যা গড়ে ভাঙতেই

যে-কষ্টের কথা কাউকে বলা যায় না, তা মনকে একেবারে ভেতর থেকে ভেঙেচুরে দেয়। সবার সামনে হাসিমুখে স্বাভাবিক আচরণ করতে হয়, অথচ আদতে আমি পুরোপুরি হোপলেস হয়ে গেছি, একদমই ভেঙে পড়েছি।




এটা একটা রিলেশনশিপের গল্প। আমি জটিল একটা রিলেশনশিপ থেকে বেরিয়ে এসে ভীষণ ডিপ্রেসড হয়ে পড়েছি। আপনাদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করতে চাই। একটু সান্ত্বনা আমার দরকার—কেউ একজন মাথায় একটু হাত রাখুক, এমন মানুষ আমার জীবনেও থাকুক। আমার কাউকে খুব করে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে ইচ্ছে করছে।




আমার সাথে ঘটা একটা ঘটনার জন্য ভীষণ উদ্‌বেগের মধ্যে আছি। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় পনেরো দিন হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু মাথা থেকে কিছুতেই কিছু সরাতে পারছি না। সারাক্ষণ একই ধরনের অবসেশন কাজ করছে। বার বার মনে হচ্ছে, এই জীবনটাই বুঝি শেষ। এরপর আমার আর কিছুই করার নেই।




ঘটনাটা খুবই জটিল। পুরোটাই লিখে জানাচ্ছি।




আমি পেশায় একজন ফ্রিলেন্সার এবং আমার কাজের বিষয় হচ্ছে অ্যানিমেশন। আপওয়ার্ক, ফাইবারের পাশাপাশি আমি বাংলাদেশে অর্থাৎ লোকাল বায়ারদের কাজও করি। লোকাল বায়ারদের কাজ করার সময় আমি একটা ফেইক আইডি থেকে কাজগুলো করি। আইডিটা ক্রিয়েট করেছিলামই মূলত কাজ করার বা মার্কেটিং করার জন্য। এর কারণ, আমি আমার পার্সোনাল ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনোভাবেই কাজের ব্যাপারে যুক্ত হতে চাইতাম না। আমি বেশ কিছু অ্যানিমেশনের গ্রুপেও জয়েন করেছিলাম।




তো একদিন হঠাৎ একটা গ্রুপে একজনের পোস্ট দেখলাম। অ্যানিমেশনের কাজের জন্য তাঁর একজন অ্যানিমেটর দরকার। তাঁকে নক করলাম এবং তাঁর সাথে কথা বলে তাঁর রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী কাজ শুরু করলাম; আর হ্যাঁ, সেটা ফেইক আইডি থেকেই। কাজ ডেলিভারি দিলাম, তিনি সন্তুষ্ট হলেন, পেমেন্ট নিলাম। এরপর তিনি আরও আরও কাজ দিলেন এবং তাঁর কাজ করতে থাকলাম।




এভাবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে তাঁর সাথে গল্পও হতো। আমি অনলাইনে মানুষের সাথে খুব একটা বাড়তি আলাপ বা গল্প করি না। তবুও তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে অনেক গল্প করতেন, আমার ভালোই লাগত। ভীষণ মিশুক আর মজার মানুষ ছিলেন তিনি, তাই আমিও টুকটাক গল্প করতাম।




আমি ফেইক আইডিটার নামও মেনশন করেই বলছি। আইডিটার নাম ‘ভেনাস ইসলাম রিয়া’ এবং সেখানে একটা প্রফেশনাল মেয়ের ছবি দেওয়া, যেটা আমি গুগল থেকে নিয়েছিলাম। আমার বায়ার ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন মানুষ। তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথেও জড়িত।




আর এদিকে আমি, মানে আসল আমি শুভ্রা ব্যক্তিগত জীবনে সংস্কৃতিমনা মানুষ। ছবি আঁকি, আবৃত্তি আর গান করি। তিনি তাঁর ফ্যামিলির প্রায় সব কিছুই আমার সাথে শেয়ার করতেন। তিনি ম্যারিড এবং দুই ছেলে-মেয়ে আছে। তাঁর বয়স ৪৭ আর আমার ২৩।




আমিও আমার কিছু কিছু ভালোলাগা খারাপলাগার ব্যাপার তাঁর সাথে শেয়ার করতাম। তিনি খুব বুঝদার একজন মানুষ ছিলেন, তাই কেন জানি খুব ভরসা পেতাম তাঁর সাথে কথা বলে।




ব্যক্তিগত জীবনে আমি ম্যারিড নই, কাজের মধ্যেই সারাদিন নিজেকে ডুবিয়ে রাখি। আমার একটা ফ্রিল্যান্সিং সেন্টারও আছে। সেখানেও ক্লাস করাই।




এভাবেই কাটছে দিন। তাঁর কাজগুলো করি আর আড্ডাও দিই মাঝে মাঝে। তিনিও আমাকে বেশ পছন্দ করে ফেললেন। এক পর্যায়ে আমার ছবি দেখতে চাইলেন। আমি তখন খুবই বিপদে পড়ে গেলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমার নিজের আসল ছবি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, কারণ আমি নিজেকে আলাদাভাবে সেইফ রাখতে চেয়েছিলাম।




আমি একটা অন্য মেয়ের ছবি দিলাম। এবং যার ছবি দিলাম, সে-ও অনলাইনে একজন সেলিব্রিটি। আমি ভাবলাম, ইটস ওকে, এটা এত সিরিয়াস কোনো ইস্যু নয়, তাঁর সাথে তো আমি প্রেম করছি না। সুতরাং থাকুক না যে কারও ছবি।




আর যার ছবি দিলাম, মেয়েটা ছিল খুবই সুন্দরী। তাঁরও হয়তো সেজন্যই একটা আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল। তিনি মাঝে মাঝেই আমাকে নিয়ে কবিতা লিখতেন, আমার ভালো লাগত। আর উনি থিয়েটার, মঞ্চনাটক এসবের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাই তাঁকেও আমার কেন জানি ভালো লাগত।




তাঁর ওয়াইফের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না, সেসব নিয়েও বলতেন এবং তাঁর কিছু কিছু কথায় আমার তাঁর প্রতি একধরনের সিমপ্যাথি তৈরি হয়ে গেল। 
আমি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম। আর তিনি তো আমাকে আগে থেকেই পছন্দ করতেন। আমার পার্সোনালিটি তাঁর ভালো লাগত, তাঁর পার্সোনালিটি আমার ভালো লাগত। তাই একপর্যায়ে আমাদের প্রেম হয়ে গেল।




তখনও অ্যানিমেশনের কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যেই একদিন আমি তাঁকে জানালাম যে, শুভ্রা মানে আসল আমি, রিয়া অর্থাৎ তাঁর সাথে যার প্রেম, তার ছাত্রী। শুভ্রা রিয়ার ছাত্রী, এটাই তাঁকে জানালাম।




আমি তাঁর প্রেমে পড়ার পরও চাইতাম, প্রফেশনের জায়গাটা ঠিক থাকুক। তাই আমি আমার মেইন আইডি থেকেও তাঁর কাজ করতাম—তাঁর প্রচুর কাজ ছিল। আর এদিকে শুভ্রার সাথে রিয়ার একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল—সেরকমই আমি তাঁকে বললাম, এ কারণেই যে, তিনি যেন কাজের ব্যাপারে আমাদের উপরে ডিপেন্ডেন্ট হয়ে পড়েন। তাঁর ভাষ্যমতে, তিনি যতজন অ্যানিমেটরকে দিয়ে কাজ করিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আমিই সেরা। 
আর কাজের জায়গা থেকে কে না চায়, একজন ক্লায়েন্টের বেশিরভাগ কাজ করে দিতে! তাই আমি নিজেও দুই জন মানুষ হয়ে তাঁর কাজ করতাম। এক হচ্ছি আমি নিজে, আরেক হচ্ছে আমার ফেইক আইডি রিয়া, যার সাথে তাঁর প্রেমও ছিল।




একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারলাম, আমি তাঁর প্রতি বেশি অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়েছি প্রেমের জায়গা থেকে। সারাদিন সারারাত হোয়াটসঅ্যাপে, টেক্সটে কানেক্টেড থাকতাম। 
তিনিও আমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিলেন। মাঝে মাঝেই ছবি চাইতেন আর আমিও ওই সেলিব্রিটির ছবি দিতাম নিরুপায় হয়ে। একপর্যায়ে আমার মনে হতে লাগল, আমি তাঁকে ঠকাচ্ছি, আর নিজেও ঠকে যাচ্ছি। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। এই জাল কেটে বের হবার অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারছিলাম না কিছুতেই।




এদিকে তিনি দেখা করার কথা বলতেন বার বার। আমি নানান অজুহাতে তাঁকে শান্ত করে রাখতাম। এর মধ্যে অ্যানিমেশনের কাজেও মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। তাঁর প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে, কেবলই অস্থির হয়ে পড়তাম কোনো সমাধান খুঁজে পেতাম না বলে। এসব দুশ্চিন্তা করতে করতে রাতের পর রাত ঘুমাতে পারতাম না।




একদিন মনকে স্থির করে ঠিক করলাম—এই সব কিছু তাঁকে বলে দেবো। সত্যটা জানিয়ে দেবো যে, শুভ্রাই হচ্ছে রিয়া। রিয়া নামের কেউই একজিস্ট করে না।




তাঁর প্রতি আমার কোথায় যেন একটা বিশ্বাস ছিল যে, সবটা শোনার পর তিনি মানবেন বা বোঝার চেষ্টা করবেন হয়তো। তাই তাঁকে সবটাই বলে দিলাম। তিনি শুনলেন এবং আমাকে বললেন, "তুমি শুভ্রা হও বা রিয়া হও, তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই।"




শুনে আমার মনে হলো, আমি আকাশ ফিরে পেলাম। যা-ই হোক, এটা তার ভালোমানুষির কথা ছিল মাত্র। ভেতরে ভেতরে একটা ধাক্কা তো তিনি খেয়েছিলেনই।




আর একটা জিনিস জানিয়ে রাখি, আমি তাঁকে সবটা সত্য বলার কিছুদিন আগে থেকেই তাঁর স্ত্রী তাঁকে সন্দেহ করা শুরু করে; সেটা তিনি আমাকে জানানও। এরপর আমি তাঁকে আমার সাথে রিলেশনশিপে ইতি টানার কথা বলি, কিন্তু তিনি আমাকে সে বিষয়ে কোনো হেল্প করেননি। আর আমার অবচেতন মনও চাইত না যে, তাঁর সাথে আমার ব্রেকআপ হোক। তাই আমিও আর সেদিকে পা বাড়াইনি।




তো সবটা যখন বলেই দিলাম, এর কয়েক দিন পর্যন্ত তিনি আমাকে, মানে আসল আমিকে চেনার চেষ্টা করলেন। আগে থেকেই তো জানতেন, চিনতেন; যদিও অন্য আইডি, কিন্তু  মানুষটা তো আমি, অনুভূতিগুলো তো আমারই ছিল। তিনি মজা করে আমাকে বলতেন, "ছেড়ি, আমারে কী বোকাটাই না বানাইছস তুই!" শুনে আমি লজ্জিত হতাম। এরপর সবটা পরিস্থিতি বোঝাতাম। তবে তিনি বলতেন, তাঁর কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলতেন, “এমন নির্মল ভালোবাসা কে পায়ে ঠেলে? তাই আমি তোমার ভালোবাসা গ্রহণ করব এবং তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করব।”




আমিও মানলাম, কারণ আমি তাকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসি। তাই ঠিক আর ভুলের হিসেব আমার মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।




আর এদিকে তিনি বলতেন তাঁর ওয়াইফের প্রেশারের কথা। তাঁর বউ তাঁর ফোন চেক করতেন, তাঁর ফেইসবুকের কন্ট্রোলও তাঁর বউয়ের কাছে ছিল। আমি মেনে নিতাম। তাই চ্যাট করা কমিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে একটা অভ্যাসেরও ব্যাপার ছিল। আমি শান্ত থাকতে পারতাম না। সারাদিন কেটে যাবার পরও তাঁর মেসেজ না পেলে আমার সারাদুনিয়া ওলটপালট হয়ে যেত। পাগলের মতো ভালোবাসি আমি তাঁকে।




একসময় যখন দেখলাম, তাঁর অ্যাক্টিভিটি আমার সাথে দিন দিন কমে যাচ্ছে, তখন আমি অস্থির হয়ে উঠলাম। আমি ঢাকায় চলে এলাম তাঁর সাথে দেখা করার জন্য। তিনি বাইরে বের হলে তাঁর বউ বার বার ফোন করেন, ভিডিয়ো কল করে আশেপাশে দেখতে চান, এসব কথা তিনি আমাকে জানালেন। তাই আমি বললাম, “ঠিক আছে, তুমি তোমার সময়-সুযোগ বুঝে আমাকে জানাবে।”




আমি ঢাকায় আসার পরের দিন তিনি সময় বের করলেন এবং দেখা হলো; সারাদিন ঘোরাঘুরি করলাম। এরপর বাসায় এলাম। দুই দিন সব ঠিকঠাক ছিল, এরপর তিনি তাঁর বাস্তবতা, ওয়াইফের প্রেশার, এসব বলছিলেন। আমিও মানলাম। মেনেছি, বুঝতে পেরেছি। কিন্তু সব ঝামেলা গিয়ে দাঁড়াল এক জায়গায়, সেটা হলো, তাঁর প্রতি আমার ভালোবাসা। আমি কিছুতেই নিজের মনকে মানাতে পারছিলাম না। সারাদিন কাঁদতে কাঁদতে সেন্সলেস হয়ে যেতাম।




এর মধ্যে একদিন আমি জানতে পারি, তিনি তাঁর বউকে পুরো ব্যাপারটা বলে দিয়েছেন নিজের জায়গা থেকে সেইফ থাকার জন্য।




আমি খুবই শক খেলাম এবং যথেষ্ট অপমানিত হলাম এই ভেবে যে, তিনি আমাকে সরাসরি কেন বললেন না যে, “শুভ্রা তুমি আমার লাইফ থেকে চলে যাও।”! যদিও আমার নিজেরই চলে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ওই প্রবল ভালোবাসা থেকে তাঁকে হারিয়ে ফেলব, এই চিন্তা আমাকে দিন দিন অসুস্থ করে ফেলছিল। আমি তাঁকে খুব করে ধরে রাখার চেষ্টা করতাম; অন্তত কানেক্টেড থাকার চেষ্টা করতাম অনলাইনে। আমি ভেবেছিলাম, আমার মন শান্ত হবে এবং তাঁর কাছ থেকে সরে আসব আস্তে আস্তে।




কিন্তু একদিন তিনি আমাকে পুরোপুরি ব্লক করে দিলেন সব জায়গা থেকে। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। অনেকভাবে তাঁর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম। কল দিলাম বিভিন্ন নম্বর থেকে, কিন্তু তিনি কিছুতেই আমার কোনো কথা শোনেন না, কল কেটে দেন; বহুবার মেইল করেছি, কোনো লাভই হয়নি।আমি বুঝতে পারি, তাঁর সাথে কানেক্টেড না থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ইমোশনের কাছে এমনভাবে হেরে বসে আছি যে, নিজের বোধবুদ্ধিও লোপ পেয়ে গেছে।




আমি বুঝতে পারি, তাঁর সাথে কানেক্টেড না থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ইমোশনের কাছে এমনভাবে হেরে বসে আছি যে, নিজের বোধবুদ্ধিও লোপ পেয়ে গেছে।




প্রায় দশ দিন হয়ে গেল, আমি এখনও তাঁর অবসেশন মন থেকে সরাতে পারছি না। রাতে ঘুমোতে পারি না। একটা অপরাধবোধ কাজ করে কেন জানি সব কিছুর জন্য; আবার অন্যদিকে কাজ করে ভালোবাসার অনুভূতি। সব মিলিয়ে আমি ভেঙেচুরে গেছি একদম। নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছি। মাঝে মাঝে মরে যেতে ইচ্ছে করে লজ্জায়, অপমানে আর তীব্র কষ্টে।




এসব কথা শেয়ার করার মতোও না, তাই কাউকে কিছু বলে যে নিজে হালকা বোধ করাব, সে উপায়ও নেই। আমি ভেতরে ভেতরে মরে যাচ্ছি। এই অস্থিরতা থেকে বাঁচতে চাই।




তিনি আমার জীবন থেকে চলে গেছেন—এই চরম সত্যিটা আমাকে দিন দিন কাবু করে ফেলছে। সবচেয়ে বেশি কাবু করছে এটা যে, তিনি আমাকে শেষ বারের মতো কিছু বলার সুযোগও দিলেন না। অনেকবার অনেকভাবে ক্ষমা চেয়েছি সব কিছুর জন্য, কিন্তু তিনি আমাকে তীব্র ঘৃণাই করে যাচ্ছেন। এই ব্যাপারটাই আমাকে সবচাইতে বেশি পোড়ায়। ভালোবাসার মানুষের অবহেলাও সহ্য করা যায়, কিন্তু ঘৃণা কীভাবে সহ্য করি!