চোখ অন্ধ হয়ে যায়। তাহলে এক কাজে সব কাজ হবে। তোমাকে দেখতেও আর ইচ্ছে হবে না, লেখাও পড়তে পারব না, মেসেজও লিখতে পারব না। আমাকে গালি দিয়ো না। আমি বানিয়ে কথা বলছি না, আর তোমার জীবনে ভাগও বসাতে চাই না। যা করেছি, তা-ই বললাম শুধু।