যে চলে যেতে চায়

 যে মানুষটি আপনার টেক্সট ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে গেলেও সিন পর্যন্ত করে না, সেই একই মানুষই হয়তো অন্য কাউকে প্রতি মিনিটে মিনিটে টেক্সট করছে।
  
 ‘একটু পরেই ফোন করছি।’ বলে যে মানুষটি সারাদিন চলে গেলেও আর কলব্যাক করে না, সেই একই মানুষই হয়তো অন্য কারও সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোনকলে ব্যস্ত থাকছে; এমনও হতে পারে, অন্য একটি নম্বর থেকে।
  
 যে মানুষটির সঙ্গে দেখা করার জন্য আপনি ছটফট করছেন, সেই একই মানুষই হয়তো অন্য কাউকে দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।
  
 আপনি যার অভাবে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন, সে মানুষই হয়তো অন্য কাউকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, যা আপনি জানেনই না।
  
 সম্পর্ক রাখতে না চাইলে কাউকে ছেড়ে যাওয়াটা অপরাধ নয়; অপরাধ হলো, কারও সঙ্গে সম্পর্ক না ভেঙেই অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া।
  
 কারণ দেখিয়ে কাউকে জীবন থেকে বের করে দেওয়াটা অন্যায় কিছু নয়; অন্যায় হলো, পুরনো জনকে ‘অপেক্ষা করো’ বলে-টলে নতুন কাউকে ‘ভালোবাসি’ বলাটা।
  
 ভালোবাসা ব্যাপারটাই স্বতঃস্ফূর্ত, মনের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে কাউকে ভালোবাসা যায় না।
 নতুন কোনও সম্পর্ক গড়ার আগে পুরনো সম্পর্কটা ভেঙে আসাটা দায়িত্ব। নতুন কাউকে সম্পর্কে বাঁধার আগে পুরনো মানুষটিকে সম্পর্কের বাঁধন থেকে খুলে দেওয়াটা কর্তব্য।
  
 আপনি যাকে না বলেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন, সেই মানুষটি হয়তো অন্য কারও সঙ্গেই নিজেকে না জড়িয়ে আপনার অপেক্ষায় থেকে যাচ্ছে।
  
 রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলাটা অন্যায় নয়; অন্যায় হলো, তাকে সম্পর্ক নামের দড়িতে বেঁধে রেখে আপনি নিজেই নতুন রাস্তায় হাঁটাটা।
  
 যাকে চান না, তাকে চলে যেতে বলুন।
 যে সম্পর্ক চান না, সে সম্পর্ক ভেঙে দিন।
  
 শুধু শারীরিক অবয়বে মানুষ হলেই হয় না, মানুষ হতে গেলে সবার আগে মনুষ্যত্ব লাগে। কিছুটা বিবেক, কিছুটা স্বচ্ছতা আর কিছুটা নীতিবোধ না থাকলে সে মানুষ হয় না, সে হয় কেবলই একটা প্রাণী।