১। ঠিক ততটুকুই পাবে, যতটুকুর দাম দেবে। ২। আমি যে পাগল! তাই তো বার বার অভিমান ভুলে তোমাকে আবার দেখতে চাই! ৩। আমার সঙ্গে একটু দেখা করবে? এই বৃষ্টিতে? কোনও কফিশপে? তুমি তো কত অচেনা মানুষের উপকার করো, আমাকেও নাহয় আজ অচেনাই ভাবলে! করবে দেখা? বৃষ্টি ঝরছে... ৪। বৃষ্টিতে হয় কফির ধোঁয়া, নয় সিগারেটের। ৫। সুবিধাবাদী নির্লজ্জ লোকজন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাবানদের নিজের আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধব বানায়। ৬। প্রেমে পড়লে সবাই অভিভাবক হয়ে ওঠে। তখন সব দূরত্বকেই দীর্ঘ লাগে, সব মুহূর্তেই বিপন্ন লাগে। ৭। ভালোবাসতে জানে না যারা, তারা চোর বানায় ওদের, যারা ভালোবাসে। ৮। পায়ের জুতো যখন মাথার টুপির দিকে তাকায়, তখন সে ওখানে ধুলো-কাদা দেখতে পায়। ৯। আপনি যদি লোকের ক্ষতি করেন, তবে শাস্তি পাবেন। আপনি যদি লোকের উপকার করেন, তবে অবশ্যই শাস্তি পাবেন। আপনি যদি লোকের ক্ষতি কিংবা উপকার কোনোটাই না করেন, তবে আপনি অনেকটাই নিরাপদ। ১০। কিছুই পেতে আসেনি যে, তার হারাবার কিছুই নেই। ১১। যার কবিতা কেউই নেয় না খুঁজে, সে তো কবি নয়! যার কবিতা মেলে খোঁজার আগেই, সে-ও কবি নয়! ১২। জলের খোঁজে যাই। তারপর... বালতির তলায় কিছু ঘাসফুল মাড়িয়ে জল ভরে ফিরে আসি। ১৩। একটাসময় মানুষ আর ভালোবাসেই না কাউকে আসলে, কেবল ভালোবাসা পেতেই চায়। বয়স বাড়লে কমে ভালোবাসা, বাড়ে লোভ---স্নেহের লোভ, মায়ার লোভ, ভালোবাসার লোভ... তখন ভালোবাসতে পারার চাইতে ভালোবাসা পাবার লোভটাই দিন দিন প্রখর হয়। ১৪। গুণ থাকলে অনেকের কাছেই পৌঁছানো যায়। আর গুণ না থাকলে আফসোস করেই কাটাতে হয়। এটাই নিয়ম। ১৫। আমাদের সৃষ্টি করে এ কেমন শাস্তি পেলে! মানুষ হয়ে যা যায় না করা, আমরা তা-ও করি তোমারই নামে! ১৬। পুরস্কারের খোঁজ থাকে যার ধ্বংসে আর মৃত্যুতে, আয়ু কি সৃষ্টি, প্রীতি কি যুক্তি, তার কাছে তুচ্ছ এ সবই। ১৭। কিছুই করতে পারে না যে নিজে, সে-ই অন্যকে দেয় উসকে! ১৮। জলে থেকে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা যায় কীভাবে? ...অপেক্ষাকৃত বড়ো কুমির হয়ে। ১৯। তোমাকে কেউই ভুল বোঝে না। আসলে তোমাকে বোঝার সময়ই কারও নেই। ভুল বোঝার ব্যাপারটা তখনই আসে, যখন কেউ তোমাকে বুঝতে চায়। ২০। যে অফিসে যতটা সম্মানিত হয়, ঘরে ততোধিক অসম্মানিত হয়, সে-ও কেন ঘরে ফিরবে!?