মান্যত্ব

একধরনের অদ্ভুত মান্যত্বকে রক্তে রেখে ওরা নড়ে চড়ে, যখন একসঙ্গে থাকে,
কেননা ওদের দু-জনের অস্তিত্বের প্রতিটি অংশের উপরই পরস্পরের ভাগ সুস্পষ্ট,
আর সে কারণেই, ওদের খুব সাবধানে একসঙ্গে থাকতে হয়, যাতে দু-জনের কারুরই কোনও কষ্ট না হয়।




ওরা কখনও বেপরোয়া হয়ে ওঠে না,
কিংবা ওদের মধ্যে অতটা ব্যগ্রতাও কখনও কাজ করে না,
যতটা ব্যগ্র হলে সঙ্গীকে সহজেই পরাস্ত করে ফেলা যায়।
মানুষ যৌবনে যেমনি করে প্রিয়জনকে আঁকড়ে ধরে,
ঠিক তেমনি করেই ওরা একে অপরের সঙ্গে থেকে যায়।




যে রাত কাঁপায়, যে রাতে তারারাও ক্ষয়ে যায় শীতে,
যে রাতে ওরা দু-জনই বৃদ্ধত্বের দিকে আরও একটু এগিয়ে যায়,
সেই রাতে চলে যাবার ভয় থেকেই হোক, কিংবা অভ্যস্ততা থেকেই হোক,
ওরা বোঝে, সমস্ত দূরত্বের ছদ্মবেশ ঝেড়ে ফেলার সময় এখনই!




ভালোবাসা যখন শৈশব ছেড়ে বার্ধক্যের দিকে এগোয়,
তখন মানুষ সারাজীবনের জন্য কি ক্ষণিকের জন্য আয়োজিত
এইসব ছেলেমানুষি ভাবনা ও তর্ক থেকে সরে এসে
বরং কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেয় দু-জন দু-জনের বাহুডোরে।




একটা বয়সে গিয়ে, ভালোবাসার সকল উৎসব
শুধুই কামনার নয়, প্রেমেরও;
শুধুই যৌনতার নয়, জীবনেরও।




সেই উৎসবে পৌঁছেছে যারা,
ওদের ভালোবাসাকে অন্ধকার কিংবা ভ্রম ভিন্নপথে নেয় না;
বরং ওদের হৃদয় কম্পিত হয়ে চলে সেই উৎসবের অনুরণনে।




নিজের ঠোঁট ও জিভের দাবিদার যখন কেবলই নিজে নয়,
তখন মানুষ চুমুটাও খায় খুব সাবধানে, নিজেকে যত্নে রেখে দেয় যে-কোন‌ও মূল্যে...
নয় কেবলই এক নিজের প্রয়োজনে।